![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রেম কখনো যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নই এটি প্রতিষ্ঠিত আবেগের উপর। বিবাহ পূর্ব প্রেম শুধু ক্ষণস্থায়ী মনের আনন্দ। যা এক ধরনের মাতলামি। যখন এ মাতলামি শেষ হয় তখন অনেক দেরি হয়ে যাই বা অঘটন ঘটে বসে।
আচ্ছা, যখন কেউ প্রেমে পরে সে কি খুশী-মনে তার মা-বাবা, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনকে বলতে পারে? নাকি তা লজ্জাই গোপন করে রাখে?
মানুষের মন পালটাতে দু সেকেন্ডও লাগেনা। হতে পারে আজকে যে সুপুরুষ কাল সে কুখ্যাত ডাকাত (বর্তমান ছাত্র রাজনীতির যে অবস্থা, সন্ত্রাস কর্মকাণ্ডে জরাতে বেশি বেগ পেতে হয়না) বা মাদকাসক্ত। এমতও হতে পারে আজ যে মেধাবী কাল সে পড়াশুনা থেকে বিচ্ছিন্ন। এমনও হতে পারে আজ যার দুটো হাত বা পা আছে কাল তা নেই। এমন ছেলে বা মেয়ের সাতে আপনার পরিবার বা আত্মীয়স্বজন কি বিয়ে দিতে রাজি থাকবে? যে মা-বাব খেয়ে না খেয়ে, রাত জেগে, সকল ত্যাগ স্বীকার করে আপনাকে এতো কষ্ট করে লালন পালন করে, নাকি তাদের অবাধ্য আর অমান্য করার ইচ্ছে আছে?
প্রেমে পরা আর অন্ধকারে পা দেয়া সমান। কারণ ভবিষ্যৎ কারই জানা নেই।
সিনেমা-গল্পে যে প্রেমের কাহিনী শোনা যাই বাস্তবে তার কতটুকু সঠিক? ক্রাইম পেট্রোল, লাইফ ওকে, এম টিভি সহ বিভিন্ন চ্যানেল-এ প্রেম এর বর্বরতা কি হতে পারে তা প্রায় দেখাই। আর ঐসব ঘটনা নির্মাণ করা হয় সত্য ঘটনার ভিত্তিতে।
বিশ্ব জুড়ে দীওয়ানা থেকে ছলনাময়ী বেশি। অনেক প্রেমিক বা প্রেমিকা পাবেন যারা শুধু ভালবাসার অভিনয় করবে শুধুমাত্র তাদের আখাঙ্কা পূরণের জন্য। আপনার পড়াশুনা, অর্থ, ক্যারিয়ার তো ধ্বংস করবেই। আপনার সম্মানও ডুবিয়ে ছাড়বে। আর বেশিরভাগই ছলনার শেষ পরিণতি সরূপ দেখা যাই এসিড, ধর্ষণ, খুন নাহয় আত্মহত্যা। প্লে-বয় বা গার্ল যাই বলেন না কেন। এইডস আর মাদকটা ছড়াতে এদের কোন তুলনা হয়না।
আপনারা কি জানেন, ভারত সহ পুরো পৃথিবী জুড়ে বিবাহ পূর্ব শিশু বলে কত শিশুকে হত্যা করা হয়? ভালমতো চিন্তা করলে এর যে মূল কারণ পাওয়া যাই আর তা হল প্রেম।
জীবন কোন রোমান্টিক গল্প বা উপন্যাস নয়। জীবন তার থেকেও কঠিন। নাটকের থেকেও নাটকীয়। অনেক বাস্তব প্রেমের ঘটনা আর তার পরিণতি আমার জানা আর এখনো পর্যন্ত কোনটাকেই সফল হতে দেখিনি।
অনেকে যুক্তি দেখাতে পারে, যাকে চিনি না জানি না তাকে কেমনে বিয়ে করবো? কেন, এতো ছেলে-পুলের মা-বাব বা আমদের মা-বাবা যারা প্রেম না করে বিয়ে করেছেন তারা কি সুখে সংসার করছেন না? এ প্রেমের প্রচলন ভালমতো চালু হয়েছে মাত্র দশক খানেক আগে। (তাও মনে হয় বাড়িয়ে বললাম)। বিয়ের আগেই যদি সব মজা নিয়ে নেন তবে বিয়ের পর আর ভাল না লাগাইটা স্বাভাবিক। আপনি যখন কারো সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে জান, তারপর আর জানতে না চাওয়াটাও স্বাভাবিক। তখন প্রেমালাপ বন্ধ আর দুনিয়াবি আলাপ শুরু। যার কারণে ঝগড়া এমনকি তালাকের পর্যায়েও চলে যাই।
আরও যুক্তি দেখাতে পারে, আগে থেকে বুকিং দিয়ে রাখা কারণ এখন সিঙ্গেল কেউ থাকেনা বা সিঙ্গেল থাকবে কিনা বলা যায়না। আপনি যদি আশেপাশে জরিপ করেন তবে আমি নিশ্চিত আপনি সিঙ্গেল-এর সংখ্যাই অধিক পাবেন।
আর যারা এমন যুক্তিকে আগলে রাখে তাদের মধ্যে পাপ চর্চার ঝুঁকি বেশি বা জড়িত।
মিসরের এক জনমত জরীপে জানা যাই, শতকরা ৭৫ ভাগ প্রেমের বিয়ে ভেঙ্গে গেছে এবং তালাকের মাধ্যমে এর পরিসমাপ্তি ঘটে। (এটি ১৯৯৭ সালের রিপোর্ট। বর্তমানে নিশ্চয় তা আরও বেশি। পশ্চিমা দেশের কথা নাইবা বললাম।)
বর্তমান যুগে প্রেমের অবস্থা আর প্রেমের অনিশ্চয়তা যখন মাথাই ঘুরাঘুরি করে তখন কাউকে গভীর ভাবে ভালবাসতে চাইলেও তা পারা পুরোপুরি সম্ভব হয়ে উঠে না। যার কারণে অবিশ্বাস, সন্দেহ আর ঝগড়া লেগেই থাকে। তবে বিয়ের পর যখন এটা নিশ্চিত হওয়া যাই যে, ইনিই আমার স্ত্রী বা ইনিই আমার স্বামী, তখন প্রকৃত ভালবাসা আপনা-আপনি চলে আসে।
ধরুন আপনি প্রেম করলেন একজনের সাথে কিন্তু বিয়ে করলেন আরেক জনকে। এখন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে ভুলতে পারছে না আবার আপনিও তাকে ভুলতে পারছেন না। ফলাফল কি হয়? আপনি আপনার সংসার, স্বামী বা স্ত্রী কে পুরোপুরি ভালবাসতে পারছেন না আবার ওদিকে সেও পারছেনা। তাই উভয়ের সংসারে জলতে থাকে আগুন আর যে আগুনে পুরে ছাই হই একসাতে চার পরিবার।
সুখী হতে পারেনা কেউই।
আরও কিছু বাড়তি হিসেবে বলা যায় যে, প্রেম যেহেতু অন্ধ ও কোন যুক্তির উপর প্রতিষ্ঠিত না হয়ে আবেগ এর উপর প্রতিষ্ঠিত হয়, সেহেতু বেশির ভাগ মানুষ তার প্রেমিক বা প্রেমিকার অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ও বংশ পরিচয় না দেখেই প্রেম চালিয়ে যায়। এতে হয়কি, কোন পক্ষের কোন ত্রুটি থাকলে বিবাহটা পরিবার থেকে মেনে নেওয়া হয়না অথবা মেনে নিলেও পরিবার পক্ষ খুশী হয়না। তাছাড়াও অনেক ভাল ছেলে বা মেয়ে পাবার পরেও পরিবার ভাল না হওয়ার কারণে ধ্বংস হয় সংসার।
হায়! কত যে মেয়ে যৌতুক এর বলি হল। কত মা তার ছেলের বউয়ের কাছে নত হল।
আবেগ কে আগলে রাখুন বিবেককে মুক্ত করুন।
১৪-ফেব্রু-১৪
#সাদ
[বিদ্রঃ বাংলা টাইপ-এর নিয়মাবলী না জানার কারণে ভুল বানান আশা করি ক্ষমার চোখে দেখবেন ।]
#saad
©somewhere in net ltd.