![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু গল্প।
* ইউরোপে একবার ভয়াবহ এক যুদ্ধ হয়। মারা যায় অনেক সৈনিক। ফলে স্বামী-হারা হয়ে পরে অনেক নারী। কিন্তু তারা ক্রিস্টিয়ান ক্যাথলিক ছিল। তাই তাদের ধর্মীয় যাজকদের অনুসারে দ্বিতীয় বিবাহের অনুমতি ছিল না। তাই তারা জড়িয়ে পরে ব্যভিচারে। ফলে জন্ম নেয় পিতৃ পরিচয়-হীন অনেক শিশু যাদের পরিচয় হয় ‘ওয়ার বেবি’ নামে।
* নেপোলিয়নের প্রথম স্ত্রী ছিলেন অসাধারণ ও গুণবতী। তাদের মধ্যে ভালবাসাও ছিল বেস। কিন্তু রাজ্যের জন্য বাধ্য হয় অন্য এক রাজার মেয়েকে বিয়ে করতে। সেও তার ধর্মের কারণে বাধ্য হয় তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে।
* গরীব এক প্রবাসী রফিক। অনেক কষ্ট করে বিদেশে তার পাড়ি। কিন্তু বউকে নিয়ে যাওয়ার তার সামর্থ্য নেই। কিন্তু একাধিকও বিয়ে করতে পারছে না কেবল সমাজের ভয়ে। তাই অপরাহ্ণের গল্পের মত জড়িয়ে পরে খারাপ মেয়ের সাথে। ফলাফল এইডস।
* একমাত্র বন্ধ্যা স্ত্রীকে শফিক সাহেব খুব ভালোবাসেন। কিন্তু পরিবার থেকে বার বার চাপ আসে বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারের জন্য। সে চাইনা তার প্রিয়তম স্ত্রীকে তালাক দিতে। সে এও বুঝে বন্ধ্যা ডিভোর্সিকে বিয়ে করার কেউই থাকবে না।
* বিয়ের ২বছরের মাথায় এক্সিডেন্টে মারা যায় ২৩ বছরের যুবতী সন্ধ্যার স্ত্রী। ৫মাসের শিশুপুত্র ছাড়া তার আর কেউ নেয়। তার এ শিশুর জন্যই তো তাকে বাচতেই হবে। এমন অবস্থায় সেও কোন কাজ করতে পারে না।
* বেচারা মফিজের বউ বেজায় রাগি। মুখ চালাতে সে ওস্তাদ। এমনকি যে মা মফিজকে ৯মাস গর্ভে ধারণ করেছেন তার সাথেও তার বউ মুখের উপর কথা বলতে আটকায় না।
* প্রচণ্ড স্বামী ভক্ত রত্না। তার স্বামীও বিয়ের আগে বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ সে নেশাগ্রস্থ হয়ে পরে। নেশার ঘরে রত্নাকেও আঘাত করতে তার মন আটকায় না।
ওকে। প্রথম দুটি গল্প সত্যিকারে। আর বাকিসব নিত্য জীবনের আলোকে আমার বানানো কাল্পনিক গল্প। আমি মনে করি পাঠকরা বুঝার মত যথেষ্ট মেধাবী তাই আমি গল্প পুরোপুরি শেষ করিনি।
সব গল্পে এক বিয়ের পর আরেক বিবাহ বা একসাথে একাধিক বিবাহের গুরুত্ব বহন করছে।
তাই একাধিকবার বা বহুবিবাহকে অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু কখনো একটিরও বেশি বিবাহ করাকে উৎসাহিত দেয় নি। তাছাড়া পৃথিবীর প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থগুলো কখনোয় বহুবিবাহের বিপক্ষে অবস্থান নেয়নি।
কেবল কয়েক দশক আগে হিন্দু ও ক্রিস্টিয়ান তা কিছু দেশে আইন করে বন্ধ করে।
স্বয়ং শ্রী কৃষ্ণও বহু বিবাহ করেছিলেন। ক্রিস্টিয়ানদের তৎকালীন যাজকদেরও একাধিক স্ত্রী ছিল। নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তা সর্বাধিক জ্ঞানী। তাই তিনি আমাদের এমন সুন্দর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
তবে ইসলামে এই বহুবিবাহকে বার বার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। ইসলাম সন্তুষ্ট থাকতে বলেছে কেবল একটি মাত্র স্ত্রী নিয়ে। কেবল প্রয়োজন অনুসারে শর্ত মেনেই বহুবিবাহ করা যাবে।
#সাদ
৩-অক্টোবর-১৪
#SaadFacebook
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০১
মিতক্ষরা বলেছেন: মনে করুন একজন পুরুষ বন্ধ্যা। তার স্ত্রী কিন্তু দ্বিতীয় স্বামী রাখতে পারছেন না। সেজন্য এইসব যুক্তির অসারতা এক জায়গায় গিয়ে ঠেকে। তার চেয়ে এই যুক্তিই তো সবচেয়ে চমৎকার : পৃথিবী পুরুষদের অধীন।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৮
সাদ ৭ বলেছেন: নারীদের তালাক দেয়ার অনুমতি আছে। আর এখন চিকিৎসা বিজ্ঞান এত উন্নত যে, বন্ধ্যত্ব কোন চিন্তার বিষয় না।
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৬
নতুন বলেছেন: পুরুষ হয়ে>> একজন মেয়েকে তার স্বামীকে আরো ৩জন নারীর সাথে ভাগ করতে বলা খুবই সহজ...
সমাজে অনেক নিয়মই আছে যা পুরুষের তৌরি এবং সবাই তার প্রসংসায় মসগুল..
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০
সাদ ৭ বলেছেন: যদি ইসলামের কথা বলি, ইসলাম এক স্ত্রীকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে বলেছে আর বহুবিবাহকে অনুৎসাহিত করেছে।
আর যদি তোমরা এতিমদের (মেয়েদের) সাথে বেইনসাফী করার ব্যাপারে ভয় করো, তাহলে যেসব মেয়েদের তোমরা পছন্দ করো তাদের মধ্যে থেকে দুই , তিন বা চারজনকে বিয়ে করো৷ কিন্তু যদি তোমরা তাদের সাথে ইনসাফ করতে পারবে না বলে আশংকা করো , তাহলে একজনকেই বিয়ে করো৷ অথবা তোমাদের অধিকারে সেসব মেয়ে আছে তাদেরকে বিয়ে করো৷ বেইনসাফীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এটিই অধিকতর সঠিক পদ্ধতি৷ (সুরা নিসাঃ ৩)
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩০
নতুন বলেছেন: অথবা তোমাদের অধিকারে সেসব মেয়ে আছে তাদেরকে বিয়ে করো৷ >> দাসী বোঝানো হয়েছে
সমাজে অনেক নিয়মই আছে যা পুরুষের তৌরি এবং সবাই তার প্রসংসায় মসগুল..
নিজেকে যদি কোন নারীর স্হানে কল্পনা করতো পারো তবে বিষয়টা বুঝতে পারবে...
যাইহোক.. হ্যাপি ব্লোগিং...
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
সাদ ৭ বলেছেন: সাধারণ ভাবে আসি প্রথমে। ১। আপনি রেফারেন্স দেননি। ২। আমার পোস্টের কোন বিরোধিতামূলক যুক্তি দেখাতে পারেননি। ৩। দাশী হয়ে থাকা ভাল না স্ত্রী হয়ে?
আপনাকেও হ্যাপি ব্লগিং
৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪১
নতুন বলেছেন: প্রিয় সাদ
আমি রেফারেন্স দেইনি কারন আমি তো কোন বিতকে` যাইনি...
* গরীব এক প্রবাসী রফিক। অনেক কষ্ট করে বিদেশে তার পাড়ি। কিন্তু বউকে নিয়ে যাওয়ার তার সামর্থ্য নেই। কিন্তু একাধিকও বিয়ে করতে পারছে না কেবল সমাজের ভয়ে। তাই অপরাহ্ণের গল্পের মত জড়িয়ে পরে খারাপ মেয়ের সাথে। ফলাফল এইডস।
গরীব প্রবাসী সম্পকে ধারনা আছে?? থাকলে এই গল্প লিখতে না..
প্রবাসে যার বউ নিয়ে যাওয়ার সামথ্য` নেই তাকে একাথিক বিয়ে করার অনুমুতি দিলেই কি সে বিয়ে করতে পারবে? প্রবাসে বিদেশীরা গরীব বাংলাদেশীদের বিয়ে করবে?
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
সাদ ৭ বলেছেন: আমিতো সবার কথা বলিনি।
৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
নতুন বলেছেন: গরীব কোন প্রবাসী রফিক এই কথা বলেছে যে" বিয়ে করার অনুমুতি না পেয়ে তিনি এইডস বাধিয়েছে?
ওকে। প্রথম দুটি গল্প সত্যিকারে। আর বাকিসব নিত্য জীবনের আলোকে আমার বানানো কাল্পনিক গল্প।
আগে বাস্তবতা ভাল ভাবে বুঝে দেখো.. তবেই উপরের সব ব্লগারের কথার অথ` বুঝতে পারবে...
* একমাত্র বন্ধ্যা স্ত্রীকে শফিক সাহেব খুব ভালোবাসেন। কিন্তু পরিবার থেকে বার বার চাপ আসে বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারের জন্য।
>> এর ভাল সমাধান যদি বহুবিবাহ হয়??
* বেচারা মফিজের বউ বেজায় রাগি। মুখ চালাতে সে ওস্তাদ। এমনকি যে মা মফিজকে ৯মাস গর্ভে ধারণ করেছেন তার সাথেও তার বউ মুখের উপর কথা বলতে আটকায় না। >>
স্ত্রী ঝগড়াটে হলে ২য় বিয়ে করতে হবে???
সেই বহু বিবাহের থিওরি অনুযায়ী>>
* প্রচণ্ড স্বামী ভক্ত রত্না। তার স্বামীও বিয়ের আগে বেশ ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ সে নেশাগ্রস্থ হয়ে পরে। নেশার ঘরে রত্নাকেও আঘাত করতে তার মন আটকায় না।
রত্নার কি করা উচিত???
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
সাদ ৭ বলেছেন: প্রথমত, হয় আপনি পোস্টটি ভালো মত পড়েননি বা বুঝেননি।
দ্বিতীয়ত, আপনার সাথে আমার মত ভিন্ন থাকতেই পারে।
তৃতীয়ত ঘটনা গুলো আমি খুব সংক্ষেপে বলেছি। যারা বুঝার তাদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট এই ভেবে। আপনি চেষ্টা করুন পুরো ঘটনার বুঝার।
চতুর্থত, আপনি আপনার প্রশ্নের ব্যাখ্যা করছি।
* বন্ধ্যা স্ত্রীও যেখানে সন্তান চাই, সেখানে সতীন থাকলে সমস্যা কোথায়?
* কারো স্ত্রী যদি অসৎ হয়, নিজের সাথে এবং তার মা-বাবার সাথে সারাক্ষণ খারাপ ব্যাবহার করে সেখানে তালাক দিয়ে আরেক স্ত্রী বিবাহ করা দোষের কি?
* রত্না তালাক দিবে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
মিতক্ষরা বলেছেন: পৃথিবী পুরুষদের অধীন। ধর্মও তা মেনে নিয়েছে। বীরভোগ্যা বসুন্ধরা।