![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অক্টোবর ২১,২০৩১
জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছাঁট আসছে । ঘরের ভেতর থাকা ৭৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ রণ সাহেব এর ঘুম ভেঙ্গে গেলো বৃষ্টির ছাটে, জানালার পাশে বিছানা থাকার এই একটা সমস্যা। খবরের কাগজ টা ভিজে গেছে। বৃদ্ধ রণ অসংখ্য বার দায়িত্বে থাকা সুপার কে বলেছেন, এর যেন একটা ব্যাবস্থা করে।
প্রায় প্রতি বর্ষার সময় তাকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আজ প্রায় ১০ বছর হতে চলেছে, তিনি এই বৃদ্ধাশ্রমে আছেন। আর এই একই অভিযোগ বারবার করে আসা সত্ত্বেও, কারো কোন রকম দায়িত্তের প্রকাশ আজ পর্যন্ত ঘটেনি।
তিনি কিছুক্ষণ এই নিয়ে ভেবে, ধীর গতিতে হেটে পাশে তার বন্ধু খোকন এর বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লেন।
সেই স্কুল বেলা থেকে তারা বন্ধু। জীবনের সব চড়াই উতরাই পার করে এসেছেন, এক সাথে, পাশা পাশি থেকে। শেষ সময়টাও এক সাথে কাটাবেন বলে এখানে, এক সাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারা কি জানতেন, বৃদ্ধাশ্রম গুলো শুধু নামেই প্রসংশা তুলে নিচ্ছে, বাস্তব টা পুরোপুরি ভিন্ন।
শুতে শুতে ভাবলেন, এই তো দুই দিন আগেও তারা দুই বন্ধুতে মিলে দাবা খেললেন, যদিও খোকন একটা কঠিন চাল দেবার পর, রণ সাহেব কোন চাল টা দেবেন, তাই নিয়ে সংশয়ে ছিলেন। সেদিন এর খেলা সেখানে স্থগিত করা হলো । রাতে এক দফা গোসল সেরে এসে, খাবার এর পর ... দোতলার বারান্দায় বসে আছেন, এমন সময় তার কাছে খবর এলো, বন্ধু খোকন আর নেই। খোকন গল্প করতে বেশ পছন্দ করত। প্রত্যেক আড্ডার শুরুতে, রণ কে বলতো ... “ গল্প শুনবি “
উত্তরে রণ সাহেব একটি হাসি দিতেন ... পরম আস্থার হাসি।
রণ সাহেব দীর্ঘশ্বাস ফেললেন ...। বন্ধুর বিছানায় গা এলিয়ে শুয়ে পড়লেন। খুব ক্লান্ত লাগছে তার , শরীর হালকা হয়ে এসেছে । ঘুম আসছে বোধহয় ......
অক্টোবর ২১,২০২১
খবরের কাগজ হাতে রণ সাহেব বসে আছেন বারান্দায়। লীনা –রণ সাহেব এর স্ত্রী, চা নিয়ে এলেন। চা এর কাপ, টেবিলে রেখে কোন কথা না বলেই চলে গেলেন । আজ প্রায় ১২ বছর এর বেশি হয়ে গেছে, লীনা, রণ সাহেব এর সাথে কোন কথা বলেন না। একটা শব্দ ও না, এমন কি তার চোখের দিকেও তাকান না।
রণ সাহেব চা এর কাপ হাত নিতে নিতে মনে করলেন, প্রথম যেদিন তার স্ত্রী তাকে চা বানিয়ে খাওয়ালেন সেদিন এর কথা ঃ
১৯ বছর বয়সী যুবক রণ, প্রথম কোন নারীর হাত এর স্পর্শ পেয়েছিলেন সেদিন। রণ , লীনা দের বাড়ী প্রায়ই যেতেন, রণ’র বড় আপা’র সাথে । বড় আপা রান্না শিখতেন, লীনা’র মা এর রান্নার স্কুলে। রণ’র কাজ ছিল, বড় আপা কে দিয়ে আসা, আবার সাথে করে নিয়ে আসা। সেদিনো রণ, তার আপার আশার অপেক্ষা করছিল লীনা দের বসবার ঘরে। হঠাৎ লীনা হড়বড় করে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়লো। হাতে চা এর কাপ। হাত কাঁপছিল বলে , চা এর কাপ এর ও আওয়াজ হচ্ছিল।
রণ সাহেব দেখলেন, কি মায়ায় ভরা একটি মুখ। দেখে মনে হচ্ছে, এখনই কেঁদে ফেলবে। রণ , লীনা’র মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো।
লীনা বললো ভীত কন্ঠে বলল, মা ব্যস্ত । তাই আমাকে বললেন , আপনাকে চা দিয়ে যেতে।
রণ’র মনে হল, কি আদরমাখা কন্ঠ, মনে হয় যে তার কথাই শুনি শুধু। কিন্তু এমন হচ্ছে কেন ?
সে কোন কথা বললো না, শুধু একটু আস্থা’র হাসি দিলো। রণ এগিয়ে গেল... ,লীনা’র হাত থেকে চা এর কাপ টা নিতে গিয়ে, ভুল বশত আঙ্গুল স্পর্শ করে ফেললো । লীনা চমকে উঠলো, আর এক দৌড়ে ঘরের ভিতর চলে গেল।
রণ বুঝতে পারলো না, তার কি কিছু বলা দরকার ছিল কি না। না জানি, মেয়েটা তাকে কি ভাবলো ...
অক্টোবর ২১,২০১১
নিজের ডেস্কে বসে ক্যালেন্ডার এর দিকে তাকালেন রণ। আজ তার রিটায়ারমেন্ট এর দিন ।
এই অফিসে রণ চাকরি করছেন প্রায় ২৫ বছর এর মত। যেদিন প্রথম এই চাকরিটা পেলেন, তার স্ত্রী কে কথা দিয়েছিলেন, রিটায়ারমেন্ট এর দিন তাকে নিয়ে ইস্তানবুল পাড়ি দেবেন। কারন, ইস্তানবুল লীনা’র খুব প্রিয় শহর গুলির একটি।
আজ কে সে সব রকম সামর্থ্য তার আছে, কিন্তু যাকে সঙ্গী করে যাবার কথা ছিল, সেই বোধ হয় আজ আর তার সাথে যাইতে চাইবেন না।
রণ বাসায় ফিরলেন সত্যি সত্যি, দূটো বিমাণ এর টিকেট নিয়ে। লীনা স্টাডি রুমে থাকা একটি চেয়ারে বসে কিছু দেখছিলেন। রণ, ঘরে ঢোকার সাথে সাথে তার স্ত্রীর চোখের দিকে চোখ পড়লো। কি শীতল দুটী চোখ, কোন কথা বলে না, কোন আশা রাখে না। শুধু শীতল দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকাই, যেন তার একমাত্র কাজ।
রণ স্ত্রী’র দিকে হাতে টিকেট নিয়ে এগিয়ে গেলেন, কাছা কাছি যেতেই, লীনা উঠে দাড়ালো, আর হাত থেকে পড়ে তাদের বিয়ের বাধাই ছবিটা ভেঙ্গে গেল। লীনা, কোন কথা না বলে, চলে গেল সে ঘর থেকে।
লীনা’র নিশ্চুপ চলে যাওয়া যেন সব কিছুর উত্তর দিয়ে গেল রণ কে।
বারো বছর আগে তার কোমল স্বভাব এর স্ত্রী এর আবেগ নিয়ে যে চরম প্রতারণা তিনি করেছেন, তার শাস্তি এভাবেই আজীবন তাকে পেতে হবে। লীনা বড় ভাল আর বড় মনের বলেই হয়ত, এখনো তার করা সীমা লঙ্ঘন এর কথাটি কারো কাছে প্রকাশ করেনি। হয়ত করবেও না। সত্যি লীনা তাকে প্রচন্ড ভালবাসে।
কি আশ্চর্য , এভাবে কি আর কেউ রণ সাহেব কে ভালবাসতে পারবে ? হয়ত না ।
অক্টোবর ২১,১৯৯১
হসপিটাল এর বারান্দায় অস্থির চিত্তে হাটছে রণ । এমন সময় ডাক্তার শিরিন বেরিয়ে এলেন। রণ এগিয়ে গেলেন, তার কোতুহলী চোখ দেখে ডাক্তার শিরিন এর বুঝার অবকাশ থাকলো না, তিনি কি জানতে চাইছেন।
- আপনাকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে।
- চিন্তা না করার কোন কারন আমার কাছে নেই। আশা করি সেটা আপনি বুঝতে পারছেন।
- জী, পারছি। চিন্তার কোন কারণ নেই। আপনার ফুটফুটে একটি শিশু হয়েছে, আপনার স্ত্রীও বেশ ভাল আছেন।
- আমি কি ভেতরে যেতে পারি ?
- অবশ্যই, তবে দু ঘণ্টা পর যেতে পারবেন। কিছু ফরমালিটিস আছে সেগুলো শেষ হবার অপেক্ষা করতে হবে।
ডাক্তার শিরিন চলে গেলেন। রণ সাহেব দাড়িয়ে আছেন। ভাবছেন, আজ কে তার যে রকম আনন্দ হচ্চে, তা কি পৃথিবীর আর কেউ কখনো অনুভব করেছে ?
এর থেকে চরম আনন্দের কিছু কি আর কোনটা আছে ?
রণ সাহেব আবার পায়চারী শুরু করলেন। তার চোখের সামনে কত কত লোকজন যাওয়া আসা করছে, সবার কি কোন উদ্দেশ্য আছে ? তার কাছে মনে হল, সমস্ত হাসপাতালে আজ কে তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ আর কারো নেই।
কারন, তিনি তো তার সন্তান কে দেখবেন আজ। প্রথমবার এর মত।
আচ্ছা, পৃথিবীর সব নতুন হওয়া বাবারা কি এভাবেই ভাবে ?
অক্টোবর ২১,১৯৮১
লেখাটা পড়তেই হাজার রকমের প্রশ্ন মাথায় ঘুরতে শুরু করেছে রণ’র।
“ রণ ও লীণা’র শুভ বিবাহ “ - বিশ্বাস হচ্ছে না, আর কিছু দিনের মধেই ছোট্ট একটা শব্দের মাধ্যমে তার জীবনটা সম্পূর্ণ নতুন এক মোড় নিতে যাচ্ছে। এত বড় একটা পরিবর্তন এর জন্য কি সে সত্যি তৈরি ছিল সে... ঠিক জানা নেই।
লীণা মেয়েটী যেমন সুন্দরী, ঠিক তেমনি বুদ্ধিমতী। আগে কয়েকবার দেখা হয়েছে তার সাথে। ভাবতে অবাক লাগছে, লীণা তার জীবন সঙ্গী হতে চলেছে।
জীবনসঙ্গী তো সেই হয়, যার সাথে জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত ভাগাভাগি করে নেয়া যায়, ভাল আর মন্দ সবটাই। যার কাছে বলা যায় এমন সব কিছু কথা, যা দ্বিতীয় আর কোন মানুষ জানবে না। এমন একটা সম্পর্ক, যেখানে ভালবাসা কম থাকলেও চলে, বন্ধুত্ব আর আস্থার জায়গাটা বেশি দরকার হয়।
... লীণা বুঝবে আমার রণ’র কথা গুলো, যে কথা গুলো তার ২৫ বছরের জীবনে কারো কাছে বলতে পারেনি রণ। লীণা কি মেনে নিবে, রণ লীনা কে ভালবাসতে পারবে না কখনো। কারণ, রণ’র মনে সব সময় অন্য একজন বাস করে। যাকে সে হয়তো চাইলেও কখনো মুছে ফেলতে পারবে না মন থেকে।
রণ দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
৪ দিন পর...
ঘরে ঢুকে খুব সচেতন ভাবে দরজা বন্ধ করলো রণ। ঘর ভর্তি হাসনা হেনা ফুলের সুগন্ধ। পশ্চিম এর জানালা দিয়ে সামনের বাগানের ঘ্রাণে সমস্ত ঘর ছেয়ে গেছে। জোছনার আলো উকি দিচ্ছে ঘরের মেঝে তে ...
রণ দেখলো। বিছানার এক কোণে ,...লাল টূকটুক শাড়ী পড়া, অসম্ভব মায়ায় জড়ানো একটি মেয়ে বসে আছে। লজ্জায় তার পড়নের শাড়ীর লাল রঙ এর প্রতিচ্ছবি যেন তার চেহারা তে ও পড়ছে। কি সুন্দর আর তীব্র ভালবাসা নিয়ে মেয়েটী তাকিয়ে আছে তার দিকে...বড় মায়া হল ... রণ’র । এত সুন্দর আর মায়ায় ভরা মেয়েটীর কি ভাগ্য কি তার সাথে ই লেখা ছিল।
হঠাৎ রণ’র মনে হল... জগত সংসার এর কিছুই তার ভাল লাগছে না। রণ কি করে এই মেয়েটিকে তার জীবনের এমন একটা কঠিন সত্যের কথা বলবে ? রণ কি করে বলবে, তার রূপ মাধুর্য কোনটাই তাকে আকৃষ্ট করছে না... কারন রণ অন্য কাউকে ভালবাসে। রণ কি কখনো বলতে পারবে লীণা কে... সে ভালবাসে তার ছোট বেলার বন্ধু ... খোকন কে। রণ এক দৃষ্টি তে তাকিয়ে আছে ...
-আপনি কিছু ভাবছেন ?
-না, কিছু না।
-আপনি কি আমার পাশে এসে একটু বসবেন ?
রণ হেঁটে গিয়ে বসলো লীণা’র পাশে। লীণা কে উত্তেজিত সাথে আনন্দে উচ্ছসিত দেখাচ্ছে। রণ বলতে লাগলো ...
-লীণা ... আমি ...
- আমি জানি, আপনাকে বলতে হবে না। আপনি কি জানেন, আজ পূর্ণিমা। আজ কে রাতের পরিবেশটা এত সুন্দর হবে তা ভাবি নি। আসলে, আমি যা কল্পনা করেছিলাম তার থেকে ও অনেক বেশি সুন্দর।
আপনি আমার একটা কথা রাখবেন ?
- কি কথা?
- আজ আমরা আর কোন কথা বলবো না ...
লীণা রণ’র ঘাড়ে হাত রাখলো ... রণ’র মনে হল, শরীর জুড়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল...
রাত টা সত্যি সুন্দর। আর এই সুন্দর রাতের প্রতিটা মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে রইলো ... এই পূর্ণিমা, আর সেই হাসনা হেনা ফুলের বাগানের সুঘ্রাণ। এক মুহূর্তের জন্য রন’র মনে হল ...এমন কেন হচ্ছে। এমনি কি হওয়ার কথা ছিল ?
অক্টোবর ২১,১৯৭১
চারিদিকে মানুশের হাহাকার আর আতঙ্ক। খবর এর কাগজ থেকে যা জানা গেল, তা হল ... বাংলাদেশ খুব দ্রুত স্বাধীন হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সত্যি যদি তাই হয়, তবে তো আনন্দের আর সীমা থাকবে না। সব অপেক্ষার শেষ হবে। দেশের প্রতিটা মানুশের অবদান সফল হবে। রণ খবরের কাগজটা ভাজ করে টেবিলে রাখতেই, ঘরের দরজা দিয়ে দ্রুত ঝড়ের বেগে খোকন ঢুকলো।
রণ’র চোখে মুখে আনন্দের ঝলকানি।
- তুই এসেছিস ! খবরের কাগজ পড়বি বুঝি ?
- না রে। ভাল লাগে না, মন খারাপ হয় আমার খবর এর কাগজ পড়লে। শুধু মৃত্যু সংবাদ।
- আচ্ছা পড়িস না তাহলে।
খোকন , রন”র কাঁধে হাত রাখলো। একেবারে অগ্রাহ্য করার মত বিপুল পরিমান আগ্রহ নিয়ে, খোকন বললও ...
- গল্প শুনবি ?
রণ বিস্ময় আর ভালবাসা নিয়ে খোকন কে হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলো। হঠাৎ রন’র মনে হল... এমন কিছু কি আগেও খোকন এর কাছে কি সে শুনেছে।
খোকন গল্প বলতে লাগলো ...
কোন এক অজানা কারণে রণ’র খুব মন খারাপ হল, কেন এমন হচ্ছে ?
খুব ক্লান্ত লাগছে তার , শরীর হালকা হয়ে এসেছে । ঘুম আসছে বোধহয় ......
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৯
স_লামিসা বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব, ভয় কেন পেলেন?
রণ তো আমাদের চারপাশে অনেক আছে। প্রতিটা মানুশের ভেতর ই আছে।
মানুশ নিজেরাই বা কতটূকু চিনে নিজেদের,জানা নাই।
তবে এত টুকু জানি, সবার জীবনে কিছু না কিছু বাস্তবতা থাকে, যা হয়ত ব্যক্তি নিজের কাছেও প্রকাশ করতে পারে না।
ভাল থাকবেন।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
প্রথমে গল্পের নিম্নগামী টাইমলাইনের সাথে মেলাতে হিমশিম খাচ্ছিলাম কিন্তু পড়ে সামলিয়ে নিয়েছি! যাই হোক, ২০২১ সালে, ১৯ বছর বয়সী রন'র স্মৃতিময় চায়ের কাপে পাওয়া স্পর্শটি বেশ মনে রোমান্স জাগিয়ে তুলল! এরপর গল্পের সাবলীলতায় শুধু মুগ্ধতা!
শুভকামনা রইল!
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১
স_লামিসা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভয় লাগলো, আমি রণ থেকে কিছুটা জুনিয়র।