![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে বাসায় আসার পথে দেখলাম একজন তরুণ কিছু কাগজ বিলি করছিল। আমি তার সামনের দিকে যেতেই শেষ কাগজ আমাকে দিয়ে তিনি চলে যান। আমি সেখানেই কাগজটি পড়তে লাগলাম। হেডলাইন ছিল এমনঃ-
অলৌকিক ঘটনা আপনি পড়ুন, অপরকে শোনান।
ভিতরে হাবিজাবি কিসসা কাহিনীতে ভরপুর। কে নাকি কি স্বপ্নে দেখেছে, কোন এক ব্যক্তির নাকি ভবিষ্যতে জন্ম হবে তিনি নাকি এ কাগজ যে বিলি করবে তাকে সাহায্য করবে। বাহ চমৎকার। ধরুন এ মুহূর্তে ৬০বছরের এক লোক কাগজটি বিলি করল এ আসায় যে ঐ ব্যক্তি ভবিষ্যতে জন্ম নিয়ে তাকে সাহায্য করবে। ঐ বয়স্ক ব্যক্তি তাকে দেখার সুযোগ পাবে কিনা সন্দেহ সাহায্য পাওয়া তো দূরের কথা। আর নিশ্চয় পাঁচ বছরের শিশু তো চাইলেই কাউকে সাহায্য করতে পারবে না। তাকে একটি পরিপূর্ণ বয়সে পৌঁছাতে হবে কাউকে সাহায্য করার জন্য। [সাহায্য করার মালিক সৃষ্টিকর্তা]
ঘটনা এখানেই শেষ না। সেখানে বলা আছে যে নাকি এই কাগজ ১০০০ টি বিলি করবে সে নাকি অনেক কিছু পাবে। এক রিক্সাওয়ালা ৮৫০টি ছাপিয়ে মাটি খুড়ে সোনার কলসি পেয়েছে। রিক্সাওয়ালা হঠাৎ করে মাটি কাটা শুরু করে দিল খাবার যোগাড়ের জন্য রিক্সা না চালিয়ে! আর এ যুগে সোনার কলসি! বাহ! হতে পারে কাঁকতলিয়। কিন্তু এই কাগজ ছেপেছে বলেই যে পেল এটার গ্যারান্টি কি?
আবার লেখা আছে, আরেকজন এটি ছাপায় নাই বলে তার বউ নাকি মারা গেছে! পৃথিবীর অনেক মানুষ আছে যারা তাদের বউকে পছন্দ করে না, তাদের বউ মারার এক মোক্ষম উপায়। তারা শুধু বিলি করেই যেত। [জন্ম-মৃত্যু সৃষ্টিকর্তা হাতে।]
এরকম আরো নানা হাবিজাবি কাহিনীতে ভরপুর ছিল। যদিও এমন কাগজ আমার কাছে নতুন না, অনেকেই এর সাথে পরিচিত। পড়া শেষ করতেই লোকটার সাথে কথা বলার জন্য খুঁজছিলাম দেখালাম ততক্ষণে তিনি চলেই গেছেন। যাই হউক, লোকটি ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলের শিখার। এখন অন্যরাও হচ্ছে। ব্ল্যাকমেইল নৈতিকতা বহির্ভূত। এটি অনৈতিক অপরাধ। এই পদ্ধতি ব্যাবহার করে সমাজের হাজার হাজার মানুষ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু অসাধু মহল। তারা কাগজ বিলির পাশাপাশি, খুদে-বার্তা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, এবং কল করার মাধ্যমে অনেকের থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
মনে রাখবেন, জন্ম-মৃত্যু, ভাগ্য, আপদ-বিপদ সকল কিছু সৃষ্টিকর্তার হাতে। কোন কাগজ বা বার্তা আপনার ভাগ্য বা আপনার স্ত্রীর বা পিতা বা পুত্রের মৃত্যুর কারণ হতে পারে না। এসব বন্ধ হবে তখন, যখন আমরা আর এসব আমলে নিব না।
#সাদ
২৭-মার্চ-১৫
#Saad
ফেসবুক
২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪
সাদ ৭ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: সাধারণ মুসলমানরা এর শিকার হন বারংবার , এবং এটা ইসলামের পরিপন্থি ও কূফরী মূলক কাজ যা প্রতিহত করা আবশ্যক।
২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬
সাদ ৭ বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে অমুসলিমরাও যে এর স্বীকার হচ্ছে না তা নয়। তখন হুজুরের জাগায় বাবা হয়ে যায়।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৪
আজব গোয়েন্দা বলেছেন: তা তো বটেই...এই খেলাটা বর্তমানে হিন্দু ও মুসলিম ধর্মালম্বীদের নিয়ে খেলা হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
♥কবি♥ বলেছেন: সচেতনামূলক পোস্টে +++