![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডাঃ জাকির নায়েক বর্তমান সময়ের একজন জনপ্রিয় বক্তা আবার তিনি একই সাথে এই ভারতীয় উপমহাদেশের অনেক আলেমের কাছে সমালোচিতও বটে। কেউ কেউ তাঁকে ইহুদী খ্রিষ্টানের এজেন্ট বলে থাকেন। আর নাস্তিকদের কাছে তিনি জোকার নায়েক বলে পরিচিত।
আসলেই কি তাই? আমার মনে হয় কিছু বিষয় ক্লিয়ার করলে ভুল বুঝাবুঝি অনেক কমে যাবে।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগগুলো হলোঃ
১) ডাঃ জাকির নায়েক একজন প্রথাগত শিক্ষায় শিক্ষিত। পেশাগত জীবনে তিনি একজন
ডাক্তার। এবং জীবনে মাদ্রাসায় পড়েন নি। উনার কুনো স্বীকৃত উস্তাদ নেই।
২) সাধারনত স্যুট টাই পড়েন
৩) নির্দিষ্ট কুনো মাজহাবের অনুসরন করেন না।
৪) তিনি কোন আলেম নন।
৫) তিনি ভুল মাসায়ালা দেন।
৬) উনার আরবী উচ্চারন সঠিক নয়।
৭) তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে ইসলাম প্রচার করেন।
৮) তার এখানে পর্দা বজায় রাখা হয় না।
৯) তিনি অন্য ধর্মের ধর্ম গ্রন্থ থেকে রেফারেন্স দেন।
১০) তাঁকে ইহুদী খ্রিস্টানদের এজেন্ট বলার অন্যতম কারন হিসেবে বলা হয় তিনি
ভারতের মুম্বাইয়ের মতো জায়গায় কিভাবে পিস-টিভি পরিচালনা করছেন? যেটা
অসম্ভব!
১১) তিনি নাকি ইসলাম কে ছোট করেছেন। (নায়ুযুবিল্লাহ)
১২) তিনি নাকি বলেছেন কোরআনে ভুল আছে (নায়যুবিল্লাহ)। আল্লাহর কসম করে বলছি, এই প্রমান যদি কেউ আমাকে দেখাতে পারে সেদিন থেকে আমিও জাকির নায়েক কে আল্লাহর কারনে অপছন্দ করা শুরু করে দেবো।
এবার যুক্তি দিয়ে খন্ডন করি উনার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ বা অপপ্রচার প্রচলিত, সেগুলো কতটুকু বাস্তবিক বা যুক্তিসম্মত। মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই তিনি যেন আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দেন আর আমি যদি ভুল পথে থাকি তিনি যেনো মেহেরবানী করে আমাকে সঠিক পথে নিয়ে আসেন এবং মুমিন না বানিয়ে মৃত্যু না দেন । আমিন।
প্রথমতঃ যে জিনিসটা বলা উচিত তা হলো তিনি একেবারেই সাধারন মানুষ। তার প্রতিনিয়ত ভুল হচ্ছে। তিনি কোন ওলী আওলিয়া বা আলেম নন। তার কথা শুনার বাধ্যবাধকতা কারো নেই। তিনিও অসংখ্যবার বলেছেন তিনি সকল ধর্মের একজন ছাত্র। ডাক্তারী বিষয়ে উনি যা বলবেন সেটা গ্রহনযোগ্য হতে পারে কিন্তু ধর্মীয় অবশ্যপালনীয় বিষয় গুলো যাচাই করে নিতে।
তিনি আল-কোরানের হাফিজ কিংবা ক্বারিও নন, সেক্ষেত্রে তাঁর আরবি হরফ উচ্চারন যে সঠিক যথাযথ হবে এমন তো নয়। তিনি সেখানে শুধুমাত্র আরবি আয়াত quote করেন। তিনি ত সেই আয়াত কাউকে শিক্ষা দিচ্ছেন না, শুধুমাত্র রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করছেন। তাছাড়া আমি শুনেছি তিনি তোতলা এটাও এক কারন হতে পারে।
দ্বিতীয়তঃ উনাকে যারা অপছন্দ করে বা ঘৃণা করে (বিশেষ করে এই উপমহাদেশে) তাদের বেশিরভাগ মানুষই সারা জীবনে একবারও উনার লেকচার নিজ কানে শুনেনি বা দেখেনি। কেবলমাত্র হুজুর বা আমিরের কথাকে তাকলিদ করে উনাকে ভালোবাসেনা। বিপরীতদিকে যারা উনাকে পছন্দ করে তারা সবাই কারো কথা শুনে তাঁকে পছন্দ করে না বরং নিজ কানে এবং স্বচক্ষে উনার লেকচার শুনে উনাকে পছন্দ করে। এটাই হচ্ছে উনার আল্লাহর দেয়া মহা গুণ।
তৃতীয়তঃ এখানে বলে রাখা দরকার, তিনি ধর্মীয়ভাবে পালনীয় বিষয় নিয়ে সাধারণত বিতর্ক করেন না। এমনকি কখনো কুনো আলেমের সাথে বিতর্ক করেছেন বলে আমার জানা নেই। যখন প্রশ্নোত্তর পর্বে কেউ কোন বিষয়ে জিজ্ঞেস করে তখন তিনি হাদিস এবং রেফারেন্স দেন এবং বলেন এই ইমামের এই মত ঐ ইমামের ঐ মত। এটা তার নিজস্ব কোন অভিমত নয়। তার বিতর্কের মূল বিষয় হচ্ছে Religion Vs Religion. উনি বোঝাতে চান আগে একটা বিষয়ে একমত হই আল্লাহ এক। তার কোন শরিক নেই। বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ থেকে এটাই রেফারেন্স দেন। হিন্দুকে দেন বেদ থেকে, খ্রিষ্টানকে দেন বাইবেল থেকে আর তালমুদ থেকে ইহুদিদের। কারন কোরআন যেমন মুসলমানের কাছে সবচেয়ে সম্মানিত গ্রন্থ, তেমনি হিন্দুদের কাছে বেদ, খ্রিস্টানদের কাছে বাইবেল। তিনি যদি তাদের কাছে তাদের সবচেয়ে সম্মানিত কিতাব থেকে রেফারেন্স দেন সেটা বেশি গ্রহনযোগ্য হবে নাকি আল-কোরান থেকে দিলে বেশি গ্রহনযোগ্য হবে? এটা তার দাওয়াতের কৌশল মাত্র। কারন তাবলিগ বা দাওয়াত দেয়া কারো বাপের মৌরসী সম্পত্তি নয়। এটা হচ্ছে প্রত্যেকের জন্য বাধ্যতামুলক। ফরজে আইন। প্রত্যেক মুসলমান নায়েবে রাসুল (সাঃ) । প্রত্যেককেই এজন্য জবাবদিহী করতে হবে তোমাকে যে জ্ঞান দান করা হয়েছে তানুযায়ী কতটুকু আমল করেছো। উনি উনার কাজ করে যাচ্ছেন।
একটা কথা, উনি যদি এভাবে দাওয়াত না দিতেন বা অকাট্য যুক্তি দ্বারা লেকচার না দিতেন তাহলে তিনি একজন খুব ভালো মুসলিম থাকতেন। কারন আমরা দেখি অনেক খেলোয়ার আছেন যারা একনিষ্ঠভাবে ধর্ম পালন করেন, অনেক ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আছেন, বিজ্ঞানী আছেন, প্রফেসর আছেন যারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে ধর্ম পালন করছেন এবং কখনো তাদের সাধ্যানুযায়ী দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছেন এতে কুনো সমস্যাই হচ্ছে না। কেবল একজন মানুষ তাঁর কথাগুলো টিভি মাধ্যম দ্বারা সারা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন এটাই তাঁর দোষ হয়ে গেলো? নাকি যারা ইসলাম ধর্মকে তাদের নিজেদের উত্তরাধিকার (আপন পিতার) সম্পত্তি মনে করেন, তাদের ব্যবসা মার খেয়ে যাবে এই আশঙ্কায় বিরোধিতা করেন? আপনার কাছে যদি উনার কথা গ্রহনযোগ্য বলে মনে না হয় তবে আপনি তাঁর চেয়ে উন্নতভাবে মানুষকে বুজান। কে মানা করেছে? মানুষ তখন তাঁকে বাদ দিয়ে আপনাকেই বেশী শুনবে। এটাই স্বাভাবিক। তা না করে, যুক্তি বা বিচারের ধার না ধরে টিভি হারাম বলে দিলেন, তাঁর লেকচার শুনা নিষেধ করে দিলেন। কতদিন এরকম ধোঁকা দেবেন? খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনাদের বিরোধিতার পরেও উনাকে পছন্দ করা মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে নাকি কমছে? উনার প্রকাশনা থেকে পাবলিশ করা বই বিক্রি কি কমছে নাকি বাড়তেছে? তারপর নিজেদের প্রশ্ন করুন আসলেই কি আপনারা ঠিক পথে আছেন নাকি বিভ্রান্ত হচ্ছেন? আমি জানি এবং বিশ্বাস করি জাকির নায়েক কে অপছন্দ করেন এমন অনেক আলেম তাঁরা আসলেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা। তাদের নিয়ত হচ্ছে শুদ্ধ। তাঁরা আল্লাহর জন্যই জাকির নায়েক কে অপছন্দ করছেন। কিন্তু আমি মনে করি তাঁরা কারো প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হয়ে এরকম করছেন। ইতিহাসের অনেকক্ষেত্রেই এটা প্রমানিত সত্য। যারা সত্যিকার হাক্কানী আলেম, তাঁরা যদি একবার উনার কথা গুলো Uncut শুনতে পারতেন তবে আমি শিওর তাদের বিভ্রান্তি অনেকাংশে কমে যেতো। কিন্তু উক্ত আলেমগনের আশেপাশে কিছু সুবিধাবাদী দুনিয়াদার আলেম আছে যারা নিজেদের স্বার্থে উনাদের প্রতিনিয়ত জাকির নায়েক সম্পর্কে ভুল Information দিচ্ছে।
চতুর্থতঃ আসি এবার উনার স্যুট আর টাইয়ের বিষয়ে, এব্যাপারে উনি নিজেও গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন যদি কেউ প্রমান দেখাতে পারে যে এটা খ্রিস্টানদের পোষাক তবে তিনি তা বাদ দিয়ে দেবেন। তিনি বলেছেন neck টাই হচ্ছে খ্রিস্টানদের পোষাক কিন্তু প্রচলিত যে টাই সেটা তাদের ধর্মীয় কোন প্রতীক প্রকাশ করে না। পৈতে হচ্ছে হিন্দু ব্রাম্মনগনের পোষাক এজন্য এটি মুসলমানদের জন্য হারাম। কিন্তু টাই খ্রিষ্টানদের যাজকগনের পোষাক নয়, এটা প্রাশ্চাত্যের সার্বজনীন পোষাক। শুধু মুখে বললে তো হবে না, আপনাকে উপযুক্ত প্রমানাদি দিতে হবে। দীর্ঘদিনের প্রচলিত কথাকে base করে বলে দিলেন এটা ক্রুশের মতো দেখায় এজন্য এটা হারাম। কি অদ্ভুত কথা! আচ্ছা উনি তো শুধু মুসলিমদের কাছে দাওয়াহ দিচ্ছেন না। বরং বিশ্বের সকল ধর্মের মানুষের কাছে দাওয়াহ দিচ্ছেন সেক্ষেত্রে যদি তিনি প্রচলিত যেগুলোকে বলা হয় ইসলামী পোষাক (পাঞ্জাবি, আচকান ইত্যাদি) সেগুলো পরিধান করে যদি লেকচার দিতেন তবে কি হতো? প্রথমেই তাঁকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিতো কিংবা একপেশে বলে দিতো। তিনি যতই বুঝাতে চাইতেন বা যুক্তি উপস্থাপন করতেন তাঁকে মৌলবাদী বলে চালিয়ে দিত। অন্য সকল ধর্মের মানুষ উনার লেকচার শুনতে আসত না। এজন্য তিনি এই পোষাক পড়েন (এটা আমার ধারনা)।
পঞ্চমতঃ বলা হয় উনার অনুষ্ঠানে পর্দা মানা হয় না। যারা বলেন আমি নিশ্চিত উনারা নিয়মিত উনার অনুষ্ঠান দেখেন না। কিংবা দু একটি অনুষ্ঠান দেখেই মন্তব্য করে ফেলেন। উনার অনুষ্ঠানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য থাকে পৃথক বসার ব্যবস্থা। আর পর্দা হচ্ছে মুসলমানের উপর ফরজ ভিন্ন ধরমালম্বীদের কাছে তা নয়। সুতরাং অন্য ধর্মের বা নাস্তিকদের পর্দা মেনে আসার কথা বললে কি তাঁরা সেই অনুষ্ঠানে আসবে?
ষষ্ঠতঃ উনাকে বলা হয় লা-মাযহাবী। মানে কুনো নির্দিষ্ট মাযহাবের অনুসারী নন। আমার মনে হয় এটার উত্তর উনিই ভালো দিতে পারবেন। আমি এসংক্রান্ত উনার মতামত পাইনি। তবে আমি শুনেছি উনি সম্ভবত ইমাম মালেক (রাঃ) কিংবা ইমাম ইবনে হাম্বল (রাঃ) এর অনেক ক্ষেত্রে ফলো করেন। (এটা আমি শিওর না)। ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রাঃ) এবং আলবানি (রাঃ)’র ও প্রচ্ছন্ন অনুসরন রয়েছে বলে আমার ধারনা। তিনি মাযহাব বিরুধী এধরনের কোন কথা তাঁর কোনও বক্তব্যেও পাইনি এবং কখনো কোন ইমাম সম্পর্কে খারাপ কথা বলেন নি। তবে কেনো তাঁর প্রতি এতো অপ-প্রচার?
সপ্তমতঃ তিনি কিভাবে ভারতের মতো হিন্দুপ্রধান দেশে এরকম প্রচারনা চালান? কতটুকু হাস্যকর কথা! ভারতে ৩৫ কোটির উপরে মুসলমান আছে। অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা আছে। তাবলিগ জামায়াত কাজ করছে, জগতশ্রেষ্ট্র দেউবন্দ মাদ্রাসা ভারতেই অবস্থিত। সেগুলা যদি চলতে পারে তবে সেদেশের আইন মেনে কেনো একটি টিভি চ্যানেল কেনো চলতে পারবে না? আমি নিজ কানে উনার লেকচারে শুনেছি এই টিভি চ্যানেল চালাতে কত রকমের প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। যত সহজে চলছে মনে হচ্ছে তত সহজ নয় ব্যপারটা।
অষ্টমতঃ তিনি ইসলামকে নাকি ছোট করেছেন? কিভাবে ছোট করেছেন কখন করেছেন ? এর সদুত্তর কখনো কারো কাছেই পাইনি? বরং দিনের পর দিন নাস্তিকদের প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিচ্ছেন। যারা বলতে চায় আল-কোরানের সাথে বিজ্ঞান সামঞ্জস্যহীন, তাদেরকে অকাট্য যুক্তি দ্বারা তিনি পরাজিত করেন।
আমার বলতে ইচ্ছা করে, যারা উনার বিরোধিতা করেন তাঁরা কতজন সাংবাদিক, ভিন্নধরমালম্বীদের, নাস্তিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন? আদৌ কি কখনো দিয়েছেন? সারাটা জীবন নিজের ছাত্রদের, ওয়াজ কিংবা জলসায় নিজের অনুকুল পরিবেশে কথা বলে এসেছেন। আর যারা প্রতিনিয়ত কষ্ট করে দ্বীনের জন্য নিজকে উৎসর্গ করেছেন, জীবনের প্রারম্ভে দ্বীনশিক্ষা না করেও একটা সময়ে এসে দ্বীনের প্রতি আগ্রহী হয়েছেন। এধরনের ভাগ্য কতজনের হয়? আর উনার বিরুদ্ধেই তথাকথিত আপনারা খড়গহস্ত। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে উনাকে সমালোচনার পাত্র করছেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ উনাকে সাহায্য করবেন। সর্বক্ষেত্রেই উনাকে বিজয়ী করবেন। অনেকে উদাহরন দেন কাদিয়ানীও নাকি এরকম ছিলো? তারপর সে নিজেকে নবী দাবী করে বসে। সকল উদাহরন সকল জায়গায় প্রযোজ্য নয়। আল্লাহ না করুন যদি এরকম কখনো ঘটে তবে কাদিয়ানীকে যেমন এখন সবাই ঘৃণা করছে তখন উনাকেও ঘৃণা করবে। আগে থেকেই খারাপ ধারনা নিয়ে একজন মানুষ কে ঘৃণা করা কতটুকু যুক্তিসম্মত?
আমার এই লেখা তাদের জন্য নয়, যারা অন্ধভাবে না জেনে না বুঝে শুধু হুজুরের কথায় জাকির নায়েক কে অপছন্দ করে। আমার লেখা সেই তাদের জন্য যারা জাহিলদের মতো পূর্বপুরুষদের কিংবা হুজুরদের দোহাই দিয়ে তাদের চোখ এবং কান বন্ধ করে রাখে নি, যারা সত্যকে সত্য বলে স্বীকার করতে চায়। আল্লাহর দেয়া জ্ঞান কে কাজে লাগায়, সত্য এবং মিথ্যাকে ভেদাভেদ করতে পারে তাদের জন্যই আমার এই লেখা। আমার লেখায় অসংখ্য ভুল থাকা স্বাভাবিক। সবার কাছে একান্ত অনুরোধ, প্লিজ গালাগালি না করে গঠনমূলক সমালোচনা করুন, আমার ভুল সংশোধন করে দিবেন। আল্লাহ আমাদের সবাই কে সঠিক পথ হেদায়তের পথে চালিত করুন। শয়তানের সকল খারাপ প্ররোচনা থেকে হেফাজত করুন। দুনিয়ার স্বার্থ থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ফুটনোটঃ ডাঃ জাকির নায়েক সহ অনেক বিশ্ববরেণ্য আলেমদের বাংলাদেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও পর্ণষ্টার সানি লীওন’রা পায় ভি আই পি মর্যাদা।
কি আচানক এই দেশ! এই দেশের মানুষগুলো।।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
সাদিকনাফ বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ প্রশ্ন করার জন্য... আর দুঃখিত, উত্তর প্রদানে কিছুটা বিলম্বের কারনে।
মনে হয়, বোধহয়, ধারনা, হয়তোবা সম্পর্কিত আপনার প্রথম প্রশ্নের জবাবঃ যেহেতু আমি কখনো উনার সাথে দেখা করিনি এবং কথা বলিনি, দূর থেকে কিছু বিষয় সার্বিক বিবেচনায় এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করা ছাড়া উপায় নেই।
আর আমার এই লেখাটা হচ্ছে সম্পূর্ণ আমার যুক্তিতে যা এসেছে তা নিয়ে। আমি কখনোই এই সিদ্ধান্তে আসতে পারবো না উনার উদ্দেশ্য ভালো নাকি খারাপ। আমার চেষ্টা ছিলো আমার ভাবনাগুলো সবার সাথে শেয়ার করা। আমি তাই করেছি। উনি কেমন ? সেটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। আমরা কেবল মাত্র উনার বাহ্যিক আচরন দেখেই বিচার করতে পারি। আর যেসব হাস্যকর বিষয় নিয়ে উনার সমালোচনা করা হয় আমি কেবল সেগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি।
প্রত্যেক মুসলমান নায়েবে রাসুল (সাঃ) এ সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরঃ নায়েব শব্দটি আরবি, এর অর্থ ব্যাপক। শাব্দিক অর্থ বিবেচনায় প্রতিনিধি, স্থলাভিষিক্ত, ভারপ্রাপ্ত , সেকেন্ড ইন কমান্ড, উত্তরসূরি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নায়েব শব্দ ব্যবহৃত হয়।
আর শরয়ীভাবে নায়েবে রাসুল (সাঃ) বলতে বুঝায় রাসুল (সাঃ) এর যোগ্য প্রতিনিধি, অর্থাৎ তিনি যা বলেছেন, করেছেন, এবং মৌন সম্মতি দিয়েছেন সেগুলো সঠিক ভাবে মেনে চলেন উনাদেরকেই নায়েবে রাসুল (সাঃ) বলে। পরিপূর্ণ নায়েবে রাসুল (সাঃ) ছিলেন সাহাবী (রাঃ) গন, এর পরবর্তীতে তাবেয়ীন, তাবে তাবেয়ীন, উলামা মাশায়েখগন হচ্ছেন নায়েবে রাসুল। অর্থাৎ নায়েবে রাসুল (সাঃ) তাঁরাই যারা উনার দেখানো পথ উনার মতো করেই চলার চেষ্টা করেন। সে হিসাবে নিশ্চয়ই আলেমরা নবীদের উত্তরসুরী।
তবে অনেক আলেম বলেছেন শেষ নবী (সাঃ) এর উম্মতদের নায়েবে রাসুল (সাঃ) বলা যায়। কারন আল কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন “ তোমরা পরিপূর্ণ ভাবে ইসলামের মধ্যে দাখিল হয়ে যাও”।
আর কেউ যদি একটি আয়াত ও জানে তা অন্যের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছে। সে হিসাবে কি শেষ নবীর উম্মতদের নায়েবে রাসুল (সাঃ) বলা যায় না?
আসলে এই বিষয়টা ব্যাপক এখানে তর্কের অবকাশ নেই।
আমি মুসলমান কিনা? আর মুসলমান হলে কিভাবে? ঃ আমি নিজেকে সবসমই আত্মসমর্পণকারী হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করি। আর আমার মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অসংখ্য শুকরিয়া তিনি আমাকে মুসলিম পিতামাতার সন্তান হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরন করেছেন এজন্য।
সবশেষে আপনি আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছেন, অবশ্যই আমি আগ্রহী। যেকোনো সুস্থ আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবো।
ভালো থাকবেন।
২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সাদিক নাফ। একটি ঘটনা না বললে বুঝতে পারবেন না।
আমি একদিন পল্টন মোড়ে দেখি একজন মাদ্রাসার ছেলে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে একটি বই বিক্রি করছে। সেই বইটিতে উপরের প্রশ্নগুলি লেখা। আমি ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম--
জাকির নায়েক কোনো মাদ্রাসায় পড়ে নাই যে কারণে তার ইসলাম প্রচার করা যাবে না। মাদ্রাসায় না পড়লে যদি ইসলাম প্রচার করা না যায়, তাহলে যারা মাদ্রাসায় পড়ে নাই তারা কি নামায পড়তে পারবে?
দ্বীনের নবী হযরত মুহম্মাদ (সঃ) যিনি ইসলাম ধর্ম প্রবর্তন করেছেন তিনি কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন?
ছেলেটি বলল তিনি কোনো মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন নাই।
যদি দ্বীনের নবী কোনো মাদ্রাসায় লেখা পড়া না করে থাকেন তাহলে তার ধর্ম পালন করা যাবে কিনা সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তার পরে বই বিক্রি করবে তা না হলে মওলানার মনগড়া একটা বইও বিক্রি করতে পারবে না।
আমার এই প্রশ্ন শুনে আরো দুই তিনজন লোক এগিয়ে এলো। তারাও বই হাতে নিয়ে প্রশ্নগুলো দেখতে ছিল। আমার প্রশ্নের পরেই তারা ছেলেটির উপর চড়াও হলো। একটু পরেই দেখি ছেলেটি বই নিয়ে পালিয়েছে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
সাদিকনাফ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই...
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, রাস্তাঘাটে এভাবে কাউকে অপদস্ত করাটা অনুচিত...
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
Rojob ali বলেছেন: ডাঃ জাকির নায়েক হচ্ছেন ইসলামের একজন জীবন্ত কিংবদন্তী।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
সাদিকনাফ বলেছেন: আল্লাহ'ই ভালো বলতে পারবেন...
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এক ডাক্তার যেমন অন্য ডাক্তারকে পছন্দ করেন না, তেমনই এক হুযুর অন্য হুযুরকে পছন্দ করেন না । বিভিন্ন ধর্ম সংক্রান্ত আলোচনায় উনাকে বিচক্ষণ মনে হয় । উনি তথাকথিত হুযুরদের মতো গোঁড়া নন ।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
সাদিকনাফ বলেছেন: সত্যকথা...
৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তাঁর হুকুম ছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।
এখন ঠেলা সামলাও।
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩২
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ডাঃ জাকির নায়েকের কথা বুঝতে হলে মাথায় ঘিলুর দরকার কাছে, যেসব মাথা গুলো শুধু কপি করে পেস্ট দেয় তাদের মাথায় এসব কথা কখনোই ধরবেনা। এটাই স্বাভাবিক।
এই নিয়ে বিশেষ দুঃশ্চিন_তার কিছু নেই, যারা সানি লিওন দেখবে তাদের জাকির নায়েককে দেখতে যাওয়া কোন কারণ নেই।এটা আশা করাটাও ভুল।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
সাদিকনাফ বলেছেন: ভালো বলেছেন...
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
ধমনী বলেছেন: বাস্তবতা হলো- শয়তানকে বা খারাপ মানুষকে নিয়ে বিতর্ক নেই, যতো সন্দেহ বা বিতর্ক কেবল ভালো মানুষ বা ভালো হতে চাওয়া মানুষদের জন্যই।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
সাদিকনাফ বলেছেন: সাদা কাপড়ে ময়লা লাগে বেশী...
৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮
প্রামানিক বলেছেন: তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি, রাস্তাঘাটে এভাবে কাউকে অপদস্ত করাটা অনুচিত...
ধন্যবাদ ভাই. আপনার উপরের কথাগুলো মেনে নিলাম, কিন্তু রাস্তা ঘাটে যদি অন্যায় হয় সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ যদি রাস্তাঘাটে না করা যায় তাহলে তো অন্যায় দিন দিন বেড়ে যাবে।
২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮
সাদিকনাফ বলেছেন: হুম..
৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ লেখক বলেছেন: -
-------
আমি মুসলমান কিনা? আর মুসলমান হলে কিভাবে? ঃ আমি নিজেকে সবসমই আত্মসমর্পণকারী হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করি। আর আমার মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অসংখ্য শুকরিয়া তিনি আমাকে মুসলিম পিতামাতার সন্তান হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরন করেছেন এজন্য।
সবশেষে আপনি আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছেন, অবশ্যই আমি আগ্রহী। যেকোনো সুস্থ আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করবো।
ধন্যবাদ। মাঝে অনেকবারই ঢু মেরে গেছি। আপনি উপস্থিত ছিলেন না বোধহয়!
অন্য বিষয়গুলো আসলেই ব্যাপক বিশদ। তাই তা আপাতত তোলা রইল।
এবার আসা যাক মুসলমান প্রসংগে। আপনার উত্তর চমৎকার। তবে মধ্যবর্তী ফাক ফোকর গুলো খেয়াল করুন এবং তারপর ভাবুন বিষয়টা কোথায় গিয়ে দাড়ায়!
ভাবতে পছন্দ করা আর ঐ জিনিষ হোয়া দুটো কি এক?
আমি ভাবতে চফন্দ করি আমি অভিনেতা! তবেই কি আমি অভিনেতা হয়ে গেলাম?
উত্তর না।
২য়ত বলেছেন- মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে অসংখ্য শুকরিয়া তিনি আমাকে মুসলিম পিতামাতার সন্তান হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরন করেছেন এজন্য। ভাল। মহান আল্লাহর প্রতি সর্বাবস্থায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বিশ্বাসীদের মধ্যে উত্তমদের লক্ষন।
মুসলিম পিতা মাতার সন্তান হিসাবে এসেছেন। কিন্তু তাই কি মুসলিম আইডেন্টিটি শোর জন্য যথেষ্ট??? বা দাবী করার মতো অথেনটিক?
এ প্রশ্ন এ জন্য করছি যে, যদি তাই হতো তবে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বিশ্বাসীদের উদ্দ্যেশ্য করে বলতেন না- "হে বিশ্বাসীরা মরার আগে মর এবং মুসলমান না হয়ে মরো না।"
এখানে লক্ষ করুন- মরার আগে মরা এবং মুসলমান না হয়ে না মরার তাগিদে মাধ্যমে মুসলমান হবার গুরুত্তটুকু কঠিন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
তাহলে আপনি যদি মুসলিমই হন- তবে আবার মুসলিম হবার তাগিদ কেন?
আর তাগিদটা যেহেতু আল্লাহর পক্ষ থেকে - তা নিয়ে হেলাফেলারো সুযোগ নেই।! নয় কি?
সমাধানটা কোথায়?
আসলে আমাদের শৈশব থেকেই কিছূ অপূর্ণ জ্ঞান দেয়া হয়। যাকে আমরা আইডল ভেবেই বড় হই। সেখানের ভুলকত্রুটি গুলো আমাদের কাছে তাই বড়ই বেমানান লাগে! নতুন মনে হয় বা ভয় পাই আবার কোথায় না ভুল হয়ে যায়!! তাই নাড়াচাড়া করতে চাই না!!!! বরং কোনরকমে পার করে দেবার মানসিকতায় বিষয়ান্তরে চলে যাই। তা না করে আসুন দেখি আল্লাহর নাম নিয়েই সত্যকে খুঁজে.....
তেমনি একটা টার্ম মুসলমান। আপনি যদি মুসলমানই হবেন তবে আবার মুসলমান হবার তাগিদ কেন?
আবার যদি তর্কর জন্য বলেন এটা অবিশ্বাসীদের, কাফিরদের জন্য বলা হয়েছে- তাও খাটে না- কারণ আয়াতের শুরু হয়েছে - হে বিশ্বাসীগণ বলে!
এখানে পরিচয়ের ধাপটা আমাদের কাছে অপূর্ণ বলেই আমরা ধন্ধে পড়ি।
কোরআনে আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানে সাধনে যা পেয়েছি- পরিচিতির সম্বোধনের ধারায় ঈমানদার বলে বেশী বেশি বার বলা হয়েছে। হে ঈমানদারগণ বা হে বিশ্বাসী গণ!
বিশ্বাসী কারা? যারা আল্লাহতে বিশ্বাস করে, একত্ববাদে বিশ্বাস করে, আসমানী কিতাব সমূহে বিশ্বাস কের, নবী রাসূলদের বিশ্বাস করে, ফেরেশতা, হায়াত মউত, কেয়ামত, হাশর বিশ্বাস করে তাদেরই সম্বোধন করা হয়েছে। তারা সকলেই বিশ্বাসী। বাট নট মুসলিম।
এই বিশ্বাসেরই দেখূন ৫ প্রকার ধরন রয়েছে। ৫ টি বাক্য বা কলেমা রয়েছে। ৫ টি স্তরের বিশ্বাসের দৃঢ়তায় যখন আপনি পূর্ন হবেন তখন আপনি মরার আগে হরেও মুসলমান হবার জন্য বেকারার হয়ে যাবেন।
আপাতত এইটকুই থাক।
এর মাঝে আপনার কোন বলার থাকলে বলুন । জানাজনািটা আরও পূর্ণ হোক।
২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪০
সাদিকনাফ বলেছেন: আপনার কথা আসলে কোনদিকে যাচ্ছে বুজতে পারলাম না। লিখেছেন মুমিন এবং মুসলমান সম্পর্কে। আর বলেছেন কেউ কিছু মনে করলে সে কি সেটা হয়ে যায় কিনা? অর্থাৎ একজন নিজেকে সবসময় অভিনেতা মনে করে সেকি তবে আসলেই অভিনেতা হয়ে গেলো?
আমার কথা হলো হয়তোবা সে যে অভিনেতার মতো হতে চায় শতভাগ তারমতো হতে পারে না। কিন্ত সবসময় তার চলাফেরা, আচার আচরন ইত্যাদিতে ঐ অভিনেতার প্রভাব লক্ষ করা যায়, সে চায় ঐ অভিনেতার মতো চুলের ষ্টাইল করতে, কিংবা পোষাক পড়তে। আর এটা হচ্ছে অভিনেতার প্রতি ভালোবাসার ফল। সুতরাং মনে করা এক হিসেবে ঐ জিনিসটাকেই ধারণ করা বুঝায়। আর সবসময় সব উদাহরন যে appropriate হবে তা কিন্তু না।
আর মুমিন আর মুসলমান নিয়ে যে কথা বলেছেন তাতে আমি কোন বিরোধিতা করছি না। বরং সম্পুরক হিসাবে বলতে চাই বিশ্বাস আর আত্মসমর্পণ একটা আরেকটার পরিপূরক। প্রথমে ঈমান আনতে হবে। মানে যেসব বিষয়ে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) বিশ্বাস আনতে বলেছেন সেসবে একনিষ্ঠভাবে বিশ্বাসী হতে হবে। একনিষ্ঠ মানে মুখে স্বীকার, অন্তরে বিশ্বাস, আর কাজ দ্বারা প্রমান। আর যে বা যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তাঁরাই সফলতা লাভ করে ফেলেছে। তাদের বেশ কিছু গুনের কথা আল্লাহ বলেছেন পবিত্র কোরআনে। তারপর আল্লাহর আদেশ নিষেধের প্রতি আত্মসমর্পণকারী মানে মুসলিম হিসেবে দুনিয়ায় চলতে হবে। একজন আত্মসমর্পণকারী যেমন নিজের খেয়ালখুশী মতো চলতে পারে না, তাকে হাটতে বললে সে হাটতে বাধ্য, বসতে বললে বসতে বাধ্য। একই ভাবে মুসলমানদের অবশ্যই আল্লাহর দেয়া আদেশ নিষেধ পালন সঠিক ভাবে পালন করাই হচ্ছে ভালো মুসলমানের কর্তব্য।
অর্থাৎ, আমি যা বুজি, মুমিন হউয়া হচ্ছে একেবারে প্রথম ধাপ, এভাবে ঈমানের অনেকগুলো ধাপ আছে যখন সে প্রতিটা ধাপ নিজের মধ্যে আত্নস্থ করে নিতে পারবে সেই হবে একজন খাটি মুসলিম।
আল্লাহ-ই সর্বজ্ঞ... ভালো থাকবেন।
পুনশ্চঃ একদম শেষের দিকে লিখেছেন “এই বিশ্বাসেরই দেখূন ৫ প্রকার ধরন রয়েছে। ৫ টি বাক্য বা কলেমা রয়েছে। ৫ টি স্তরের বিশ্বাসের দৃঢ়তায় যখন আপনি পূর্ন হবেন তখন আপনি মরার আগে হরেও মুসলমান হবার জন্য বেকারার হয়ে যাবেন”
... এই ব্যাপারটা কি বুজাতে চেয়েছেন আরেকটু ডিটেইল বললে বুজতে সুবিধা হতো।
১০| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:২০
মহা সমন্বয় বলেছেন: মুসলিমদের প্রতিটি বিষয়েই মতোভেদ, এর শেষ কোথয় জানি না। আল্লাহর আকার আছে কি নাই তা নিয়েই মুসলীম দুনিয়া এখন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরেছে। যদিও একসময় সবাই আল্লাহ নিরাাকারের পক্ষেই ছিল।
আল্লাহ সম্পর্কে আরও কিছু ব্যাপার নিয়ে মুসলীম জাহান দু্ই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। যেমন- তিনি সর্বময় বিরাজিত কি না?
এসব নিয়ে বিভিন্ন বড় বড় আলেম ভিন্ন ভিন্ন ফতোয়া দেয়া শুরু করছে।
ঈমানের সবচেয়ে বড় যে বিষয় তা নিয়েই মুসলীম জাহান দুই ভাগ হয়ে গেছে, একমত হতে পারেনি। আর তাদের বেশিভাগ কর্মকান্ডই মতভেদে পূর্ণ। অথচ তাদের জ্ঞানের উৎস কিন্তু একটাই আর তা হচ্ছে কুরআন।
আর হাদিস নিয়ে যুগ যুগ ধরে তো ক্যাঁচাল লেগেই আছে সেই খলিফা আমল থেকেই। আর দিন যত যাচ্ছে ততই জাল হাদিসের ভান্ডার বের হচ্ছে। মনে হয় যেন ওহী এসে বছে বেছে জাল হাদীস বের করে দিচ্ছে।
যেদিকেই একটু সুবিধা ওটাই হচ্ছে সুন্নত বা নবীজী বলে গেছেন বা করেছেন। আর যে দিকে একটু অসুবিধা বা বর্তমান সময়ের সাথে আর কোনমতেই খাপ খাওয়ানো যায় না তাই হচ্ছে হারাম,বেদআত, জাল হাদিস.. দুব্বল হাদিস ইত্যাদি।
আমার মনে হয় আর কিছুদিন পরে- মুসলীম জাহান দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে আল্লাহ আছে কি নাই তা নিয়ে।
একদল কুরআন ও হাদিসের আলোকে ফতোয়া দিবে আল্লাহ আছে
আরেক দল কুরআন ও হাদিসের আলোকে ফতোয়া দিবে আল্লাহ বলতে কিছু নাই এ সবই হচ্ছে বেদআত
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আপনার লেখায় ....মনে করি, (এটা আমার ধারনা)।, বোধহয়, হয়তোবা এই জাতীয় কথা দিয়েই প্রমাণ হয় আপনি গভীর ভাবে না জেনেই একটা বড় বিষয়ে সিদ্ধান্ত মূলক লেখা লিখতে বসেছেন। যা অনুচিত।
যাকগে-জাকির নায়েক প্রসংগে পরে আসি...
আপনি এক স্থানে লিখেছেন ...প্রত্যেক মুসলমান নায়েবে রাসুল (সাঃ) । এটা কিসের ভিত্তিতে বল্লেন?
আর আপনি নিজে কি মুসলমান?
কিভাবে মুসলমান?
উত্তরগুলো পেলে আলোচনা যথাযথ এগিয়ে যাওয়া যাবে। যদি আপনি আগ্রহী হন।