![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে যুবক নামাজ পড়, রোজা রাখ, আল্লাহ আল্লাহ জিকির কর, নবী (দঃ) র উপর দরুদ পড়, মাতৃভুমি শান্ত কর।।০০০০ ছোহবত হচ্ছে আমাদের তরিক্বতের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য। পীরের ছোহবতে শয়তান কুমন্ত্রনা দিতে পারেনা এবং রুহানী উন্নতি হয়। সেজন্য বিশেষ করে যারা নূতন তরিক্বতপন্থী, তারা ঘন ঘন ছোহবতে আসা প্রয়োজন।০০০০০ফরমাইয়াছেন,পীর ছাহেব, কাগতীয়া গাউসুল আজম আলীয়া দরবার শরীফ০০০
তরিকত হচ্ছে আল্লাহকে পাওয়ার একটি সহজ পথ। বিশেষ করে কাদেরীয়া, চিশতিয়া,নকশবন্দিয়া,মুজাদ্দেদীয়া প্রভ্বতি তরিকত বিশ্বমাঝে প্রচলিত,পরিচিত ও সমাদৃত। সকল তরিকতের ইমাম বা পীরগনের উদ্দেশ্য হলো তাদের নিজ নিজ মুরিদদের উপযুক্তভাবে গডেতুলে আল্লাহপাক রাব্বুলআলামীন ও হুজুরপাক(সঃ) কাছে সমর্পিত করা। সেজন্য তরিকতের ইমামগন রেয়াজত বা সাধনার মাধ্যমে অর্জিত বেলাইয়তের শক্তির বলে কিভাবে কোন উপায়ে সাধনা করলে আল্লাহপাক রাব্বুলআলামীন ও হুজুরপাক(সঃ) নৈকট্য লাভ করা সহজ হবে, তা আল্লাহপাক রাব্বুলআলামীন ও হুজুরপাক(সঃ) পক্ষ থেকে নির্দেশ বা এলহাম প্রাপ্ত হয়ে কিছু দোয়া,দরুদ,নফল নামাজ,জিকির-আজকার ইত্যাদি সংযুক্ত করে তরিকতের সংবিধান প্রণয়ন করেন এবং ওই ভাবেই মুরিদদের দোয়া,দরুদ,নফল নামাজ,জিকির-আজকার আদায় করার জন্য নির্দেশ দান করা হয়।
ভিন্ন ভিন্ন তরিকতের ভিন্ন ভিন্ন সংবিধান। কাদেরীয়া, চিশতিয়া,নকশবন্দিয়া,মুজাদ্দেদীয়া ছাডাও আরও যতগুলো তরিকত রয়েছে সব তরিকতই হক্ক। সকল তরিকতের মাধ্যমে যথানিয়মে সাধনা করে গেলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।
কিন্তু এরপরও মাঝে মাঝে এমন কতগুলো দুর্ল্ভ রকমের তরিকতের খবর পাওয়া যায়, যেগুলির সাথে কোরআন, হাদিস ও বিজ্ঞানের সাথে ঘনিস্টতা থাকে। তেমনি এক তরিকত হচ্ছে কাদেরিয়া আলীয়া মুনিরীয়া তরিকত। যে তরিকতের অন্যতম ইমাম হযরত ছৈয়্যদ আব্দুল বারী (রহঃ) আল্লাহর দরবারে অনেক রেয়াজত বা সাধনার পর আল্লাহ তায়ালা ও তরিকতের মূল ইমামগনের পক্ষ থেকে এজাজত প্রাপ্ত হয়ে মুজাদ্দেদীয়া তরিকার "ইন্দিরাজুন নেহায়া ফিল্ বেদায়া" (অর্থাৎ-তরিকতের শেষ ছবককে প্রথমে নিয়া আসা) পদ্দতিকে কাদেরিয়া ও আরো অন্যান্য তরিকতে প্রচলন করেন। "তাওয়াজ্জুহ্ ও ইন্দিরাজুন নেহায়া ফিল্ বেদায়া বিশিস্ট এই তরিকত বর্তমানে নিখুঁতভাবে সকল বৈশিস্টের আলোকে পরিচালিত হচ্ছে কাগতিয়ার মহান মোর্শেদ হযরত শায়খ গাউছুল আজম মাদ্দাজিলুহুল আলী সাহেব এর রাউজান থানার কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে।
কাদেরিয়া আলীয়া মুনিরীয়া তরিকতের বৈশিস্ট্যগুলো আলোচনা করার পূর্বে, পীর গ্রহণ বা কেমন পীর গ্রহণ করতে হবে সেই প্রসঙ্গে দু"চার কথা বলা ্সমাচীন বলে মনে করি।
উপযুক্ত এবং হক্কানী পীর গ্রহণের নির্দেশ পবিত্র কোরআন,হাদিছ এমনকি আউলিয়ায়ে কেরামের বিভিন্ন বই পুস্তকের মাধ্যমেও সুস্পস্টভাবে প্রমানিত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "হে ইমানদারগন তোমরা আল্লাহপাকের নৈকট্য লাভ করার জন্য উসিলা অনুস্নদান কর।" (সুরা-মায়েদা) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় তফসীরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ আছে, উসিলা ব্যতীত আল্লাহপাকের নৈকট্য লাভ করা যায়না, আর উক্ত উসিলা হচ্ছেন হাকিকত বা তরিকতপন্হী আলেম বা পীরগন। হাদিছ শরীফে আছে শায়খ(পীর সাহেব) তাঁর কওমের মধ্যে তদ্রুপ,যেরুপ নবী(সঃ) তাঁর উম্মতের মধ্যে।(দায়লমি,মকতুবাত শরীফ)।
হযরত ইমাম আবু হানীফা(রহঃ) বলেন "আমার জীবনে যদি দুটি বছর না হত, তবে নোমান(আবু হানীফা) ধ্বংস হয়ে যেতাম" অর্থাৎ, আমি আবু হানিফা যদি আমার পীর হযরত ইমাম বাকের ও ইমাম জাফর সাদিক(রাঃ) এর নিকট বাইয়াত না হতাম তবে (শয়তানি প্ররোচনায়) ধ্বংস বা বিভ্রান্ত হয়ে যেতাম। অনুরূপভাবে, হযরত আবদুল কাদের জিলানী(রাঃ) সির্রুল আসরার ও ফাতহুর রব্বানী, হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহঃ) কিমিয়ায়ে সাদাত, হযরত মুজাদ্দিদে আল্ফেসানি (রহঃ) মকতুবাত শরীফ ও হযরত আহ্মদ কবীর রেফাইয়ী(রহঃ) আল বুনিয়ানুল মুশাইয়্যদ কিতাবে ক্ব্লব পরিশুদ্দ করার জন্য বা ইলমে তাসাউফ অর্জনের জন্য কামিল পীরের নিকট বাইয়াত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন।
(চলবে)
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৫
আলতামাশ বলেছেন: Allahor kac theke kivabe ejajot prapto holen? Ekto bojiye bolun. Apnar sobgulo kotha quran-hadis dhara proman korun.
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৭
সায়েদ তানজিদ বলেছেন: তরিকত গ্রহণ করা উচিত এবং খুব ভাল ভাবেই উচিত। কিন্তু তার আগে দেখতে হবে যার তরিকত গ্রহন করা হল সে কা্র তরিকত গ্রহন করেছে? মানে সে কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) এর নির্দেশ মত চলছে নাকি নিজের বানানো বি্দয়াতি(দ্বীনের মাঝে নতন কিছু আবিশকার করাকে বিদয়াত বলা হয়, কারোন আল্লাহ রাবুউল আলামীন কোরানে ঘোষোনা করেছেন, আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন কে পরিপুর্ণ করলাম এবং ইসলাম কে তোমাদের জন্য উপযুক্ত দ্বীন হিসেবে মননীত করলাম।" অর্থাৎ ইসলাম পরিপুর্ণ বিশেষ ভাবে ইবাদতেরক্ষেত্রে, এই ইবাদতে নতুন কিছু আবিষ্কার করা সংযোজন বা বিয়জন করা বিদয়াত)। পন্থা অবলম্ভন করছে। আপনি যে কাদেরীয়ার কথা বলেন তার প্রচারক গোলাম আহমদ নিজেরে নবী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে এবং বলেছে নবীর ধারা এখন শেষ হয় নি। এর পর তিনি যতই ইসলামের কথা বলেন না কেন তিনি আর মুসলিম থাতে পারেন না। তাই ঔ হারামীর ্বাচ্চারে তরিকতের পন্থা চিন্তা করাই হারাম। আর অন্যান্য যেসব পীর যেমন দেওবন্দী, মুজাদ্দিদে কেরাম এনারা তো যেসব ্লেকচার দেয় তা শুনলে আপনি আমি সবাই বুজতে পারব ওনারা ইসলাম থেকে কত টুকু দূরে সরে গেছেন। তাই প্রথমে নিজে ইলমী জ্ঞান অরজন করা ফরজ। তার পর নবী রাসুলের সুন্নাত অভ্লবন কারীকে কে তরিকতের জন্য গ্রহন করা জায়েজ তবে কখনই তাকে আল্লহ রাউসের উপর স্থান দেয়া যাবে না এইটাই সব থেকে বড় কথা।
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২০
রাফাত নুর বলেছেন: শরিয়ত, তরিকত, হাকিকত, মা-আরেফত সম্পর্কে জানতে চাই। এম আবু জাফর ভাই প্লিজ একটু বলবেন। এটা আমাদের সকল এর জানা দরকার। তবে কিছু অল্প বিদ্যা ব্লগার আছে তারা ঝর তুইলা ফেলবে। যদি সম্ভব হয় পোস্ট দিয়েন। ভালো থাকবেন।
৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২১
সায়েদ তানজিদ বলেছেন: তরিকত গ্রহণ করা উচিত এবং খুব ভাল ভাবেই উচিত। কিন্তু তার আগে দেখতে হবে যার তরিকত গ্রহন করা হল সে কা্র তরিকত গ্রহন করেছে? মানে সে কি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) এর নির্দেশ মত চলছে নাকি নিজের বানানো বি্দয়াতি(দ্বীনের মাঝে নতন কিছু আবিষ্কার করাকে বিদয়াত বলা হয়, কারণ আল্লাহ রাবুউল আলামীন কোরানে ঘোষনা করেছেন, আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন কে পরিপুর্ণ করলাম এবং ইসলাম কে তোমাদের জন্য উপযুক্ত দ্বীন হিসেবে মননীত করলাম।" অর্থাৎ ইসলাম পরিপুর্ণ ,বিশেষ ভাবে ইবাদতেরক্ষেত্রে, এই ইবাদতে নতুন কিছু আবিষ্কার করা সংযোজন বা বিয়জন করা বিদয়াত)। পন্থা অবলম্ভন করছে।
আপনি যে কাদেরীয়ার কথা বলেন তার প্রচারক গোলাম আহমদ নিজেরে নবী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে এবং বলেছে নবীর ধারা এখন শেষ হয় নি। এর পর তিনি যতই ইসলামের কথা বলেন না কেন তিনি আর মুসলিম থাতে পারেন না। তাই ঔ হারামীর ্বাচ্চারে তরিকতের পন্থা চিন্তা করাই হারাম।
আর অন্যান্য যেসব পীর যেমন দেওবন্দী, মুজাদ্দিদে কেরাম এনারা তো যেসব ্লেকচার দেয় তা শুনলে আপনি আমি সবাই বুজতে পারব ওনারা ইসলাম থেকে কত টুকু দূরে সরে গেছেন। তাই প্রথমে নিজে ইলমী জ্ঞান অরজন করা ফরজ। তার পর নবী রাসুলের সুন্নাত অভ্লবন কারীকে কে তরিকতের জন্য গ্রহন করা জায়েজ তবে কখনই তাকে আল্লহ রাসুলের উপর স্থান দেয়া যাবে না এইটাই সব থেকে বড় কথা।
৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৩
অন্বেষা নিরন্তর বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
পোষ্টের প্রথম দিকে বলেছেন “আল্লাহপাক রাব্বুলআলামীন ও হুজুরপাক(সঃ) পক্ষ থেকে নির্দেশ বা এলহাম প্রাপ্ত হয়ে কিছু দোয়া,দরুদ,নফল নামাজ,জিকির-আজকার ইত্যাদি সংযুক্ত করে তরিকতের সংবিধান প্রণয়ন করে” ।
কিন্তু বুঝলাম না তারা কীভাবে এ “নির্দেশ বা এলহাম” প্রাপ্ত হন।
৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:২৯
এম আবু জাফর বলেছেন: আমার ব্লগ নিয়মিত ভিজিট করুন,ধারাবাহিক ভাবে লিখে যাব ইনশাল্লাহ
৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩০
আলতামাশ বলেছেন: Deobondi ulamara islam theke dure! Koi pailen ei ajgubi khobor?
৯| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৪২
এম আবু জাফর বলেছেন: সবাইকে সম্পূর্ণ লেখা মনযোগ দিয়ে পডে মন্তব্য করার জন্য আনুরোধ করছি। মন্তব্যটির উত্তর দিন বাটনটি কাজ করছেনা কেন বুজতেছিনা
১০| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৯
রাফাত নুর বলেছেন: অন্বেষা নিরন্তর বলেছেন: পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
পোষ্টের প্রথম দিকে বলেছেন “আল্লাহপাক রাব্বুলআলামীন ও হুজুরপাক(সঃ) পক্ষ থেকে নির্দেশ বা এলহাম প্রাপ্ত হয়ে কিছু দোয়া,দরুদ,নফল নামাজ,জিকির-আজকার ইত্যাদি সংযুক্ত করে তরিকতের সংবিধান প্রণয়ন করে” ।
কিন্তু বুঝলাম না তারা কীভাবে এ “নির্দেশ বা এলহাম” প্রাপ্ত হন।
একজন অলি ব্যাক্তি সাধারন মানুষ থেকে ভিন্ন তন হয় তাই ওনারা এটা পারেন।
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩
এম আবু জাফর বলেছেন: তিনি যাকে ইচ্ছা বিশেষ জ্ঞান দান করেন এবং যাকে বিশেষ জ্ঞান দান করা হয়,সে প্রভূত কল্যাণকর বস্তু প্রাপ্ত হয়।উপদেশ তারাই গ্রহণ করে ,যারা জ্ঞানাবান।। সুরা- (বাকারা,২৬৯)
১১| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:০১
রাফাত নুর বলেছেন: আলতামাশ বলেছেন: Deobondi ulamara islam theke dure! Koi pailen ei ajgubi khobor? আমি ভারত বরশের ইসলাম প্রচার এর ইতহিাস জানতে চাই। কে প্রথম ইসলাম প্রচার শুরু করেন ? আলতামাশ বাই আপনি বলেন।
১২| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:৩৪
মুহম্মদ রাসেল বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট
১৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২০
সায়েদ তানজিদ বলেছেন: সরি ওটা দেওয়ানবাগী পীর হবে। দেওবন্দী না। তার বক্তব্য গুলো সামুতে ঘুরা ঘুরি করলেই পাবেন।
১৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৪
সায়েদ তানজিদ বলেছেন: দেওবন্দের উলামারাই উপমহাদেশের ইসলামের প্রচারক। আল্লাহ্ তাদের শান্তিতে রাখুক।
১৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ৮:০২
শান্তপথিক বলেছেন: ব্লুম্যাজিক বলেছেন: বর্তমান জামানায় কোনও পীরে বিশ্বাস করি না। ৯৯% এই ভণ্ড।
গবেষনা করলে হয়তো আসল পার্সেন্টেজটা বুঝা যাবে। কিন্তু এটা আমাদের বিশ্বাস করতেই হবে যে ইমাম মেহেদী (আঃ) আসার আগে পর্যন্ত হক্কানী পীরগন রাসুল (সা) এর প্রকৃত ওয়ারিশ হিসেবে মানুষকে সত্য পথ দেখিয়ে যাবেন। আমরা যদি আল্লাহ পাকের নৈকট্য অর্জন করতে চাই আমাদের কাজ হতে হবে সেইজনকে খুজে বের করা। মন থেকে চাইলে আল্লাহ নিশ্চয়ই সাহায্য করবেন।
১৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৯
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: সায়েদ তানজিদ বলেছেন:
আপনি যে কাদেরীয়ার কথা বলেন তার প্রচারক গোলাম আহমদ নিজেরে নবী হিসেবে ঘোষনা দিয়েছে এবং বলেছে নবীর ধারা এখন শেষ হয় নি।
আপনি 'কাদেরয়া' কে কাদিয়ানীর সাথে গুলিয়ে ফেলেননি তো যেমন গুলিয়ে ফেলেছেন 'দেওবন্দী' কে দেওয়ানবাগীর সাথে? একটু সতর্কতার সাথে মতামত দেয়ার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।
১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭
রাতুলবিডি বলেছেন: সুফিবাদের ধারা দুটি : মুল ধারা ও দুষ্টু ধারা। মুল ধারার ভিত্তি ইসলাম তথা কোরান - হাদিস।
দুষ্টু ধারা ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে গড়ে উঠেছে : সুনির্দিষ্ট ভিত্তি নেই ( স্বার্থ ও অর্থ - ই এর মুল এদের কেউ কোরান - হাদিস সরাসরি অস্বিকার করে কেউ অপব্যাক্ষা করে )
২.
বিস্তারিত শব্দ নির্ভর সংগা আর কঠিন তাত্ত্বিক বিশ্লষণের চেয়ে কিছু বাস্তব উদাহরণ এই পার্থক্য বেশী স্পষ্ট করতে সাহায্য করবে, তাই আগে কিছু উদাহরণ টানছি :
ক) দুষ্টু ধারার কিছু নমুনা হচ্ছে : আটরশি, চন্দ্রপুরী, দেওয়ানবাগী, রাজারবাগী, মাইযভান্ডারী, বেরেলভী, রিজভীসহ সকল মাজারপন্হী, ওরশপন্হী, জটাপীর, নেংটাপীর, এবং আরো যারা নেশা-ভাং খোর তারাও বিভিন্ন প্রকার মারেফত, কারামত, বাতেনী গায়েবী বিষয়ের দাবিদার।
খ) মুল ধারার নমুনা হচ্ছে : হাসান বসরী ( হিজরী : ১ম শতক ), আব্দুল কাদের জিলানী এবং গাযযালী ( ৫ম শতক), মুজাদ্দিদে আলফে সানী ( ১০ম শতক) এছারা হাতেম আসেম, শিবলী, জুনাইদ, মইনুদ্দীন চিশতী, শিহাবুদ্দীন সোহরাওয়াদরদী, বাহাউদ্দীন নকশব্নদী ওনারা কালজয়ী অনুসরণিয় সুফী।
মাজারপন্হী, ওরশপন্হী, অনেকে আমার মতের সাথে একমত হবেন না।
তাদের সাথে যুক্তি তর্কের অবকাশ অবশ্যই আছে - তবে আপাতত: সেদিকে যাচ্ছিনা।
Click This Link
১৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৪৭
শুধু মুসলিম বলেছেন: নবী সাঃ একদিন একটি দাগ কাটলেন এবং বললেন যে এটি আমার পথ (তরীকা)। আর বাকী যতগুলো তরীকা (পথ) রয়েছে সেগুলো শয়তানের পথ। রাসূল সাঃ এর সেই তরিকা যেদিন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেদিন কি আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ জন্ম হয়েছিল, চিশতী রহঃ এর জন্ম হয়েছিল, নকশাবন্দীয়া, মুজাদ্দেদিয়াদের জন্ম হয়েছিল। হয় নি। তাদের নামে মানুষেরা তরিকা তৈরী করেছে। আসলে এগুলো সবই শয়তানের তরীকা। এই তরীকাগুলো সাধারণ মানুষদের তৈরী যারা মানুষকে ঠকানোর জন্যই এগুলো তৈরী করেছে।
সুরেশ্বরী ও মাইজভান্ডারী এর তরীকা অনুযায়ী পীরের মুরিদদের আধ্যাতিকতার চূড়ান্ত মাকামে গেলে নামাজ রোজা লাগে না। (সিররে হক জামে নূর)
দেওয়ানবাগী ও চন্দ্রপাড়া পীর যে তরীকা অনুসরণ করেন সে তরীকা অনুযায়ী কাবাতে গিয়ে হজ্জ্ব নাই। বরং হজ্জ্বকে অন্তরে এনেই হজ্জ করা হয়।
চরমোনাই পীর যে তরীকা অনুসরণ করেন তা অনুযায়ী "যার দুইজন পীর আছে তার দো পীর দো ডানা পাকারকে জান্নাত মে লে জায়েগা অর্থ্যাৎ দুই পীর দুই ডানা ধরে জান্নাতে নিয়ে যাবে"।
ভাই নবীর সাহাবারা কি এই তরীকাগুলোর অনুসরণ করেছেন? এগুলো সবই শয়তানের তরীকা।
রাসূল সাঃ এর তরীকা (পথ) অনুযায়ী তিনি বলেছেন দুটি জিনিস আকড়ে ধরতে। যা আকড়ে ধরলে কখনো পথভ্রষ্ট হবো না। তা হলো কোরআন ও সহীহ হাদিস। আমরা এই তরীকাতেই রয়েছি যা সহজ ও সরল।
১৯| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:০২
নতুন বলেছেন: সব পীর ই ভন্ড.... কোন পীর কোন সাথ` ছাড়া মুরিদের গিয়ান দেয়???
সব পীর ই দুনিয়াবি জাকজমক পূন` ভাবে জীবন যাপন করে....
সব পীরই লুকানো গিয়ান আছে বলে দাবি করে.... যেখানে ইসলামে কোন কিছুই লুকানো নেই...
সব পীরের হাত থেকে ১০০হাত দুরে থাকুন...
ধমে`র কিছু যানতে হলে.... নিজে পুড়ুন... নিজে গবেষনা করুন...
আমরা যারা সচেতন মানুষ তাদের উচিত... সব পীরের কবল থেকে সাধারন ধম` প্রান মানুষকে রক্ষা করার চেস্টা করতে হবে....
২০| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৩
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: Khub valo alochona cholcke.
3ta post o montobbo i porlam.
Post porjobekkhone nilam.
Proyojon e post korbo.
২১| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৫
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: Khub valo alochona cholcke.
3ta post o montobbo i porlam.
Post porjobekkhone nilam.
Proyojon e post korbo.
২২| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২১
এম আবু জাফর বলেছেন:
পবিত্র হাদীস শরীফ
হে আমার উম্মত! যে ব্যক্তি তোমাদের হতে কাউকে অন্যায় কাজ করতে দেখ, শক্তি থাকলে উহাকে তোমাদের হাত দ্বারা বন্ধ করে দেবে। আর উহাও সম্ভব না হলে অন্ততপক্ষে উক্ত অন্যায়কারী ও কাজ উভয়কে ঘৃণা করবে তবে উহা সর্ব নিচুস্তরের ঈমান।
মুসলিম শরীফ
২৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৫২
শুধু মুসলিম বলেছেন: এম আবু জাফর @ অতএব শক্তি থাকলে এই পীরের দরগা, শিরকের আস্থানা, পীরগণের সিজদার জায়গাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া দরকার। না পারলে যদি সামর্থ থাকে তো এই পীরের মুরিদদের ব্লগ থেকে বিতারিত করা দরকার। ধন্যবাদ।
২৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০৪
এম আবু জাফর বলেছেন: @শুধু মুসলিম বলেছেন: অতএব শক্তি থাকলে ভন্ড পীরের দরগা, শিরকের আস্থানা, পীরগণের সিজদার জায়গাগুলো ধ্বংস করে দেওয়া দরকার।...আপনার সাথে একমত।।
২৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৫:১২
শুধু মুসলিম বলেছেন: এম আবু জাফর @ আমি কিন্তু ভন্ড শব্দটি বলি নাই। আমার কমেন্টস কে পেস্ট করে নিজেই লাগালেন "ভন্ড" নামক শব্দটি। ভাই বাংলাদেশের কোন পীর সহীহ দেখান? আপনারা সবগুলো পীরকেই ভন্ড বলি এবং পর্যাপ্ত দলিলও আছে আমাদের কাছে? বলেন কোন পীর সহীহ?
২৬| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১১:০৯
এম আবু জাফর বলেছেন: @শুধু মুসলিম:আমার পোস্টে প্রকাশিত কাগতিয়া মুনিরিয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে একবার এসে দেখে যান বা এই তরিকার কোন মুরিদের সাথে আলোচনা করে দেখুন,কোন প্রকার শিরিক,বেদাত,সুন্নত বিরোধী ও শরীয়ত বিরোধী কারযকালাপ আছে কিনা।যদি সম্ভব না হয় ডালাও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পরে পড়বো।
২৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১৪
বাঙাল শিক্ষক বলেছেন: শরীয়ত সম্মত অসিলা তালাশ করা
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন :
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ(المائدة 35)
অর্থাৎ, হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর কাছে অসিলা তালাশ কর (অর্থাৎ তার নৈকট্যের অনুসন্ধান কর)। (সূরা মায়িদা : আয়াত ৩৫)।
এ আয়াতের তাফসিরে কাতাদাহ রহ. বলেছেন: তাঁর আনুগত্য ও সে সব আমলের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য অর্জন কর যে সব আমল তিনি পছন্দ করেন এবং সন্তুষ্ট হন। শরীয়ত সম্মত অসিলা তালাশ করার ব্যাপারে আল কোরআন আমাদেরকে হুকুম করেছে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাগিদ দিয়েছেন। সাহাবায়ে কিরাম রা. সে নির্দেশ মোতাবেক আমল করেছেন। অসিলা তালাশের বিষয়টি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত। বিশেষ কয়টি এখানে উল্লেখ করা হলঃ
১। ঈমানকে অসিলা বানান :
অর্থাৎ ঈমানের অসিলা দিয়ে কিছু প্রার্থনা করা। বান্দারা ঈমানের সাহায্যে কিভাবে অসিলা তালাশ করবে- সে সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন :
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آَمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآَمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ ﴿193ال عمران﴾
অর্থাৎ, ‘হে আমাদের রব, নিশ্চয় আমরা শুনেছিলাম একজন আহ্বানকারীকে, যে ঈমানের দিকে আহবান করে যে, ‘তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন’। তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করুন এবং বিদূরিত করুন আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি, আর আমাদেরকে মৃত্যু দিন নেককারদের সাথে। (সূরা আল ইমরান: আয়াত ১৯৩)
২। আল্লাহর একত্ববাদকে অসিলা বানান :
যেমন ইউনুস আ.-কে যখন মাছে গিলে ফেলেছিল তিনি দোয়া করেছিলেন, সে প্রসঙ্গে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে বলেন :
فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ ﴿الانبياء87﴾ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذَلِكَ نُنْجِي الْمُؤْمِنِينَ ﴿88﴾
অর্থাৎ, তারপর সে অন্ধকার থেকে ডেকে বলেছিল, ‘আপনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই’। আপনি পবিত্র মহান। নিশ্চয় আমি ছিলাম যালিম’ ।অতঃপর আমি তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং দুশ্চিন্তা থেকে তাকে উদ্ধার করেছিলাম। আর এভাবেই আমি মুমিনদেরকে উদ্ধার করে থাকি। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ৮৭ ও ৮৮)
৩। আল্লাহর পবিত্র নাম দ্বারা অসিলা খোঁজা :
وَلِلَّهِ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى فَادْعُوهُ بِهَا (الاعراف 180)
অর্থাৎ, আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নাম রয়েছে। সুতরাং এর দ্বারা তোমরা তাঁকে ডাকো। (সূরা আরাফ : আয়াত ১০০)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নামের মাধ্যমে তাঁর নিকট সাহায্য চাইতেন : বলতেন,
اسألك بكل اسم هو لك ... (رواه الترمذى)
অর্থাৎ, আমি তোমার কাছে তোমার সমস্ত নামের অসিলায় প্রার্থনা করছি...। (তিরমিযি, হাসান, সহিহ)
৪। আল্লাহ তাআলার গুণাবলির দ্বারা অসিলা তালাশ করা
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন :
يا حَيُّ يا قَيُّومُ برَحْمَتِكَ أسْتَغِيْثُ . رواه الترمذي
অর্থাৎ, হে চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী! তোমার দয়া (র অসিলা)য় সাহায্য প্রার্থনা করছি। (তিরমিযি)
৫। নেক আমলের দ্বারা অসিলা খোঁজা
যেমন, সালাত, মাতা-পিতার খেদমত, অন্যের হক আদায়, আমানত দারী ও অন্যান্য নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করা।
সহিহ মুসলিমে পাহাড়ী গুহায় আটকে পড়া তিন ব্যক্তির কথা বর্ণিত হয়েছে, যারা নিজ নিজ নেক আমলের অসিলায় আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাদেরকে সেখান থেকে নাজাত দান করেন। তারা মাতা-পিতার খিদমত, শ্রমিকের হক ও আল্লাহর তাকওয়া-র অসিলায় দোয়া করেছিল, ফলে আল্লাহ তাদের হিফাযত করেন।
৬। পাপকার্য ত্যাগ করার দ্বারা অসিলা তালাশ করাঃ
যেমন আল্লাহ তাআলার নিষিদ্ধকৃত যিনা, মদ ও এরূপ অন্যান্য হারাম কাজ। উপরোল্লেখিত হাদীসে তিন ব্যক্তির একজন আপন চাচাত বোনের সাথে যিনা করার সুযোগ পেয়েও আল্লাহর ভয়ে তা ত্যাগ করেন, পরবর্তীতে গুহায় আটকে পড়লে সে যিনা ত্যাগের অসিলায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, আর আল্লাহ তার ডাকে সাড়া দিয়ে তাকে হেফাযত করেন।
৭। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর দরূদ, তিনি ও তাঁর সাহাবাদের প্রতি ভালবাসাকে অসিলা বানান। এগুলো সেই সব নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত যা সম্পাদনকারীকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেয়।
৮। যাকাত আদায়, দান-সদকা, ভাল ভাল কথা, যিকর-আযকার, কোরআন তিলাওয়াত, একত্ববাদীদের প্রতি ভালবাসা ও মুশরিকদের সাথে শত্রুতা পোষণকে অসিলা বানানো।
৯। জীবিত নেককার লোকদের কাছে দোয়া চাওয়া
যেমন জনৈক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাহাবি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে দোয়া চেয়েছিলেন, যাতে আল্লাহ তার চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দোয়া করেন এবং তাকেও তাঁর সাথে দোয়া করতে বলেন। ফলে আল্লাহ তার চোখের জ্যোতি ফিরিয়ে দেন। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দোয়া কবুল হবে এবং সেটা তাঁর মুজিযা। জনৈক ব্যক্তি যাতে ব্যক্তি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফায়াত পান, তার জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেন আর আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন।
নিষিদ্ধ ও অর্থহীন অসিলা তালাশ ও তার শ্রেণী বিভাগ
১। মৃত ব্যক্তির মাধ্যমে অসিলা খোঁজা
মৃতদের কাছে প্রয়োজনীয় কোনো জিনিস প্রার্থনা করা কিংবা তাদের নিকট সাহায্য চাওয়া। কতিপয় মানুষ একে অসিলা মনে করে, মূলে কিন্তু তা নয়। কারণ, অসিলার অর্থ হল আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া (বা অনুমোদিত পন্থায় তাঁর নৈকট্য অর্জন করা); যা কেবল ঈমান ও নেক আমলের দ্বারা সম্ভব। আর মৃত্যুদের কাছে দোয়া করা, তাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা প্রকারান্তরে আল্লাহ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয়া। যা বড় শিরকের অন্তর্ভূক্ত। কারণ আল্লাহ বলেন :
وَلَا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنْفَعُكَ وَلَا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذًا مِنَ الظَّالِمِينَ ﴿106يونس﴾
অর্থাৎ, আর আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে ডেকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না এবং তোমার ক্ষতিও করতে পারে না। আর যদি তা কর তাহলে নিশ্চয়ই তুমি যালিম (মুশরিক)-দের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা ইউনুস: আয়াত ১০৬)
২। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জাত বা সম্মানের অসিলা খোঁজা :
যেমন বলা, হে আমার রব! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসিলায় আমাকে রোগমুক্ত কর। এটা নিষিদ্ধ ও দীন বহির্ভূত বিদআত। কারণ, সাহাবিদের কেউ এমনটি কখনো করেননি। খলীফা উমর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুহতারাম চাচা আব্বাস রা.-এর জীবিত অবস্থায় তাঁর অসিলায় বৃষ্টির জন্য দোয়া করিয়েছিলেন। তখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসিলায় দোয়া করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা করেননি, কারণ নবীজী তখন জীবিত ছিলেন না। -আমাকে অসিলা করে দোয়া কর- মর্মে যে হাদিসটি উদ্ধৃত করা হয়, সেটি আসলে কোনো হাদিসই নয়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. সে হাদিসকে জাল হিসাবে প্রমাণ করেছেন। এই নিষিদ্ধ ও বিদআতী অসিলা সংশ্লিষ্ট মানুষকে শিরক পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। কারণ এসব অসিলা গ্রহণকারীরা কখনো কখনো এমন ধারণা করে বসে যে, আল্লাহ কোনো মাধ্যম ছাড়া করতে পারেন না। এর মাধ্যমে আল্লাহকে সৃষ্টির সাথে তুলনা করা হয়। তাইতো এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেছেন : আমি আল্লাহ ছাড়া অন্যকে অসিলা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করাকে অপছন্দ করি।
৩। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মৃত্যুর পর তাঁকে সম্বোধন করে বলা যে, হে রাসূল ! আমার জন্য দোয়া করুন। এটা জায়েয নয়। কারণ, সাহাবিরা কেউ এমনটি করেননি। তাছাড়া নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
إذا مات الإنسان انقطع عنه عملُهُ إلا مِنْ ثَلاثَةٍ: من صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ او عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ او وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُولهُ (رواه مسلم)
অর্থাৎ, মানুষ মারা গেলে তিনটি ব্যতীত তার সকল আমল বন্ধ হয়ে যায়, (সে তিনটি আমল হচ্ছে) সদকায়ে জারিয়া, এমন ইলম যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায়, এবং নেক সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে। (মুসলিম)।
এ আমলগুলোর সাওয়াব সম্পাদনকারী ব্যক্তিরা কবরেও পেতে থাকে।
২৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১০:১৯
বাউল! বলেছেন: এইটা কোন পীরের বিজ্ঞাপন?
৩০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
এম আবু জাফর বলেছেন: একজন হক পীরে সন্দানে
৩১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:০৬
ঠোটকাটা বলেছেন: Click This Link
৩২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৪৯
copy and paste বলেছেন: তরিকত(পির-মুরিদীর) লাইনে বিভিন্ন তরিকা কেনো ?
রোগের চিকিৎসা করা সুন্নত
عن أبي الدرداء رض قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم إن الله أنزل الداء والدواء وجعل لكل داء دواء فتداووا (أخرجه أبو دواد في الطب في الأدوية المكروهة ؛ ج ২ ص ৫৪১ رقم الحديث ৩৮৬৪)
অর্থ : হযরত আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলাই রোগ ও তার ওষুধ অবতীর্ণ করেছেন। প্রত্যেক রোগের চিকিৎসাও তিনি সৃষ্টি করেছেন। অতএব তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর। (আবু দাউদ শরীফ ২ খ, ৫৪১ পৃ, হাদীস নং ৩৮৬৪)
এ হাদীস দ্বারা চিকিৎসা গ্রহণ করা যে সুন্নত তার দলীল পাওয়া গেল। কিন্তু কোন ধরণের রোগের জন্য কি চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে? তা কুরআন হাদীসে কোথাও উল্লেখ নেই। জ্বর হলে নাপা, প্যারাসিট্যামল বা এইচ ট্যাবলেট খেতে হবে এমন কোন আদেশ কুরআন হাদীসে নেই। তারপরও আমরা এগুলো খাওয়াকে কেউ নাজায়েয ও বেদআত বা শরীয়তের খেলাফ বলি না। রবং শরীয়তের আওতায় মনে করি, সুন্নত মনে করি ও জরুরী মনে করি। এমনকি অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের তালাশে ব্যস্ত হয়ে যাই। কুরআন ও হাদীসের 'তিব' সুস্বাস্থ্য সম্পর্কীয় আয়াত ও হাদীসের দিকে লক্ষ্য না করে হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়ে যাই।
তদ্রুপ শরীয়ত কুআত্মার রোগসমূহ দূর করে ইসলাহে নফস ও আত্মার শুদ্ধতা হাসিল করার আদেশ দিয়েছে। এখন শারীরিক রোগের ডাক্তারদের মত বাতেনী রোগের বড় বড় ডাক্তার রয়েছেন। যাদেরকে বর্তমান পরিভাষায় ওলী মুর্শিদ এবং পীর মাশায়েখ নামে স্মরণ করা হয়ে থাকে। যারা আমাদের কুআত্মা ও বাতেনী রোগের চিকিৎসার জন্য কুরআন ও হাদীসের আলোকে এবং তাদের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে মানুষদেরকে আল্লাহর নামের যিকির করতে বলে থাকেন। আর এ যিকিরের ওসিলায় আল্লাহ তাআলা আত্মার পবিত্রতা দান করে থাকেন।
সুতরাং শারীরিক রোগের ক্ষেত্রে যেমন নাপা প্যারাসিট্যামল গ্রহণ করা কোন পাগল বেদআত বলে না। ঠিক তদ্রুপ বাতেনী রোগের জন্য শুধু এই চার তরিকাকে বেদআত বলা পাগলেরই কাজ। কারণ কোন সুন্নতকে যারা বেদআত বলে তারা শরীয়তের দৃষ্টিতে মু'মিন ছাড়া অন্য কিছু হবেন, যাদের জ্ঞান বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।
চিকিতসা বিদ্যায় যেমন ভিন্ন ভিন্ন পদ্দতি রয়েছে ,যেমন , এলোপ্যথী , হোমিওপ্যথী , বায়োক্যমী , ইউনানী আপনি কি কোনো দিন প্রশ্ন করেছেন এই চার তরিকা কেনো? এটা বেদ্বায়াত ।
ঠিক তেমনিভাবে বাতেনীরোগেরও চার পদ্দতি রয়েছে যেমন, কাদেরিয়া, চিশতিয়া, নকশাবন্দিয়া, মোজাদ্দেদীয়া ।
আমরা সবাই জানি পুরা শরিয়তে যত বিধান আছে তা স্বাধারণত ২ প্রকার ।
প্রথম প্রকার হল অন্তরের সাথে সম্পর্কিত আমল সমুহ যাকে বাতেনি শরিয়ত বলা হয় ।
দ্বিতীয়ত বাহ্যিক অংগ-প্রত্যংগের সহিত সম্পর্কিত আমল সমুহ যাহাকে যাহেরী শরিয়ত বলা হয় ।
যেমন হযরত আনাস(রাঃ) বলেন ,
لاتطعنواعلى أهل التصوف والخرق فإن أخلاقهم أخلاق الأنبياء و لباسهم لباس الأنبياء : رواه الديلمى عن أنس رض : كشف الخفاء ومزيل الإلباس ج ص)
অর্থ : হযরত আনাস (রা.) বলেন, বাতেনী ইলমের অধিকারী তরীকতের পীর মাশায়েখগণকে খারাপ বলো না। কেননা তাঁদের চরিত্র নবীগণের চরিত্রের মত হয়ে থাকে এবং তাঁদের পোশাকও নবীগণের পোশাকের মত হয়ে থাকে। (কাশফুল'খফা ও মুযিলুল ইলবাস ২খ.৩৫১পৃ.)
وقد نقل عن الإمام مالك رح أنه قال من تصوّف لم يتفقّه فقد تزندق ومن تفقّه ولم يتصوّف فقد تفسّق ومن جمع بينهما فقد تحقّق (فتح الملهم ১।১৬১ /فضل البارى ১।০৩৫) ايضاح المشكوة جـ صـ)
অর্থ : হযরত ইমাম মালেক (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি তাসাওউফ ও পীর মুরীদীর ইল্ম হাসিল করল কিন্তু জাহেরী ফিক্হের ইল্ম হাসিল করল না সে জিন্দিক। আর যে ব্যক্তি জাহেরী ফিক্হের ইলম হাসিল করল কিন্তু তাসাওউফ ও তরিকতের ইল্ম হাসিল করল না সে ফাসেক। তবে যে ব্যক্তি উভয় ইল্ম হাসিল করল সেই সত্যিকারে মু'মিন ও হক্কানী আলেম (ফতহুল'মুলহিম১খ. ১৬১পৃ,ফজলুল'বারী ১খ. ৫৩০পৃ.) (ইযাহুল মেশকাত ১খ.৬২পৃ. থেকে উদ্ধৃত)
শারীরিক ডাক্তাররা অনেক সময় গরম ঔষধ দেন। আবার অনেক সময় শহর ও মানুষ ভেদে ঠাণ্ডা ঔষধ দেন। একই রোগে আক্রান্ত দুই জন রোগীর জন্য বিজ্ঞ ডাক্তাররা ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা পত্র দিয়ে থাকেন। কিন্তু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য একই হয়, অর্থাৎ রোগীকে সুস্থ করা। তেমনিভাবে ইউনানী, এলোপ্যাথিক ও হোমিয়প্যাথিক ঔষধ প্রচলিত রয়েছে। সে সবের চিকিৎসার পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন হলেও লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক হয়ে থাকে। আর তা হল রোগীকে সুস্থ করা।
তেমনিভাবে সুলূকের বুযুর্গগণের মধ্যে চিশতিয়া, নকশাবন্দিয়া, ইত্যাদি তরীকার যে সমস্ত মাশায়েখগণ রয়েছেন। তারাও আপন আপন অভিজ্ঞতার আলোকে আত্মিক রোগের রোগীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। ইবাদতে আর এসব কষ্ট মেহনতের উদ্দেশ্য যেহেতু আত্মারোগের চিকিৎসা। সুতরাং এখন যদি এই প্রশ্ন করা হয় যে, ওমুক তরীকা ও আমল কি কোরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত? তাহলে সে প্রশ্নের উত্তর এমন হবে, যদি হাকিম সাহেবকে প্রশ্ন করা
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:১৪
ব্লুম্যাজিক বলেছেন: বর্তমান জামানায় কোনও পীরে বিশ্বাস করি না। ৯৯% এই ভণ্ড।