নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাদ ৭

ছাত্র। বয়স ২০। মাত্র শিখছি। তবে এটা ভালো করে জানি আমি এখনো অনেক কিছুই জানি না। কিন্তু এও জানি, যে ভুল করে না বা ভুল করার ভয়ে কিছু করতে চেষ্টা করে না, সে কিছুই শিখতে পারে না।

সাদ ৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

১০০% বিজ্ঞানে বিশ্বাস এক অন্ধ বিশ্বাস। (বিজ্ঞান কি ১০০% নির্ভরযোগ্য?)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩

বিজ্ঞান = অভিজ্ঞতা + পরীক্ষা।

অর্থাৎ অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষার সমন্বয়ে বিজ্ঞান তার মত প্রকাশ করে। লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, বিজ্ঞান পূর্বের অভিজ্ঞতার আলোকে যেসব মত প্রকাশ করে ছিল তার অনেক কিছুই বর্তমান অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষার মাধ্যমে নেয়া সিদ্ধান্তের সাথে মিলে না। এমন হওয়া অস্বাভাবিক কিছু না। জ্ঞানের কোন সীমা নেই। যত বাড়বে ততোই জানা যাবে। তাই বর্তমানের অনেক অভিজ্ঞতা ও পরীক্ষা বা সিদ্ধান্ত পূর্বের বিজ্ঞানকে বা সিদ্ধান্তকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে।



যেমন, প্রাচীন কালের বিজ্ঞানী বা দার্শনিকরা বলতেন পৃথিবী চ্যাপ্টা। কিন্তু বিজ্ঞানের আলোকে আমরা জানি পৃথিবী ডিম্বাকার বা বর্তুলাকার এছাড়াও আরও জানলাম পৃথিবীর কক্ষ পথ সহ কত কিছু। কিন্তু এই শেষ নয়। সামনে আরও জানব।



যারা বিজ্ঞান নিয়ে একটু ঘাটা ঘাটি করেন তারা নিশ্চয় জানবেন যে, বিজ্ঞান প্রায় বা মাঝে মাঝে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। যেমন সম্প্রতি বলা হয়েছিল, নিউট্রন কণা আলো অপেক্ষা বেশি দ্রুত গতিশীল। কিন্তু কিছুদিন পর সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে পূর্বের সিদ্ধান্তে ফিরে যায়।

আইনস্টাইনের সময়ের অনেক বিষয় বিজ্ঞান যেভাবে বলত তার অনেক কিছুই আজ সম্পূর্ণ বিপরীত। ঠিক এমন করে আজ বিজ্ঞান আমাদের যা বলে তার অনেক কিছুই বিপরীত হয়ে যেতে পারে ভবিষ্যতে।



তবে কিছু জিনিস আছে যা খুব ভালভাবেই প্রমাণিত। এসব জিনিস অবিশ্বাসের কিছু নেই। যেমন স্যাটেলাইট বা রকেটের মাধ্যমে বিজ্ঞান জানতে পারলো যে, পৃথিবী বর্তুলাকার। এতে অবিশ্বাসের কিছু নেই। বিজ্ঞানের কল্যাণে বেশিরভাগ জিনিস এমন চাক্ষুষ ও নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত। খুব কম জিনিস আছে যা হয় ভবিষ্যতে বিপরীত হয়ে যাবে অর্থাৎ বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করবে।



যেমন: সূর্য পূর্ব দিকে উদিত হয়ে পশ্চিমে অস্ত যায়। (সূর্য আসলে উঠেও না ডুবেও না, এমনটা হয়ে থাকে পৃথিবীর আবর্তনের কারণে) এ সিদ্ধান্ত বিজ্ঞান কয়েক হাজার বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে নিয়েছে বা দিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানের লক্ষ্য লক্ষ্য বা কোটি কোটি বছরের অভিজ্ঞতা এখনো নেই। লক্ষ্য লক্ষ্য আলোকবর্ষ দূরে গ্রহ নক্ষত্রের পরিভ্রমণ জানার মত নেই এত শক্তিশালী টেলিস্কোপ। আর আধুনিক বিজ্ঞানের বয়স তো মাত্র কয়েক শতবছর। তাই হতে পারে লক্ষ্য বছর পর পর গ্রহ বা পৃথিবী তার কক্ষপথ বা আবর্তন পরিবর্তন করতে পারে। অর্থাৎ সূর্য পশ্চিমে উদিত হয়ে পূর্বে অস্ত যেতে পারে। অস্বাভাবিক না।



তাই আমি মনে করি বিজ্ঞানের উপর নিশ্চিত ভাবে ১০০% বিশ্বাস করা বা বিজ্ঞানের সকল সিদ্ধান্তকে চোখ বন্ধ করে শতভাগ বিশ্বাস করা হল এক অন্ধ বিশ্বাস।



বিশ্বাস করা যায় সে সমস্ত বিজ্ঞানের সিদ্ধান্ত বা জিনিস যা চাক্ষুষ ভাবে প্রমাণিত। আর এমন জিনিসের সংখ্যা নেহাত কম নয়।



#সাদ

১৩-সেপ্টেম্বর-১৪

#Saad

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.