![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূরা: ৪ নিসা, ৭৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭৮। তোমরা যেখানেই থাক মৃত্যু তোমাদেরকে পাকড়াও করবে যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গেও অবস্থান কর। আর যদি তাদের উপর কোন মঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা আল্লাহর কাছ থেকে। আর যদি তাদের উপর কোন অমঙ্গল অবতীর্ণ হয় তবে বলে, এটা তোমার কাছ থেকে হয়েছে।তুমি বল সবই আল্লাহর কাছ থেকে হয়। অতএব ঐ সম্প্রদায়ের কি হয়েছে যে তারা ফিকাহের মাধ্যমে (গভীর জ্ঞান) কোন হাদিস বুঝে না?
* হাদিস বুঝতে ফিকাহ লাগবে।
সূরা: ৬ আনআম, ২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫। তাদের মধ্যে কতক তোমার দিকে কান পেতে রাখে, কিন্তু আমি তাদের অন্তরে আবরণ দিয়েছি যেন তারা এর ফিকাহ (গভীর জ্ঞান) না বুঝে এবং তাদের কানে বধিরতা দিয়েছি। আর তারা সকল নিদর্শন দেখলেও ঈমান আনবে না। এমনকি তারা যখন তোমার নিকট এসে বিতর্কে লিপ্ত হয় তখন কাফিরগণ বলে, এসব তো আগের লোকদের উপকথা ছাড়া কিছুই নয়।
* ফিকাহের অনুপস্থিতি জনিত কারণে কাফিরগণ কোরআন বুঝতে পরেনি। সেজন্য তারা কোরআনের কথাকে আগের লোকদের উপকথা বলেছে। সুতরাং কোরআন বুঝতে ফিকাহ লাগবে।
সূরা: ৬ আনআম, ৬৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। তুমি বলে দাও- আল্লাহ তোমাদের উর্ধলোক থেকে এবং তোমাদের পায়ের তলদেশ থেকে শাস্তি প্রেরণ করতে যথেষ্ট ক্ষমতাবান। অথবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করতে অথবা এক দলকে অপর দলের সংঘর্ষের আস্বাদ গ্রহণ করাতে তিনি সক্ষম। দেখ আমি কিরূপে বিভিন্ন প্রকারের আয়াত সমূহ বিবৃত করি যাতে তারা এর ফিকাহ (গভীর জ্ঞান) বুঝতে পারে।
* বিভিন্ন প্রকারের আয়াত বিবৃত করা হয়েছে কোরআনের ফিকাহ বুঝার জন্য। সুতরাং কোন আয়াত বুঝা না গেলে সেই আয়াত সংশ্লিষ্ট অন্য আয়াত সমূহ এর সাথে যুক্ত করে সেই আয়াতের ফিকাহ (মর্ম) বুঝতে হবে।
সূরা: ৬ আনআম, ৯৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯৮। তিনিই তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। তোমাদের জন্য বেশী সময় এবং অল্প সময়ের বাসস্থান রয়েছে। এসব আয়াত আমি এমন কওমের জন্য সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করলাম যারা এর ফিকাহ (গভির জ্ঞান) বুঝে।
* আল্লাহ যাদের প্রতি কোরআন নাযিল করেছেন তাদের কিছু লোক অবশ্যই এর ফিকাহ বুঝে।
সূরা: ৯ তাওবা, ৮১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮১। যারা পিছনে রয়ে গেল তারা আল্লাহর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে বসে থাকাতেই আনন্দ বোধ করল। আর তাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করা অপছন্দ করল। আর তারা বলল, গরমের মধ্যে অভিযানে বের হবে না। বল উত্তাপে জাহান্নামের আগুন প্রচন্ডতম গরম। যদি তারা ফিকাহ (গভীর জ্ঞান) বুঝতো।
* ফিকাহের জ্ঞান না থাকাতেই কিছু লোক মোনাফেক হয়ে রাসূলের (সা.) বিরুদ্ধাচরণ করেছে।
সূরা: ৯ তাওবা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। তারা অন্তঃপুরবাসিনীদের (মহিলা) সাথে থাকতে পছন্দ করলো। আর তাদের অন্তরে মোহর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তারা ফিকাহ (গভীর জ্ঞান) বুঝে না।
* অন্তরে মোহর লাগানোর কারণে অনেকে ফিকাহ বুঝে না।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
* ফিকাহের জ্ঞান ছাড়া কওমকে সাবধান করার অধিকার কারো নেই।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৭। যখনই কোন সূরা নাযিল হয় তখন তারা একে অপরের দিকে তাকায় এবং ইশারায় জিজ্ঞাস করে, তোমাদেরকে কেউ দেখেছে কি? অতঃপর তারা সরে পড়ে। আল্লাহ তাদের অন্তরকে সত্য বিমুখ করেছেন। কারণ তারা ফিকাহ বিহীন (গভীর জ্ঞান) কওম।
* ফিকাহের জ্ঞানের অভাব জনিত কারণে লোকেরা সত্য বিমুখ হয়।
সূরা: ১১ হুদ, ৯১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯১। তারা বলল, হে শুআয়ব! তুমি যা বল তার অনেক কথার ফিকাহ (গভীর জ্ঞান/মর্ম) আমরা বুঝি না। আর আমরা তো আমাদের মধ্যে তোমাকে দূর্বল দেখছি। তোমার স্বজন বর্গ না থাকলে আমরা তোমাকে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলতাম। আর আমাদের উপর তুমি পরাক্রমশালী নও।
* ফিকাহ না বুঝায় লোকেরা একজন নবিকে হত্যা করার হুমকী দিয়েছে।
সূরা: ১৭ বনি ইসরাঈণ, ৪৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৪। সপ্ত আকাশ, পৃথিবী এবং এগুলোর ভিতরের সব কিছু তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। আর এমন কিছু নাই যা তাঁর সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু ওগুলোর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার ফিকাহ (গভীর জ্ঞান/মর্ম) তোমরা বুঝ না। নিশ্চয়ই তিনি সহনশীল, ক্ষমাপরায়ন।
* ফিকাহ অধিক বুঝলে সপ্ত আকাশ, পৃথিবী এবং এগুলোর ভিতরের সব কিছুর আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার বিষয়ও বুঝা যেত। সুতরাং ফিকাহ যত বেশী হয় সঠিক জ্ঞানের পরিধি তত বাড়ে।
সূরা: ১৭ বনি ইসরাঈণ, ৪৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৬। আমি তাদের অন্তরে আবরণ দিয়েছি যেন তারা এর ফিকাহ (গভির জ্ঞান) না বুঝে এবং তাদেরকে বধির করেছি। তোমার প্রতিপালক এক, এটা যখন তুমি কোরআন থেকে আবৃত্তি কর তখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে সরে পড়ে।
* আল্লাহ যে এক এটা লোকেরা বুঝে না ফিকাহ সংক্রান্ত ঘাটতির কারণে।
সূরা: ১৮ কাহফ, ৫৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৭। কোন ব্যক্তিকে তার প্রতিপালকের আয়াত মনে করিয়ে দেওয়ার পর সে যদি তা’ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তার কৃতকর্ম সমূহ ভুলে যায় তবে তার চেয়ে অধিক জালেম আর কে? আমি তাদের অন্তরে আবরণ দিয়েছি যেন তারা এর (কোরআনের) ফিকাহ (গভীর জ্ঞান) বুঝতে না পারে। আর আমি তাদের কানে বধিরতা এঁটে দিয়েছি। তুমি তাদেরকে সৎপথে আহবান করলেও তারা কখনও সৎপথে আসবে না।
* ফিকায় ঘাটতি থাকলে লোকেরা বড় রকমের জালিম হয়ে যায়।
সূরা: ২০ তাহা, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। যাতে তারা আমার (মুছা) কথার ফিকাহ (গভীর জ্ঞান/মর্ম) বুঝতে পারে।
* কথার ফিকাহ বুঝতে কথা সুস্পষ্ট হতে হবে।
সূরা: ৪৮ ফাতহ, ১৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫। তোমরা যখন যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য যাবে তখন যারা পিছনে থেকে গিয়েছিল তারা বলবে, আমাদেরকে তোমাদের সাথে যেতে দাও। তারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন করতে চায়। বল তোমরা কিছুতেই আমাদের সঙ্গী হতে পারবে না। আল্লাহ পূর্বেই এমন ঘোষণা করেছেন। তারা অবশ্যই বলবে, তোমরা তো আমাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতেছ। বস্তুত তাদের ফিকাহ (গভীর জ্ঞান/বোধশক্তি) সামান্য।
* ফিকাহ কম থাকায় মোনাফেক মুমিনের সঙ্গী হতে পারে না।
সূরা: ৫৯ হাসর, ১৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩। প্রকৃতপক্ষে এদের অন্তরে আল্লাহ অপেক্ষা তোমাদের ভয় বেশী। এটা এ জন্য যে এরা ফিকাহ (গভীর জ্ঞান) বিহীন কওম।
* ফিকাহ না থাকায় লোকেরা আল্লাহর চেয়ে তাঁর বান্দাদেরকে বেশী ভয় করে। অথচ আল্লাহ চাইলে মানুষ কারো কোন ক্ষতি করতে পারে না। আল্লাহ কোন লোককে শাস্তি দিলে কোন মানুষ তাকে আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারে না।
সূরা: ৬৩ মুনাফিকুন, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। এটা এজন্য যে এরা ঈমান আনার পর কুফুরী করেছে। ফলে এদের অন্তর মোহর করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এরা ফিকাহ (গভীর জ্ঞান/মর্ম) বুঝে না।
* ফিকাহ না থাকলে লোকেরা ঈমান গ্রহণের পর কুফুরী করতে পারে। সেজন্য ঈমান সুরক্ষায় ফিকাহ জরুরী।
সূরা: ৬৩ মুনাফিকুন, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তারা বলে তোমরা আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য ব্যয় করবে না। যাতে তারা সরে পড়বে। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর ধনভান্ডার তো আল্লাহরই। কিন্তু মোনাফিকরা এর ফিকাহ (গভীর জ্ঞান/মর্ম) বুঝে না।
* ফিকাহের অভাবে লোকেরা মোনাফেক হয়ে যায়।
সহিহ আল বোখারী, ২৮৮৯ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৮৮৯। হযরত মুয়াবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ যাকে কল্যাণ দানের ইচ্ছা করেন, তাঁকে তিনি দীন সম্পর্কে ফিকাহ (গভির জ্ঞান) দান করেন। আল্লাহ প্রদানকারী আর আমি বন্টনকারী। আমার এ উম্মত তাদের বিরোধীদের উপর চিরদিন বিজয়ী হবে। এ অবস্থায় আল্লাহর চূড়ান্ত সমাধান এসে যাবে।
* আল্লাহর কল্যাণ যারা পায় তারা ফিকাহ পায়। তারা চির বিজয়ী হয়। হানাফী ফিকাহ প্রাপ্ত হয়েছে সেজন্য বিজয়ী অবস্থায় গঠিত হয়ে অদ্যাবদি তেরশ বছরের বেশী সময় হানাফী বিজয়ী অবস্থায় বিদ্যমান। বিজয়ী অবস্থায় গঠিত হয়ে অদ্যাবদি বিজয়ী মুসলিমদের এমন আর কোন দল নেই। সুতরাং হানাফী ফিকাহ প্রাপ্ত হয়ে আল্লাহর কল্যাণ প্রাপ্ত হয়েছে। আল্লাহর সবচেয়ে বড় কল্যাণ হেদায়াত। কারণ এর বিনিময় জান্নাত। সুতরাং হানাফী হেদায়াত প্রাপ্ত।
সহিহ তিরমিযী, ২৬১৮ নং হাদিসের (ইলম সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
২৬১৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, একজন ফকীহ শয়তানের মোকাবেলায় হাজার আবেদ অপেক্ষা বিপজ্জনক।
* ফকিহ সবচেয়ে দরকারী আলেম।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৩০ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
২৩০। হযরত যায়েদ ইবনে সাবিত (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার থেকে একটি হাদিস শুনে অতঃপর তা’ অন্যদের কাছে পৌঁছে দেয় আল্লাহ তাকে হাস্যোজ্জল ও আনন্দময় করে দেবেন। কেননা এমন কতক ফিকাহ বাহক রয়েছে, যারা প্রকৃতপক্ষে ফকীহ নয়। কোন কোন ক্ষেত্রে এমনও হয় যে, ফিকাহ শিক্ষাদানকারীর চেয়ে উক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থী অধিকতর জ্ঞানী হয়ে থাকে।
* ফিকাহ শিক্ষাদানকারীর চেয়ে উক্ত বিষয়ের শিক্ষার্থী অধিকতর জ্ঞানী হয়ে থাকে, এ সূত্রে ইমাম আবু হানিফা (র.) প্রকৃত ফিকাহ শিক্ষাদানকারী। কারণ বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশের বেশী আলেম তাঁকে শিক্ষক মানে। সুতরাং তাঁর শিক্ষার্থীর জ্ঞানের চেয়ে অন্য কারো শিক্ষার্থীর জ্ঞান বেশী হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং তিনি ছাড়া অন্য কেউ প্রকৃত ফিকাহের শিক্ষাদানকারী নয়। সুতরাং তাঁর ছাত্রগণ ফিকাহের প্রকৃত জ্ঞান প্রাপ্ত। কোরআন ও হাদিসে তাঁর সহিহ হওয়ার প্রমাণ আছে।
# ইমাম আবু হানিফা (র.)
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
# সহিহ আল-বোখারী
সহিহ আল বোখারী, ৪৫৩২ নং ৪৫৩৩ নং হাদিসের (তাফসীর অধ্যায় – ৬২. সূরা আল জুমুআ) অনুবাদ
৪৫৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুআ অবতীর্ণ হল – যাতে এও আছে ‘আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’। তিনি বলেন, তারা কারা হে আল্লাহর রাসূল! তিনবার একথা জিজ্ঞেস করার পরও তিনি এ কথার কোন জবাবই দিলেন না। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) হাজির ছিলেন। নবি করিম (সা.) তার উপর হাত রেখে বললেন, ঈমান ছূরাইয়া নক্ষত্রের নিকট থাকলেও অনেক ব্যক্তিই কিংবা যে কোন একজন তা’ পেয়ে যাবে।
৪৫৩৩। আবু হুরায়রা (রা.) নবি (সা.) হতে বর্ণনা করে বলেন, এদের কিছু লোক তা’অবশ্যই পেয়ে যাবে।
# সহিহ মুসলিম
সহিহ মুসলিম, ৬৩৩৯ নং ও ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৩৯।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। যদি দীন আসমানের দূরবর্তী সুরাইয়া নক্ষত্ররাজির কাছে থাকত, তবে পারস্যের যে কোন ব্যক্তি তা’ নিয়ে আসত; অথবা তিনি বলেছেন, কোন পারসিক সন্তান তা’ অর্জন করত।
সহিহ মুসলিম, ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৪০। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট বসা ছিলাম। তখন তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হল। যখন তিনি এ আয়াত পড়লেন, ‘ওয়া আখারিনা মিনহু লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম - আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’ তখন জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এরা কারা? নবি করিম (সা.) তার কোন জবাব দিলেন না। এমন কি সে একবার অথবা দু’ বার কিংবা তিনবার তাঁকে জিজ্ঞাস করল। রাবী বলেন, তখন আমাদের মাঝে সালমান ফারসী (রা.) ছিলেন। রাবী বলেন, নবি করিম (সা.) তাঁর হাত সালমানের (রা.) উপর রাখলেন, এরপর বললেন, যদি ঈমান সূরাইয়া তারকার কাছে থাকত তাহলে অবশ্যই তার গোত্রের লোকেরা সেখান পর্যন্ত পৌঁছত।
# হযরত সালমান আল ফারসী (র.)
সহিহ তিরমিযী, ৩৭৪৯ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৪৯। হযরত কাঈসামা ইবনে সাবরা (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় এসে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলাম, তিনি যেন আমাকে একজন সৎ সাথী মিলিয়ে দেন। অতএব তিনি আবু হোরায়রাকে (রা.) আমার ভাগ্যে ঝুটিয়ে দিলেন। তাঁর পাশে বসে আমি তাঁকে বললাম, আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে ছিলাম, তিনি যেন আমাকে একজন সৎ সাথী মিলিয়ে দেন।অতএব আপনি আমার জন্য সহজলভ্য হয়েছেন।তিনি (আমাকে) জিজ্ঞাস করেন তুমি কোথা হতে এসেছ? আমি বললাম, আমি কুফার অধিবাসী। আমি ভালোর খোঁজে এসেছি এবং তাই খুঁজছি। তিনি বলেন, তোমাদের মাঝে কি সাদ ইবনে মালেক (রা.) যার দোয়া কবুল হয়, রাসূলুল্লাহর (সা.) অযুর পানি ও জুতা বহনকারী ইবনে মাসউদ (রা.), রাসূলুল্লাহর (সা.) গোপন তথ্যের খাজাঞ্চী হোযায়ফা (রা.), আমারা যাকে আল্লাহর নবির (সা.) ভাষায় আল্লাহ শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং দুই কিতাবধারী সালমান (রা.) প্রমুখ সাহাবীগণ বিদ্যমাণ নেই? কাতাদা বলেন দুই কিতাব হলো, ইঞ্জিল ও কোরআন।
সহিহ তিরমিযী, ৩৭৩৪ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৩৪। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাত তিনজন লোকের জন্য আগ্রাহান্বিত, আলী, আম্মার ও সালমান (রা.)।
সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।
* সাহাবা যুগেই ইসলাম বিনষ্ট হয়ে সুরাইয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। সেখান থেকে হারানো ইসলাম ফিরিয়ে আনেন হযরত সালমান আল ফারসীর (রা.) কুফা এলাকার তাঁর মত অনারব ও পারসিক সন্তান ইমাম আবু হানিফা (র.)। এ তালিকায় তিনি ছাড়া আর কারো নাম উস্থাপিত হয়নি। সুতরাং ইমাম আবু হানিফা (র.) যে ইসলামের প্রকৃত ফকিহ তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাঁর থেকে ফিকাহ গ্রহণ না করায় ইমাম মালেক (র.), ইমাম শাফেঈ (র.) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (র.) ফকিহ নন। সুতরাং তাঁদের ফিকাহের অভাব জনিত কারণে এটা সাব্যস্ত হবে যে তাঁরা আসলে ইসলাম বুঝেননি। সুতরাং তাঁরা যা প্রচার করেছেন তা’ ইসলাম নয় বরং অন্য কিছু।
ইমাম আবু হানিফা (র.) তাঁর ফিকাহ আমলযোগ্য করে উপস্থাপনের আয়ু পাননি। সেকাজ করেছে তাঁর ছাত্রগণ। সুতরাং তাঁর ছাত্রদের থেকে যারা ফিকাহ গ্রহণ করেনি তাদের মধ্যে ফিকাহ নেই। আহলে হাদিস ইমাম আবু হানিফার ছাত্রদের নিকট থেকে ফিকাহ গ্রহণ না করায় তাদের নিকট ফিকাহ নেই। আর তা’ছাড়া তারা তাদের নিকট ফিকাহ থাকার কথা বলেও না। সুতরাং ফিকাহের অভাব জনিত কারণে আহলে হাদিস কোরআন হাদিস বুঝে না। তারা সহিহ আখ্যা দিয়ে মানুষকে এমন কতগুলো হাদিসের কিতাব মানতে বলে সেগুলো আসলে সহিহ নয়।
সূরাঃ ৬ আনআম, আয়াত নং ১৫৩ এর অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
* আল্লাহ বিভিন্ন পথের অনুসারী হতে নিষেধ করেছেন। অথচ হাদিসের কিতাব সমূহ বিভিন্ন পথ দেখায় তাহলে আর সেগুলো সহিহ হয় কেমন করে?
# বোখারী
* আছরের নামাজের পর নামাজ পড়া
সহিহ বোখারী ৫৫৩ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৩। হযরত আবু হুরাইরা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’টি নামাজ থেকে নিষেধ করেছেন, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার পূর্বে এবং আছরের নামাজের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে।
সহিহ বোখারী ৫৫৭ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৭।হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন রূপেই রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’ রাকা’আত নামাজ পড়া ছাড়তেন না। আর তা’ হল, ফজরের নামাজের পূর্বে দু’ রাক’আত এবং আছরের পরে দু’ রাক’আত।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# মুসলিম
* জুমুয়ার নামাজের পরের নামাজ
সহিহ মুসলিম, ১৯০৮ নং হাদিসের (জুম’আর নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯০৮। হযরত আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুম’আর নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন তার পরে চার রাক’আত নামাজ আদায় করে।
সহিহ মুসলিম, ১৯১৭ নং হাদিসের (জুম’আর নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৯১৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত।নবি করিম (সা.) জুম’আর পর দু’ রাক’আত সালাত আদায় করতেন।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# আবুদাউদ
* নামাজির সামনে দিয়ে কোন কিছু অতিক্রম করা
সহিহ আবুদাউদ, ৭০৪ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৭০৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ সুতরা ছাড়া নামাজ পড়ে এবং তখন তার সামনে দিয়ে কুকুর, গাধা, শূকর, ইহুদী, অগ্নি উপাসক, এবং মহিলা যাতায়াত করলে তার নামাজ ভঙ্গ হয়ে যায়। অপর দিকে পাথর নিক্ষেপের সীমার বাইরে দিয়ে গমন করলে তাতে মুসল্লীর নামাজের কোন ক্ষতি হবে না।
সহিহ আবুদাউদ, ৭১৯ নং হাদিসের (নামায অধ্যায়) অনুবাদ-
৭১৯। হযরত আবু সাঈদ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোন কিছু নামাজের সামনে দিয়ে গমনের কারণে নামাজের কোন ক্ষতি হয় না, তবে তোমরা যথাসম্ভব এরূপ করতে বাধা দিবে। কেননা অতিক্রমকারী একটা শয়তান।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# ইবনে মাজাহ
* যোহরের নামাজ বিলম্বে পড়া
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৬৭৬ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৭৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট প্রচন্ড গরমের অভিযোগ পেশ করলাম। অথচ তিনি আমাদের আবেদন গ্রহণ করেননি।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৬৮১ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
৬৮১। হযরত ইবনে ওমর (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন তোমরা যোহরের নামাজ বিলম্বে আদায় করবে।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# নাসাঈ
* রফেউল ইয়াদাইন
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ১০৫৮ নং হাদিসের (নামাজ আরম্ভ করা অধ্যায়) অনুবাদ-
১০৫৮। হযরত ওয়ায়িল ইবনে হুজর (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি রাছুলুল্লাহর (সা.) পিছনে নামাজ আদায় করেছি। আমি তাঁকে দেখেছি তিনি হাত উঠাতেন যখন নামাজ আরম্ভ করতেন, আর যখন রুকু করতেন, এবং যখন ‘সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদাহ’ বলতেন। এরূপে কায়স উভয় কানের দিকে ইঙ্গিত করলেন।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ১০৬১ নং হাদিসের (নামাজ আরম্ভ করা অধ্যায়) অনুবাদ-
১০৬১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহর (সা.) ন্যায় নামাজ আদায় করব না? এরপর তিনি নামাজ আদায় করলেন, তখন তিনি একবারের অধিক হাত উঠাননি।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# তিরমিযী
* আজান ও ইকামতের বাক্য সংখ্যা
সহিহ তিরমিযী, ১৮৫ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৫। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলালকে (রা.) আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইকামতের শব্দগুলো এক একবার বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সহিহ তিরমিযী, ১৮৬ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো জোড়ায় জোড়ায় ছিল।
* এখানে বিভিন্ন পথ দেখানো হয়েছে। এটা কোরআনের পরিপন্থি। আর কোরআনের পরিপন্থি কোন কিতাব সহিহ হতে পারে না।
# হাদীসের কিতাব সমূহে এমন কোরআন পরিপন্থি বিভিন্ন পথ দেখানো হাদিস আছে হাজারে হাজারে। তাহলে এগুলো আর সহিহ হয় কেমন করে?
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* হাদিস অনুযায়ী হাদিস সহিহ সাব্যস্ত হয় যদি তা’ উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমলের সাথে গরমিল না থাকে। শুধুমাত্র এমন হাদিস কোন কিতাবে থাকলে সে কিতাব সহিহ সাব্যস্ত হবে। কারণ তাহলে আর সে কিতাবে পরস্পর উল্টা হাদিস থাকবে না। কারণ উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমল বিভিন্ন রকম হয় না। সুতরাং এ প্রক্রিয়ায় হাদিসের কিতাব সংকলিত হলে তাতে বিভিন্ন রকম হাদিস থাকা সম্ভব নয়। আহলুল হাদিসদের মধ্যে ফিকাহ না থাকায় তাঁরা এ সহজ সত্য বুঝতে পারেননি। আল্লাহ আহলে হাদিসদের ফিতনাবাজী রোগ নিরাময় করে তাদেরকে ফিকাহ সমৃদ্ধ হানাফীদের সাথে একত্রিত হওয়ার তাওফিক দান করুন –আমিন।
©somewhere in net ltd.