নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উদাসী ভাবনার বৈরাগী প্যাচাল

সযতনে খেয়ালী!

ধুসর গোধূলি


ব্যক্তিগত জীবনে একজন চরম ভবঘুরে আমি।
পছন্দ করি পাঁচফোড়ন মেশানো ভাজির সাথে লুচি।
ফল হিসেবে লিচু ও পছন্দ করি অনেক।
ধান গাছে তক্তা না হলেও তক্তা জিনিষটা আমার বেশ প্রিয়।
অস্ত্র হিসেবে পেরেক টা একটু বেশীই প্রেফার করি।
মানুষ বেশি দেখলে (জেন্ডার ভেদে) মাথা ভনভন করে এমনই ঘুরতে থাকে যে পৃথিবীর আহ্নিক গতিকেও হার মানায়।
অনেক মানুষের মাঝে থেকেও আলাদা হয়ে যেতে পারি তাই খুব সহজেই।
বলতে পছন্দ করি, কিন্ত শুনি তার চাইতেও বেশি... এইতো
সব মিলিয়ে আমি!

ধুসর গোধূলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ছালা, গালি কী গাছে ধরে....."

২৮ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ২:২৫

শাঁখারী বাজারের কোন এক গলি। একটা স্বর্ণকারের দোকানের সামনে খাড়ায়া আছি। হালার গেছি দূর্গা পঁূজার দাওয়াত রক্ষা করতে। আমার ইমিডিয়েট বস, তারপর আবার বড়ই সেনেহ করেণ, না গিয়া থাহি ক্যামনে?



শাপলার মোড় থেইক্যা রিঙ্া লমু চিন্তা করছি। কোন রিক্সাওয়ালাই যাইবো না। মেজাজ টা গেলো বিলা হইয়া।



আগাইতে আগাইতে ইত্তেফাকের মোড়। এক চান্দুরে পাইলাম। বড়ই রসিক মনে কইলো। মাথায় তেল চুপচুপ করে। মাঝখান দিয়া সিঁথি করা। অই মামু যাইবেন ওয়ারী?



হ যামু। মাগার ওয়ারী কোন্ডে নামবেন?



অহন ডিরেকশন দেই ক্যামনে? অর মাথাডাই বাইছ্যা লইলাম। মাথার চুল ধইরা আগাইতে আগাইতে নাক পর্যন্ত নাইমা কইলাম। এইহানে যামু....। লগের জন হাসে, "আপনে পারেণ ও ভাই..."।



লইয়া গেলো। রাস্তায় প্রবীর দাদার বারকয়েক ফোন, অই মিয়া আইতাছ তো?



গিয়া হুনি 'মা'রে নিয়া নাকি লোকজন রওনা দিয়া দিছে। দাদা আমাগো লাইগা যায় নাই। লগে লগে কইলাম লন দেহি দাদা, মা'রে বিসর্জন দিয়া আহি। দাদা অবাক, কয় কী হালায়? মুসলমানের পোলা হইয়া যাইবো মা'রে বিসর্জন দিতে?



দৌড় লাগাইলাম শাঁখারী বাজারের দিকে। রাস্তায় গিয়াই দেখা মিল্লো তাগো বিসর্জন যাত্রার। গিয়া দেহি আরো অনেকরেই চিনি। পোলাপাইন কয়, কি কর মিয়া এইহানে? কথা না বাড়াইয়া কই দেও দেহি কান্ধে লই।



শাঁখারী বাজারের এদিকে গিয়াই দেহি বিশাল জ্যাম। টেরাক টোরাক লইয়া লোকজন রওনা করছে পুরাণ ঢাকার চিপা গল্লি দিয়া। লোকজন সব খাড়াইয়া গ্যাছে আগাইতে না পাইর্যা। আমি আরো 3 জন রাস্তার পাশে একটা স্বর্ণের দোকানের সামনে খাড়াইয়া রইছি, কাঠামের লাহান। হঠাৎ আমার চোখ পড়লো উপরে।



বড়ই সৌন্দর্য। উপর থাইকাও দেহি টাংকী ভালোই চলতাছে। সমানে চালাইলাম... সাপোর্টিং ও আছিলো ভালোই। এর মাঝে স্বর্ণের দোকান থাইক্যা এক চাচা মিয়া আইসা কয়, "এইহানে খাড়াইয়া কী করেণ? মা'র গাড়ি ধইরা না গিয়া খাড়াইবেন।" যতোই বুঝাই আমরা ভালা পোলা, টাংকী কী জিনিষ চিনি ই না, হালার বুইড়া হুনলোই না। দিলো খেদাইয়া।



মনের দু:খে আইয়া রাস্তায় খাড়াইলাম আবার। এদিকে চলতাছে যা চলোনের। হালার বুইরা অহন কী কইবা? - - এই পর্যন্ত ঠিক ই আছিলো, বাস্তব উপাখ্যান।



হঠাৎ ই দেখি মাইয়াডা নাইমা আইতাছে, আমার রক্ত হীম হওয়া ধরছে। দূরে থাইক্যা বহুত কিছুই করণ যায় মাগার সামনে আইলে সিংহের ও বুক কাঁপে পয়লা পরথম। তাই হইতাছিল আমার। ঠিক করতাছি কী করুম, কী কমু না কমু, কোন জায়গায় পয়লা ডেট টা হইবো এইসব....।



হঠাৎ ই আমার বেসুরা ফোনটা ক্যান ক্যান কইরা সুমধুর স্বরে চেঁচাইয়া উঠলো। দপ্তরের কাম বাড়িতে বইয়া করতে গিয়া ঘুমাইছি ই ঘন্টা খানেক হয়। এই নিশী রাইতে আবার কেডা জ্বালাইতে ফোন করলো?



হাত বাড়াইয়া, চোখ বুইনজাই ধরলাম। "হ্যালো..."

কোন কথা নাই, দ্্বিতীয় বার হ্যালো, হের পর কথা হুনলাম। অপরিচিত না। ভাবলাম কেউ হয়তো শয়তানী করতাছে। উত্তর আইলো, "আছেন ক্যামন, কী স্বপ্ন দেখতাছিলেন !" আমি কই হালার খাজুরা আলাপের আর টাইম পাওনা, আছই ক্যামন!



ক্যাডা আপণে?

আমি, শোধ নেবার লাইগ্যা ফোন করলাম।



আমি চিন্তা কইর্যা পাইতাছি না কার বারা ভাতে ছাই দিছি আমি যে শোধ নিতে এই রাইত বিরাইতে আমার এতো সুন্দর স্বপ্নের চৌদ্দটা বাজায়া দিলো। একবার পাইলে হইতো, বুঝাইতাম মজা কারে কয়। অহনো ধরবার পারতাছি না ক্যাঠা।



অই পাশ থাইকা কয়, হোনেন, আপনের ঘুম ভাংছে না? এইবার রাইখা দেই!



আমি কইলাম মিয়া অহনো যে গাইল পারি নাই আপনের কপাল ভালা। হুইন্না দেহি ব্যাটা খুশী ই হইলো। কয় দ্যান দেহি কয়েকটা গালি।



আমি তো পুরা ফাঁপড়ে। হারা জীবন মাইনষেরে আমি ভড়কাইয়া গেলাম আর আইজকা দ্্বিতীয় বারের মতো নিজেই ভড়কাইয়া গেলাম?



গালি তো দিবার পারলাম না। মাগার মনে মনে ঠিক ই কইলাম, "ছালা গালি কি গাছে ধরে যে ঝাকি দিবা আর টুপটুপ কইর্যা পড়বো"?



সর্ব সাকুল্যে দেড় ঘন্টা ঘুমাইয়া কামে যাওনের সময় অনেক কষ্ট কইরা মনে কইরা বাইর করলাম পাবলিক টা ক্যাডা যে আমার সুইট ড্রীম ডারে বিটার বানাইয়া দিছে...।



ঈমানে কইতাছি, রাগ লাগলেও ভালাই লাগছে পরে। কারণ নেক্সট শোধটা আমি লমু.... টাইম মতো। তহন বুঝবো চান্দু মজা, কত ধানে কত চাইল হয়!

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৮:৩০

হযবরল বলেছেন: ছালা তোর লগে আমার মিল আষে দেখা যায়। আমি দুগ্গা পূজা নিয়া লিখতে আছিলাম , তুই ও ঐ টপিকস আনলি , সাথে যথারীতি ........। ভাল হইছেরে।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৮:৪৭

অতিথি বলেছেন: আপনি এভাবে বাংলা লিখেন কেন? প্রথমে ভেবেছিলাম আপনি মেয়ে, কিন্তু লেখা পড়ে মনে হচ্ছে ছেলে। কোনটা সত্যি?

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৮:৪৭

অতিথি বলেছেন: লা জওয়াব!

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৮:৫৪

ঝরা পাতা বলেছেন: মাগার লোকডা কেডা?

৫| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:২৮

কনফুসিয়াস বলেছেন: ঠিক, লোকডা কেডা?

৬| ২৮ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৩০

অতিথি বলেছেন: ছি!! তুই গালিও দিবার পারস না...তুই কোনো কামের ই না

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ২:২৮

অতিথি বলেছেন: হা হা হা হা হা।
গালির এমন চানস ফালাইলেন, আপনে মিয়া আসলেই কামের না। জার্মান ভাষায় গুডুং ফুটুং করলেও তো মুখ রক্ষা হইত। তয় মানুষটা কে? লোক নাকি আরেক ফুলি বেগম? শোধাশোধির ব্যপার শুনতেসি, রাতের বেলায় মানুষকে ফোন কইরা জ্বালান নাকি? আপনে মানুষটা সুবিধার না! তয়, সেই ভদ্রলোক/মহিলার খুব অন্যায় হইছে আপনার ফার্স্ট ডেইটের চানস থেকে টাইন্যা নামায়...

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ২:৫৬

অতিথি বলেছেন: ছবিটা কি অমাবস্যার চাঁদের?

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ ভোর ৫:৫১

কালপুরুষ বলেছেন: ধুসর ,
বহুত বাচা বাইচা গেছো । ভগবান তোমার ভালা করুক। চেহারা সুরত ভালা হইলে কোন পোলার সাহস নাইক্কা পুরান ঢাকার গলির মইদ্যে থাইকা লজিং মাষ্টারি ছাড়া বাইর হয়া আহে। পুজার গেনজামের লাইগা বুইড়া বেটা বাড়ির ভিতরে ডাকে নাই। নাইলে খবর আছিল। ইমানে কইতাছি তুমি 'চালমান খান' হয়া এউগা 'ওইছ্যোরিয়া' পাইলেও পাইতে পারতা। আমার ঢাকাইয়া দুই মামা দুইডা বউ এমতেই বা(ভা)গাইছিল। আমি ডরে 'সা(শাঁ)খারী বাজার গলির মুখে না হাইন্দা দূর থাইকা সূতা মাজন আর গুড্ডি দেখতাম।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৮:৩০

শাহানা বলেছেন: ঢাকাইয়া ভাষার কদর বাড়ছে, তবে এতে গালি দিয়ে যেমন শুখ তেমনি কৌতুক করতে, পারলে ঢাকাইয়া ভাষায় কারো কাছ থেকে কৌতুক শুনে দেখবেন।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১০:৪৬

অতিথি বলেছেন: গল্পের মাঝে ঢাকাইয়া ভাষাটা ভালো লেগেছে। এ ভাষার আলাদা একটা আকর্ষণ আছে।
আপনার গল্পের সাবলীলতা মুগ্ধ করে।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১০:৫২

অতিথি বলেছেন: তা আর বলতে হ্যাফাজার্ড দাদা, লিখে ফালান দূগ্গা পূজা নিয়া।
হায়রে মোচড়ামোচড়ী, আমার নাম নিয়াও ত্যারিবেরী?

পাবলিকের রস আছে অনেক, ভাবটা এমন যে ধুসর গোধূলির আশে পাশের সবাইরেই চিনে, 'খালি নামডা কও চিন্যা ফালামু'।

স্বরহীন দিদি আপনি কি কমপ্লিমেন্ট করলেন নাকি অন্যকিছু? আগে তো হুনতাম পোলাপাইন কানের ওযু করাইতো আমাগো কথা হুইনা, আর আচনে কিনা আমারে পুরা অ-কামের বানাইয়া দিলেন?

হেহ হেহ হেহ: আস্তমেয়ে, জার্মান ভাষায় গুটুং ফুটুং করার আগে আমার নিজের তো জানা লাগবো নাকি? কইলাম আর আসমান থাইকা আইসা পড়বো নাকি। অন্যায় হইলে কি আর সেই মানুষটা আমারে টাইন্যা নামাইতো, আপনেই কন!
জ্বালাইনা অহন জ্বালামু ঠিক করছি, কারণ আমি মানুষটা আসলেই সুবিধার না!

নাহ এটা অমাবস্যা না, খোমাবস্যার ফটুক।

ঠিক শাহানা, ঠিক। তবে কৌতুক হুনছি ও করছি ও। হুনবেন দুয়েকটা?

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৯:৫৬

শাহানা বলেছেন: নাহ, মুড নাই এখন।

১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৩২

অতিথি বলেছেন: শেখ জলিল, বিশ্বাস করেণ আপনের লগে কোলাকুলি করতে ইচ্ছা করতাছে। লোকজন অবশ্য নানান কথা কইতে পারে, তাই ক্ষ্যামা দিতে হইলো!

হ, মুডের গাড়ি চালু হইলে জানাইয়েন শাহান আফা। তখন আমার মুড থাকলে চান্দের দিকে রওনা দিমু নে!

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ১০:৪৬

হযবরল বলেছেন: এখনো কি বাথরুমে বসে আছেন দাদা।
বের হলে একটা বাড়ি দিবেন রাতে কথা বলুম নে।

১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১১:৫৬

অতিথি বলেছেন: তুমি হালায় দারুণ লিখছো। মাগার লোকটা / মাইয়াটা কেঠা? চিনুমনা হেইডা ঠিক, তয় নাম পরিচয় হুদ্দাই দিতা! যাউক গা হালায়! লেখাটা ভালোই হইসে।

১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১১:৪৯

অতিথি বলেছেন: অন্ধকার ভাই, আন্ধারে থাকতে থাকতে কূপি বাত্তির কথা ভুইল্যা গেলেন?
"পরিচয় পরে হইবো, আগে টিনের বাক্সে 12 টেকা"। আগে ট্যাহা লন, হের পরে কমু পাবলিক কেডা!

১৮| ৩১ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ১১:৫৮

পথিক!!!!!!! বলেছেন: আবেব ওই মিয়া জব্বর লিকচেন কইলাম।

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১২:১৯

অতিথি বলেছেন: থ্যাংকু পাসার বাই (বাশার ভাই ও হইতে পারতো)

২০| ৩১ শে জুলাই, ২০০৬ দুপুর ১:০২

অতিথি বলেছেন: হ

২১| ২৩ শে জুলাই, ২০০৭ দুপুর ২:৪৫

ধুসর গোধূলি বলেছেন: ৫১ হপ্তা আগের একটা পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.