![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১। বল, তিনি আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
সহিহ মুসলিম, ২৪৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৪৯।হযরত আবু হুরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কাছে লোকেরা প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে থাকবে। শেষ পর্যন্ত এও বলবে যে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে সৃষ্টি করেছে কে?
সহিহ মুসলিম, ২৫০ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৫০। হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলেন, তোমার উম্মত হঠাৎ এ ধরনের কথা বলবে। যেমন তারা বলবে, আল্লাহ প্রত্যেকটি বস্তুকে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে?
* আল্লাহ বিশ্বাসের কথা বললেই কতিপয় লোক বলে, তাঁকে কে সৃষ্টি করেছে? তাদের কথা হলো, আল্লাহ এমনি এমনি হতে পারলে সবকিছু এমনি এমনি হতে পারে।সুতরাং সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই। তাদের কথা যদি আমরা ঘুরিয়ে দেই তাহলে বলা যায়, সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহও এমনি এমনি হতে পারেন। সুতরাং সৃষ্টিকর্তা বলতে কিছুই নেই কথাটা সঠিক নয়। আর অনেক কিছুই আমরা কেউ না কেউ বানাতে দেখি। সুতরাং বাস্তবতা হলো সব কিছু এমনি এমনি হয় না। আর হওয়ার মধ্যে আগ-পর আছে। অনেক কিছুই এখনো হয়নি ভবিষ্যতে হবে বলে আমরা জানি।সুতরাং আমাদেরকে এটা পরখ করে দেখতে হবে কি এমনি এমনি হয়েছে এবং কি এমনি এমনি হয়নি। আর কোনটা আগে হয়েছে এবং কোনটা পরে হয়েছে।
বস্তু এবং শক্তিতে গতির দিক থেকে পার্থক্য অনেক। সুতরাং শক্তি আগে হবে বস্তু পরে হবে। আর শক্তি ক্ষুদ্র শক্তি থেকে বিবর্তিত হয়ে বৃহৎ শক্তি হয়ে সর্বশক্তিমান হবে বস্তু হওয়ার আগেই। এরপর সর্বশক্তিমানের ইচ্ছার বাইরে আর কিছুই হতে পারবে না। বাস্তবতা এটাই যে, সর্বশক্তিমান হয়ে গেছেন কোন কিছু হওয়ার আগেই তারপর আর কোন কিছু হতে পারেনি।
সূরাঃ ২ বাকারা ১১৭ নং আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ-
১১৭। আকাশ মন্ডলী ও পৃথিবীর দৃষ্টান্ত বিহীন নতুন স্রষ্টা এবং যখন তিনি কোন কিছু করতে সিদ্ধান্ত করেন তখন উহার জন্য শুধু বলেন ‘হও’ আর উহা হয়ে যায়।
* সর্বশক্তিমান আল্লাহ হওয়ার পর আর কোন কিছুই তাঁর ইচ্ছার বাইরে হতে পারেনি। তিনি যা সৃষ্টির ইচ্ছা করেছেন, তিনি সেটাকে হও বলার পর সেটা হয়েছে। এটাই হলো বাস্তবতা।
আল্লাহ এক হওয়ায় এবং তাঁর পূর্বে কোন কিছু না থাকায় তাঁর সীমা দাতা ছিল না বিধায় তিনি অসীম হয়েছেন। অসীম একাধিক হয় না, কারণ অসীমকে সীমা দেওয়া যায় না, কারণ অসীমকে সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সুতরাং অসীম এক বিধায় সর্বশক্তিমান আল্লাহ এক। সুতরাং আল্লাহ এক হওয়া সংক্রান্ত বিশ্বাস সঠিক। ঈশ্বর একাধীক হওয়া সংক্রান্ত বিশ্বাস সঠিক নয়। কারণ ঈশ্বর মানে বড়। অসীম > সসীম, বিধায় ঈশ্বর অসীম। আর অসীমের একাধিক হওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং যীশু যদি ঈশ্বর হয় তবে অন্য কেউ ঈশ্বর নয়। আর অন্য কেউ ঈশ্বর হলে যীশু অবশ্যই ঈশ্বর নয়। সুতরাং খ্রিস্টানদের ঈশ্বর বিশ্বাসে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে। অনুরূপ ভগবান যদি বড় হয় তবে ভগবান অসীম। আর ভগবান অসীম বিধায় ভগবান একধিক নয়। সুতরাং শিব যদি ভগবান হয় দূর্গা তবে ভগবান নয়। দূর্গা যদি ভগবান হয় শিব তবে ভগবান নয়।সুতরাং হিন্দুদের ভগবান বিশ্বাসে মৌলিক ত্রুটি রয়েছে। আর নাস্তিকদের আল্লাহ অবিশ্বাস তো পূরোটাই ভূয়া। সুতরাং শুধুমাত্র আল্লাহ বিশ্বাস একমাত্র সঠিক বিশ্বাস।
©somewhere in net ltd.