নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদ ৭

ছাত্র। বয়স ২০। মাত্র শিখছি। তবে এটা ভালো করে জানি আমি এখনো অনেক কিছুই জানি না। কিন্তু এও জানি, যে ভুল করে না বা ভুল করার ভয়ে কিছু করতে চেষ্টা করে না, সে কিছুই শিখতে পারে না।

সাদ ৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর পর আমাদের প্রশ্ন করা হবে, (a+b)2 এর সূত্র মুখস্ত বল। আরও বলা হবে প্রমাণ কর E=mc2। তাই না?

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

মৃত্যুর পর আমাদের প্রশ্ন করা হবে, (a+b)2 এর সূত্র মুখস্ত বল। আরও বলা হবে প্রমাণ কর E=mc2। তাই না?



কত কিছু যে পড়লাম। অমুকের উপন্যাস, সমুকের কবিতা, পাঠ্য বই আরও আজগুবি কত বই। কিন্তু নিজের ধর্মীয় গ্রন্থই পড়া হয়নি। বাহ! কত স্মার্ট আমরা! না জেনেশুনে মা-বাবা বা বড়রা যা বলেছেন তাই গিলেছি। একবারও জানতে ইচ্ছে হয়নি নিজের থেকে। আসলে যা বলছেন তা কি সত্য নাকি মিথ্যা। বাহ! না জেনেশুনে, যাচাই বাছাই না করে কি বিশ্বাস আমাদের!



বড়দের মধ্যে অনেকে বলেন। অন্য ধর্মের গ্রন্থ পড়া নাকি ঠিক না। কেন? আমার কি অধিকার নেই সত্য কে জানা? এমনও তো হতে পারে আমার বাপ-দাদারা ভুল। এমন অনেক উদাহরণ আমারা ইতিহাস থেকে পাই। ইতিহাসের কি দরকার এটা কমন সেন্স এর বিষয় মাত্র।



একটা প্রবন্ধ আছে, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এর ২৩ টি ভুল নিয়ে। যেমন তিনি বলেছিলেন, ব্ল্যাক হোল বলে কিছু নেই। কিন্তু এখন বিজ্ঞান বলে তিনি ভুল ছিলেন। অথচ তার সময়ে তিনি ছিলেন সেরা ও অনেক বিজ্ঞ একজন মানুষ। এখনো তাকে তাই ধরা হয়। যদি এমন বিজ্ঞ মানুষের ভুল হতে পারে তবে আমাদের মা-বাবার ভুল হতে পারে না এ কেমন কথা? অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় তারাও তেমন কিছু যাচাই বাছাই করেনি। তাদের মা-বাবা আর গুরুজনেরা যা বলেছেন তারাও তাই গিলেছেন।



অবজেক্টিভ দাগানোর ক্ষেত্রে ৪টা কি ৫টা অপশন থাকে। তার মধ্যে দাগাতে হয় একটা। আর উত্তরও একটা বাদে সব হয় ভুল। তাহলে সব কিছু একই সময়ে বিশ্বাস করা মানে কোন কিছুই বিশ্বাস না করা। সুতরাং সত্য ধর্ম কেবল একটাই। আর তা খুঁজে বের করার দায়িত্বও আপনার।



দেরি করে কি লাভ। মৃত্যু তো বলে আসে না। যদি হঠাৎ মারা যান আর আপনি যে ধর্মীয় ছিলেন তা যদি সত্য না হয় তবে খাবেন তো ধরা! তাই ভাল হয় আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা।



অনেকে ভাবে, ধর্ম-কর্ম করব বুড়ো হলে এখন করে কি লাভ? আচ্ছা! যদি এমনি ভাবেন এক গল্প শুনুন।

এক লোক সর্বদায় পাপ করতো আর ভাবতো শেষ বয়সে পবিত্র জাগায় যেয়ে ক্ষমা চেয়ে নিব আর ঈশ্বর ক্ষমা করে দেবে। এ ভেবে সারাজীবনই পাপ করে গেল। আর বুড়ো বয়সে পবিত্র স্থানে যাওয়ার জন্য বিমানে পা দিতেই হার্ট অ্যাটাক এ মারা গেল। বেচারা ক্ষমা প্রার্থনা করার পর্যন্ত সুযোগ পায়নি।



যারা এ পড়ছেন আসা করি বুঝার মত যথেষ্ট মেধা আপনার আছে। তাই আর বেশি কিছু বলছি না। আপনার ভাল আপনিই ভাল বুঝবেন। যদি অন্য ধর্মীয় গ্রন্থ পড়তে চান এবং কিভাবে তা পড়তে হবে, তবে এ ব্যাপারে আমার করা পোস্ট দেখতে পারেন। সবাইকে সত্য জানার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে এখানেই শেষ করলাম।



#সাদ

২২-মার্চ-১৪

#Saad

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

দুঃখী__ বন্ধু বলেছেন: নিজের গুলোই পড়তে পারলাম না :(

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২২

সাদ ৭ বলেছেন: চেষ্টা করে দেখেন। আশা করি পারবেন। :)

২| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

নিজাম বলেছেন: ঠিক কথা বলেছেন। ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

সাদ ৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। :)

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২১

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ঠিক।।

২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

সাদ ৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। :)

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভালো বলেছেন।

২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

সাদ ৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। :)

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। তবে সবাই কিন্তু পরে ক্ষমা চায়। X(

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

সাদ ৭ বলেছেন: ধন্যবাদ, আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য। :)
এক গল্প শুনুন।
এক লোক সর্বদায় পাপ করতো আর ভাবতো শেষ বয়সে পবিত্র জাগায় যেয়ে ক্ষমা চেয়ে নিব আর ঈশ্বর ক্ষমা করে দেবে। এ ভেবে সারাজীবনই পাপ করে গেল। আর বুড়ো বয়সে পবিত্র স্থানে যাওয়ার জন্য বিমানে পা দিতেই হার্ট অ্যাটাক এ মারা গেল। বেচারা ক্ষমা প্রার্থনা করার পর্যন্ত সুযোগ পায়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.