নাস্তিকতার গোড়ার ভুল!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

মাহিয়া মাহি দেখলাম বোরকা পড়ে পিক আপলোড দিয়েছেন তিনি ইজতেমায় যাবেন। ভাল কথা বেশ! কিন্তু ক্যাপশন দিয়েছেন তিনি আজ সারারাত ইজতেমায় ঘুরবেন।
ভালতো ভালনা?
নাস্তিকতার গোড়া হল আল্লাহ আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন তাহলে আমরা যাই করিনা কেন লাভ নেই! ভাগ্য তো আগে থেকেই ঠিক করা! যাই হোক-
সেদিন নাস্তিকতা নিয়ে একটু লিখলাম আমার ব্যক্তিগত মতামত নিয়ে আজকে একটু ভাব সম্প্রসারণ করি!
আচ্ছা ব্যপারটা কি এমন যে আল্লাহ লিখে রেখেছেন আমাদের কপালে কখন কি হবে! নাকি এমন যে তিনি জানেন আমরা কখন কি করব?
আমরা যদি তৃতীয় মাত্রার কথা চিন্তা করি তাহলে আমরা তিন মাত্রার তিন অক্ষ বরাবর সামনে পেছনে যেতে পারি!
বর্তমান কাল চতুর্থ মাত্রার কাল, সময়কে চতুর্থ মাত্রা হিসেবে চিন্তা করা হয়! তাহলে কি এমন যে সময়েরও আগে পিছে যাওয়া সম্ভব?
তাহলে আমরা পারিনা কেন? তাহলে এমন কি হতে পারে কেউ না কেউ পারে? হতে পারে আল্লাহ তার রসূল পারে?
তিনি হয়ত সেই মাত্রায় ২০৫০ সালে গিয়ে দেখে এসেছেন যে আমি আমার বিবেকের সাহায্যে ভাল কাজ করব না খারাপ কাজ করব! তাই হয়ত তিনি বলেছেন তিনি জানেন আমরা কখন কি করছি!
যেমন আল্লাহ হয়ত সময়ের অক্ষ বরাবর চলে ২০৫০ সালে যেয়ে দেখে এসেছেন আমি কি করছি! তাই তিনি বলেছেন যে তিনি জানেন আমাদের ভাগ্যে কি আছে! টাইম ট্র্যাভেল যাকে বলে আরকি!
আর একটা কথা ঠিক যে সব কিছু বিজ্ঞান দিয়ে ব্যখ্যা করা যায়না! উচ্চ মাধ্যমিকে আপেক্ষিকতা নিয়ে পড়ার সময় স্যার বলেছিলেন এটা দিয়ে রসূলের টাইম ট্র‍্যাভেল ব্যখ্যা করা যায় যদি তিনি আলোর বেগে চলতে পারেন! কিন্তু এমন কি হওয়া সম্ভব যে আলোর বেগে চলতে পারে এমন কোন প্রাণী আছে? নিশ্চই না?
শেষ পর্যন্ত ধর্ম বিশ্বাসেরই ব্যপার। একটা কথা আছেনা? "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর!"
ব্যপারটা হচ্ছে আল্লাহ আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেননি! আল্লাহ আসলে জানেন আমাদের ভাগ্যে কি আছে!
আমাদের দেশে বর্তমানে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্ম উপেক্ষিত! এটা বাংলাদেশের মানুষকে নাস্তিক করে দেবার পক্ষে অনেকভাবে অবদান রাখে বইকি! ধর্ম যেখানে উপেক্ষিত নাস্তিকতা সেখানে প্রতীক্ষিত!
অামার ফেসবুক প্রোফাইল! https://www.facebook.com/mmakib

০ টি +০/-০