ইভ টিজিং সমাচার।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ব্যপারটা দুঃখজনক হলেও সত্যি বাংলাদেশে মেয়েদের এখনও অনেক খাটো করে দেখা হয়। মাঝখানে ইভ টিজিং নিয়ে অনেক রংগ দেখেছিলাম, এখন কই সেগুলো??

আজকাল নারীবাদীদের সংখ্যাও বাড়ছে। নারীবাদী ব্যপারটাতেও সম্মানের কিছু নেই। নারীবাদী শব্দটা যেদিন থেকে অভিধান থেকে মুছে যাবে সেদিন বুঝব নারীদের সম্মান একটু হলেও বাড়বে।

তাহলে কি ইভ টিজিং বন্ধ হয়ে গেছে?? বাংলাদেশ থেকে ইভ টিজিং উঠে গেছে এই ভেবে আমোদের হাসি দিবেন?? তাহলে আপনি মুড়ি খান।

বাংলাদেশের অজপাড়া গা থেকে শুরু করে এমন কোন জায়গা নেই যে ইভটিজিং হয়না। কোচিং পাড়া গুলো থেকে শুরু করে পাবলিক ভার্সিটি, ইভ টিজিং রন্ধ্রে রন্ধ্রে।

যত হাই সোসাইটি, ইভ টিজিং এর ক্লাস তত উপরে। আর হাই সোসাইটিগুলোতে ইভ টিজিং এর মাত্রা তত বেশি!

এমনকি ঢাবি চবি এর মত জায়গায় ও ইভ টিজিং খুবই মামুলি বিষয়।

ইদানীং দেখছি ব্যপারগুলো আবার বাড়ছে। আমার অনেক বন্ধুকে দেখছি ইভ টিজিং এর ভয়ে ভার্সিটি যায়না। আর ইভ টিজিং করেও ভার্সিটির সব সো কল্ড পাওয়ারফুল ভাইয়েরা। তাদের হাত ধরেই যত খারাপ কাজ গুলো হয়।
দোষ হয় ছাত্র রাজনীতির। ওমন ছাত্রদের চিহ্নিত করে রাজনীতি থেকে বের করে দেওয়া উচিত।

সময় এসেছে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। প্রতিটা ভার্সিটিতে ইভ টিজিং এর বিরুদ্ধে একটা কমিটি করা সময়ের দাবি।

ইভ টিজিং এর ব্যপারগুলো মাঝে মাঝে ধর্ষণ কিংবা আন্তঃভার্সিটি মারামারির হটকেক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকে একটা প্রতিজ্ঞা করে ফেলি। আর যাই করি কখনও এই জঘন্য কাজটি করবনা।

২ টি +০/-০