| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুমিন জীবনের মূল মিশন হল সকল মতবাদের বিপরীতে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা’ অর্থাৎ ইসলামী বিপ্লব বা সমাজ বিনির্মাণ। ‘বিপ্লব’ শব্দটি শ্রুতিমধুর হলেও বাস্তবে রুপায়ণ কঠিন। এর সংগ্রাম এমন যে এখানে বাতিলের সাথে, অলসতার সাথে কিংবা দুনিয়া পূজার সাথে কোন প্রকার আপোষ চলে না। এই বিপ্লবের সঙ্গা দিয়েছেন একেক মনিষী একেক ভাষায়। যেমন-
চীনের মাও সেতুং বলেন, ‘বিপ্লব রক্তের কলকল ¯্রাোত বইয়ে দেয়ার নাম’। একটি প্রতিষ্টিত ব্যবস্থাকে বিধ্বস্ত করে অপরটিকে বিজয় করার বিষয়।
আল্লামা মওদুদী (রহঃ) এর ভাষায়, ‘ইনকিলাব বাচ্চুকা খেল নেহী’। ‘বিপ্লব ছেলের হাতের মোয়া নয়’।
বিপ্লবের ইতিহাসে সবচেয়ে স্মরনীয় ও স্বার্থক বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে মোহাম্মদ (সঃ) এর হাতে। যা অনেক বিশ্ববিখ্যাত নাস্তিক মনীষিরাও স্বীকার করেন।
বিপ্লব শব্দটির সাথে শাহাদাত ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। যার আকাঙ্খা না থাকলে এই বিপ্লবের কথা কল্পনাই করা যায় না।
শাহাদাতকে কুরআনুল কারীমে এত উচ্চ মর্যাদা দেয়া হয়েছে, যার কারনে একে মৃত্যু বলা পর্যন্ত হারাম করে দেওয়া হয়েছে।
''আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝ না।'' সূরা বাকারা (১৫৪ নং অয়াত)
শাহাদাত এমন এক মর্যাদা, এমন এক অনির্বাণ জীবনের নাম, যার পূর্ণাঙ্গ রুপ ব্যক্ত করা কোন কবির ছন্দ বা কোন লেখকের কলম দ্বারা হয়তো সম্ভব নয়। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব রাহমাতুল্লিল আলামিন মুহাম্মদ (স শাহাদাতের মর্যাদা তুলে ধরে দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেছেন, “ সেই মহান সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমার নিকট অত্যন্ত পছন্দনীয় হচ্ছে, আমি আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে যাই, আবার জীবিত হই, তারপর পুনরায় জীবন লাভ করি এবং পুনরায় শহীদ হই”। (বুখারী)
প্রশ্ন হল, একজন মুমীনের শাহাদাতের তামান্নায় সবসময় উজ্জীবিত থাকতে, শাহাদাতের অমীয় সূধা পান করতে কেন এই তীব্র আকাংখা? কেন জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও তার এই চরম চাওয়া-পাওয়ার শাহাদাত চাই-ই? এর উত্তর জানতে আমাদেরকে খুব বেশী সময় নষ্ট করতে হবে বলে মনে হয় না, সব রকম নেকীর উপর যেমন আরেকটি নেকী থাকে। সকল কুরবানীর উপরই যেমন কুরবানী আছে। তেমনি সকল ত্যাগের উপরই ত্যাগ আছে। কিন্তু আল্লাহর পথে শহীদ হবার চেয়ে বড় কোন নেকী, এর চেয়ে বড় কোন ত্যাগ ও কুরবানী হতে পারে না, এটাই মানব জীবনের সকল নেকী ও পুণ্যের চ’ড়ান্ত শিখর। শাহাদাতের এই দরজা নবুয়তের দরজার চেয়ে বড় না হলেও শহীদ হবার জন্য স্বয়ং নবী ও তীব্র আকাংখা পোষণ করেন।
‘ আমাদের শহীদেরা সবচেয়ে বড় সম্পদ
গড়ে গেছে সাহসের দ্বিধাহীন সোজা রাজপথ’।
আমাদের কাছে জীবন ও মরনের সঙ্গা এক এক জনের কাছে একেক রকম। কোরআন আমাদের সেই জীবন ও মরন সম্পর্কে সমাজের প্রচলিত চিন্তা চেতনাকে আঘাত করে বলছে, যে তাদের জীবনের মধ্যে কোন জীবনের স্পন্দন নেই, তারা বেচে থেকে ও তারা মৃত। আর অন্য দিকে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের যুদ্ধে আল্লার এই জমিনে যাদের রক্ত প্রবাহিত হল, জিহাদ করতে করতে যারা নিজেদের মূল্যবান জীবনকে কুরবানী করে দিল, কুরআন তাদেরকেই জীবিত বলেছে।
‘ওয়ালা তাহসাবান্নাল লাবিন কুতেলু ফি সাবিলিল্লাহে অমওয়াতান বালআহ ই্য়াউ এনদা রাব্বিহীম ইউর যাকুন’। (আল ইমরান)
রাসূল (সঃ) রোমান স¤্রাাট হেরাক্লিয়াসের নিকট দাওয়াতে দ্বীনের চির্ঠিসহ হারেছ ইবনে উমাইয়াকে পাঠালেন। সে পত্র বাহককে অন্যায় ও নির্দয়ভাবে তাকে নিহত করেছিল। এ সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে রাসূল (সঃ) রোমানদের শায়েস্তা করার জন্য নিহত ব্যক্তির পুত্রের হাতে সেনাপতির ঝান্ডা তুলে দিয়ে বলেছিলেন, যায়েদ বিন হারেসা শহীদ হলে জাফর বিন আবু তালিব নেতৃত্ব দেবে, আর জাফর বিন আবু তালেব শহীদ হলে আব্দুল্লাহ বিন রওয়াহা সেনাপতির দায়িত্ব নেবে। সম্ভবত সেও শহীদ হয়ে যাবে এর পর তোমরা সেনাপতি নির্বাচিত করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। মাত্র তিন হাজার সৈন্যের এ বাহিনীকে এক লাখ রোমান সৈন্যের মোকাবেলা করতে হয়েছিল। এক জনকে মোকাবেলা করতে হয়েছিল ৩৩ জনের ১:৩৩। ঈমাম বুখারীর বর্ণনা মতে, রাসূলের (সঃ) কথামতো ৩ জন সেনাপতি পরপর শাহাদাত বরণ করেন ও পরবর্তীতে খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বে মুসলমানরা বিজয় লাভ করেন।
সেনাপতি তারেক যখন স্পেনে কালেমার পতাকা উড়িয়ে দিয়েছিলেন জিব্রালটারের পাহাড়ে, যার সত্যিকার নাম ‘জবলুত তারেক’। সে সময় স্পেনের জনগোষ্ঠীর তুলনায় তার সৈন্যসংখ্যা ছিল হাতে গুনার মতো। প্রথমে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে কিশতি করে আমরা এসেছি সে কিশতিগুলো জ্বালিয়ে দাও। আর জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়ার কথা ভুলে যাও। হয় স্পেনের আকাশে কালেমার পতাকা দুলবে, নচেৎ এই সাগরে শহীদদের সলিল সমাধি হবে।
ইতিহাস সাক্ষী, জীবনের ওপর মরনের সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী এ ক্ষুদ্র তারেকের বাহিনী কি দঃসাহসিক অভিযানে স্পেনের মাটিতে উড়িয়েছিলেন বিজয়ের কেতন।
ইরানিদের সাথে মুসলিম বাহিনীর চূড়ান্ত সংঘর্ষ হয়েছিল কাদেসিয়ার ভয়াবহ রনাঙ্গনে সোয়া লাখ ইরানি সৈন্যের নেতৃত্ব ছিল দুনিয়া কাঁপানো বীর রুস্তম। আর ৩০ হাজার মুসলিম বাহিনী তার মধ্যে ৭০০ সাহাবী অন্তভূর্ক্ত ছিলেন সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ)। সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) যুদ্ধের ময়দানে রুস্তমকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, আমার সাথে যুদ্ধ করার দঃসাহস দেখানোর আগে আমার যোদ্ধাদের পরিচয় জেনে নাও। ‘তোমরা শরার ও নারীর প্রতি যেমন আসক্ত, আমার সাথীরা শাহাদাতের মৃত্যুর প্রতি এর চেয়ে বেশি আসক্ত।
ইতিহাস সাক্ষী, ৪ হাজার মুজাহিদের শাহাদাতের খুনের ওপর অগ্নিউপসাকদের বিশাল পারস্য সা¤্রাাজ্যের সমাধি রচিত হলো,আর তাদের রাজধানীর শ্বেত প্রাসাদে সিজদায় লুটিয়ে পড়লেন সেনাপতি সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ)। আর কাদেসিয়ার বিজয় শুনে খলিফা ওমর (রা সিজদায় পড়ে ডুকরে কাঁদতে ছিলেন। সেই শাহাদাতের উজ্জীবনী শক্তি নিয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে আজো আমারা যারা একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানের পক্ষে, আমরা যারা ইসলামকে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে বিপ্লবের স্বপ্নে প্রহর গুনছি, আমাদেরকে-ই আজ ঝাপিয়ে পড়তে হবে সেই দুঃসহ মানবতার বস্তিতে যারা চিৎকার করে বলছে......
(সুরা নিসা-৭৫ নংআয়াত)
প্রিয় পাঠক, আপনাদের নিশ্চয় অজানা নয়, ১৯৬৩ সালে ইরানে যখন জালিম শাহের অত্যাচার চলছিল। দেশে কারফিউ জারি করে ১৪৪ ধারা অব্যাহত রাখা হল। নির্বাসিত ঈমাম খোমেনী ফ্রান্স থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করতে হবে তবে একটি গুলি ও ছোড়া যাবে না , একটি পাথরও ছোড়া যাবে না । সৈন্যদের গুলির বিনিময় দিতে হবে তাদের প্রতি ফুল নিক্ষেপ করার মাধ্যমে, বুকের বসন খুলে চিৎকার করে বলবে আমাদেরকে শহীদ কর। কী ভয়াল সে লাখ লাখ লোকের মিছিল যার সামনে রয়েছে ২০-৩০ হাজার নারী। সে মিছিলে প্রায় ১৫ হাজার নর নারী শহাদাত বরণ করেছিলেন।
বিংশ শতাব্দির ইতিহাসে এমন কোরবানির নজির কোন জাতির জীবনে খুঁজে পাওয়া যাবে না। লাশের স্তূপ আর শহীদের রক্তের ¯্রোাত সেদিন থামিয়ে দিয়েছিল কামানের গর্জন। বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে থমকে দাড়িয়েছিল জালেম শাহের বর্বর সেনাবাহিনী। তারা ও বলতে বাধ্য হয়েছিল, ‘না আমরা আমাদের মা, বোন, ভাইদের উপর গুলি চালাতে পারবো না’। শাহাদাতের রক্ত কি ভয়াল ও অপরাজেয় শক্তির নাম যার কাছে কামান, গোলা, দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র সব হার মানে।
মিশরের ইখওয়ানুল মুসলেমিনের কর্মীদের শাহাদাতের বর্ণনা কারো অজানা নয়। জালিম সরকার কর্ণেল নাসেরের হিং¯্র শিকারে পরিনত হয়েছিল মিশরের বিপ্লবের নায়ক শহীদ হাসানুল বান্না। যাকে শহীদ করে দেশে কারফিউ দিতে হয়েছিল। জালেমরা শহীদ করেছিল ফি যিলালিল কুরআনের মুফাসসির বিশ্ববিখ্যাত ইসলামী বিপ্লবের নায়ক সাইয়্যেদ কুতুবকে। শাহাদাতের দিন যখন শেষ বারের মত তাকে আদালতে আনা হয়েছিল এ মুজাহিদ দুপায়ের ওপর ভর করে দাঁড়াতে পারছিলেন না অত্যাচারে জর্জরিত এ মজলুম ফাঁসির রজ্জু গলায় পরার মূহুর্তে হেসে উঠেছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন “যে মৃত্যুর জন্য আমি বছরের পর বছর কারা কক্ষে সীমাহীন যাতনা ভোগ করেছি। আমি সে ব্যক্তি যে তার জীবনের সফলতা চোখে দেখে যাচ্ছি। আমি মউতের দিকে নয়, হায়াতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। নীল নদ বিধৌত পিরামিডের দেশের মর্দে মুজাহিদ সাইয়্যদ কুতুবের অমর ঘোষণা “আমরা তত দিন পর্যন্ত নিস্তব্দ হবো না, নিরব হবো না, নিথর হবো না, যতদিন না আল কোরআনকে এক অমর শাসনতন্ত্র হিসেবে দেখতে পাই। হয় আমরা এই কাজে সফলতা অর্জন করবো নয় মৃত্যু বরণ করবো”।
ইখওয়ানের প্রথম সারির নেতা মিশরের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি আব্দুল কাদের আওদাকে নির্মমভাবে শহীদ করা হয়। ২ টি ক্রেনের একটিতে ১ পা করে বেঁধে বিপরীত দিকে ক্রেন চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। তিনি শাহাদাতের পূর্ব মূহুর্তে বলেছিলেন, আমাদের রক্ত কথা বলবে, এ রক্ত বৃথা যাবে না’। আজকের মিসরই তার প্রমান। শহীদদের রক্ত সত্যিই বৃথা যায়নি, সত্যি কথা বলছে।
‘জানি আমার কোন দঃসংবাদ শুনলে মা কাঁদবেন, কিন্তু উপায় কি বলুন? বিশ্বের সমস্ত শক্তি আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানকে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। আমরা মুসলমান যুবকরা বেঁচে থাকতে তা হতে পারে না। হয় বাতিলের উৎখাত করে সত্যের প্রতিষ্ঠা করবো, নচেত সে চেষ্টায় আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে। আপনারা আমায় প্রাণভরে দোয়া করুন জীবনের শেষ রক্তবিন্দু নিয়েও যেনো বাতিলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে পারি। কারাগারের নিরন্ধ্র অন্ধকারে, সরকারি যাঁতাকলের নিষ্পেষণ আর ফাঁসির মঞ্চও যেন আমায় ভড়কে দিতে না পারে’। শহীদ হবার আগে এমনই কথা শুনা গিয়েছিল বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের প্রাণপুরুষ তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শহীদ আব্দুল মালেক ভাইয়ের কন্ঠে। শহীদ মালেকের অঙ্গিকার ছিল ‘হয় বাতিলের উৎখাত করে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবো, নচেৎ সে চেষ্টায় আমাদের জীবন শেষ হয়ে যাবে’।
বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মাওলানা মওদূদী (র.) আব্দুল মালেকের শাহাদাতের খবর শুনে বলেছিলেন, “আব্দুল মালেক প্রথম শহীদ কিন্তু শেষ নয়। ইব্রাহীম (আ.) নমরূদ, মুসা (আ , ফেরাউন, মুহাম্মদ (স.)-আবু জেহেলের লড়াই এখনো চলছে। শহীদ হাসান আল বান্না, শহীদ আব্দুল কাদের আওদা, শহীদ কুতুবের শাহাদাতের ইতিহাস এ বিষয়টিরই সাক্ষ্য বহন করে। তাইতো আমরা তাঁর শাহাদাতের কয়েক যুগ পরেও এই সবুজ বাংলা, কাশ্মির, আফগানিস্তান, ইরাক, চেচনিয়া, বসনিয়া, মিন্দানাউ, আরাকার আর ফিলিস্তিনের হামাসের লাখ লাখ তরুনের ভিতর তাঁরই মুখের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাই। আব্দুল মালেকের শাহাদাত পরবর্তী দৈনিক জং পত্রিকা লেখে...“একটি ক্ষুদ্র বিন্দু যেন সূর্যের উচ্চতা ও প্রাচুর্য লাভ করলো এবং ঘুটঘুটে অন্ধকারে যেন একটি প্রদীপ জ্বলে উঠলো। কাল আব্দুল মালেক একটি যুবকরে নাম ছিল, কিন্তু আজ তা দেশের প্রতিটি বিবেকসম্পূর্ণ তরুনের মনে বদ্ধমূল এক মহান আবেগের নাম যে আবেগ সত্যের জন্য, আদর্শের জন্য এবং ইসলামের জন্য প্রাণ উৎসর্গ করতে উদ্ধুদ্ধ করে।
বাংলার এই জমিনে যাঁরা কোরআনের আইন বাস্তবায়নের জন্যে, আল্লার আইনকে বাস্তবায়নের জন্যে সংগ্রাম করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কাছে হয়তোবা মনে হতে পারে যে, তারা হঠাৎ করে এ পৃথিবী থেকে চলে গিয়েছেন। কিন্তু না, আমরা যদি তাদের জীবনকে একটু পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে, তাঁরা কেউই হঠাৎ করে এ পৃথিবী থেকে চলে যাননি বরং এরকম একটি মরনের জন্যে, এরকম একটি জীবন দেয়ার জন্যে তারা অনেক আগ থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করেছিলেন। তাঁরা রাত জেগে জেগে মহান মনিবের দরবারে শাহাদাতের মউত কামনা করতেন।
আজকে বাতিল শক্তি ইসলামকে নির্মূল করার ষড়যন্ত্র নিয়ে যতবেশী অগ্রসর হচ্ছে, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরাও তার চেয়ে বেশী বেগে কোরআন বাস্তবায়নের স্বপ্নে নির্গূম রাত কাটাচ্ছেন। সুতরাং আজকের ইসলামী শক্তিগুলো বাতিলকে রক্তচক্ষু দেখানোর অন্যতম কারণ হিসেবে আমরা বলতে পারি, আমাদের ভাইদের শাহাদাতের নজরানা পেশ, আমাদের অসংখ্য ভাইয়ের হাত ও পা, অসংখ্য ভাইয়ের কারাবরণ, জুলুম এবং নির্যাতনের মাধ্যমে ইসলামী শক্তি আরো বেশী শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।
©somewhere in net ltd.