![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রোদেলা দিন,আকাশের এক কোনে খন্ড খন্ড মেঘপুঞ্জ।সেগুলো বার বার এসে গ্রাস করতে চায় সূর্যকে।ঠিক এমনই দিনে বিস্তৃর্ন এক খোলা মাঠের ধারে বসে ছিল এক নাগরিক কবি।জীবনান্দ দাশের মত বাংলার প্রকৃতির সাথে মিশে যেতে এই নাগরিক কবি এসেছেন এই স্থানে।বসন্তের সাজে সাজতে শুরু করেছে প্রকৃতি।হঠাৎ এক ঝাক কোকিল কোথা থেকে যেন উরে এসে গিয়ে বসল মাঠের শেষ প্রান্তের বটগাছটাতে। দৃশ্যটি দেখে কবির খুব ইচ্ছে করছিল পাখিদের সাথে হারিয়ে যেতে।এমনি করে কেটে গেল কিছু সময়।এরই মধ্যে হঠাৎ সব কোকিল ডেকে উঠল ঐ গাছটাতে।যেন স্বর্গীয় কোন সুর পৃথিবীতে প্রবেশ করেছে|কিন্তু না কিছুক্ষণ পর একটা একটা করে কোকিল গাছ থেকে নিচে পড়তে শুরু করল|এই দৃশ্য দেখে নাগরিক কবি স্থির থাকতে পারলনা|সে দৌড়ে গেল গাছের নিচে|সে গিয়ে দেখলেন নিচে পড়ে আছে অসংখ্য কোকিল|তাদের সবার গলা রক্তাক্ত|এ যেন এক র্ববর দৃশ্য তার চোখের সামনে ভেসে উঠল|নিজ থেকেই যেন কেঁদে উঠলেন কবি|জিজ্ঞাস করলেন মৃত প্রায় এক কোকিল কে,কেন তোমাদের এই আবস্থা? কোকিলটি বলতে লাগল আমরা গান গাইতে গাইতে এই গাছটিতে বসে ছিলাম একটু বিশ্রামের জন্য|কিন্তু এই গাছে থাকে এক ভয়ংকর দৈত্য,সে আমাদের তার মায়া জাদু দিয়ে আটকে ফেলল|সে বলল আমার আনুমতি ছাড়া তোরা এই গাছে বসেছিস তোদের আর রক্ষে নেই|আমরা ভুল হয়ে গেছে বলে ক্ষমা চাইলাম|সে বলল যদি আমাক খুশি করতে পারিস তাহলে তোদের ছেরে দেব|আমরা বললাম,আমরা গানের পাখি গানই আমদের ভাষা তাশুনে যদি আপনি খুশি হন|তখন দৈত্য বলল তাহলে শুনি তোদের ভাষা|তখন আমরা সবাই ডেকে উঠলাম|কবিরও মনেপড়ল একটু আগে শুনা সেই মধুর সুরের কাথা| তারপর কোকিল বলতে লাগল আমাদের গান গাওয়া শেষ হলে দৈত্য বলল বাহ্…বাহ্ চমৎকার|কিন্তু নিষ্ঠুর দৈত্য বলল তোদের গান আমার ভাল লেগেছে|তোদের ভাষা আমাকে দিয়েদে|আমরা বললাম এই ভাষা আমদের জীবন এই ভাষা না থাকলে আমারা গান গাইতে পারবনা আর গানই আমদের আস্তিত্ব|নিষ্ঠুর দৈত্য তখন তার নখের আচড়ে আমাদের কন্ঠনালি ছিরে দিল আর বলল ভাষা দিবিনা তাহলে জীবনদে
এই কথা বলতে বলতে মৃত্যুর কোলে ঢলেপড়ল কোকিলটি|ঠিক আমনই সময় দূর থেকে মাইকের মৃদু শব্দে ভেসে আসতে লাগল একটি গানঃআমর ভাইয়ের রক্তে রঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি|নাগরিক কবি নিথর হয়ে গেলেন কিছুক্ষণের জন্য|সত্যি আজ একুশে ফেব্রুয়ারি|ইতিহাসের একুশ হয়তো সবাই মনে রাখবে কিন্তু আজকের এই একুশের কথা হয়তো লেখা হবেনা কোন ইতিহাসের পাতায়,ছাপা হবেনা কোন পত্রিকায়|বাংলার প্রকৃতিতে হয়তো এমন একুশ নিত্যই ঘটে চলছে |কে তার খবর রাখে|তবু এই দৃশ্য দেখার পর নাগরিক কবির হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ ঘটেছে সেই রক্তক্ষরণ যদি বাংলার প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ঘটে তবেই একুশের স্বার্থকতা,স্বার্থকতা সেই আত্মত্যগী কোকিলগুলোর|সত্যি ওরা সাধারণ কোকিল নায় ওরা ‘একুশপাখি’|
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
রেজোওয়ানা বলেছেন: সুন্দর লেখা~
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
মেহেরুন বলেছেন: ভালো লাগলো। লেখার সাথে একটা ছবি যুক্ত করে দিলে পোস্ট আরও রঙিন ও আকর্ষণীয় লাগতো। ধন্যবাদ