নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বচিন্ত

স্বচিন্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির পতাকা আজ খামছে ধরেছে সেইে পুরনো শকুন

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১২

স্বাধীনতা-পূর্বকালে এদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ছয়টি আর বর্তমানে তার সংখ্যা অগণিত না হলেও বহু। এ সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর বহু সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী নানা স্বপ্ন নিয়ে না হলেও কমপক্ষে পড়াশুনা করতে ভর্তি হয় তাও আবার ভর্তি-পরীক্ষার মত একটি কলম-যুদ্ধের মধ্যদিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে তারা; যারা প্রথম শ্রেণি হতে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সময়ের শিক্ষাটাকে নিতান্ত অনিচ্ছা সত্ত্বে গ্রহণ করে কিন্তু একটি মাত্র পরীক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা যা ছাত্র-ছাত্রী অনিচ্ছায় নয় বরং বহু আগ্রহ ভরা মন নিয়ে,এইচ.এস.সি পরবর্তী ছ’মাস কিংবা কেউ কেউ দেড় বছর বহু পড়াশুনা করে ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে এখানে পড়তে আসে। কিন্তু এখানেও সেই রবীন্দ্রনাথের শৈশবের দশা। রবীন্দ্রনাথ ছেলেবেলায় স্কুলে যাবার জন্য বহু কান্নাকাটি করায় তাঁর গৃহশিক্ষক বলেছিলেন,Ñ‘এখন ইস্কুলে যাবার জন্য যেমন কাঁদিতেছ, না যাইবার জন্য ইহার চেয়ে অনেক বেশি কাঁদিতে হইবে’। ঠিক তদ্রুপ এখানে আসার জন্য যেমন আগ্রহ আর প্রচেষ্টা,বের হয়ে যাবার জন্য তার চেয়ে বহু আগ্রহ। কিনÍু পালিয়ে বাঁচার উপায় নেই কারণ শকুনের থাবা।

মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় মধ্যযুগীয় বর্বরতা,সম্পকের মাপকাঠি হয়ে দাড়ায় ধর্ম এবং রাজনৈতিক দর্শন। ফ্রয়েডিয় যৌন তত্ত্বের কথা বলে ছাত্র-ছাত্রীদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে দেখেন পান মদন-রতীর প্রতিচ্ছবির মত,ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নাযিল হয় একের পর এক দৈব আদেশ, আলাদা আলাদা বসা, ছাত্রীদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুখোশ পরা, গুরুদেবের দীক্ষিত রাজনৈতিক দর্শনের বায়াত নেওয়া, সেই রাজনৈতিক দর্শনে দীক্ষিত অগ্রজদের মেসনামক আশ্রমে তপস্যা গ্রহণ করা ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যারা এসব বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে পারে তারাই উপযুক্ত মেধাবীর মর্যাদা লাভ করে এবং তার জন্য অপেক্ষা করে ফলাফলের বোর্ডে সর্বোচ্চ স্কোর।

মোহমুক্তি ও মুখোশ উন্মোচনের এ পর্যায়ে শির্ক্ষাথী লক্ষ্য করে তার প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া কিংবা জি.পি.এ ৩.৭৫ থেকে ৩.৯৯ পাওয়া তার নিজের কোনো কৃতিত্ব নয় বরং গুরুদেবের দক্ষিণামাত্র। তবে এ পরিসংখ্যান সকলের জন্য নয়। আর যে সকল শির্ক্ষাথী পূর্বোক্ত দৈবাদেশ অমান্য কিংবা যারা এসব বিষয়ে অবগত না হন তাদের ভাগ্যে জোটে অর্বণনীয় লাঞ্চনা। শির্ক্ষাথী তার মেধার যোগ্যতায় যদি ৩.২৫ পাওয়ার যোগ্যও হয় তার দৈবাদেশ অমান্য করার কারণে তার ভাগ্যে জোটে ২.৫০। শির্ক্ষাথীর খাতা মূল্যায়ণ খাতার লেখার ভিত্তিতে হয়না হয় তার রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ভিত্তিতে। হাজিরাখাতা সংরক্ষণ না করেও গুরুদেবগণ কোন কোন শির্ক্ষাথীকে প্রদান করেন দশ নম্বরের মধ্যে দশ (পারলে আরো বেশি দিতেন) লাঞ্চিতদের ভাগ্যে দু’একটা উপস্থিতি কম হলেও চার কিংবা পাঁচ। নোংরামির সর্বোচ্চ পর্যায়টি হয় টার্মটেস্ট নামক পরীক্ষার খাতায় কেননা এর কোনো দ্বিতীয় পরীক্ষক নেই। তবে এতে আর্শ্চযের কিছু নেই কারণ রবীন্দ্রনাথ ছোটবেলায় এক শিক্ষকের শ্রেণিকক্ষে কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করার কারনে তার প্রতি অশ্রদ্ধাবশত ঐ শিক্ষকের কোন প্রশ্নের উত্তর করতেন না। তারপর যখন তাঁদের বাংলার বাৎসরিক পরীক্ষা হল তিনি উক্ত পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় ঐ শিক্ষক ভাবলেন পরীক্ষক তাঁর প্রতি পক্ষপাত দেখিয়েছেন। তাই তাঁর দ্বিতীয়বার পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছিল। এ কথা আমার বলার উদ্দেশ্য এই যে রবীন্দ্রনাথ এর ন্যায় শিশুর সাথে যদি ঐ অধমব্যক্তি এমন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আমাদের সঙ্গে গুরুদেবগণ আর কী-ই বা করেন আমরা তো প্রত্যেকেই আঠার্রোদ্ধ। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শির্ক্ষাথীদের এবং শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয় গোয়েন্দাগিরির কাজে।

এভাবে শিক্ষার্থীদের পঁচা ও জড়বস্তুতে পরিণত করছে ঐ সব গুরুদেবগণ। আজ যুদ্ধাপরাধীদের যে বিচার করা হচ্ছে তা অনর্থক কেননা তারা যে অপরাধ করেছে,মানবতাবিরোধী কাজ করেছে তা শুধু ১৯৭১ এ আর তাদের উত্তরসূরিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রূপে প্রবেশ করে গোটা জাতির মেরুদ-টা ভেঙে দিচ্ছেÑ প্র¯তুত করছে রাজাকার, তাবেদার। তাই তাদের সরানো না গেলে এরকম হাজারটা বিচার করেও এ সব শকুনদের শেষ করা যাবে না। যে শির্ক্ষাথীদের হাতে জাতির পতাকা থাকার কথা সে পতাকা আজ সেই ৭১ এর পুরানা শকুনরা খামছে ধরে আছেÑ তাদের চেনার উপায় তারা শ্রেণিকক্ষে ‘নীতির টিনের ভেঁপু’ বাজান,তাদের মুখে মধু অন্তরে বিষ।তবে তাদেও জন্য একটি হুশিয়ারি ‘রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে’

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: তীব্র ঘৃণা ঝরে পড়ছে আপনার লেখায়।
যদিও একটূ কঠিন, কিন্তু ভালো লিখেছেন।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

স্বচিন্ত বলেছেন: আসলে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলে ফেললাম

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

মাথাল বলেছেন: খুবই সত্য কথা। তবে আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে ভার্সিটির শিক্ষকরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ভুলেই যান যে তারা কেন নিয়োগ পেয়েছিল। উনারা ব্যস্থ হয়ে যান নিজেদের আখের গোছাতে। নিজেদের গবেষণা, পাবলিকেশন্স... ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে। ক্লাসে যাবার টাইমই পান না।

তারা আবার পার্ট্টাইম হিসেবে চলে যান প্রাইভেট ভার্সিটিতে। যার জন্য তার প্রাইভেট ভার্সিটিতে এত ডিমান্ড সেটাই ভুলে যান। নিজের ক্লাসে আসার টাইম পান না।

গবেষণা করতে মানা করছি না। বিভিন্ন প্রজেক্ট করেন... এতে উন্নতিই হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু ক্লাসে গিয়ে যদি ক্লাসই না কোরআন তবে শিক্ষক পদবি কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.