নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (পঞ্চমাংশ)

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৪


আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (চতুর্থাংশ)
আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (তৃতীয়াংশ)
আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (দ্বিতীয়াংশ)
আত্মস্মৃতি: কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায় (প্রথমাংশ)
চতুর্থ শ্রেণিতে সমাজবিজ্ঞান পড়াতেন হালিম স্যার। খুব বদরাগী স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। পড়া না পারলে বেদম পেটাতেন। এমন মার মারতেন যে, পিঠে দাগ পড়ে যেত। এক সপ্তাহ পর্যন্ত ব্যথা থাকত শরীরে।

প্রতিটা অধ্যায়ের নামে একটা করে ছন্দ মেলাতেন তিনি। যেমন কোনো এক অধ্যায়ে ছিল লালবাগ কেল্লা। হালিম স্যার বলতেন, “লালবাগের কেল্লা, যা করে আল্লাহ।” এ কথা দিয়ে তিনি বোঝাতে চাইতেন ক্লাসে পড়া না পারলে কারও আর রক্ষে নেই। উনার ভয়ে সবাই তটস্থ থাকতাম। আর কারও পড়া পারি আর নাই বা পারি, এই স্যারের পড়া সবার আগে পড়ে যেতাম।

পড়লেও যে সবসময় পড়া পারতাম, তা কিন্তু না। এত এত পড়া দেওয়া হতো যে, ছোটো মগজে এত ধরত না। নয়-দশ বছরের বাচ্চা কি এক মণ ধান মাথায় নিতে পারে?

পড়া না পারলেই মার আর মার। পিটিয়ে একদম তক্তা বানিয়ে ফেলা হতো। আমাদের তখন কিছু করার ছিল না। কোনো দোষ না করেও কতদিন যে মার খেতে হয়েছে, তার হিসেব নেই! যেদিন পড়া কম কম শেখা হতো, মনে মনে আশা করতাম স্যার যদি না আসতেন! ছোট্ট মন স্যারের মৃত্যুও কামনা করত।

ক্লাসের পড়ার পাশাপাশি পরীক্ষার খাতা যেদিন দেওয়া হতো, আমাদের জানে পানি থাকত না। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। আমরা সেদিন শোকদিবস পালন করতাম। স্যার প্রতিটা লাইন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন। একটা-দুটো বানান ভুলের কারণেও আমাদের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যেত।

পঞ্চম শ্রেণিতে এই স্যার বাংলা নিলেন। ততদিনে আমি জড়তা কাটিয়ে ওঠেছি প্রায়। ভালো নম্বর পাই এই স্যারের পরীক্ষায়। হাতের লেখাও ঝরঝরে হয়ে গেছে। পঞ্চম শ্রেণি শেষ করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ওঠলাম। ততদিনে আমার আরও উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আমার ভয় তখনও পুরোপুরি কাটেনি। মনে হতো এই বুঝি স্যার মারতে তেড়ে এলেন।

এক মেয়ে, খুব সম্ভব শিল্পী নাম; একদিন ক্লাসে পড়া পারেনি। ইংরেজি স্যার (দ্বিজেন) বললেন, যে কাল থেকে পড়া শিখে আসবে না, তাকে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হবে। সেই মেয়েকে আর কখনও স্কুলের আশপাশে দেখিনি। এই ঘটনার কয়েকবছর পর একবার তার সাথে দেখা হয়েছিল আমার। দেখি তার সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে শাখা। কোলে বাচ্চা নিয়ে কোথাও যাচ্ছে সে।

কয়েকটা ক্লাস বাদে বাকি ক্লাসগুলো আরামদায়ক ছিল অবশ্য। পরীক্ষায় নম্বরও ভালো আসত। আমরা উৎসব উৎসব অনুভূতি নিয়ে ক্লাস করতাম। আর টিফিন পিরিয়ডে খেলাধুলো করতাম।

ঝড়-বাদলের দিনে কাকভেজা হয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরতাম। বইগুলো পলিথিনে মোড়ানো থাকত। কী যে আনন্দ হতো তখন! কখনও কখনও বাড়ি ফেরার পথে ছেলেরা সদলবলে পুকুরে সাঁতার কেটে গোসল সেরে নিতাম। একবার পুকুরে গোসলে নেমে প্রায় ডুবে যাচ্ছিলাম। পাশের বাড়ির এক ভাবি আমাকে টেনে পাড়ে তু্লেছিলেন।

ষষ্ঠ গেল, সপ্তম গেল। অষ্টম শ্রেণিতে উঠার পর একবার স্কুল থেকে বনভোজনে গেল। হাতে টাকা দিলেও মা আমাকে যেতে বারণ করলেন। উনি চাচ্ছিলেন না আমি এলাকার বাইরে কোথাও যাই। আমাকে নিয়ে ভয়ে থাকতেন। প্রচণ্ড মন খারাপ হলো আমার। তবে আশা পূর্ণ হয়েছিল দুই বছর পর; এসএসসির টেস্ট পরীক্ষার পর আমি অনেকের সাথে বনভোজনে গিয়েছিলাম। সেবার মা আর বাধা দেননি।

ভোরবেলা কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে দ্বিজেন স্যারের কাছে ইংরেজি প্রাইভেট পড়তে যেতাম। আরও সহপাঠীরাও আসত। দ্বিজেন স্যারের পাশের বাড়িতে সজল স্যারের কাছে পড়তাম গণিত। পড়া শেষ করে ১৫-২০ জন ছেলেমেয়ের দল একসাথে স্কুলে পৌঁছতাম।

মনে পড়ে স্কুলে বোর্ডিং বাসের কথা। অষ্টম শ্রেণিতে উঠার পর পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সবাইকে বোর্ডিংয়ে উঠতে হলো। জীবনের প্রথম রাত বারোটা-একটা পর্যন্ত পড়ালেখা করা শুরু করি। বড়ো ভাইদের সাথে রাতে-বিরাতে ঘোরাঘুরি করি। বৃহস্পতিবার হলেই গানের আসর বসে। নাটক মঞ্চস্থ হয়। আরও কত কী! দশম শ্রেণিতে উঠার পর আবারও বোর্ডিংয়ে উঠতে হয়। এবার আমরাই বড়ো ভাই। জুনিয়র ছেলেদের নিয়ে কত আনন্দ উদ্যাপন!

দশম শ্রেণিতে উঠার পর একবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাই। টেস্ট পরীক্ষার মাসখানেক আগে আগে। তখন স্কুলে অনুপস্থিত হলে দশ টাকা করে জরিমানা দিতে হতো। আর মারধর তো আছেই। পরপর তিন দিন অনুপস্থিত ছিলাম আমি। আমি নিশ্চিত ত্রিশ টাকা জরিমানা দিতে হবে আর ন্যূনতম ত্রিশটা বেত্রাঘাত সহ্য করতে হবে।

কী করি, কী করি! টেস্ট পরীক্ষার তো আর বেশিদিন নেই। আপাতত বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতে শুরু করি। এরপর একেবারে টেস্ট পরীক্ষার সময় স্কুলে গিয়েছিলাম।

কয়েকমাস কোচিং চলে। স্কুলের স্যারেরাই পড়ান। মাঝেমধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর একদিন স্কুলজীবন শেষ হয়ে যায়। আমরা মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি, উত্তীর্ণও হই। পেছনে পড়ে থাকে আনন্দ-বেদনার দিনগুলো।

চলবে...

ছবিঃ প্রতীকী

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩২

শায়মা বলেছেন: সুন্দর স্মৃতি বিজড়িত!!! :)

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: হয় :|

২| ২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪২

করুণাধারা বলেছেন: একবারে মাধ্যমিকে পৌঁছে গেলাম! মাঝে কোনো পর্ব মিস করেছি। খুঁজে নিয়ে পড়তে হবে।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আগের পর্বটা পড়েননি মনে হয়। ওপরে লিঙ্ক আছে।

২৪ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৫৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এই পর্বটাও হয়তো মিস হয়ে গেছে।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ১২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,



আমাদের ছোটবেলায়ও আমরা স্কুলের অনেক বাঘা বাঘা স্যারের মৃত্যু কামনা করেছি, তাদের পড়া ধরার যন্ত্রনায় আর বেতের আঘাত থেকে বাঁচতে।
তবে তাদের কাছ থেকেই কিন্তু শিখেছি অনেক।
একটা ঘটনার কথা বলি - বরিশাল জেলা স্কুলে তখন ক্লাশ ফোর কি ফাইভে পড়ি। টিফিন বিরতির পরে হেড - মৌলভি স্যারের ক্লাশ। আমি সব সময়ই সামনের বেঞ্চের ছাত্র। স্যার আমাকে দাঁড় করালেন। জিজ্ঞেস করলেন, " কিরে তোর বাবা কি বাসায়?" স্যার আমার বাবার বন্ধু। তাই হয়তো আমার কাছে জানতে চাইছেন, আমার বাবা বাসায় আছেন কিনা। স্কুলের পাশেই আমার বাসা। তাই টিফিন পিরিয়ডে বাসা থেকে খেয়ে আসি। আজও এসেছি। বাবাকেও দেখে এসেছি তিনি বাসাতেই আছেন। তাই স্যারের জিজ্ঞাসার জবাবে বললুম , "হ.. স্যার বাসায়।" স্যার আবার জিজ্ঞেস করলেন, " কিরে তোর বাবা কি বাসায়? অবাক হয়ে আমি আবারও বললুম - "হ.. স্যার বাসায়।" স্যার আবারও জিজ্ঞেস করলেন, " কিরে তোর বাবা কি বাসায়? ভাবলুম ঘটনা কি! আমি তো সত্য কথাই বলেছি তাহলে স্যার কি আমাকে বিশ্বান করছেন না! তারপরেও ইতস্তত করে একই জবাব দিলুম _ "হ.. স্যার বাসায়। এভাবে স্যার আরো বার দুয়েক একই কথা জিজ্ঞেস করলেন আর আমিও বিরক্ত হয়ে ক্রমাগত স্বর চড়িয়ে একই জবাব দিয়ে যাচ্ছিলুম- "হ.. স্যার বাসায়-ই তো।
স্যার প্লাটফরম থেকে নেমে এলেন। বাম হাতে আমার সামনের চুল আঙুলে পেঁচিয়ে টেনে ধরে আবারও জিজ্ঞেস করলেন , " কিরে তোর বাবা কি বাসায়? ব্যাথায় আর আমার কথাকে অবিশ্বাস করার দুঃখে চোখে পানি এসে গেলো। কাঁদো কাঁদো গলায় আবারও বললুম - "হ.. স্যার বাসায়-ই তো" উত্তর শেষ হতে পারেনি স্যার ডান হাত দিয়ে সজোড়ে আমার বাম গালে বিরাশি সিক্কার এক চড় বসিয়ে দিলেন। পৃথিবী অন্ধকার হয়ে এলো।
আমি ধাতস্থ হতে বললেন, " কিরে? কিরে? "জ্বী" বলতে পারিস না ? এই চাষাঢ়ে "হ" বললি ক্যন ?"
বুঝতে পারলুম "ইয়েস" কে বরিশালের কথ্য ভাষায় আমরা "হ" বলি, সেটাতেই স্যারের আপত্তি। স্যার চুল টানতে টানতে আবারও জিজ্ঞেস করলেন , " কিরে তোর বাবা কি বাসায়? এবার আর ভুল হলোনা। বললুম , জ্বী স্যার বাসায়।"
সেই থেকে আজ অব্দি আর "হ" শব্দ আমার মুখ থেকে বের হয়নি। :(

২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আমার একটা ঘটনা মনে পড়ল। এখানে উল্লিখিত স্যারের সাথেই ঘটনা। পরীক্ষার খাতা দিয়েছেন। টেবিলে পড়ে আছে। সাহস করে আনতে পারছিলাম না। দ্রুত গিয়ে বাম হাতে যেই খাতাটা নিলাম, স্যার হাতে ঠাস করে বাড়ি মারলেন। বুঝতে পারলাম বাম হাতে কোনো কিছু নেওয়াটা ঠিক না। এরপর থেকে বাম হাতে জীবনে আর কারও কাছ থেকে কিছু নিইনি, দেইওনি।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ২:১৫

নগরবালক বলেছেন: এরা শিক্ষক নন, শিক্ষকের নামে মানুষ রূপী অমানুষ। এদের শাস্তি হওয়া উচিত ।

২৫ শে জুন, ২০২৪ সকাল ৮:২৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখনকার কাহিনী শুনলে আরও অবাক হবেন। আমাদের গ্রামের কাউকে উপবৃত্তি দেওয়া হয় না। স্কুল থেকে কোনো সহায়তা পায় না। পাশের গ্রামের লোককে বানানো হয়েছে স্কুল কমিটির সভাপতি। শিক্ষকতা যে একটা মহান পেশা আমরা ভুলতে বসেছি।

৫| ২৫ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চলতে থাকুকু স্মৃতিসময় দিনের অধ্যায় লিখন।

২৫ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অল্প অল্প করে লিখছি। এডিট করে আরও যোগ-বিয়োগ করতে হবে।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

ইসিয়াক বলেছেন: নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় আমরা দুই ভাই বোন একদম নিঃসহায় হয়ে পড়েছিলাম।বাধ্য হয়ে গ্রামে যাই সেখানে স্কুলে ভর্তি হলেও স্কুলে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। দুজনের খাবার জোগাড় করতে করতে প্রাণ বের হয়ে যেত। সারাদিন কাজ শেষে রাতে একটু শান্তিমত ঘুমাতে পারতাম না বদমাশ ছেলেদের অত্যাচারে। অনেক রাত অবধি ওরা আমাদের নানারকম ভাবে ত্যক্ত বিরক্ত করতো।আমার ছোট্ট বোন ভয়ে খাটের নিচে কুলার ( মাটির বড় চাল / চালের গুঁড়ো রাখার পাত্র) আড়ালে লুকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়তো।আর আমি পাহারায় বসে ঢুলতাম। এ পৃথিবীর কিছু কিছু মানুষ খুব খারাপ, খুব খারাপ। এস এস সি পরীক্ষা দিয়েছিলাম ঠিকই তবে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে।চার সাবজেক্টে লেটার নিয়ে ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছিলাম।

২৬ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কঠিন জীবন! এই সময়টায় আপনার মা কোথায় থাকতেন?

৭| ২৫ শে জুন, ২০২৪ রাত ১০:০০

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই সুন্দর সুলিখিত পোস্টটি মোবাইল থেকে আগেই পড়েছিলাম। মন্তব্য করতে কিছু দেরি করে ফেললাম।

কোনো রকম ফেল টেল না করে একেবারে সফলভাবে সব পরীক্ষায় পাশ দিয়ে আপনি কিন্তু আমাকে আপনার সাহিত্যিক ক্যারিয়ার নিয়ে কিছু চিন্তার মধ্যে ফেলে দিলেন। :) যদিও এটা ঠিক পূর্বশর্ত নয়, তবে সাহিত্যিক ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার জন্য দু-চারটি ফেল বোধহয় দরকারি ছিলো, নয় কি?

অনেকদিন আগে তলস্টয়ের জীবনী পড়েছিলাম "শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য" এরকম বইটার নাম। তার শেষ অধ্যায়টা ছিলো "আমি পরীক্ষায় ফেল করলাম" এই শিরোনামে। ভদ্রলোক বোধহয় ল্যাটিন বা এরকম কোন এক বিষয়ে ফেল মেরেছিলেন। পড়ার সময় নিজের জীবনের সাথে কিছু মিল খুঁজে পেয়েছিলাম, কেন না আমিও কয়েকবার আরবী পরীক্ষায় ফেল করেছিলাম!

যাক, অনেক অনেক শুভকামনা।

২৬ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গণিতে কখনও ভালো করতে পারতাম না। টেনেটুনে পাশ করতাম। বাকি বিষয়গুলোতে ভালো হতো। হাইস্কুল-কলেজ মোটামুটি ভালো যায়। ধরা খাই গিয়ে অনার্সে।

৮| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগের দিনের অনেক শিক্ষক খুব নির্দয় ছিল। এদের শিক্ষক বানানোই ঠিক ছিল না। ক্লাস ফোরে যখন পড়ি তখন পাশের শাখার একটা ছেলেকে মেরে অজ্ঞান করে ফেলেছিল এক শিক্ষক। এগুলি শিক্ষক না অমানুষ।

আরও আগে গুরু ট্রেনিং বলে একটা জিনিস ছিল। ক্লাস ফাইভ পাস করে কেউ এই ট্রেনিং নিলে শিক্ষক হয়ে যেত। এটাকে অনেকে গরু ট্রেনিং বলতেন।

২৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখনও স্কুল-মাদ্রাসায় এমন নির্মম ঘটনা ঘটে।

৯| ২৯ শে জুন, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্কুলে সামান্য কারণ আমাদেরকে কত যে মার খেতে হত তার হিসাব নাই। কিছু কিছু স্যার ছিল মূর্তিমান আতঙ্ক। কয়েক জন ছিল স্যাডিস্ট টাইপের। এই কালচার এখন শুধু মাদ্রাসায় আছে। মাদ্রাসার কিছু হুজুর আরও ভয়ংকর। এদের মধ্যে দয়া মায়া নাই। এরা বলে এরা রসূলের (সা) সুন্নাহ অনুসরণ করে। কিন্তু আমাদের রসূল (সা) কোন দিন কোন বাচ্চাকে মার তো দূরের কথা বকা পর্যন্ত দেননি।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:১৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আসলে নিজের পরিবারের কারও সাথে না ঘটলে লোকে ভয়াবহতা অনুধাবন করতে চায় না। সবারই বোধোদয় হোক। অন্যায়কারীদের শাস্তি হোক; এটাই চাওয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.