নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জোস্নার কানে কানে রৌদ্রের কথা বলছি

১ বছর হয়ে গেল পোস্ট, কমেন্ট ব্যান। উকে দেখা যাক

রৌদ্রনীল আহমেদ

অপ্রতিদ্বন্দ্বি, অতুলনীয়, অনন্য!

রৌদ্রনীল আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মামনি, আজ তোমার জন্যই 'বাবা' হতে ভয় লাগে, লাগে বিষন্ন...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৮



বাসে উঠে দেখি লোকজন ভরে গেছে,পিছনের দিকে ৫৫ উর্ধো এক লোকের সাথে বসে ড়লাম।লোকটা খুবই বিনয়ী,বসা মাত্র আমাকে বলে "তুমি চাইলে জানালার কাছে বসতে পারো।" আমি বললাম-না আঙ্কেল,অসুবিধা নেই।থ্যাংকস।' কিছুদুর যেতেই বাস থেমে গেলো,যাত্রাবাড়ির চিরপরিচিত জ্যাম! হঠাৎ পাশের লোকটা আমাকে বলল,"মা,তোমার কাছে পানি আছে?মুখে দিবো।"

_সরি আঙ্কেল,আমার কাছে পানি নেই।

লোকটা আকাশের দিকে তাকালো,একটুপর নিজের খেয়ালেই আমাকে বলা স্টার্ট করলো--"তোমার মতো আমার একটা মেয়ে আছে,হলে থাকে।আমি থাকি লালবাগ,ওখানে আমার একটা মুদি'র দোকান আছে।মেয়েটার মা নেই,বাড়িতে (গ্রামে) আমার ছোটছেলেটা থাকে তার চাচার সাথে।আমি প্রতিদিনই আমার মেয়ের সাথে কথা বলি,মেয়ে আমাকে জানায় সে ক্লাসে আছে অথবা লাইব্রেরীতে আছে নইলে পড়ছে।আমি খুব খুশী হই,এতো খুশী হই যে চোখে পানি চলে আসে।মেয়েটাকে আমি অনেক পড়ালেখা করাতে চাই,যতটুকু সামর্থ্য আছে তা দিযেই।মেয়ে'র কোন আশাই আমি অপূর্ন রাখিনি,যা চেয়েছে তাই দেবার চেষ্টা করেছি।গতকাল বিকেল থেকে মেয়েটার ফোন বন্ধ,তাই আমি হলের এক টিচার'কে ফোন দেই,সেই টিচার খোজখবর নিয়ে দেখে আমার মেয়ে ৫ দিন হলো হলে নেই,সে নাকি বাড়ি যাবার জন্য ছুটি নিয়েছে..।কথাটা শোনামাত্র আমি টিচারকে বললাম,আমার ভুল হয়েছে স্যার,আমি বাড়িতে ফোন না করেই আমাকে ফোন করেছি,আমি সত্যি দুঃখিত।"

তারপর লোকটি আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, "আমার মেয়ে বাড়িতে যায়নি,কালও ওর সাথে আমার কথা হয়েছে,সে নাকি ক্লাসে ছিলো।গতরাতে আমি মোটেও ঘুমাতে পরিনি,অনেক খোজখবর নেবার পর মেয়ের বান্ধবী'র কাছে জানতে পারলাম আমার মেয়েটা নাকি এখন কক্স-বাজার আছে।এক ছেলের সাথে ৭ দিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছে..তোমাকে কথাগুলো কেন বলছি জানি না মা,তুমি কি বিরক্ত হয়েছো?"

আমি মাথা নেড়ে 'না' বললাম।

--মাথাটা কাজ করছে না,কাউকে কিছু জানাতেও পারছি না,মেয়ের মান-সন্মান চলে যাবে।তাই তোমাকে বলে একটু হালকা হলাম,কিছু মনে কোরোনা..।

এই কথা বলে লোকটা আবার আকাশের দিকে তাকালো।আমি স্পস্ট দেখলাম লোকটা কাদঁছে,তার শরীর কেপে কেপে উঠছে!

আমি মলিন চোখে এক বাবা'র কান্না দেখলাম,মেয়ে'র সন্মান চলে যাবার ভয়ে একজোড়া স্বপ্নমাখা চোখের কান্না দেখলাম।বাবা'র বুকের চিৎকার আর আর্তনাদ যেনো শুনতে পেলাম আমি,আর সাথে সাথে আম্মু'র মুখটা ভেসে উঠলো..আমি জীবনের অসংখ্যবারের মতো আবারও মনে মনে আম্মু'কে প্রমিজ করলাম।



(লোকটার সব কথাই ছিলো আন্ঞলিক,আমি লিখার সুবিধার্থে এভাবে দিলাম)

নোট: এটি ফেসবুকে Ila Pakhi আইডি'র স্টেটাস।

ফেসবুকের এই লিংক থেকে নেয়া

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

ডুয়েল বায়োস বলেছেন: কমেন্টে কি আর লিখবো :( :( :(

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

ভুদাই আমি বলেছেন: |-) |-) |-)

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩

ফারজানা শিরিন বলেছেন: বাবা :(

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৭

শান্তা273 বলেছেন: মনের অজান্তে চোখ ভিজে উঠল!

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৫

হিতৈষী বলেছেন: এত সুন্দর একটা লিখা পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। চারিদিকে যখন ধর্ষনের বর্ষন চলছে তখন এমন একটি সচেতনতা মূলক লেখা অবশ্যই ধন্যবাদ পাবার যোগ্য।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৬

নিমচাঁদ বলেছেন: বালিকা ভুল ব্যাকরণে , ভুল বই পড়ছে ।জীবনের অসংখ্য কানা গলি, বাক , মোচড় ।সে ভুল করেছে কিনা জানি না , তবে ঠিক কাজ টা যে করে নাই ,এটা নিশ্চিত।
বাবা মায়ের ডিজ সাটিসফাকশন নিয়ে জীবনে হয়তো কিছু পথ চলা যায় , কিন্তু একসময় ছিটকে পড়তে হয় মূল ধারা থেকে ।দোয়ার মতোন কিছু আবস্ট্রাক্ট জিনিশ আছে , যা ধরা যায় না , কিন্তু জীবনে দরকার আছে ।

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: অনেক কিছুই বলতে মন চায় । কিন্তু লিখতে মন চায়না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.