![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়েও 'রোবট'। বিতর্কিত বিষয়ে এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার। তাই আমি Robot_eee
বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের সাম্প্রতিক ধীরগতির কারণ, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাইবার আক্রমণ। দুটি পক্ষের মধ্যে সাইবার হামলা-পাল্টা হামলার জেরেই এমনটি হচ্ছে। লন্ডন ও জেনেভা ভিত্তিক স্পাম গ্রুপ ‘স্প্যামহস’ এবং ডাচ ওয়েব হোস্টিং প্রতিষ্ঠান ‘সাইবারবাঙ্কার’-এর মধ্যকার বিরোধ থেকেই এ হামলার সূত্রপাত। ই-মেইলের স্প্যাম ও অপ্রয়োজনীয় কনটেন্ট পরিশোধন সেবার কাজ করে স্প্যামহস। বিরোধের এক পর্যায়ে সাইবারবাঙ্কারের সার্ভার ব্লক করে স্প্যামহস। এরপরই গ্রুপটির বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের অভিযোগ তুলে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় সাইবারবাঙ্কার। ইউরোপের বড় কয়েকটি সাইবার চক্রকে সঙ্গে নিয়ে স্প্যামহসের ওপর হামলা করে সাইবারবাঙ্কার।
ক্যাসপারস্কি ল্যাবের গবেষকেরা জানান, সাইবার দুষ্কৃতকারীরা স্প্যামহস নামের লন্ডন ও জেনেভাভিত্তিক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি সেকেন্ডে ৩০০ গিগাবিট হিসেবে হামলা করেছে, যা এ-যাবত্কালের মধ্যে সবচেয়ে বড় মাত্রার ডিডস আক্রমণ। স্প্যামহস নামের প্রতিষ্ঠানটি ই-মেইল সেবাগুলো থেকে স্প্যাম বা ম্যালওয়্যারযুক্ত বার্তা সরাতে কাজ করে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি থেকে স্প্যাম ছড়ানোর ওয়েবসাইটগুলোর একটি ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ প্রকাশ করা হয়েছিল।
‘সাইবারবাঙ্কার’ শুধুমাত্র শিশু পর্নগ্রাফি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্টতা ছাড়া অন্য সব ধরনের প্রতিষ্ঠান/উদ্যোগকেই সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র দাবি করা একজন ব্যক্তি একটি বার্তায় বলেছেন, “স্প্যামহস তাদের অবস্থানের অপব্যবহার করছে। ইন্টারনেটে কী যাবে-কী যাবেনা সে বিষয়ে তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে দেয়া উচিত নয়”। এদিকে সাইবারবাঙ্কাররের সাথে সন্ত্রাসী চক্রের যোগসূত্র থাকার অভিযোগ তুলেছে স্প্যামহস।
সিলিকন ভ্যালিতে অবস্থিত ইন্টারনেট নিরাপত্তা কোম্পানি ক্লাউডফ্লেয়ার জানায়, স্প্যামহস-এর মাধ্যমেই ই-মেইলকেন্দ্রিক ৮০ শতাংশ স্প্যাম ফিল্টার করা হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে স্প্যামহস লক্ষ্য করে চালানো সাইবার হামলা ঠেকাতে কাজ করছে ক্লাউডফ্লেয়ার। প্রতিষ্ঠানটি সাইবার হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত নিজেরাই আক্রমণের শিকার হয়। ক্লাউডফ্লেয়ার সিইও ম্যাথু প্রিন্স এ হামলাকে “নিউক্লিয়ার বোম্বিং” এর সাথে তুলনা করেন।
গবেষকেরা জানান, ডিডস [Distributed Denial of Service (DDoS)] আক্রমণ হচ্ছে কোনো কম্পিউটার সিস্টেমের রিসোর্স বা সেবাগ্রহীতার প্রকৃত ব্যবহারকারীদের বাধা দেওয়ার একটি কৌশল। এতে কোনো ওয়েবসাইট আক্রান্ত হলে তার গতি ধীর হয়ে যায় বা অনেক ক্ষেত্রে সেটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বাইরে থেকে কম্পিউটার সিস্টেম বা সাইটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অসংখ্য বার্তা পাঠানোর মাধ্যমে এ হামলা চালানো হয়। একটি বার্তা বিশ্লেষণ করতে করতে আরও কয়েকটি বার্তা যদি এসে পড়ে, তখন ওই সিস্টেমটি আক্রমণকারীর পাঠানো বার্তা বিশ্লেষণেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে; ফলে প্রকৃত ব্যবহারকারীরা ধীরগতির সম্মুখীন হয়। এর আগে ২০১০ সালে একটি ডিডস হামলা হয়েছিল, যেখানে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ গিগাবিট হিসেবে হামলা করা হয়েছিলো। এ হিসেবে ১০০ থেকে এক্কেবারে ৩০০ গিগাবিট, অবশ্যই একটি বড় সংখ্যা
কম্পিউটার নিরাপত্তা-প্রতিষ্ঠান এনসিসির কারিগরি পরিচালক পল ভ্লিসসিডস জানান, স্প্যামহস নামের প্রতিষ্ঠানটিতে সাইবার হামলা চালাতে যে পরিমাণ ইন্টারনেট ট্রাফিক ব্যবহূত হয়েছে, তাতে পুরো ইন্টারনেট-ব্যবস্থার ওপরেই প্রভাব পড়েছে। এর কারণ হলো, এ আক্রমণ চালাতে অসংখ্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়, যা প্রতিরোধ করা দুঃসাধ্য। যদি কয়েকটি কম্পিউটার থেকে ডিডস আক্রমণ করা হতো, তবে সহজেই তা ফিল্টার করা যেত। কিন্তু এ ধরনের আক্রমণে লাখো কম্পিউটার ব্যবহৃত হওয়ায় তা বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দিতে পারে।
এ ধরণের আরও খবরের লিঙ্কঃ সায়েন্সটেক24.কম
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম (রিয়াজ) বলেছেন: Click This Link
ভাই একটু হেল্প করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
মদন বলেছেন: নতুন কিছু জানলাম