সবাই কখনও না কখনও চায়......

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

যখন ছোট ছিলাম তখন এসব কিচ্ছু বুঝতামনা, কিচ্ছু বুঝতামনা! বুঝতে চাইতামও না!
তবে জীবনে কখনও না কখনও সবাই চায় তার বাবা মাকে একটু খুশি করতে। বাবা-মাকে কাঁদাতে। খুশির কান্না অবশ্যই।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা খুব কাছ থেকে দেখে তাদের বাবা-মায়েরা কি পরিমাণ কষ্ট করে তাদের বড় করেছে। এটা তাদের কাছে একটা ক্ষোভের মত থাকে। সে দেখে তার আশেপাশের আত্মীয়রা যখন বিলাস করে উৎসব অনুষ্ঠানে নুতন কাপড় চোপড় পড়ে তখন তার বাবা মা হয়ত পুরান শাড়ী কিংবা পাঞ্জাবী পড়ে যাবার ভয়ে অনুষ্ঠানে যায়ই না!
আজকে যারা মধ্যবিত্ত তাদের বেশিরভাগের মা-বাবারাই উঠে এসেছেন এমন সব পরিবার থেকে যাদের কখনও আজকের অবস্থায় থাকবার কথা না!
আত্মত্যাগ, নিজে না খেয়ে আমাদের খাওয়ানো, নিজের জন্যে ঈদে জামাকাপড় না কিনে আমাদের ঈদের জামাকাপড় কেনার অপরিপক্ক বয়সের জেদ মেটানো!
বাজারে নতুন খেলনা নামলে যখন আমরা নাছোড়বান্দার মত সেটা কিনেই ছাড়তাম। কি জানি! সেটা কিনে দেবার জন্যে হয়ত না বাবাকে কি কষ্ট করতে হয়েছিল।
খাবার খেতে বসলে নিজের প্লেট থেকে বড় গোশতের টুকরোটা আমাদের প্লেটে তুলে দেওয়া, এসব ভাবলেও নিজের কাছে কান্না পায়।
যখন ছোট ছিলাম তখন বুঝতামনা এসব। এখন বুঝি। সব ছেলেমেয়েরই ইচ্ছে থাকে তাদের এই বাবা-মা যেন জীবনে একবার না একবার গর্ব করে বলতে পারে -আমার ছেলে ওমুক কাজ করছে। লোকে যেন তাকে সম্মান দেয় আমাদের জন্যে।
বাবা হয়ত তুমি যেমন চেয়েছ তেমন ভাবে নিজেদের আমরা গড়ে তুলতে পারিনি, তবে তুমিও একদিন আমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারবে ইনশাআল্লাহ!

২ টি +০/-০