![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
* ফতোয়া দিতে ফিকাহ লাগবে। এটা আল্লাহর বিধান। ডা: জাকির নায়েক ফিকাহ না জেনে ফতোয়া দিয়েছেন কোন হিসাবে? ফিকাহ না জেনে ফতোয়া প্রদান করে ডা: জাকির নায়েক আল্লাহর সুস্পষ্ট সীমা লংঘণ করেছেন। এটা তাঁর গুরুতর অপরাধ।
মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
* ডা: জাকির নায়েক আমির নন। আমির হিসাবে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে ফতোয়া প্রদানের অধিকার প্রাপ্ত নন। সুতরাং হাদিস অনুযায়ী তিনি অহংকারী সাব্যস্ত হবেন।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* রাসূল (সা.) উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তেরশ বছরের বেশী সময় ধরে উম্মতের সর্ববৃহৎ দল হানাফী। ডাঃ জাকির নায়েক হানাফী নন বিধায় তিনি হেদায়াত প্রাপ্ত নন। সুতরাং আমির হিসাবে তিনি রাসূলের (সা.) পক্ষ থেকে তাঁর দীন প্রচারের অধিকার প্রাপ্ত নন। সুতরাং তিনি হাদিস অনুযায়ী অহংকারী সাব্যস্ত হবেন।
আল্লাহ ও রাসূল (সা.) ছাড়া এখন মুসলিমদের কোন বিশ্ব আমির নেই। সুতরাং আল্লাহ ও রাসূলের (সা.) পক্ষ থেকে অনুমতি প্রাপ্ত না হয়ে ডা: জাকির নায়েকের ফতোয়া প্রদানের অধিকার নেই।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
# সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
৫৯। আমিরের আনুগত্য বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আনুগত্য শুধু আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির কাজে রযেছ্।
* ফিকাহের জ্ঞান ছাড়া কারো ফতোয়া প্রদানে আল্লাহর সন্তুষ্টি না থাকায় ডা: জাকির নায়েকের কোন ভাবে ফতোয়া প্রদানের সুযোগ নেই। তথাপি তিনি গায়ে পড়ে ফতোয়া প্রদান করে মুসলিমদের মাঝে অশান্তি সৃষ্টি করেছেন। কোরআন অনুযায়ী যা তাঁর উচিৎ ছিল না।
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে শান্তি স্থাপন কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
* আল্লাহ মুমিনদের মাঝে শান্তি স্থাপনের কথা বলেছেন। অথচ ডা: জাকির নায়েক ফতোয়া প্রদানের অধিকার প্রাপ্ত না হয়ে ফতোয়া দিয়ে মুসলিমদের মাঝে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এটা তাঁর গুরুতর অপরাধ।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* রাসূল (সা.) ঘোষিত সহিহ যুগ হলো ১। সাহাবা যুগ ২। তাবেঈ যুগ ৩। তাবে তাবেঈ যুগ। তারপর বিশ্বাস ঘাতক যুগ। রাসূল (সা.) তাদের কথা বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। ডাঃ জাকির নায়েক বিশ্বাস ঘাতক যুগের সদস্য বিধায় তাঁর ফতোয়া সহিহ যুগের ফতোয়ার সাথে না মিললে আমরা রাসূলের (সা.) আদেশ অনুযায়ী তাঁর ফতোয়ার সঠিকতা বিশ্বাস করতে পারি না। তথাপি ডা: জাকির নায়েক ফতোয়া প্রদান করে অনধিকার চর্চা করেন।
সূরা: ৪ নিসা, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। তোমরা যেখানেই থাক মৃত্যু তোমাদেরকে পাকড়াও করবে যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গেও অবস্থান কর। আর যদি তাদের উপর কোন মঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা আল্লাহর কাছ থেকে। আর যদি তাদের উপর কোন অমঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা তোমার কাছ থেকে হয়েছে।তুমি বল সবই আল্লাহর কাছ থেকে হয়। অতএব ঐ সম্প্রদায়ের কি হয়েছে যে তারা ফিকাহের মাধ্যমে (গভীর জ্ঞান) কোন হাদিস বুঝে না?
* হাদিস বুঝতে ফিকাহ লাগে, কথাটা আল্লাহর। যেহেতু ডাঃ জাকির নায়েক ফিকাহ সহয়োগে হাদিস বুঝেননি, সেহেতু ডাঃ জাকির নায়েকের হাদিসের বুঝ সঠিক নয়।
# দলে দলে মানুষ আল্লাহর দীনে প্রবেশ করা।
সূরাঃ ১১০ নাসর, ১ ও ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে।
২। আর তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করতে দেখবে।
* মক্কা বিজয়ের পর। দলে দলে মানুষ ইসলামে দাখিল হওয়ার যে ধারা চালু হয়েছে পরবর্তীতে অধিক মতভেদ জামানায় এসে হানাফীদের ক্ষেত্রে সে ধারা বজায় থেকেছে।
মহানবি (সা.) মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখেছেন। এরপর মানুষ দেখেছে বা দেখছে আল্লাহর দীন হিসেবে মানুষ দলে দলে হানাফীদের দলে প্রবেশ করছে।তারমানে মানুষ যখন আল্লাহর দীনে মতভেদ আমদানী করে আল্লাহর দিনের চেহারা বিভিন্ন রকম করে ফেলেছে। তখন লোকেরা ভিন্ন ভিন্ন চেহারার মুসলমানদের দলের মধ্য থেকে আল্লাহর দীন হিসেবে হানাফীদের দলকে পছন্দ করেছে এবং দলে দলে তাদের দলে প্রবেশ করেছে বা করছে। সংগত কারণে সূরা নাসরের ১ ও ২ নং আয়াত অনুযায়ী হানাফীদের দলই এখন আল্লাহর দীন হিসেবে সাব্যস্ত হবে। ডাঃ জাকির নায়েক হানাফী দলীয় সদস্য নন বিধায় তিনি দীনের দায়ী নন। যারা তাঁকে দীনের দায়ী বলে কোরআন অনুযায়ী তারা মিথ্যা কথা বলে।
কোরআন ও হাদিস হেদায়াতের জন্য উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে বললেও ডা: জাকির নায়েক এখনো উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত নন। তিনি এটা কি কাজ করছেন?
# উম্মতের সর্ববৃহৎ দল
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* আয়াত ও হাদিস অনুযায়ী ১। উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ফরজ ২। উম্মতের সর্ববৃহৎ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া হারাম ৩। উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করা হারাম।
উম্মতের সর্ববৃহৎ দল ১। সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দল ২। তাবেঈগণের সর্ববৃহৎ দল ৩। তাবে তাবেঈগণের সর্ববৃহৎ দল ৪। আমিরগণের সর্ববৃহৎ দল ৫। আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল ৬। ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল ৭। মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দল ৮। মুজাহিদগণের সর্ববৃহৎ দল ৯। হাজীগণের সর্ববৃহৎ দল ১০। উমরা আদায়কারীগণের সর্ববৃহৎ দল ১১। মুহাজিরগণের সর্ববৃহৎ দল ১২। আনসারগণের সর্ববৃহৎ দল।
সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?
সহিহ বোখারী ৬৯ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৯। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। হযরত নবি করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা সহজ পথ অবলম্বন কর, কঠিন করে তুলও না এবং সুখবর দাও। বিরক্তি-অস্বস্তি সৃষ্টি করও না।
* দীন সহজ। আর অনুসরনের জন্য ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ সবচেয়ে সহজ। কারণ নামাজ পড়তে মসজিদে গেলেই তাঁদের সাক্ষাৎ ঘটে।আর তাঁদের বিস্তার ইসলামের শুরু থেকে কেয়ামত অবদি। সুতরাং উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারি হতে ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারি হতে হবে।
# ইমাম
সূরাঃ ২ বাকারা, ১২৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৪। আর যখন তোমার প্রতিপালক ইব্রাহীমকে কয়েকটি বাক্য (কালিমাত) দ্বারা পরীক্ষা করেছিলেন, পরে সে তা পূর্ণ করেছিল; তিনি বললেন নিশ্চয়ই আমি তোমাকে মানব জাতির ইমাম বানাব; সে বলেছিল আমার বংশধরগণ হতেও; তিনি বলেছিলেন, আমার প্রতিশ্রুতি জালেমদের প্রতি প্রযোজ্য হবে না।
সূরাঃ ২৫ ফুরকান, ৭৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৪। আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতি পালক! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান কর যারা হবে আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য ইমাম কর।
সহিহ আবুদাউদ, ৬০১ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৬০১। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ঘোড়ায় চড়েন। তিনি তার পিঠ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁর শরীরের ডান দিকে আঘাত পান। এমতাবস্থায় তিনি বসে নামাজে ইমামতি করেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে বসে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষে মহানবি (সা.) বলেন, ইমামকে এ জন্যই নিযুক্ত করা হয়, যেন তার অনুসরন করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে তখন তোমরাও দাঁড়াবে। এরপর ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমারও রুকু করবে এবং ইমাম যখন মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে। এরপর ইমাম যখন ‘সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ’ বলবে তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’। ইমাম যখন বসে নামাজ পড়বে তখন তোরাও বসে নামাজ পড়বে।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* অনুসরনের জন্য মুত্তাকীদের দীনের যামিনদার ইমাম নিযুক্ত করা হয়। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই উম্মত এবং হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী বিধায় হানাফী ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হওয়া সকল মুসলিমের জন্য ফরজ।
# মোয়াজ্জিন
সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৩। কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি থেকে যে আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকে, আমলে সালেহ করে এবং বলে, আমিতো মুসলিমদের মধ্যে গণ্য।
# সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩৩। এ আয়াত দ্বারা মুয়াজ্জিনকে বুঝানো হয়েছে। যিনি সৎকর্মশীলও বটে। সহিহ মুসলিমে রয়েছে, কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনগণ সমস্ত লোকের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উচ্চ গলা বিশিষ্ট হবেন।
সহিহ তিরমিযী, ১৯৮ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ইমাম হচ্ছে যামিন এবং মোয়াজ্জিন হলো আমানতদার। হে আল্লাহ! ইমামকে সৎপথ দেখাও এবং মুয়াযযিনকে ক্ষমা কর।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* দীনের আমানতদার উত্তম কথার মোয়াজ্জিনগণ অবশ্যই মোহানবির (সা.) উম্মত। তাঁদের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই হেদায়াত প্রাপ্ত। তাঁরা হানাফী বিধায় হানাফী মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দল অবশ্যই হেদায়াত প্রাপ্ত। সুতরাং হানাফী মোয়াজ্জিন গণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা সকল মুসলিমের জন্য ফরজ।
# ১। ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ফরজ ২। ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দল থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা হারাম ৩।ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করা হারাম বিধায় যারা তাঁদের সাথে মতভেদ করে তারা পাক্কা শয়তান। তাহলে আমরা এখন ডা: জাকির নায়েক ও তাঁর ভক্তদেরকে কি বলতে পারি?
সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৩ এর অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
* আল্লাহ বিভিন্ন পথ অনুসরন করতে নিষেধ করেছেন। অথচ ডা: জাকির নায়েক উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের অনুসরন পরিত্যাগ করে আমাদের এমন সব কিতাবের অনুসারী হতে বলেন, যে সব কিতাব সুস্পষ্ট ভাবে বিভিন্ন পথ দেখিয়েছে। আর সহিহ না দেওয়া হলেও মূলত সে সব কিতাব সহিহ নয়। কারণ হাদিস অনুযায়ী সেসব কিতাব বিশ্বাস ঘাতক যুগে বিশ্বাস ঘাতকগণ বিশ্বাস ঘাতকের কথা শুনে লিখেছে।
# বোখারী
* আছরের নামাজের পর নামাজ পড়া
সহিহ বোখারী ৫৫৩ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৩। হযরত আবু হুরাইরা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’টি নামাজ থেকে নিষেধ করেছেন, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার পূর্বে এবং আছরের নামাজের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে।
সহিহ বোখারী ৫৫৭ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৭।হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন রূপেই রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’ রাকা’আত নামাজ পড়া ছাড়তেন না। আর তা’ হল, ফজরের নামাজের পূর্বে দু’ রাক’আত এবং আছরের পরে দু’ রাক’আত।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# মুসলিম
* জুমুয়ার নামাজের পরের নামাজ
সহিহ মুসলিম, ১৯০৮ নং হাদিসের (জুম’আর নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯০৮। হযরত আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুম’আর নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন তার পরে চার রাক’আত নামাজ আদায় করে।
সহিহ মুসলিম, ১৯১৭ নং হাদিসের (জুম’আর নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯১৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত।নবি করিম (সা.) জুম’আর পর দু’ রাক’আত সালাত আদায় করতেন।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# আবুদাউদ
* নামাজির সামনে দিয়ে কোন কিছু অতিক্রম করা
সহিহ আবুদাউদ, ৭০৪ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৭০৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ সুতরা ছাড়া নামাজ পড়ে এবং তখন তার সামনে দিয়ে কুকুর, গাধা, শূকর, ইহুদী, অগ্নি উপাসক, এবং মহিলা যাতায়াত করলে তার নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। অপর দিকে পাথর নিক্ষেপের সীমার বাইরে দিয়ে গমন করলে তাতে মুসল্লীর নামাজের কোন ক্ষতি হবে না।
সহিহ আবুদাউদ, ৭১৯ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৭১৯। হযরত আবু সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন কিছু নামাজের সামনে দিয়ে গমনের কারণে নামাজের কোন ক্ষতি হয় না, তবে তোমরা যথাসম্ভব এরূপ করতে বাধা দিবে। কেননা অতিক্রমকারী একটা শয়তান।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# ইবনে মাজাহ
* যোহরের নামাজ বিলম্বে পড়া
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৬৭৬ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট প্রচন্ড গরমের অভিযোগ পেশ করলাম। অথচ তিনি আমাদের আবেদন গ্রহণ করেননি।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৬৮১ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৮১। হযরত ইবনে ওমর (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমরা যোহরের নামাজ বিলম্বে আদায় করবে।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# নাসাঈ
* রফেউল ইয়াদাইন
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ১০৫৮ নং হাদিসের (নামাজ আরম্ভ করা অধ্যায়) অনুবাদ-
১০৫৮। হযরত ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি রাছুলুল্লাহর (সা.) পিছনে নামাজ আদায় করেছি। আমি তাঁকে দেখেছি তিনি হাত উঠাতেন যখন নামাজ আরম্ভ করতেন, আর যখন রুকু করতেন, এবং যখন ‘সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদাহ’ বলতেন। এরূপে কায়স উভয় কানের দিকে ইঙ্গিত করলেন।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ১০৬১ নং হাদিসের (নামাজ আরম্ভ করা অধ্যায়) অনুবাদ-
১০৬১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সা.) ন্যায় নামাজ আদায় করব না? এরপর তিনি নামাজ আদায় করলেন, তখন তিনি একবারের অধিক হাত উঠাননি।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# তিরমিযী
* আজান ও ইকামতের বাক্য সংখ্যা
সহিহ তিরমিযী, ১৮৫ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৫। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলালকে (রা.) আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইকামতের শব্দগুলো এক একবার বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সহিহ তিরমিযী, ১৮৬ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো জোড়ায় জোড়ায় ছিল।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# হাদীসের কিতাব সমূহে এমন কোরআন পরিপন্থি বিভিন্ন পথ দেখানো হাদিস আছে হাজারে হাজারে। তাহলে এগুলো আর সহিহ হয় কেমন করে?
সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। হে মুমিনগণ! যদি কোন পাপাচারী তোমাদের নিকট কোন বার্তা নিয়ে আসে, তোমরা তা’ পরীক্ষা করে দেখবে, পাছে অজ্ঞতা বশত তোমরা কোন সম্প্রদায়েকে ক্ষতিগ্রস্থ্য করে বস এবং তোমাদের কৃতকর্মের জন্য তোমাদেরকে অনুতপ্ত হতে হয়।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* আল্লাহ বলেছেন বার্তা পরীক্ষা করে হাদিস সহিহ সাব্যস্ত করতে অথচ বিশ্বাস ঘাতকেরা বার্তা বাহককে পরীক্ষা করে হাদিস সহিহ সাব্যস্ত করতে। রাসূল (সা.) উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমল অনুযায়ী হাদিস সহিহ সাব্যস্ত করতে বললেন, অথচ বিশ্বাস ঘাতকেরা রাসূলের (সা.) কথাকে বিবেচনাই করেনি। কত্তবড় জঘণ্য লোক তারা।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
* বিশ্বাস ঘাতকেরা বলল, লোক সহিহ তো হাদিস সহিহ। লোক সহিহ তারা কেমন করে জানলো? আল্লাহ তো বললেন তিনি ছাড়া কেউ জানে না কে সহিহ আর কে মোনাফেক! তাহলে বিশ্বাস ঘাতকেরা সে কথা জানলো কেমন করে? আল্লাহ কি তাদের কানে কানে তেমন কোন কথা বলে দিয়েছেন?
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারোউপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করো না।হে আমাদের প্রতিপালক এভন ভার আমাদের উপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন কর, আমাদেরকে ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর, তুমিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত কর।
* মানুষমাত্রই ভুল আছে। সেজন্য আল্লাহ বললেন, সহিহ লোকেরও ভুল থাকতে পারে। তাহলে বিশ্বাস ঘাতকেরা লোককে সহিহ সাব্যস্ত করে হাদিস সহিহ সাব্যস্ত করে কোন হিসাবে? ব্যক্তির ভুল হয় বলেই ইমাম আবু হানিফা (র.) তাঁর ভুল সংশোধনের কথা বলেছেন। অতঃপর ইমাম আবু হানিফার (র.) ভুল সংশোধন করে হানাফী মাযহাব গঠন করা হলো। তো হানাফী মাযহাব না মেনে ডা: জাকির নায়েক যে সব কিতাবের অনুসারী হলেন, সেসব কিতাবের ভুল সংশোধন করা হয়েছে কি? সে সব কিতাব সংকলকগণ কি মানুষ নয়? তাদের কি ভুল হতে পারে না? তো সংশোধন করা ছাড়া সেসব কিতাবকে কিভাবে সহিহ মানা যায়?
ডা: জাকিন নায়েক লোকদেরকে দীনে ডেকে এনে তাদেরকে দীনের উল্টা রাস্তা দেখালে তাঁকে কিভাবে দীনের দায়ী মানা যায়? দীন কি এতই সস্তা যে কোন লোক যা বলবে সেটাকেই আমাদেরকে দীন হিসাবে মানতে হবে?
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
* উপরোক্ত আয়াত ও হাদিস সমূহ অনুযায়ী এখন মু’মিনদের পথ হানাফীদের পথ, ডা: জাকির নায়েক সে পথে নেই বিধায় তিনি মুসলিমদের অনুসরনযোগ্য নন।
সহিহ তিরমিযী, ২১১৩ নং হাদিসের (কলহ ও বিপর্যয় অধ্যায়) অনুবাদ-
২১১৩। হযরত ইবনে ওমর(রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ আমার উম্মতকে অথবা মোহাম্মাদের (সা.)উম্মতকে কখনো গোমরাহীর উপর একত্র করবেন না। আর জামায়াতের উপর আল্লাহর হাত বিস্তৃত। যে ব্যক্তি মুসলিম সমাজ থেকে পৃথক হয়ে গেছে সে পৃথকভাবেই জাহান্নামে যাবে।
* সারা বিশ্বে মুসলিম সমাজ হানাফী সমাজ। মুসলিমদের অন্য কোন দল সারা বিশ্বে নেই। তারা সারা বিশ্বে মুসলিম সমাজ হবে কেমন করে? সংগত কারণে যারা হানাফী মুসলিম সমাজ থেকে থেকে পৃথক হয়ে গেছে, তারা পৃথকভাবেই জাহান্নামে যাবে। ডা: জাকির নায়েক ও তাঁর ভক্তবৃন্দ হানাফী সমাজ থেকে আলাদা বিধায় তাদের গন্তব্য জাহান্নাম। এ বিষয় আমরা অন্তত এক হাজার আয়াত ও দুই হাজার হাদিস দিয়ে প্রমাণ করতে পারি –ইনশাআল্লাহ।
©somewhere in net ltd.