![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়েও 'রোবট'। বিতর্কিত বিষয়ে এক্সট্রা এনার্জি এক্সচেঞ্জার। তাই আমি Robot_eee
সরাসরি কোনো জ্বালানি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে উড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ‘সোলার ইমপালস’ – নামের সৌরচালিত বিমানের একটি প্রকল্প। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক এই প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা বার্ট্রান্ড পিকার্ড। সাথে আছেন আন্ড্রি বরশবার্গ যিনি বিমনটির চালক হিসেবে থাকবেন। এর আগে গত বছরের জুন মাসে এ বিমানটি রথম আন্তঃ মহাদেশীয় যাত্রা হিসেবে স্পেন থেকে মরক্কোয় গিয়েছিলো।
আগামী মে মাসের প্রথম দিকে সান ফ্রান্সিসকো থেকে যাত্রা শুরু করে প্রায় দুই মাস পর সেটি নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। যদিও মাঝপথে ফিনিক্স, ডালাস, ওয়াশিংটনের মতো শহরগুলোতে সৌরচালিত এ বিমানটির যাত্রাবিররির কথা আছে।
‘সোলার ইমপালস’ নামের সৌরচালিত এ বিমানের প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বিশ্বভ্রমণ। ২০১৫ সালে সেটা পূরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ এই লক্ষ্যে ২০০৩ সালে দশ বছরের জন্য ৯০ মিলিয়ন ইউরো বাজেট নিয়ে কাজ শুরু হয়। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সৌরচালিত একটি পরীক্ষামূলক বিমান উড়তে সক্ষম হয়। তখন ভূমি থেকে এক মিটার উঁচু দিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো মিটার এলাকা পাড়ি দেয় বিমানটি।
জাম্বো জেটের মতো দীর্ঘ পাখা বিশিষ্ট এই বিমানে প্রায় ১২ হাজার সৌরকোষ লাগানো রয়েছে। দিনের বেলায় এগুলো আলো সঞ্চয় করে রাখে, যেন রাতের বেলায় তা দিয়ে ব্যাটারি চার্জ করা যায়। সৌরচালিত এই বিমানে দীর্ঘ পাখা থাকলেও ওজনে সেটা একটি ছোট গাড়ির সমান মাত্র।
আপাতত বিশেষ এই বিমানের যাত্রী বলতে শুধু একজন পাইলট হলেও ভবিষ্যতে যেন সৌরচালিত বিমান যাত্রী বহন করতে পারে সেই স্বপ্ন দেখেন সোলার ইমপালস প্রকল্পের প্রধান পিকা। তিনি বলেন, “বর্তমানে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিলিয়ন টন তেল ব্যবহৃত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন সমস্ত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে”।
খবরঃ www.sciencetech24.com
©somewhere in net ltd.