নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রক্ত দান করুন জীবন বাাঁচান

রক্ত দান

অতি সাধারণ

রক্ত দান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলে হাদিস ও সালাফীদেরকে মানুষ ইহুদী-খ্রিস্টানের দালাল কেন বলে?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৫




সূরাঃ ৫৮ মুজাদালা, ১৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা হবে চরম লাঞ্চিতদের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ সিদ্ধান্ত করেছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হব এবং আমার রাসূলগণও। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

* আল্লাহ বিজয়ী হতে চান। সেজন্য তাঁর শত্রুর মোকাবেলায় তিনি তাঁর বান্দাদের প্রস্তুতি চান। তার জন্য মোট মানুষের ১০% জনবল লাগবেই। মানে কমপক্ষে ৮০ কোটি জনবল। সেটা হানাফী ছাড়া অন্য কোন মুসলিম দলের নেই। সেজন্য হানাফীদের মাধ্যমেই মুসলিম আল্লাহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে বিজয়ের স্বপ্ন দেখে। এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব গোষ্ঠি খ্রিস্টানদের কাম্য হতে পারে না। আর ইহুদীরা বনু কোরায়জার ঘটনা ভুলে যায়নি। তারা জানে মুসলিম বিশ্ব বিজয়ী হলে পৃথিবীর কোথাও তারা বসবাসের জায়গা পাবে না। এজন্য ইহুদী-খ্রিস্টানের প্রধান এজেন্ডা হানাফী ঠেঁকাও। হানাফী ঠেঁকাতে তারা সালাফী মতবাদ সৃষ্টি করেছে। আর সালাফী মতবাদেরই ভিন্ন নাম আহলে হাদিস। ১৯২৪ সালে হানাফী ওসমানিয়া খেলাফতের বিলুপ্তির ৮ বছর পর সালাফীদের মাধ্যমে ইহুদী-খ্রিস্টান ১৯৩২ সালে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠিত করে। যার বয়স এখন ৯০ বছর।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

* ফিকাহ শিক্ষায় শিক্ষিতদেরকে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সাবধান করার দায়িত্ব দিয়েছেন। সালাফীরা ফিকাহের বিরোধীতায় মহাতৎপর। তারা বলে মানতে হবে কোরআন ও হাদিস। অথচ কোরআন যে ফিকাহের কথা বলেছে সেটা তারা মোটেও বলে না।

সূরাঃ ১৮ কাহফ, ৯ নং থেকে ১১ নং এবং ২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯। তুমি কি মনে কর যে গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা আমার নিদের্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর।
১০। যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলেছিল, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিজ হতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।
১১।অতঃপর আমি উহাদিগকে গুহায় কয়েক বৎসর ঘুমন্ত অবস্থায় রাখলাম।
১৭। তুমি দেখতে পেতে তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত, সূর্য উদয়কালে তাদের গুহার দক্ষিণ পার্শ্বে হেলে যায় এবং অস্তকালে তাদেরকে অতিক্রম করে বাম পার্শ্ব দিয়ে, এ সমস্ত আল্লাহর নিদর্শন। আল্লাহ যাকে সৎপথে পরিচালিত করেন সে সৎপৎ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার কোন মুরশিদ ওলী (সৎপথ প্রদর্শক অভিভাবক) পাবে না।

* আরবী মুরশিদকে ফারসিতে পীর বলে। হানাফিয়াতের মেরুদন্ড হলো হক্কানী পীর। হানাফীদের মেরুদন্ড ভাংতে এ পীর বিরোধীতায় সালাফীরা প্রচন্ড রকমে উৎসাহী।

সূরাঃ ৪১ হা-মীম আস-সাজদা, ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৩। কথায় কে উত্তম ঐ ব্যক্তি থেকে যে আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকে, আমলে সালেহ করে এবং বলে, আমিতো মুসলিমদের মধ্যে গণ্য।

* আল্লাহর নিকট উত্তম হিসাবে গণ্য হতে আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকতে হানাফীরা তাবলীগ জামায়াত গঠন করেছে। যা এখন বিশ্ববিস্তৃত। এটাকে হানাফীদের বিশ্ববিস্তারের পা বলা যায়। সালাফীরা এ পা কেটে হানাফী বিস্তার বন্ধ করতে চায়। হানাফী মেরুদন্ডহীন হলে, তাদের বিস্তার রোধ হলে স্বস্তি আসবে ইহুদী-খ্রিস্টান শিবিরে। আর ইহুদী-খ্রিস্টানদের স্বস্তির জন্য কাজ করে বিধায় হানাফীরা সালাফী ও আহলে হাদিসদেরকে ইহুদী-খ্রিস্টানদের দালাল বলে। তাহলে তারা ভুল বলে কি?

ইহুদী-খ্রিস্টানদের ছত্র ছায়ায় সালাফীরা একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। ৯০ বছর তারা ঐ একটি রাষ্ট্র নিয়েই বসে আছে। এখন তারা পাশের দেশ ইয়েমেন নিতে চেষ্টায় আছে। দেখা যাক কদ্দুর কি হয়? এযাবৎ তারা যা যুদ্ধ করেছে তা’ তারা করেছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে ইহুদী-খ্রিস্টান ইসরায়েল ও আমেরিকার সাথে তাদের গলায় গলায় খাতির। মুসলিম জাতির উন্নতিতে সৌদি আরবের বিশেষ কোন অবদান মুসলিম জাতির নজরে আসে না। তাহলে তাদেরকে তারা তাদের বান্ধব ভাববে কেমন করে? অথচ হানাফী আফগানরা রাশিয়া, আমেরিকা, বৃটিশ ও নেটোকে পরাজিত করে দেখিয়েছে তারা মুসলিমদের কতটা গৌরব বৃদ্ধি করতে পারে। সৌদি বীরদের মুসলিম ছাড়া অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করতে গেলে সাহসে হাঁটু কাঁপে। অমুসলিমদের পরোয়া করেনি হানাফী আব্বাসীয়, হানাফী অটমান ও হানাফী আফগান। সেজন্য তারা মুসলিম বান্ধব। সালাফীরা মুসলিম বান্ধব হওয়ার কি প্রমাণ রেখেছে? তাদের হানাফী বিরোধীতায় তো ইহুদী-খ্রিস্টান শান্তি পায়, স্বস্তিপায়। তাদের কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কাঁটা হলো সালাফী মতবাদ। তো ইহুদী-খ্রিস্টানের কাঁটা তোলার অস্ত্রকে তাদের দালাল বলা হবে না তো কি বলা হবে? সুতরাং তাদের ইহুদী-খ্রিস্টানের দালল খেতাব শতভাগ সঠিক।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.