নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাংবাদিক ও লেখক

রিজভী

https://www.facebook.com/Rizvibd

রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আশরাফ কায়সারের কথা

২৬ শে জুলাই, ২০০৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কলেজ লাইফ থেকেই জড়িত ছিলেন সাংবাদিকতায়। এরপর কয়েকটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করার পর প্রতিষ্ঠা করেন বিজ্ঞাপনী সংস্থা বেঞ্চমার্ক। বেঞ্চমার্কের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি চ্যানেলগুলোর নানা অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে একুশে টেলিভিশনে প্রতিদিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচারিত টক শো একুশে সময়র গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করছেন তিনি। সম্প্রতি যায়যায়দিনে এসেছিলেন আশরাফ কায়সার। তার সঙ্গে কথার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এই পোস্টে।





আপনার সাংবাদিকতায় যাত্রা কিভাবে?



আমি কলেজ লাইফ থেকেই সাংবাদিকতায় জড়িত হয়ে পড়ি। সাপ্তাহিক খবরের কাগজ পত্রিকায় কাজের মাধ্যমে আমার সাংবাদিকতায় যাত্রা শুরু হলেও সাপ্তাহিক বিচিত্রায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করা শতাধিক অনুসন্ধানী রিপোর্টই মূলত সাংবাদিকতায় আমার কাজের প্রমাণ। ১৯৯৪ সালে বিচিত্রায় প্রকাশিত ট্রেড ইউনিয়নের নামে ব্যবসা শীর্ষক রিপোর্টের জন্য আমি সাংবাদিকতার শীর্ষ পুরস্কার ফিলিপস অ্যাওয়ার্ড লাভ করি।



আপনার বিজ্ঞাপনী সংস্থা বেঞ্চমার্ক সম্পর্কে বলুন।



আমি ১৯৯৬ সালে বিজ্ঞাপনী সংস্থা গ্রেতে যোগ দিই। সেখানে দুই বছর কাজ করার পর ইউনিট্রেন্ডে কাজ করি এক বছর। এরপর আমেরিকায় চলে যাই। আমেরিকা থেকে ফিরে এসে প্রতিষ্ঠা করি বিজ্ঞাপনী সংস্থা বেঞ্চমার্ক। মাত্র একজন পিয়ন, ৫০০ স্কয়ার ফিটের একটি অফিস ও কোনো কায়েন্ট ছাড়াই শুরু হয় আমার দুঃসাহসিক যাত্রা। এরপর একদল নতুন সহকর্মী আমার সঙ্গে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে আমরা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইতিহাদ এয়ারলাইন্স, পিৎজা হার্ট, কেএফসি, শার্ক, একটেল-এর বিজ্ঞাপনের কাজ করছি। আমাদের সঙ্গে কম্পানিগুলোর বার্ষিক একটি চুক্তি থাকে। এর বিনিময়ে আমরা মূলত প্রোডাক্টের ব্র্যান্ডিং করে থাকি।



সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এলেন কেন?



এটি সত্যি, বিজ্ঞাপনী সংস্থা যেমন আমার একটি ভালোবাসা, তেমনি সাংবাদিকতাও আমার আরেকটি ভালোবাসা। প্রিন্ট মিডিয়াকে সময় দিতে পারিনি বলে বর্তমানে ভিজুয়াল মিডিয়ায় কাজ করছি সাংবাদিকতার প্রতি আমার ভালোবাসার জন্য। আর বিজ্ঞাপনী সংস্থার প্রতিষ্ঠার পেছনে আমার মূল কারণ ছিল এ সেক্টরে নতুন কিছু করার ইচ্ছা। যেমন আমাদের সংস্থা থেকে নির্মিত বিজ্ঞাপনগুলোর মাঝে একটি থিম কাজ করে যে, প্রোডাক্টের আইডিয়া বা কনসেপ্ট কিভাবে সাধারণ মানুষের মাঝে সহজে পৌছানো যায়। একটেল পাওয়ার, একটেল ওপেনার, শার্ক এনার্জি ড্রিঙ্ক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বিজ্ঞাপনগুলো দেখলেই এ বিষয়টি পরিষ্কার হবে।



দিন দিন মিডিয়ার গ্রোথ হচ্ছে, একে আপনি কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?



মিডিয়ার গ্রোথ হওয়াটা অবশ্যই পজিটিভ। যেমন আজ থেকে ১০ বছর আগেও মিডিয়ার যে এতোটা প্রসার ঘটবে তা কিন্তু কেউই নিশ্চিত ছিলেন না। আবার আজ থেকে ১০ বছর পর মিডিয়ার কতোটা গ্রোথ হবে তাও কিন্তু কেউই নিশ্চিত নন। যেমন আগে মনে করা হতো, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রসার ঘটলে প্রিন্ট মিডিয়ার প্রভাব কমে যাবে। বাস্তবে কিন্তু তা আদৌ হয়নি। এখন তো এফএম রেডিও অধিকাংশ তরুণই শুনছে। কিন্তু তাই বলে তারা পত্রিকা পড়া বন্ধ করে দিয়েছে তা কিন্তু নয়। আসলে মিডিয়া যতো প্রসারিত হয়, মানুষের মিডিয়া ক্যাপচার ক্যাপাবিলিটি ততো বাড়ে।



মিডিয়াতে কি কি কাজ করেছেন?



মিডিয়াতে আমার শুরুটা হয় চ্যানেল আই-এর সংবাদপত্রে বাংলাদেশ অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার মাধ্যমে। এছাড়া চ্যানেল আই-এর গ্রামীণফোন টেলি সময়, হ্যালো মিনিস্টার, বিপন্ন মানবতা। এটিএন বাংলার একটেল প্রতিদিন। চ্যানেল ওয়ান-এর মত-মতান্তর টক শোগুলোর উপস্থাপনা করেছি আমি। বর্তমানে আমি একুশে টিভির প্রতিদিনের টক শো একুশে সময়-এর গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করছি।



একুশে সময় অনুষ্ঠান সম্পর্কে কিছু বলুন।



একুশে সময় অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এ বছরের জুন মাসের ৩ তারিখ থেকে। সামিয়া জামান, কৌশিক সংকর দাস ও আমি মিলে প্রথমে অনুষ্ঠানের একটি ফরমাট দাড় করাই। একুশে সময় অনুষ্ঠানটি পুরোটাই লাইভ সম্প্রচারিত হয়। স্টুডিওতে উপস্থিত থাকেন দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তি, তিনজন সাংবাদিক এবং টেলিফোনে সরাসরি মন্তব্য দেন দর্শক ও নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা। ফলে পুরো অনুষ্ঠানটিই হয় প্রাণবন্ত।



ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?



বর্তমানে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও চ্যানেলে অনুসন্ধানী রিপোর্ট ও সংবাদ পর্যালোচনা তেমন একটা খুজে পাওয়া যায় না। নতুন একটি প্রডাকশন হাউস করে সেখান থেকে এসব বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠান বানানোর ইচ্ছা রয়েছে। চ্যালেঞ্জিং কিছু করার যে প্রত্যাশা নিয়ে আমি সাংবাদিকতা শুরু করেছিলাম, তা কনটিনিউ করার জন্যই কিছু কোয়ালিটি বাস্তব করার স্বপ্ন সব সময় দেখি।





ফটো ক্যাপশন : আশরাফ কায়সার



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০০৭ রাত ৮:০২

ভালোবাসা বলেছেন: আচ্ছা।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০০৭ রাত ৮:৫০

রিজভী বলেছেন: আচ্ছা? @ ভালোবাসা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.