নীল

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০

জানো?
তোমাকে সেদিন ভুল করে নীল শাড়িতে দেখে ফেলে যে আমি একটা বড় ভুল করে ফেললাম?
নীল রং দেখলেই এখন খালি তোমার কথা মনে পড়ে। এইযে ফেসবুকের রং নীল। এখানে আসলেই তোমার কথা মনে পড়ে। আর আমি ফেসবুক ছাড়া থাকতেই পারিনা। তাই তোমাকে ছাড়াও ইদানীং থাকতেই পারিনা! কিন্তু তোমার তো আবার ফেসবুক আইডি নেই, এটা কিন্তু এক দিক দিয়ে ভালই। এই যে তোমাকে নিয়ে লিখছি এই লেখাটা তুমি দেখতে পাবেনা। দেখতে পেলে আমাকে কত্ত খারাপই না ভাবতে তুমি!
সেদিন নীল রংগা বৃষ্টিতে যখন তুমি নীল ছাতা নিয়ে নীল জামা পড়ে হেঁটে যাচ্ছিলে তখন ভাবলাম তোমাকে যেয়ে কিছু কথা বলব। কিন্তু কোথা থেকে যেন আমার বেরসিক বন্ধুটা এসে কাধেঁ হাত রেখে কথা বলা শুরু করল। একটু পর খুঁজে দেখি তুমি উধাও! আহা নীল বেদনায় আমার মনটা ভরে গেল সেদিন, সে নীল কি তুমি দেখেছিলে?
নীল মনে হয় তোমার প্রিয় রং, তাইনা? শুনেছি নীল নাকি বেদনার ও রং। তুমি কি তাহলে বেদনাবাসী?
আমি নাহয় নীল রং হয়ে তোমার জীবনে রয়ে গেলাম। তাহলে কি হবে জানো? সূর্যের আলোর বেনীআসহকলা'র নীল বাদে সব রংই তোমার গায়ে পড়বে। বেদনার নীল রং তোমাকে স্পর্শ করতে পারবেনা।বাহ আমি কত্ত ফিজিক্স পারি দেখলে?
কিন্তু তখনও আমি জানতামনা আমিই তোমার জীবনের নীল বেদনা হয়ে যাব।
কিন্তু আজ আমি কোথায় আর তুমিই বা কোথায়। দূরত্ব কত কিলোমিটার জানিনা। গুলিস্তান জীরো পয়েন্টে, ওখান থেকে নাকি পুরো বাংলাদেশের সব জায়গার দূরত্ব লেখা থেকে। ওখানে যেয়ে আমার তোমার দূরত্বটা দেখে আসব কালকে!
জানো ক্লাস ফাইভে যখন পড়তাম, একবার এক সরল অংকে স্যার অনেক প্যাচগোচ দিলেন। এত্ত বড় বড় মান আসতে লাগলনা অংক যখন করা শুরু করলাম। কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলামনা অংক ঠিক নাকি ভুল! ক্যালকুলেটর ছাড়া অত বড় অংক মেলানো যায় নাকি বলো? ধৈর্য ধরে অনেকটুকু করলাম। উত্তর এসেছিল খুবই বিদঘুটে। পরে ভুল করেছি ভেবে গোটা অংকটাই কেটে দিলাম।
পরে জানতে পেরেছিলাম আমার অংক ঠিকই ছিল। আমার ভাবার ভুল ছিল!
ইশ যদি অংকটা না কেঁটে দিতাম! ইশ যদি অংকটা না কেঁটে দিতাম! জীবনের অংকটা হয়ত ঠিকই মিলে যেত!

০ টি +০/-০