নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন তুমি এসেছিলে ভবে,কেঁদেছিলে তুমি হেসেছিলো সবে... এমন জীবন করিবে গঠন,মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভূবন......
একবার এক কলিগের পাত্রী খোজার দায় আমার উপর পড়িল। ভদ্রলোকের দ্বিতীয় বিবাহ। অফিসের আর এক কলিগের পরামর্শে ফেসবুকের একটি বৃহদাকার বৈবাহিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাকারী গ্রুপে আমাকে সদস্য হইতে হইলো। এর কারন হলো দুইটা, এক আমার ফেসবুকের আইডি পুরনো (মানুষ দাম দিবে) এবং আমি বিবাহিত, আর অপ্রকাশিত তিন নম্বর কারন হলো "এই দায় কেউ নিতে চাইছিল না। "
তো যাই হোক,আমি সেই গ্রুপে সংযুক্ত হয়ে, যথারীতি এ্যাড দেই এবং অনেকটা মজার ছলেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে না গিয়ে সংযুক্ত থাকি যেটা ছিলো আমার জীবনের অন্যতম একটি ভূল।
ঘটনার সুত্রপাত কয়েকদিন আগে (আমি দিনক্ষণ, তথ্য প্রমান হাজির করতে চাইছি না,আমার কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ অথবা ক্ষোভ নেই।শুধুমাত্র সচেতনতা তৈরী করাই আমার উদ্দেশ্য) একজন মহিলা সম্ভবত তার বন্ধুর জন্য পাত্র চেয়ে পোস্ট করে। সেই গ্রুপের জন্য ঘটনাটি খুবই স্বাভাবিক। তিনি তার পোস্টে লিখে দিয়েছেন নোয়াখালী, বরিশাল এবং কুমিল্লা'র কারো আবেদন করার দরকার নাই।ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই স্বাভাবিক লেগেছে,একজনের ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থাকতেই পারে।
এই শুরু হলো আক্রমন।এ্যাডমিন (গ্রুপের মালিক) এটা স্ক্রিন শট নিয়ে একটি জ্বালাময়ী ভাষন পোস্ট করলো (ইংরেজিতে! এতে আমরা বুঝতে পারি ভদ্রলোক এলিট ক্লাসের।) উনি আসলে বেঝাতে চাইছিলেন যে এগুলো বাদ দিতে হবে,এগুলো পোস্ট করা যাবে না। এতে ঐ অঞ্চলের মানুষের আত্মমর্যাদায় আঘাত করছে। ওকে ফাইন।এটাও খুবই স্বাভাবিক ছিলো আমার কাছে।
তো যেহেতু আমি একজন ব্লগার, ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা সন্মান করি।এখানে পোস্টকারীর এটা বলার স্বাধীনতা আছে আবার সেটা ডিফেন্ড করার স্বাধীনতা একজন সাধারন মানুষের আছে। আমি পোস্টকারীর পক্ষ নিলাম এবং বললাম এটা তার পার্সোনাল চয়েজের ব্যাপার।আমি কিছুটা প্রতিবাদ করেছি এজন্য স্ক্রিনশট পোস্ট করে মানুষকে (ফিমেল) হেনস্তা করা আমার পছন্দ হয় নাই,এটা আরো সুন্দর ভাবে করা যেত, যেমন ঐ পোস্টটা ডিলিট করে,গ্রুপের রুলস আপডেট করে সবার উদ্দেশ্যে একটি পোস্ট দিয়ে দেওয়া। কিন্তু তারা এই রাস্তায় হাঁটেননি,গোরুপের মালিক এবং মডারেটর গন নিজেদের ক্ষমতা এবং দাম্ভিকতা জহির করতে স্ক্রিনশট শহ পোস্ট দিয়ে সবাইকে সতর্ক (পড়ুন থ্রেট) করছেন, এবং মানুষের ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দের উপর হস্তক্ষেপ করছেন।
তে আমি প্রতিবাদ করার পর,বেশ সুন্দরভাবে আমার সাথে তর্কবিতর্ক চলছিল। কিন্তু খেয়াল করলাম এ্যাডমিন আমার সাথে ইংরেজিতে কথা বলছে এবং বলছে, এই ভাবে জায়গার নাম মেনশন করে পোস্ট দিয়ে পোস্টদাতা উক্ত অঞ্চলের মানুষের আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। তো আমি তাকে বললাম " এই যে বাংলাদেশের একটি গ্রুপে আপনি আমার সাথে ইংরেজিতে কথা বলছেন, কেন?? ইংরেজি বলবেন তাদের সাথে যারা বাংলা বোঝে না। আমি তো আর ইংরেজ না! তো আপনি কি এখানে ইংরেজি ভাষা ব্যাবহার করে বাংলা ভাষার আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন করছেন না??"
আমাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে,কিংবা তারা আমার সাথে তর্কবিতর্ক না করে আমাকে কমেন্ট ব্লক করে দিলো,যাতে আমি কিছু বলতে না পারি।
মানুষের কন্ঠরোধের বহু চেষ্টা করা হয়েছে,কিন্তু কেউ কি সফল হয়েছে?? এই দীনতা কবে দূর হবে আমাদের মধ্যে থেকে।
বয়কট করুন সেইসব ফেসবুক গ্রুপকে, যারা নিজেদের নামে ফেসবুক গ্রুপ চালায় আপনাকে ব্যাবহার করে নিজেরা ফায়দা লোটে।
২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
মো: হাসানূর রহমান রিজভী বলেছেন: সঠিক বলেছেন, জেলার নাম উল্লেখ না করেও সঠিক পাত্র পেতে পারতেন।বিভাগের নাম উল্লেখ করলেও চলতো।অথবা হাজারো উপায় ছিলো।তবে ইংরেজি কপচিয়ে তর্কবিতর্ক থেকে আমার মুখ বন্ধ করা আমি নিতে পারছি না।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২১
মৌরি হক দোলা বলেছেন: ফেসবুকে নানান কিছিমের গ্রুপ আছে। নানান কিছিমের মানুষও আছে। আমি এ্যাড হই, মানুষ আর তার কাজ-কারবার দেখি, একটা পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে বেরিয়ে যাই! অনেক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত হওয়া যায়!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপনিবেশিক মন মানসিকতা এখনও আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে, ফলে রাগলে ইংরেজি বের হয়। তবে ঐ মহিলা জেলার নাম উল্লেখ না করেও সঠিক পাত্র পেতে পারতেন। এইসব ক্ষেত্রে কৌশল গ্রহণ করা উত্তম। উনার মনে হয় ধারণা ছিল না যে ফেইবুকে ঘটনা কতদূর পর্যন্ত যেতে পারে।