নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রক্ত দান করুন জীবন বাাঁচান

রক্ত দান

অতি সাধারণ

রক্ত দান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহর সন্তান থাকা অসম্ভব

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৭:২১



সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারো সন্তান নন।

সূরাঃ ১১২ ইখলাস, ৩ নং আয়াতের তাফসির – তাফসিরে ইবনে কাছির
৩।সহিহ বোখারীতে রয়েছে, রাসূল (সা.) বলেছেন, কষ্টদায়ক কথা শুনে এক বেশী ধৈর্য ধারণকারী আল্লাহ ছাড়া আর কেহ নেই।মানুষ বলে যে আল্লাহর সন্তান রয়েছে, তবু তিনি তাকে অন্ন দান করছেন, স্বাস্থ্য ও সুস্থ্যতা দান করছেন- (ফাতহুল বারী ১৩/৩৭২)।

সহিহ বুখারীতে আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, আদম সন্তান আমাকে অবিশ্বাস করে, অথচ এটা তার জন্য সমীচীন নয়। সে আমাকে গালি দেয় অথচ এটাও তার জন্য সমীচীন ও সঙ্গত নয়।সে আমাকে অবিশ্বাস করে বলে যে, আমি নাকি তাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছি পরে আবার নেভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে পারব না। অথচ দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করাতো প্রথমবার সৃষ্টি করা থেকে সহজ। আর সে আমাকে গালি দেয়, এর অর্থ হচ্ছে এই যে, সে বলে আমার নাকি সন্তান রয়েছে। অথচ আমি একক, আমি অভাব মুক্ত ও অমুখাপেক্ষী। আমার কোন সন্তান নেই, আমার পিতা-মাতা নেই। আর আমার সমতুল্যও কেউ নেই –(ফাতহুল বারী ৮/৬১১,৬১২)।

* জীবের কল্যাণে আল্লাহ তাদের স্ত্রী-সন্তানের ব্যবস্থা করেছেন। আর কারো প্রতি ক্ষোভ প্রকাশের জন্য রয়েছে গালির ব্যবস্থা। যে যা নয় তাকে সেই কথা বলা হলো গালি। যেমন, কেউ কুত্তার বাচ্চা নয়। তাকে কুত্তার বাচ্চা বলা হলে এটা তার প্রতি গালি হয়। আল্লাহর স্ত্রী-সন্তান নেই, তাঁর স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা বলা হলে সেটাও আল্লাহর প্রতি গালি হয়।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। তিনি আসমান ও যমিনের স্রষ্টা, তাঁর সন্তান হবে কিরূপে? তাঁর তো কোন স্ত্রী নেই। তিনিতো সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।আর সব কিছু সম্পর্কে তিনি জানেন।

* সন্তান হতে স্ত্রী প্রয়োজন। কেউ যেন পরস্পর স্বামী-স্ত্রী হয় সেজন্য আল্লাহ তাদের একজনের প্রতি অন্যজনের আকৃষ্ট হওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। আল্লাহ যেন কারো প্রতি আকৃষ্ট হন তাঁর মধ্যে সে ব্যবস্থা কে করেছে? আল্লাহ নিজেই করেছেন? কেন তিনি সেটা করবেন? তাঁর তো সন্তানের প্রয়োজন নেই। তাহলে তাঁর স্ত্রী থাকার প্রয়োজন কেন হবে? আল্লাহর সন্তানের প্রয়োজন কেন হবে? তিনি তো সব কিছু সৃষ্টি করতে পারেন। আর তাঁর সৃষ্টি তাঁর ইবাদত করলেই তাঁর কল্যাণ হয়। কারণ এতে তিনি শান্তি পান। জীবের কল্যাণ তার স্ত্রী-সন্তানের সেবা। আল্লাহর কল্যাণ তাঁর সৃষ্টির ইবাদত। তাহলে আল্লাহর স্ত্রী-সন্তানের প্রয়োজন কোথায় থাকলো? আল্লাহ তো কোন বেদরকারী কাজ করেন না। তাহলে কেউ কেন তাঁকে কোন বেদরকারী সম্পর্কে জড়ায়?

সূরাঃ ১৯ মারিয়াম, ৮৮ নং আয়াত হতে ৯৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৮। তারা বলে দয়াময় সন্তান গ্রহণ করেছেন
৮৯। তোমরাতো এক বীভৎস কথার অবতারণা করেছ।
৯০। এতে যেন আকাশ সমূহ বিদীর্ণ হয়ে যাবে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বত সমূহ চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে আপতিত হবে।
৯১। যেহেতু তারা দয়াময়ের উপর সন্তান আরোপ করে।
৯৩। অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভন নয়।
৯৪। আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে দয়াময়ের নিকট উপস্থিত হবে না বান্দা রূপে।
৯৫। আর কিয়ামত দিনে তাদের সকলেই তাঁর নিকট আসবে একাকী অবস্থায়।

* আল্লাহর সন্তানের কোন প্রয়োজন নেই। আল্লাহর বান্দার প্রয়োজন। আল্লাহর যা প্রয়োজন আল্লাহ সেইটার ব্যবস্থা করেছেন। আর যাদের সন্তানের প্রয়োজন আল্লাহ তাদের সন্তানের ব্যবস্থা করেছেন। এখন কারো সাথে আল্লাহর সন্তানের সম্পর্ক স্থাপন করে কেউ যদি আল্লাহকে তাঁর বান্দার কাতারে দাঁড় করিয়ে দেয় তাঁর চেয়ে বিভৎস কিছু আছে কি? কেউ আল্লাহকে অসহায় লোকদের কাতারে দাঁড় করালো যিনি জগৎ সমূহের অধিশ্বর। এটা কতটা বিভৎস কান্ড ভাবা যায়? প্রভুত্বের প্রতি পিতৃত্ব আরোপ প্রভুর জন্য অসহ্য বিষয়।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ২৬ নং ও ২৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। তারা বলে রাহমান সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি পবিত্র মহান! তারাতো তাঁর সম্মানিত বান্দা।
২৭। তারা তাঁর আগবেড়ে কথা বলে না। তারাতো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে।

* মিথ্যার প্রতি আল্লাহর চরম ঘৃণা। ফেরেশতারা যেখানে তাঁর সম্মানিত বান্দা সেখানে তাদেরকেও কতিপয় বেকুব আল্লাহর সন্তান বানায়। অকাজের কাজী হিন্দু, খ্রিস্টান ও ইহুদী ধর্মের উপর ক্রুদ্ধ আল্লাহ তাই তাঁর প্রিয় ধর্ম হিসাবে ইসলাম পাঠিয়েছেন। যারা তাঁর সাথে কারো স্ত্রী-সন্তানের সম্পর্ক স্থাপন করে না। আজ নয় কাল এ ইসলামের অনুসারীরা বিশ্ব জয়ী হবেই হবে –ইনশাআল্লাহ।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০৮৪ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪০৮৪। হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট তিনজন নিহত হবেন। তাদের প্রত্যেকেই হবেন খলিফার পুত্র। এরপর সেই ধনাগার তাদের কেউ পাবেন না। প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে । তারা তোমাদের এমনভাবে হত্যা করবে, যেমনটি ইতিপূর্বে কোন জাতি করেনি। অতঃপর তিনি আরো কিছু উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে নেই। আর তিনি এও বললেন, যখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে, তখন তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। কেননা তিনি আল্লাহর খলিফা মাহদী।

সহিহ তিরমিযী, ২২১৫ নং হাদিসের (কলহ ও বিপর্যয় অধ্যায়) অনুবাদ-
২২১৫। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, খোরাসানের দিক থেকে কালো পতাকাবাহীগণ বের হবে (মাহদীর সমর্থনে)। অবশেষে সেগুলো ইলিয়া (বায়তুল মাকদিস) এ স্থাপিত হবে এবং কোন কিছুই তা’প্রতিহত করতে পারবে না।

* মাহদী (আ.) বাহিনী নবির (সা.) দেশের লোকদেরকে পাইকারী হত্যা করবেন। কারণ যারা আল্লাহর সাথে স্ত্রী-সন্তানের সম্পর্ক আরোপ করে তারা তাদের মিত্র। আল্লাহ তাঁর সাথে স্ত্রী-সন্তানের সম্পর্ক আরোপকারী এবং তাদের মিত্রদের দুনিয়া ও আখেরাতে শায়েস্তা করবেন।

সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৫৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৬। কেউ আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং মু’মিনদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে আল্লাহর দলইতো বিজয়ী হবে।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৩৯। তোমরা হীন বল হবে না এবং দুঃখিত হবে না। তোমরাই বিজয়ী যদি তোমরা মুমিন হও।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৩। মুশরিকরা অপ্রীতিকর মনে করলেও অপর সমস্ত দীনের উপর জয়যুক্ত করার জন্য তিনিই হেদায়েত ও সত্য দীনসহ তাঁর রাসুল পাঠিয়েছেন।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। তিনিই তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও দীনে হক (সত্যদীন) সহ প্রেরণ করেছেন অপর সমস্ত দীনের উপর ইহাকে জয়যুক্ত করার জন্য। আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।

সূরাঃ ৫৮ মুজাদালা, ১৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা হবে চরম লাঞ্চিতদের অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ সিদ্ধান্ত করেছেন, আমি অবশ্যই বিজয়ী হব এবং আমার রাসূলগণও। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।

* আজ নয় কাল যারা আল্লাহর স্ত্রী-সন্তান থাকার কথা বলে তাদেরকে তিনি চরম লাঞ্চিত করবেন। আল্লাহ অবশ্যই বিজয়ী হবেন এবং যারা আল্লাহকে ক্ষুব্ধ করে তারাও পরাজিত হবে।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৫ ও ৬৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৫। হে নবি! মু’মিন দিগকে যুদ্ধের জন্য উদ্বুদ্ধ কর। তোমাদের মধ্যে কুড়িজন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে একশত জন থাকলে এক হাজার কাফিরের উপর জয়ী হবে।কারণ তারা বোধশক্তিহীন সম্প্রদায়।
৬৬। আল্লাহ এখন তোমাদের ভার লাঘব করলেন।তিনিতো অবগত আছেন যে তোমাদের মধ্যে দূর্বলতা আছে।সুতরাং তোমাদের মধ্যে একশত জন ধৈর্যশীল থাকলে তারা দুইশতজন উপর বিজয়ী হবে।তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর অনুমতিক্রমে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে।আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।

* আল্লাহর সেনাদল হলো হানাফী। কারণ তারা এরমধ্যে মোট মানুষের ১০% হওয়ার শর্ত পূরণ করেছে। যারা আল্লাহর স্ত্রী-সন্তান সাব্যস্ত করে সেই খ্রিস্টান শক্তি তাদের মিত্রদেরকে হানাফীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। তারা বিভিন্ন নাম ধারণ করে হানাফীদের সাথে সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু হানাফী নেতা মাহদী (আ.) আগমনের পর তারা তাদের মিত্রদের সহ পরাজিত হবে –ইনশাআল্লাহ। কারণ আল্লাহ যখন বিজয়ী হতে চাইবেন তখন তাঁর বিজয় কেউ ঠেঁকাতে পারবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.