![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্বাচন-পদ্ধতি পরিবর্তনের আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস ও হিংসার রাজনীতি কখনও দেশ, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। বরং তা রাজনৈতিক পরিবেশকে তামাসাচ্ছন্ন করে তোলে। তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাসী সংগঠনের সংশ্রব ত্যাগ করে উদার, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করা উচিত। সরকারের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে ঐক্যমতে এসে গণতন্ত্রকে বিকশিত করতে রাজনীতি থেকে হিংসা, হানাহানি ও সংঘাতের অবসানের মাধ্যমে একটি সহিষ্ণু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিরোধী জোটদের অবদান রাখতে হবে। জাতীয় ঐক্যমত ব্যতীত শান্তি ও সমৃদ্ধি স্থায়ী রূপ পেতে পারে না। গত পাঁচ বছর শান্তি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও সমৃদ্ধির পথে আমরা হেঁটেছি, সেই পথেই বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। দেশ গড়ায় সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের দায়িত্বহীন আচরণ দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বার বার বাধাগ্রস্ত করেছে। গণতন্ত্র নস্যাত করার ষড়যন্ত্র এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার হীন তৎপরতা দেশে কৃত্রিম বিভাজন ও সংশয় সৃষ্টি করেছে। এ প্রেক্ষাপটে বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য দেশবাসীকে সদাসতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যে পথ অতিক্রম করছে, তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে একটি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম-আয়ের দেশে উন্নীত করবে যেখানে মাথাপ্রতি গড় আয় বর্তমানের ১ হাজার ৪৪ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ৫০০ ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হবে। প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং দারিদ্র্যের হার বর্তমানে ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।
©somewhere in net ltd.