নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Sharif Osman Bin Hadi (ফেইজবুক পোষ্ট থেকে)
এই সেই ৭ দফা চুক্তি, যার মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে গোলাম বানানো হয়েছিলো।
তাজ উদ্দিন-সৈয়দ নজরুলরা যুদ্ধকালেই দেশ লিখে দিয়েছিলো ভারতকে। নুরুল কাদিরের লেখা 'দুশো ছেষট্টি দিনে স্বাধীনতা' বইয়ের ৩২৫ পাতায় সে দাসত্বের কথা লেখা আছে। যার সামারি-টা সংক্ষেপে দেওয়া হলো-
১৯৭১ সালের অক্টোবর ভারতের একজন কর্মকর্তা ও বাংলাদেশের পক্ষে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম ৭ দফা চুক্তি সই করেন।
চুক্তির ভয়াবহতা ভেবে এ অনুষ্ঠানে সৈয়দ নজরুল ইসলাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি এ চুক্তি।
মুজিবনগর সরকারের অনেকেই জানতেন না এ চুক্তির বিষয়। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন মরহুম তাজউদ্দিন।গোপন চুক্তির ৭ দফা হলো:
১. মুক্তিযুদ্ধ করেনি এমন কর্মকর্তাদেরকে চাকুরী থেকে অবসর দেয়া হবে। অভিজ্ঞ কর্মচারীর শূন্যতা পূরণ করবে ভারতীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। লক্ষ করে দেখবেন, স্বাধীনতার পর বেশ কিছু ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস অফিসার ঢাকায় ও বিভিন্ন জেলায় ডিসি হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন।
২. বাংলাদেশের নিজস্ব কোন সেনাবাহিনী থাকবে না।
৩. অভ্যন্তরীণ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য একটি প্যারা মিলিশিয়া বাহিনী থাকবে, যা পরে রক্ষী বাহিনী হিসেবে গঠিত হয়েছিল। প্রশিক্ষণে ছিলেন ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাগণ।
৪. ভারতের সেনাবাহিনী থাকবে বাংলাদেশে। প্রতিবছর নভেম্বর মাসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭২ সালের নভেম্বর থেকে এর কাজ শুরু হবে।
৫. বাণিজ্যিক সমঝোতা ছিল খোলা বাজার প্রতিষ্ঠা করা। সীমান্তের তিন মাইল জুড়ে চালু হবে খোলা বাজার। কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। শুধু বছর শেষে হিসাব নিকাশ হবে। প্রাপ্য মেটানো হবে পাউন্ড, ষ্টার্লিং এর মাধ্যমে।
৬. বিদেশ বিষয়ে ভারত যা বলবে, তাই মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ, সাউথ ব্লকের এনেক্স হবে সেগুন বাগিচা। এক কথায় বলা চলে উল্লেখিত চুক্তির ফলে ভারত বাংলাদেশের সামরিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ের কর্তৃত্ব পেয়ে যায়।
৭. পাকিস্তানের সাথে চুড়ান্ত লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিবেন ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান। মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক সহপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পাবেন না।
এই ৭ দফা চুক্তির পরেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। আর এখনও ভারতীয় সেনাবাহিনী ১৬ই ডিসেম্বরকে ইষ্টার্ন কমান্ড দিবস হিসেবে পালন করে!
অথচ পঞ্চাশ বছর ধরে আমাদেরকে শেখানো হচ্ছে- আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে! ভারত আমাদেরকে স্বাধীন করে দিয়েছে!
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২১
বাকপ্রবাস বলেছেন: সঠিক ইতিহাস জানতে আগ্রহী, আমরা এখনো সঠিক ইতিহাস জানিনা, জানানো হচ্ছেনা দিচ্ছেনা।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভারতের সাথে সশস্ত্র যুদ্ধ ঘোষণা করা উচিত ইনুছ সরকারের।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভারতবান্ধব মন হলে এসবে কষ্ট লাগবে।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫০
রাসেল বলেছেন: এই দেশপ্রেম নিয়ে আমরা হুংকার ছাড়ি। এতটা লোভী, নিলর্জ রাজনীতিবীদের উদহারণ পৃথিবীতে নাই।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯
বাকপ্রবাস বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের উপর ভরসা পাইনা, অল্পতেই মীরজাফর হয়ে যাই
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পাকিস্তানের থেকে আলাদা হয়ে ভুল হয়েছে। আবার অখন্ড পাকিস্তান গড়তে হবে। ভারতকে পরাশক্তি হয়ে উঠতে দেয়া যাবে না।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০০
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভুল হয়নাই, খোদ পাকিস্তান এখন বাংলাদেশকে সম্মান করছে, ভারত এখনো ভাবছে বাংলাদেশ তাদের অংগ রাজ্য
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮
পবন সরকার বলেছেন: মেজর ডালিম এটা কি করে গেল পুরো ইতিহাস পাল্টে দিল।
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০০
বাকপ্রবাস বলেছেন: চেতনাতে পানি ঢেলে দিল
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
কিরকুট বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি যেখানে থাকেন সেখানে গাজা খুব সস্তা । আমার আরো মনে হয় আপনি গাজের সাথে মরফিন হেরোইন ককটেল বানিয়ে সেবন করেন । ডাক্তার দেখান । ভবিষ্যত ভালো না ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২২
বাকপ্রবাস বলেছেন: নাটক কম কর পিও................ডায়ালগটা হাসিনাকে দিয়েছিল ছাত্ররা, সে এখন দিল্লীর কেদেরায়
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভুল পোষ্ট শেয়ার করেছেন।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২৩
বাকপ্রবাস বলেছেন: আওয়ামিরা ইতিহাস গুলিয়ে খায় তায় ভুল পোষ্ট বাতাসে ছড়ায়
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিকার ইতিহাস।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: আওয়ামিরা এগুলো মদের বোতলের সাথে খেয়ে ফেলে দেয় আর সবাইকে মাতাল বানিয়ে ছাড়ে
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধরেন ওই সময় মুজিবনগর সরকার ভারতের কথা শুনল না। তখন কী হতো? মুজিবনগর সরকারের কি অত ক্ষমতা ছিল এসবের বিপক্ষে যাওয়ার? ইন্দিরা গান্ধীর অবদান তো মানেন? ধরেন ইন্দিরা গান্ধী সহযোগিতা করলেন না, তখন কী হতো?
সেফ জোনে থাকলে অনেক কথাই বলা যায়। ডালিম এখন অনেকের নায়ক। অথচ সে বলে সো কল্ড মুক্তিযুদ্ধ। একজন মুক্তিযোদ্ধা কি এটা বলতে পারে? এম এ জলিলেরও অনুশোচনা ছিল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে।
জামায়াতিদের একটা দুঃখ কাজ করে পাকিস্তান ভাঙায়। এ জন্য বঙ্গবন্ধুকে ফেরাউন এই সেই বলে মানসিক শান্তি খুঁজে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় এরা বঙ্গবন্ধুকে পায় না বলে, অথচ তাদের পূর্বপুরুষ গোলাম আজম-সাঈদি-নিজামীদের কী অবদান ছিল সেটা চেপে যায়।
১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:০২
বাকপ্রবাস বলেছেন: স্বীকার করলে হবে, আগে ইতিহাস এর সত্যটা বের হোক। আমার কথা হল সত্যটা জানার পর বিবেচনা করা হবে, কিন্তু সত্যটাইতো জানতে দেয়া হচ্ছেনা।
জামাত এর রাজনীতি ব্যাক্তিগতভাবে আমি মানতে পারিনা, সেটা ধর্মিয় কারণে। জামাত জেনে হোক না জেনে হোক সে ইসলামী রাজনীতির যে ব্যাখ্যা দেয় সেটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
আর আওয়ামিকে আমার হিংস্র মনে হয়, বর্তমান আওয়ামিরা দেশের ক্ষতি করে হলেও তাদের রাজনীতিটা করছে। হাসিনা যা করেছে এবং করছে সেটা সার্বভৌম বিরোধী।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩১
কাঁউটাল বলেছেন: ডালিম হিরো, এতে আমার অন্তত কোন দ্বিমত নাই। মুজিবের মতো ফেরাউনের বংশকে নির্বংশ করতে পারা যে কত বড় কাজ, সেইটা হাসিনার ১৫ বছর দেখেই তো বুঝি।