নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি....

মো: হাসানূর রহমান রিজভী

একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......

মো: হাসানূর রহমান রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত দোষ নন্দ ঘোষ!

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২১



পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের সাথে চাকুরি করেছি।কিন্তু বাঙ্গালির মত এত ঘৃণা ভরা মন আমি কোথাও দেখি নাই।আবার এত ভালোবাসা ও কোথাও দেখি নাই।এটা একটা আশ্চর্যরকম বিষয় একই মনে আমাদের দেশের মানুষ ঘৃণা এবং ভালোবাসা এক সাথে কিভাবে রাখে??

আমার তো মনে হয় বাংলাদেশের প্রতিটা মানুষের বৈশিষ্ট্য চিন্তা ভাবনা আলাদা।কারো সাথে কারো মিল নেই। একজন পছন্দ করে পাকিস্হান একজন ভারত।অন্যজন পাকিস্হান ভারত দু দেশকেই ঘৃনা করে।

নরকে বাংলাদেশি অংশে কোন পাহারাদার নেই।আমরা যাকে একবার ঘৃণা করতে শুরু করি হাজারটা ভালো কাজ করলেও তাকে আর পছন্দ করতে পারি না,কিন্তু কেন?

আমাদের এই মানুষিকতার বীজ কোথা থেকে বপিত হয়?আমরা কেন বুদ্ধি হওয়ার সাথে সাথে অন্যকে হিংসা/ঘৃণা করতে শিখে যাই?

আমরা যাকে পছন্দ করবো তাকে ভালো বলব,যাকে পছন্দ করবোনা তাকে খারাপ বলার অধীকার আমাদের নেই।হয়ত সে খারাপ কাজ করতে পারে,আমরা তখন তার গঠনমূলক সমালোচনা করতে পারি।ভূল করতে দেখলে সেই পথ থেকে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করতে পারি।কিন্তু যাকে পছন্দ করি তার ক্ষেত্রেও এসব প্রযোজ্য।

রাস্তায় পানি বাড়ল,শেখ হাসিনার দোষ,রাস্তা ভাঙল শেখ হাসিনার দোষ,ভারত ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশের সাথে জিতল শেখ হাসিনার দোষ,ভারত ব্যারেজ খুলে দিল শেখ হাসিনার দোষ,পাকিস্তান বাংলাদেশে খেলতে এলো না শেখ হাসিনার দোষ,দেশে ঘূর্ণিঝড় হলো হাসিনার দোষ,গাড়ি এক্সিডেন্ট করে মানুষ মারা গেল হাসিনার দোষ,মানুষকে মশা কামড়ায় হাসিনার দোষ,রান্নাঘড়ে সাপ উঠেছে হাসিনার দোষ।

আমরা পড়াশুনা করে সার্টিফিকেট ঠিকই পাচ্ছি,কিন্তু সঠিক ভাবে শিক্ষিত হতে পারছি না।আমাদের মধ্যে শিক্ষার আলোটা জ্বালাবে কে? কি করলে আমাদের মাঝে শিক্ষার আলোটা জ্বলতে পারে?আমাদের মনের এই সীমাহীন হিংসা ঘৃণা দূর করার উপায় কি??


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১২

ওমেরা বলেছেন: যে পরিমান প্রশ্ন ফাঁস হয় তাতে সার্টিফিকেটই পাওয়া জ্ঞানের আলো পাওয়া যায় না ।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: ধন্যবাদ ওমেরা,আমার এসএসসি পরীক্ষা যথেষ্ট খারাপ হয়েছিলো,পাশ ফেলের দোলাচলে ছিলাম।বন্ধুদের মাধ্যমে দালার শ্রেণী থেকে অফার পেয়েছিলাম টাকার বিনিময়ে বোর্ডে রেজাল্ট পরিবর্তন সম্ভব।আমি খারাপ রেজাল্ট মেনে নিয়েছি।খারাপ লাগে যখন শুনি পিএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।কারন বাবা মায়ের হেল্প ছাড়া পিএসসির প্রশ্নপত্র স্টুডেন্টদের হাতে যাওয়ার কথা না।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা তাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়েই পাকিস্তান এর পক্ষে ভাল কিছু বোঝায় তো না বরং ভারতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।

মস্তিষ্ক ধুয়ে দিলে সেখানে কিছু করার থাকে না। যেখানে নব্য রাজাকার নতুন করে জন্ম নিতে পারে। সেটা পাকি পন্থী হতে পারে। তাছাড়া বাংলাদেশে থেকে যাওয়া পাকি পন্থীদের(বিহারী) কেউ কেউ বিপদজনক মনেই করে না!!! তারা আবার বাংলার মাটিতে মিশে তাদের দল ভারী করার চেষ্টা করছে।

ক্ষমতা খুবই খারাপ জিনিস যদি সঠিক হাতে না পরে...

হিংসা ঘৃণা থেকে সব থেকে বড় ব্যাপার হল ঈমান ঠিক রাখা।

কিছু দায়িত্ব নেতা বা নেত্রীর উপর অপ্রত্যক্ষভাবে বর্তায়।

ধরুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন জনৈক মন্ত্রীকে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ভাল থাকে। সে অনুযায়ী মন্ত্রী ব্যবস্থা নিলেন। বরাদ্দ হল কাড়িকাড়ি সরকারী অর্থ যা জনগণেরই। তা দিয়ে সরকারী দলের / পক্ষের / ব্যবসায়ীর টেন্ডারবাজীতে কিছু অর্থ গায়েব। রাস্তা তৈরী হল ৫০% বা partial বরাদ্দকৃত অর্থে। সুতরাং আমরা পেলাম জোড়াতালি এক রাস্তা যার আয়ু স্বল্প!
আর দাবী করা হল উন্নত রাস্তা হয়ে, দেশ উন্নয়ন এর সাগরে ভাসছে!

ঘটনা দেখা ও জানার পরেও ঘোষনা হল নেত বা নেত্রী থেকে আজ দেশ উন্নতির পথে, উনি নির্দেশ দিয়েছেন। হচ্ছে, হয়েছে আরও হবে।

সুতরাং, এর পরে আপনার রাগ বা ক্ষোভ কিভাবে প্রকাশ করবেন? যদি আপনি নিরবতা বা ধৈর্য পালন করুন, তবুও সবাই কি একই মাত্রায় প্রকাশ করতে সক্ষম?
তখন কেউ কেউ ডালপালাকে লক্ষ্য না করে সরাসরি মূলের দিকে আঙুল দিয়ে দেখাবে।

উপরের কথাগুলি যুক্তির উপর বলা। তবে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেলে তখন বিচার বুদ্ধি লোপ পেয়ে সাপের-ঝড়ের অর্বাচীন আলোচনা করে।
----

কে কাকে কি দোষ দিল এটা আমার মতামত নয়। আমার খারাপ লাগে তখনই, যখন নিজের সুখের জন্য এই নশ্বর জীবনে অন্যকে কষ্ট দেয়। সুখ বন্টন করলে বৃদ্ধি পায়, মনে তো হয় কমে না। :)

এলাকায় নিষ্কাশন অবস্থা খারাপ, বিদ্যুৎ আসে-যায় আবার তার উপর ভোল্টেজ বাড়ে-কমে! এটা ডিজিটাল দেশ দাম্ভিকতার সাথে বলা হয়। মেয়র ১০টা বানালেও মান উন্নত হবে না। নামাজের সময় হয়ে সবাই পড়তে যায় একসাথে! পালা করে যেতে কি সমস্যা? নামাজের জন্য ছুটিটা ঠিকমত পেলেও কাজে কর্তব্যে হেলামী। সরকারী লোক দেখলেই সালাম,সাধারণ মানুষ মানে অপেক্ষা! মন চাইল যে কোন মানুষ ঢাকা শহরের যে কোন অংশকে ময়লা করছে যেভাবেই হোক। যে করছে সে যেমন সাধারণ মানুষ তেমনই কোননা কোনভাবেই এই সরকারী পক্ষের সাথে জড়িত!(হয়ত ক্ষমতায় ছিল বা যাবে উভয়ই)

আমরা যাকে পছন্দ করবো তাকে ভালো বলব,যাকে পছন্দ করবোনা তাকে খারাপ বলার অধীকার আমাদের নেই। একমত। তবে কিছু দোষ বর্তায় কোননা কোনভাবে। অতএব সত্যিকার খারাপ ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনায় দোষের কিছু নাই। তেমনি ইতিবাচক ব্যাপারগুলোও।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: জনাব রিফাত হোসেন,কষ্ট করে এত বড় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।কিছুটা আমিও বুঝি।প্রধানমন্ত্রির নির্দেশে যোগাযোগ মন্ত্রি রাস্তা তৈরী করে,চ্যালা প্যালারা লুটপাট করে।হ্যা এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রির দোষ আমি স্বীকার করলাম।কিন্তু আমার সমস্যা অন্যজায়গায়।আপনি যেভাবে বলেছেন এভাবে বললে তো আমার অভিযোগ করার কোন রাস্তা থাকে না।আপনি করেছেন গঠনমূলক সমালোচনা।কিন্তু কিছু কিছু মানুষ বলে আরো জঘন্য ভাবে।এবং শুধু বলেই ক্ষান্ত হয় না,তখন এমন কিছু মানুষের নামে টেনে আনে যাদের বিরুদ্ধে আরো গুরুতর অভিযোগ আছে।কিন্তু তাহারা সাপোর্ট করে বলেই তাদের সেই দোষ চোখে পড়ে না

জনাব রিফাত আপনার সাথে আমি একমত,সুখ বন্টন করলে বৃদ্ধি পায়।আসুন আমরা হিংসা ঘৃনা ভূলে সুখে থাকার চেষ্টা করি।আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"আমরা পড়াশুনা করে সার্টিফিকেট ঠিকই পাচ্ছি,কিন্তু সঠিক ভাবে শিক্ষিত হতে পারছি না।আমাদের মধ্যে শিক্ষার আলোটা জ্বালাবে কে? কি করলে আমাদের মাঝে শিক্ষার আলোটা জ্বলতে পারে?আমাদের মনের এই সীমাহীন হিংসা ঘৃণা দূর করার উপায় কি?? "

-আপনাকে হয়তো ১ম শ্রেণী থেকে আবার শুরু করতে হবে।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: গাজী ভাই সালাম নিবেন।

কোন প্রবলেম নাই আবার প্রথম শ্রেণি থেকেই শুরু করলাম।কিন্তু আমি তো এই শিক্ষা ব্যাবস্হা তেই প্রথম শ্রেণি থেকে পড়াশুনা করে বড় হয়েছি।আবার ভর্তি হলে তো একই ব্যাপার হবে!

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৭

মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: নকব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.