![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বিএনপি এর একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। দলের অন্তঃকোন্দলে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেও লাজ শরমের মাথা খেয়ে আবারও ফিরলেন সেই বিএনপি নামের বিধ্বংসী রাজনৈতিক দলে। বিএনপি জোট সরকারের পাঁচ বছরের শাসনামলে দুর্নীতিতে ফার্স্ট হয়েছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী এই ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মন্ত্রী থাকাকালে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরে টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি, বদলি বাণিজ্য, কমিশন গ্রহণ সবই হয়েছে প্রকাশ্যে। এ নিয়ে পত্র-পত্রিকায় অসংখ্য রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও সরকারের ভেতর অত্যন্ত দাপুটে বলে খ্যাত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কিছুই হয়নি। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন যতগুলো বিভাগ ও দপ্তর আছে তার মধ্যে অন্যতম হল সড়ক ও জনপথ (সওজ)অধিদপ্তর। বিএনপির পাঁচ বছর সওজ তে এমন কোন অপকর্ম নেই যা হয়নি। সাবেক মন্ত্রীর এক ভাই এসব অপকর্মে নেতৃত্ব দিতেন। জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সওজ তে শুরু হয় বদলি বাণিজ্য। পাঁচ বছর তা অব্যাহতভাবে চলে। বদলি বাণিজ্য করতে গিয়ে ক্ষমতা ধররা বিশেষ করে প্রকৌশলীদের জন্য রেট নির্ধারণ করে দেন। যেমন একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে তার পছন্দের স্থানে বদলি হতে লাগত ৫০-৭০ লাখ টাকা, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ২০-৪০ লাখ টাকা, সহকারী প্রকৌশলী ১০-১৫ লাখ টাকা ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী ৫-১০ লাখ টাকা। প্রকৌশলীদের বদলির এই রেট সওজ তে ওপেন সিক্রেটে পরিণত হয়েছিল। তখন বদলি বাণিজ্যের সিংহভাগই গেছে সাবেক মন্ত্রীর ভাই কামরুল হুদার পকেটে। জানা গেছে, জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার মাত্র কয়েকদিন আগে সওজ এর উন্নয়ন কাজের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা অবৈধ ক্ষমতা খাটিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেকই নিজ এলাকা সওজ’র মুন্সীগঞ্জ ডিভিশনে নিয়ে যান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নাজমুল হুদার ওই অন্যায় আবদার বাতিল করা হয়। শুরু হয়ে যায় তার ক্যাডার বাহিনীর দৌরাত্ন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তেমন কোন সুযোগ তৈরী করতে না পেরে তার পূর্বের দুর্নীতি, লুটপাট, টেন্ডারবাজী ধরা ছোয়ার বাইরে রাখতে সুকৌশলে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না দলবাজি, দুর্নীতি, লুটপাট ইত্যাদির গন্ধ থেকে দূরে থাকতে। কথায় আছে, নরমাংসের স্বাদ যে বাঘ পেয়েছে, সে কখনও নরমাংস ভক্ষণ ছাড়া থাকতে পারে না। এ ধরনের ব্যাঘ্ররুপী রাজনীতিবিদদেরকে দলমত ভুলে ঐক্য বদ্ধ হয়ে রাজনীতিবিদদেরকে না করার অভ্যাস তৈরি করে দেশের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করার প্রচেষ্টায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই না আগামী প্রজন্ম পাবে নতুন ও সুন্দর সূর্যোদয়ের বাংলাদেশ।
২| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: একাটা অভিযোগের ভিত্তি নেই,যদিও আমার মনে হয় সে দুর্নিতি বাজ...
তারপার ও বর্তমান লীগের মন্ত্রিদের চেয় আনেক ভাল....
৩| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লীগ হোক আর দল হোক এইসমস্ত দুর্নীতি বাজের কারণে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।এদের হাত থেকে আমদের রক্ষা নাই।
৪| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: দুইদলেই ঘুষখোর মহা দুর্নীতিবাজ আছে তবে এখন আম্লীগে যা দেখছি দুনিয়াতে রেকর্ড। আড়াই হাজার কোটি টাকা চুরিকে আম্লীগের মন্ত্রী বলে এটা কোন ব্যাপারই না!
৫| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: আপনি কি আওয়ামী লীগ ভাল বলতে চাইলেন? নাজমুল হুদার নাম মনে থাকল, আবুল হোসেনের নাম ভুলে গেলেন কিভাবে?
৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
শিপু ভাই বলেছেন:
কেউই এই ব্যাপারটার বিষয়ে কিছু না বইলা হুদাই আম্লীগ্রে নিয়া ত্যানা প্যাচাইতাছে!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
সংবিধান বলেছেন: আলীগ খুব ভালা দল...সবাই লীঘ করু্ণ