নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদ ৭

ছাত্র। বয়স ২০। মাত্র শিখছি। তবে এটা ভালো করে জানি আমি এখনো অনেক কিছুই জানি না। কিন্তু এও জানি, যে ভুল করে না বা ভুল করার ভয়ে কিছু করতে চেষ্টা করে না, সে কিছুই শিখতে পারে না।

সাদ ৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন বই উপহার দিবেন শিশুকে? এবং কিভাবে বই পড়ার প্রতি তাকে আগ্রহী করে তুলবেন?

০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

কেমন বই উপহার দিবেন শিশুকে? এবং কিভাবে বই পড়ার প্রতি তাকে আগ্রহী করে তুলবেন?



১) শিশুরা হয় কোমল মনের। তাই তাদের এমন কোন বই দেয়া উচিত নয় যেখানে মারামারি, হানাহানি বা কোন বর্বরতার কাহিনী থাকে।

২) মানুষ সর্বদায় নিজের ইচ্ছে বা রুচিকে প্রাধান্য দেয়। তাই ভাল হয় শিশুর রুচি বা পছন্দ অনুযায়ী বই উপহার দেয়া।

৩) শিশুরা সাধারণত কম ধৈরজের অধিকারী। তাই তারা ছোট গল্পই বেশি পছন্দ করে।

৪) শিশু যদি আর্ট বা অংকন করতে খুব পছন্দ করে তবে তার কাছে ছবি যুক্ত বই বা কমিক পছন্দ হওয়াই স্বাভাবিক।



শিশুদের উপর কেমন বই কেমন প্রভাব বিস্তার করে চলুন ভেবে দেখি।



ভৌতিক: শিশুর প্রাথমিক মনে যা কিছু ঢুকে তার প্রভাব অনেক দিন বিস্তার করে। যদি খারাপ প্রভাব বিস্তার করে এতে শিশুর মানসিক বিস্তারে বাধাগ্রস্ত হয়। আর ভয়ের কারণে তারা অন্ধকার এমনকি অল্পকিছুতেও খুব ভয় পেয়ে থাকে। যা পরবর্তীতে অনেক কাজে বাধা হয়ে দাড়ায়। তাছাড়া ভূতের কাল্পনিক চিন্তা মাথাই একটা আলাদা বোঝার মত কাজ করে যা পড়াশুনায়ও ব্যাঘাত ঘটাই। ছোট বেলাই যদি আমাদের বলা হত তেলাপোকা, মাকড়শা এসবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই তাহলে নিশ্চয় আমারও ওসবে আর ভয় পাওয়ার প্রশ্নই আসত না। আমি বুঝাতে চাচ্ছি যে যদি আমাদের বা শিশুদের পূর্বেই বলা হত ভূত কি জিনিস বা ভূত আমাদের তেমন ক্ষতি করে না তাহলে ভূতুরে বই পড়লেও এর প্রভাব বিস্তার করতো ক্ষণিকের জন্য। স্থায়ী ভাবে নয়।



সায়েন্স ফিকশন: ভাল। কল্পনার জগতকে প্রসারিত করে। কিন্তু বেশি কল্পনা করতে যেয়ে যুক্তি বা লজিক থেকে দূরে সরে না গেলেই হল।



ছোট গল্প: ভাল শিশুতোষ গল্প সর্বদায় উপযোগী। তবে ভাল হয় গল্পগুলো যদি শিক্ষা বা অণুপেরনামুলক হলে। যেমন:- ইশপের গল্প, বীরবল, বিভিন্ন মনিষীর জীবনী। উদাহরণস্বরূপ বলা যাই আব্রাহাম লিঙ্কন এর জীবনী, তিনি অনেক কষ্টকরে বই পরতেন। নেপোলিয়ন যুদ্ধের ময়দানে বই নিয়ে ঘুরতেন। হযরত মোহাম্মাদ (সা:) জীবনে কখনো মিথ্যা বলেননি, কখনো আমানত বা ওয়াদা ভঙ্গ করেননি। মুসলিম-অমুসলিম সকলের সাথে সদাচরণ করতেন ভালবাসতেন।





ধর্মীয়: ধর্ম সর্বদায় আমাদের নৈতিকতা শিখাই যা বাল্যকালে খুবই প্রয়োজনীয় আর এ সময়ে শেখা যেকোনো কিছুই প্রভাব বিস্তার করে আজীবন।



আমার যা বলার বললাম। সবকিছু মাথায় রেখে আপনি চিন্তা করুন কেমন বই উপহার দেয়া উচিত শিশুকে।



[বিদ্রঃ বাংলা বানান টাইপের জটিলতার কারণে ভুল বানান ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল]



২৩-ফেব্রু-১৪

#সাদ #saad

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০

সাদ ৭ বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.