![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহবাগ এখন একটি প্রতীক। কেউ যদি মনে করেন, শাহবাগে যারা আসছে ওই তরুণরাই শুধু জেগেছে। কেবল তারাই ৪২ বছর পরে আবার ’৭১-এর চেতনায় এক হয়েছে। তাহলে ভুল করবেন তিনি। ’৭১-এর চেতনায় জেগেছে পুরোদেশ। ইতিহাসের এই প্রত্যাবর্তন ছিল অনিবার্য। এখান থেকে যে দল বা ব্যক্তি শিক্ষা না নেবে ওই দল বা ব্যক্তির ধ্বংস নিশ্চিত। যেমন ’৬৯ ও ’৭১-এ ঘটেছে। অনেক দল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কারণ তারা ওই চেতনার সঙ্গে এক হতে পারেনি। অনেকে শাহবাগ প্রতীকের এই স্বাধীনতার স্বপক্ষ তারুণ্যের নেতা ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন। তাঁরা বলছেন, তিনি এখন জাতিকে নির্দেশ দিচ্ছেন। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন, গণতন্ত্রে জনগণ দেশের মালিক। দেশের জনগণ এক হয়েছে। জনগণের কোন নেতা তো নির্দেশ দিতেই পারে। কেন ’৬৯-এর রাজপুত্র তোফায়েল আহমেদ নির্দেশ দেননি? তাঁর ইকবাল হল থেকে আসা নির্দেশে জনগণ পরিচালিত হয়নি? যাঁরা ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছেন তাঁরা জামায়াত-বিএনপির মিডিয়া ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বা সাংবাদিক। অবশ্য বেগম জিয়ার সিঙ্গাপুর থেকে এসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে দেয়া বিবৃতি ও জামায়াতের হরতালের সমর্থনে আরেকদিন হরতাল ডাকার পরে বিএনপিকে আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বলার কোন উপায় নেই। এটা বাংলাদেশ জামায়াতীবাদী দল। তাই মূল জামায়াত ও জামায়াতীবাদী দল এখন ইমরান এইচ সরকারকে নিয়ে ব্যঙ্গ করছে। বেগম জিয়ার মুখপাত্র রিজভী তাদের বলেছেন, বিপথগামী তরুণ। অন্যদিকে বেগম জিয়া নিজে বলেছেন, সরকার এই আন্দোলন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর প্রগতিশীল আন্দোলনের ইতিহাস যাঁরা জানেন তাঁরা সকলেই জানেন, যে কোন আন্দোলন শুরু হয় কোন একটি স্ফুলিঙ্গ থেকে। কিন্তু বারুদ প্রস্তুত থাকে বলেই গোটা দেশ দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। কাদের মোল্লার রায়টি সেই স্ফুলিঙ্গ মাত্র। দেশের তরুণ সমাজ দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রবাহিত করার যে দায় ওই দায় মেটানোর জন্য সকলে প্রস্তুত। তাই মুহূর্তে পারমাণবিক বোমার মতো এটা ছড়িয়ে গেছে শিশু থেকে বৃদ্ধ, রিকশাওয়ালা থেকে সমাজের উচ্চ স্তর অবধি। আজকের এই তরুণ প্রজন্ম প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রবাহিত করার জন্য প্রস্তুত। তাদের এই প্রস্তুতি দেখে এটা স্পষ্ট হওয়া যায়, ক্ষমতায় যেই থাকুক না কেন এ সময়ে এ কাজে তারা নেমে আসত। আর তরুণরা যখন দেশকে মা বলে ডেকে দেশের প্রয়োজনে দেশকে সঠিক ধারায় প্রবাহিত করার জন্য নেমে আসে তখন ক্ষমতায় থেকেও তাকে রুখে দেয়া যায় না। যার প্রমান ৮৯ তে আমরা দেখেছি। আজ দেশে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে বা যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে এটা সময়ের দাবী। এবং এটাও ঠিক যে বেগম জিয়া ও তাঁর মূল দল জামায়াতে ইসলামী তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এর বিপরীতে যুদ্ধ করবেই। তারা ধর্মের নামে মিথ্যে গুজব রটিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। দেশের সৌভাগ্য এই তরুণ প্রজন্ম যখন তাদের মায়ের শরীরে যে সামান্য কুষ্ঠব্যাধি আছে সেটা সুস্থ করার জন্যে নেমেছে তখন রাষ্ট্রের ক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জোটটি। তাই এখন এই তরুণ প্রজন্ম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার জোটটির সময় এসেছে শক্তহাতে শত্রুদের মোকাবিলা করার। শুধু মোকাবিলা নয়, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার সময় এখন। শত্রুরা তাদের শক্তির সর্বোচ্চ ইতোমধ্যে প্রয়োগ করেছে বা করে চলেছে। তাদের সংঘবদ্ধ শক্তি প্রায় শেষ। এখন তারা বিচ্ছিন্ন নাশকতায় যাবে। এখন কারো আর মাঝখানে থাকার সময় নেই। যারা এখনও বুকে একটু হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন। যারা ঘৃণা করেন জামায়াত- শিবির নামক এই ঘৃণ্যজীবকে। তাদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাঁদের আরও এগিয়ে আসতে হবে। এখান থেকে এক পা পিছানোর কোন সুযোগ নেই। বরং শত্রুকে সঠিক পথে দমন করাই সঠিক সেনাপতির কাজ। জনগণ বিশেষ করে আগামী দিন যারা এ দেশের সব কিছুর দায়ভার নেবে সেই তরুণ প্রজন্ম এখন দেশকে রাজাকারমুক্ত করতে জীবনবাজি রেখে নেমেছে। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি এই বাংলার মাটিতে আর নয়। তার জন্যও এখন সিদ্ধান্ত নেবার চূড়ান্ত সময় এসে গেছে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক অধিকার থাকবে কি থাকবে না? গত সাত দিনের বেশি সময়ে তারা যা করেছে এর পরে “জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প থাকতে পারে না।”
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
সমকালের গান বলেছেন: সহমত। যেকোন মুল্যে এখনই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।