নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রক্ত দান করুন জীবন বাাঁচান

রক্ত দান

অতি সাধারণ

রক্ত দান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ ও রাসূলকে (সা.) মানলে মুসলিমদের মতভেদ থাকবে না

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৯



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

* আল্লাহ ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* রাসূল (সা.) উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছেন।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১১৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৬। যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল তবে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরন করে: আর তারা শুধু অনুমান ভিত্তিক কথা বলে।

* আল্লাহ অধিকাংশ লোকের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে নিষেধ করেছেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।

* একদা অধিকাংশ সঠিক কাজ করেছে।

# অধিকাংশ সকল সময় সঠিক নয়। কোন কোন সময় অধিকাংশ সঠিক। রাসূল(সা.) উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের কথা বলেছেন।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

* যুদ্ধ জয়ে শত্রুর এক তৃতীয়াংশ হওয়া দরকার, আর ১০% তো লাগবেই। মোট মানুষের ১০% হানাফী ছাড়া আর কোন মুসলিম দল নেই এবং তারাই উম্মতের সর্ববৃহৎ দল। শাফেঈ, হাম্বলী ও মালেকী আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) কথা মানলে চার মাযহাব আর থাকে না, বরং সবাই হানাফী হয়ে যায়।আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) কথা মানলে শিয়া ও সুন্নী থাকে না, বরং সবাই সুন্নী (হানাফী) হয়ে যায়। আর এভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে থাকলে মতভেদ আর খাকে না। প্রতিটি মাসয়ালা নিয়ে যদি লোকেরা ঝগড়া করতে থাকে তবে কেয়ামত অবধি ঝাগড়া থামবে না। আর সকল বিষয়ে উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে থাকলে মতভেদ থাকবে না।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭৮ নং ও ৭৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। আর স্মরণ কর দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা বিচার করতেছিল শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে, তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ; আমরা প্রত্যক্ষ করতেছিলাম তাদের বিচার।
৭৯। আর আমরা এ বিষয়ে সুলায়মানকে মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেককে আমরা দিয়ে ছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান। আমরা পর্বত ও পাখীদেরকে অধীন করে দিয়েছিলাম, উহারা দাউদের সঙ্গে আমাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করতো; আমরাই ছিলাম এ সমস্তের কর্তা।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে শান্তি স্থাপন কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।

* আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে মুমিনদের মীমাংসা ও শান্তি স্থাপন লাগবেই। একাজে সকল পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৯ এর অনুবাদ-
১৫৯। যারা দীন সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের কোন দায়িত্ব তোমার নয়। তাদের ব্যবস্থ্যা করার দায়িত্ব আল্লাহর।আল্লাহ তাদেরকে তাদের কাজ সম্পর্কে জানিয়ে দিবেন।

সূরাঃ ১০ ইউনুস, ১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। মানুষ ছিল একই উম্মত। পরে উহারা মতভেদ সৃষ্টি করে।তোমার প্রতিপালকের পূর্ব-ঘোষণা না থাকলে তারা যে বিষয়ে মতভেদ ঘটায় তার মিমাংসাতো হয়েই যেত।

সূরাঃ ২৩ মুমিনূন, ৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৩। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে তাদের দীনকে বহুভাগে বিভক্ত করেছে। প্রত্যেক দলই তাদের নিকট যা আছে তা নিয়ে আনন্দিত।

সূরাঃ ৩০ রূম, ৩২ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩২। যারা নিজেদের দীনে মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দল নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল।

সূরাঃ ৪৩ যুখরুফ, ৬৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। অতঃপর তাদের বিভিন্ন দল মতানৈক্য সৃষ্টি করলো, সুতরাং সুতরাং যালিমদের জন্য দূর্ভোগ ভয়ংকর শাস্তির দিনে।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৩ এর অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১১ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১১। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) কাছে উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রথমে একটি সরল রেখা টানলেন এবং তার ডান দিকে দুটো সরল রেখা টানলেন এবং বাঁ দিকেও দুটো সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি রেখার মধ্যবর্তী স্থানে হাত রেখে বললেন, এটা আল্লাহর রাস্তা। এরপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন, ‘আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে’। -(সূরা আল আনআমঃ ১৫৩)

* মতভেদ ও বহুদল হওয়ার কূ-পথ পরিত্যাগ করতে হবে এটাই সরল পথ।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৯২ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৯২। আউফ ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইয়াহুদী জাতি একাত্তরটি দলে বিভক্ত হয়েছিল। তারমধ্যে সত্তরটিদল জাহান্নামী এবং একটি দল জান্নাতি। আর খ্রিস্টান জাতি বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছিল তাদের মধ্যে একাত্তর দল জাহান্নামী এবং একটিমাত্র দল জান্নাতী। সেই সত্তার শপথ,যাঁর হাতে মুহাম্মদের (সা.) প্রাণ, অবশ্যই আমার উম্মত তিহাত্তরটি দলে বিভক্ত হবে। তারমধ্যে একটি দল জান্নাতী এবং বাহাত্তরটি হবে জাহান্নামী।আরয করা হলো, আল্লাহর রাসূল (সা.) কোন দলটি জান্নাতী? তিনি বললেন, একতাবদ্ধ যারা সুন্নতের উপর অটল থাকবে।

* রাসূলের (সা.) একতাব্ধ সুন্নতের অনুসারী না হয়ে কেউ জান্নাতে যেতে পারবে না। যারা এ সুন্নত তরক করে মরে গেছে তারা এখন জাহান্নামেই আছে। যারা এ সুন্নত তরক করে মরবে তারাও জাহান্নামেই থাকবে। সংগত কারণে জান্নাতে যেতে চাও তো একতাবদ্ধ সুন্নতের অনুসারী হও।

সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৫৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। কেউ আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং মু’মিনদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে আল্লাহর দলইতো বিজয়ী হবে।

# সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৫৬ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির

ওবায়দা ইবনে সামেত (রা.) ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে কেবল আল্লাহ, তাঁর রাসূল (সা.) এবং মু’মিনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন। সেজন্য আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’লা, তাঁর রাসূল (সা.) ও ঈমানদারদের নিজের বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারা যেন জেনে রাখে কেবল আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩৯। তোমরা হীন বল হবে না এবং দুঃখিত হবে না। তোমরাই বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে দিয়েছি সুস্পষ্ট বিজয়।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। তিনিই তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও দীনে হক (সত্যদীন) সহ প্রেরণ করেছেন অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করার জন্য। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।

সূরাঃ ৫৮ মুজাদালা, ১৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা হবে চরম লাঞ্চিতদের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ সিদ্ধান্ত করেছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হব এবং আমার রাসূলগণও। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।

সূরাঃ ৩৪ সাবা, ২০ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০। তাদের সম্বন্ধে ইবলিশ তার ধারনা সত্য প্রমাণ করল। ফলে তাদের মধ্যে একটি মুমিন দল ব্যতীত সকলেই তার অনুসরন করল।

* আল্লাহর জয়ের ইচ্ছা পূরণে একটি মুমিন দলে থাকতে হবে। মুমিনদের একাধীক দল তৈরী করে মুমিনদের একাধীক দলে থাকা চলবে না। মুমিনদেরকে হানাফীদের সাথেই থাকতে হবে।কারণ কোরআন ও হাদিস হানাফীদেরকেই সঠিক সাব্যস্ত করে।

সহিহ মুসলিম, ৪২৭ নং হাদিসের (পবিত্রতা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪২৭। হযরত আবু মালেক আর-আশ’আরী (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ ওজন দন্ডের পরিমাপকে পরিপূর্ণ করে এবং ‘সুবহানাল্লাহ ওযাল হামদুলিল্লাহ’ আসমান জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পূর্ণ করে দেবে। ‘সালাত বা নামাজ’ হলো একটি উজ্জল জ্যোতি। ‘সদকা’ হচ্ছে নিদর্শন। ‘সবর’ হচ্ছে জ্যোতির্ময়। আর ‘আল – কোরআন’ হচ্ছে তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে দলিল স্বরূপ। মূলত সকল মানুষ প্রত্যেক সকালে নিজেকে আমলের বিনিময়ে বিক্রি করে।তার আমল দ্বারা সে নিজেকে আল্লাহর শাস্তি থেকে মুক্ত করে অথবা তার ধ্বংস সাধন করে।

* আল কোরআনের দলিল দিয়ে হানাফী ছাড়া অন্য কোন মানব সম্প্রদায়কে সঠিক প্রমাণ করা যায় না।

সূরাঃ ১১০ নাসর, ১ নং থেকে ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে।
২। আর তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবে।
৩। তখন তুমি তোমার রবের হামদ এর তাসবিহ পাঠ করবে, আর তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে। নিশ্চয়ই তিনি তো তওবা কবুলকারী।

* আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসার পর মহানবি (সা.) মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখেছেন।হানাফী মাযহাব গঠিত হওয়ার পর থেকে মহানবির (সা.) উম্মতগণ দেখছে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসার পর মানুষ দলে দলে হানাফী মাযহাবে প্রবেশ করছে। সংগত কারণে হানাফী মাযহাব গঠিত হওয়ার পর থেকে হানাফী মাযহাব আল্লাহর দীন সাব্যস্ত হয়।

# কোরআন ও হাদিস হানাফী ইমাম আবু হানিফাকে (র.) সঠিক সাব্যস্ত করে।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

* রাসূলের (সা.) সাথে যারা মিলিত হয়নি তারা তাবেঈ। সাহাবায়ে কোরামের (রা.) সাথে যারা মিলিত হয়নি তারা তাবে তাবেঈ। সাহাবা যুগের পর তাদের অনুসারী হতে হবে এ কথা আল্লাহ স্পষ্ট করেই বললেন।

সহিহ মুসলিম, ৬৩৩৯ নং ও ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৩৯।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। যদি দীন আসমানের দূরবর্তী সুরাইয়া নক্ষত্ররাজির কাছে থাকত, তবে পারস্যের যে কোন ব্যক্তি তা’ নিয়ে আসত; অথবা তিনি বলেছেন, কোন পারসিক সন্তান তা’ অর্জন করত।

সহিহ মুসলিম, ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৪০। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট বসা ছিলাম। তখন তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হল। যখন তিনি এ আয়াত পড়লেন, ‘ওয়া আখারিনা মিনহু লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম - আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’ তখন জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এরা কারা? নবি করিম (সা.) তার কোন জবাব দিলেন না। এমন কি সে একবার অথবা দু’ বার কিংবা তিনবার তাঁকে জিজ্ঞাস করল। রাবী বলেন, তখন আমাদের মাঝে সালমান ফারসী (রা.) ছিলেন। রাবী বলেন, নবি করিম (সা.) তাঁর হাত সালমানের (রা.) উপর রাখলেন, এরপর বললেন, যদি ঈমান সূরাইয়া তারকার কাছে থাকত তাহলে অবশ্যই তার গোত্রের লোকেরা সেখান পর্যন্ত পৌঁছত।

* হাদিসে বলা তাবেঈ হলেন ইমাম আবু হানিফা (র.) কারণ তিনি ছাড়া হযরত সালমানের (রা.) এলাকার অনারব লোক আর কোন মুজতাহিদ তাবেঈ নেই। সংগত কারণে তাবেঈ হিসেবে তিনি অবশ্যই সঠিক।

# কোরআন ও হাদিস হানাফী মাযহাবের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ইমাম আবু ইউসুফকে (র.)সঠিক সাব্যস্ত করে।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।

* রাসূলের (সা.) সাথে যারা মিলিত হয়নি তারা তাবেঈ। সাহাবায়ে কোরামের (রা.) সাথে যারা মিলিত হয়নি তারা তাবে তাবেঈ। সাহাবা যুগের পর তাদের অনুসারী হতে হবে এ কথা আল্লাহ স্পষ্ট করেই বললেন।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৩০ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
২৩০। হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার থেকে একটি হাদিস শুনে অতঃপর তা’ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেয় আল্লাহ তাকে হাস্যোজ্জল ও আনন্দময় করে দেবেন। কেননা এমন কতক ফিকাহ বাহক রয়েছে, যারা প্রকৃতপক্ষে ফকীহ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও হয় যে, ফিকাহ শিক্ষাদানকারীর চেয়ে উক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থী অধিকতর জ্ঞানী হয়ে থাকে।

* মহানবির (সা.) পক্ষ থেকে দু’জন ফকিহ তাঁর হাদিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত।তাঁদের একজন ফিকাহ শিক্ষাদানকারী এবং অন্যজন উক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থী, যিনি তাঁর ফিকাহ শিক্ষাদানকারীর চেয়ে উক্ত বিষয়ে অধিকতর জ্ঞানী। ইতিহাসে এমন শুধু একটি জুটি আছে, তাঁরা হলেন ইমাম আবু হানিফা (র.) ও তাঁর শিক্ষার্থী ইমাম আবু ইউসুফ (র.) যিনি তাঁর ফিকাহ শিক্ষাদানকারী ইমাম আবু হানিফার চেয়ে উক্ত বিষয়ের অধিকতর জ্ঞানী ছিলেন। কারণ ইমাম আবু ইউসুফের (র.) খেলাফতের প্রধান বিচার পতির যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছিল। কিন্তু ইমাম আবু হানিফার খেলাফতের প্রধান বিচারপতির যোগ্যতা থাকলেও তাঁর খেলাফতের প্রধান বিচারপতির অভিজ্ঞতা ছিল না। আবার ইমাম আবু ইউসুফের (র.) জ্ঞানের সাথে ইমাম আবু হানিফার (র.) জ্ঞান যোগ হয়ে ইমাম আবু ইউসুফের (র.) জ্ঞান বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফের (র.) জ্ঞান ইমাম আবু হানিফার (র.) সাথে যোগ না হওযায় ইমাম আবু হানিফা (র.) থেকে ইমাম আবু ইউসুফের (র.) জ্ঞান বেশী ছিল। সংগত কারণে তাবে তাবেঈ হিসেবে ইমাম আবু ইউসুফ (র.) অবশ্যই সঠিক।

# কোরআন ও হাদিস হানাফী মাযহাবের অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠাতা আব্বাসীয় খলিফাগণকে সঠিক সাব্যস্ত করে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* উম্মতের সর্ববৃহৎ দল হানাফী মান্যতায় ৫৩ জন আব্বাসীয় খলিফা হযরত ইব্রাহীমের বংশীয় মুসলিমদের বিশ্ব ইমাম হিসাবে সঠিক ছিলেন। হানাফী অমান্যতায় এ তালিকা থেকে তিনজন খলিফা বাদ পড়েছেন। তাদের অমান্যতার কারণ তারা জালিম ছিলেন।

সহিহ আল বোখারী, ৩২৪৭ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩২৪৭।হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.) বলেছেন, এ দায়িত্ব (মুসলিম নেতৃত্বের) চিরকাল কুরাইশদের হাতেই থাকবে। যতদিন তাদের দু’জন লোক অবশিষ্ট থাকবে।

* উম্মতের সর্ববৃহৎ দল হানাফী মান্যতায় ৫৩ জন আব্বাসীয় খলিফা কুরাইশ বংশীয় মুসলিমদের বিশ্ব আমির হিসাবে সঠিক ছিলেন।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭০১ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭০১। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আল আব্বাসকে (রা.) বললেন, আগামী সোমবার আপনি আমার কাছে আসবেন এবং আপনার সন্তানদেরকেও সাথে নিয়ে আসবেন। আমি আপনার জন্য এবং আপনার সন্তানদের জন্য একটি দোয়া করব, যার দরুন আল্লাহ আপনাকেও উপকৃত করবেন এবং আপনার সন্তানদেরও। সকালে তিনি গেলেন এবং আমরাও তাঁর সাথে গেলাম। তিনি আমাদের গায়ে একখানা চাদর জড়িয়ে দিলেন, এরপর বলেন, হে আল্লাহ আল আব্বাস ও তাঁর সন্তানদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয়দিক থেকে এমনভাবে মাফ করে দিন, যার পর তাদের আন কোন অপরাধ বাকি না থাকে। হে আল্লাহ তাঁকে তাঁর সন্তানদের অধিকার পূরণের তৌফিক দিন।

রাযীন এ বাক্যটি অতিরিক্ত বলেছেন, খেলাফত এবং রাজত্ব তার সন্তানদের মধ্যে বহাল রাখ – মেশকাত ৫৮৯৮ নং হাদিস।

* আব্বাসীয়গণ মহানবির (সা.) দোয়ায় খলিফা হওয়ায় তারা মুসলিম বিশ্ব আমির হিসেবে সঠিক ছিলেন।

মেশকাত ৫৮৯৭ নং হাদিসের (সাহাবীদের ফজিলত ও মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৮৯৭। হযরত ইবনে আব্বাস হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)ইরশাদ করেন, আব্বাস (রা.) আমার সঙ্গে জড়িত এবং আমি তার সাথে জড়িত।

* সংগত কারণে আব্বাসীয় খলিফাগণের ৫৩ জন যারা মুসলিম বিশ্বের আমির সাব্যস্ত তাদের সাথে মহানবি (সা.) জড়িত। মহানবি (সা.) যাদের সাথে জড়িত তারা অবশ্যই সঠিক ছিলেন।

# হানাফী মাযহাবে কোরআন ও হাদিস সাব্যস্ত সঠিক লোক ৫৫ জন। অহানাফী কোন দলে কোরআন ও হাদিস সাব্যস্ত কোন সঠিক লোক নেই। তথাপি হানাফীরা সঠিক না হয়ে তারা সঠিক হয় কেমন করে?

# মুসলিমদের চিরন্তন সঠিক পাঁচটি দলও হানাফী। তারা হলেন ১। ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল ২। আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল ৩। মুজাহিদগণের সর্ববৃহৎ দল ৪। হাজীগণের সর্ববৃহৎ দল ও ৫। উমরা আদায়কারীগণের সর্ববৃহৎ দল।

# ইমাম

সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।

সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।

সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।

* ইমাম তালিকায় মুসলিম জাতির পিতা ইব্রাহীম (আ.) থাকায়, মুমিনগণ মুত্ত্তকীগণের ইমাম হওয়ার প্রার্থনা করায়, মহানবি (সা.) ইমামগণের অনুসারী হতে বলায় এবং তিনি তাদের সৎপথের দোয়া করায় তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই সঠিক।

# আলেম

সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহি প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।

* আলেমগণকে আহলে যিকির বলে। কোন কিছু না জানলে তাঁদের কাছ থেকে জানা ফরজ।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

* আলেমরা আল্লাহকে ভয় করে বলে তাঁরা আল্লাহর বিষয়ে সত্যকথা বলে।

সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।

* কোন কিছু না জানলে আল্লাহ আলেমগণের নিকট থেকে সেই জিনিস জেনে নেওয়া ফরজ করায়, আলেমগণ আল্লাহকে ভয় করেন বলে এবং আলেমগণ নবিগণের ওয়ারিশ হওয়ায় তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই সঠিক।

# মুজাহিদ

সূরাঃ ২২ হাজ্জ, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ
৭৮।আর জিহাদ কর আল্লাহর পথে যেভাবে জিহাদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে (জিহাদের জন্য) মনোনীত করেছেন।তিনি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেননি। এটা তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের মিল্লাত বা জাতি।তিনি পূর্বে তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করেছেন। আর এতে (এ কোরআনেও তোমাদের ‘মুসলিম’ নাম করণ করা হয়েছে) যেন রাসুল তোমাদের জন্য সাক্ষ্যি হন এবং তোমরা স্বাক্ষী হও মানব জাতির জন্য। অতএব তোমরা সালাত বা নামাজ কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহর সাথে যুক্ত থাক। তিনি তোমাদের অভিভাবক। কত উত্তম অভিভাবক এবং কত উত্তম সাহায্যকারী তিনি।

সহিহ আল বোখারী, ২৬৮৮ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৬৮৮। হযরত আবু সাঈদ (রা.)কর্তৃক বর্ণিত।। নবি করিম (সা.) বলেছেন, এমন এক যামানা আসবে যখন একদল লোক আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে থাকবে। তাদেরকে জিজ্ঞাস করা হবে তোমাদের সঙ্গে কি নবি করিমের (সা.) কোন সাহাবা (রা.) আছেন? বলা হবে হ্যাঁ আছেন। তাদেরকে বিজয় দান করা হবে। এরপর এমন এক সময় আসবে,তাদেরকে জিজ্ঞাস করা হবে, নবি করিমের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সাহচর্য লাভ করেছেন, এমন লোক কি তোমাদের সঙ্গে আছেন? বলা হবে হ্যাঁ আছেন। সুতরাং তাদেরকে বিজয় দান করা হবে। এরপর আরো একটি যুগ এমন আসবে, তখনও তাদেরকে জিজ্ঞাস করা হবে, তোমাদের সাথে এমন কোন ব্যক্তি আছেন কি? যিনি নবি করিমের (সা.) সাহাবাদের (রা.) সহচরদের (র.)সাহচর্য লাভ করেছেন? বলা হবে হ্যাঁ আছেন। সুতরাং তাদেরকেও বিজয় দান করা হবে।

* যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে এবং আল্লাহ যাদেরকে বিজয় দান করেন তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই সঠিক।

# হাজী ও উমরা আদায়কারী

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ৯৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯৬। নিশ্চয়ই সর্বপ্রথম ঘর, যা মানব জাতির জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তাতো মক্কায়। উহা বরকতময় ও বিশ্বজগতের জন্য হেদায়াত।

সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১২৫ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১২৫। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর প্রতিনিধি তিন শ্রেণীর, যোদ্ধা, হাজী এবং উমরাহ আদায়কারী।

* কাবার হেদায়াত তারা পায় যারা হেদাযাতের জন্য সেখানে আসে। তাদের হাজী ও উমরাহ আদায়কারী আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই সঠিক।

# মুসলিমদের উপরোক্ত পাঁচটি দল যখন যে দলের সাথে ছিল তখন সে দল সঠিক ছিল। এখন তারা যে দলের সাথে আছে তারা এখন সঠিক আছে। ভবিষ্যতে তারা যাদের সাথে থাকবে তারা তখন সঠিক থাকবে। তেরশ বছরের বেশী সময় ধরে তারা হানাফীদের সাথে আছে বিধায় এসময় তারা সঠিক আছে। ভবিষ্যতে তারা ইমাম মাহদীর (আ.) দলের সাথে থাকবে তখন ইমাম মাহদীর (আ.) দল সঠিক থাকবে। তখন আবার যারা হানাফীতে পড়ে থাকবে তারা তখন সঠিক থাকবে না।

* সুতরাং হে মুমিন হানাফী হও। হানাফী মতে ফতোয়া দাও। নিজমতে ফতোয়া দেওয়া বন্ধ কর। আর এভাবেই ঐক্যবদ্ধ থাক। সবাই নিজমতে ফতোয়া দিলে কোন দিন তোমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না।


মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: স্বাগতম।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১২

রক্ত দান বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম। লিখতে থাকুন মনের যত কথা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

রক্ত দান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: স্বাগতম আপনাকে

পোস্ট ছোট করে দিলে আমার অন্তত পড়তে সুবিধা হয় । অফিসের কাজের ফাঁকে পড়ে নিতে পারতাম।

সুন্দর হোক ব্লগিঙ জীবন

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

রক্ত দান বলেছেন: কিছুটা পড়লেও কিছু জানবেন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আল্লাহ ও রসুলের অনুসারীদের মাঝে ঐক্য বাড়ছে আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, লেবানন, প্যালেষ্টাইনে।

বেদুইনদের মাঝে ঐক্য ছিলো না; মক্কা ও মদীনা দখল করে একটা সাম্রাজ্য গঠনের জন্য ঐক্যের দরকার ছিলো, সেটা করেছেন মোহাম্মদ (স: ); আজকে ১৪০০ বছর পর, সেই ঐক্য কাজ করছে না; কারণ, আজকের সভ্যতায় ঐক্যের কারণ আলাদা, ধর্মের নামে ঐক্য আর কাজ করবে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

রক্ত দান বলেছেন: হাদিস বলছে ঐক্য হবে। আর মুসলিম তো না কমে বেড়েই চলছে। আধুনিক প্রযুক্তি মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে সহায়তা করছে।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: হাদিস বলছে ঐক্য হবে। আর মুসলিম তো না কমে বেড়েই চলছে। আধুনিক প্রযুক্তি মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে সহায়তা করছে।

-যাদের জ্ঞানের মাঝে ধর্মীয় প্রভাব আছে, তাদের ধারণাশক্তি দুর্বল।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

রক্ত দান বলেছেন: সেটা আবার আপনার ধারণা। আর আপনার সব ধারণা সঠিক নয়।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



স্বাগত!

লিখতে থাকুন....

অনেক পথ সামনে রয়েছে। অনেক কথা হবে ইনশাআল্লাহ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১৯

রক্ত দান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় কবি

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাইয়া। শুভেচ্ছা জানাই অবিরাম।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৪

রক্ত দান বলেছেন: অনুসন্ধানে দেখাগেছে কোরআন ও হাদিসের জ্ঞানগত ঘাটতির কারণেই মুসলিমদের মধ্যে এত মতভেদ।

৮| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে সুস্বাগতম জানাচ্ছি। শুভ হোক আপনার ব্লগযাত্রা।
পোস্ট আরও ছোট করে লিখবেন। প্রয়োজন হলে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে লিখুন। এত বড় পোস্ট পড়ার মত সময় ও ধৈর্য খুব কম মানুষের আছে। ব্লগের পোস্ট ১০০০ শব্দের মধ্যে সীমিত থাকলে ভালো হয়, সর্বোচ্চ ২০০০ শব্দে। এর চেয়ে বড় করে লিখলে পাঠক পাবেন না। আমিও এ পোস্টটা পড়িনি। পরে সময় হলে আরেকবার পড়ার চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.