নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।
চিঠিনং ১৭
তারিখ: ৩ আষাঢ় ১৪২৬ বাংলা
প্রিয় নির্বাকপরী
আষাঢ় মাসের ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে বিমুগ্ধতায় সদ্য ফোটা গোলাপের পাপড়িতে মোহময় ঘ্রাণ জড়ানো শুভেচ্ছা নিও পত্রারম্ভে।
কেমন আছো নিয়মিত লিখা ১৭ নং চিরকুটের প্রাপক।
আমি ভালো আছি, আবার ভালো নেই!
ভালো থাকা না থাকার সময়ের স্রোতে ভাসে ডোবে আমার তরী।
শহরটা যখন ঘুমিয়ে একবারে নিশ্চপ,ঠিক সেই সময়টাকে সাক্ষী করে তোমায় লিখছি।
শুধু কি আজ লিখছি! না তোমার ঠিকানায় চিঠি লিখা অনেক আগে থেকেই। তবে কেন জানি তোমার ঠিকানায় আমার চিরকুট নোঙর ফেলতে সক্ষম হয়নি। থাকুক আজ অভিমান জড়ানো আবেগের কথা। আজ আবার একটু প্রেমিক হই।
আমি ভালবাসা চেয়েছিলাম দু আঙ্গুল চিমটি পরিমাণ।
কিন্তু তোমার ভালবাসার শহরে আমার ভালবাসা তপ্তরোদে
তৃষ্ণাতুর হয়ে তোমার দরজায় কড়া নাড়ছে। বিড়ম্বনার প্রত্যাশিত বিদ্রাবণ এ মনঃবধে সাধুবাদ তোমায় প্রিয়। দ্বিপ্রহরের ব্যস্ত কোলাহলপূর্ণ শহরের আকাশে আমি মেঘ হয়ে তোমায় জন্য অপেক্ষা করছি,তোমার হাতের ইশারাতেই আমি ঝুম বৃষ্টির মত প্রেম হয়ে বর্ষিত হবো তোমার হৃদয়পটে।
প্রেমময় ভেজা শরীরে তুমি ঘরে ফিরবে।
ঘুড়ির কাটাগুলো ঘুরতে ঘুরতে সূর্যাস্তের স্তিমিত মৃদ্যু আলোর স্ফুরণে হারিয়ে যাবো আমি তোমার শহরে।
অতঃপর একটি নরম সন্ধ্যে নামবে জাদুর শহরে।
পাখিদের নীড়ে ফেরার তড়িৎ গতি আমি দেখেছি।তোমাকে নিয়ে আমার কিছু অনূভূতি গগন ডিঙিয়ে হাস্যজ্বল ফুটফুটে বিমোহিত চাঁদের হাসিকেও হার মানায়। কিছু ভাল লাগার ক্ষত চির হয়ে দাগ কাটে নরম কলিজায়। তোমার কল্পনারা ঘিরে ধরে আমার অস্তিত্ব। ইচ্ছে করছে এই রাতের জ্যোৎস্নার আলোর টগবগে নির্যাস তোমার নাকের নোলকে মাখিয়ে দেই,নিষ্পলক চেয়ে থাকি তোমার উড়ন্ত চুলে,আবেগী আবেদনময়ী চোখের ইশারায় খুন হতে।
যদি আকাশ মেঘে ঢাকে ধরে নিবে আমার আছি তোমার সাথে,মেঘেরা হাসি হয়ে ঝরে পড়বে তোমার মনের উঠোনে।
এই শহরে ভালবাসারা অভাব অভিযোগের মিছিল ডেকেছে,ডেকেছে লংমার্চ,আমি মিছিলে,লংমার্চে শামিল হয়েছিলাম। যদিও আমি ভালবাসা অত ভাল বুঝিনে,
তবুও সুস্নিগ্ধ ভালবাসার মুখোমুখি বসে তোমার গল্প শুনবো ভাবছি বসন্তীরাতে।
কি শোনাবে তো তোমার গল্প?
নির্বাকপরীর অভিনয় থেকে বেরিয়ে আসো,এই শহরের ঘামে ভেজা রোদ্দুর অবহিত, কতটা বিষন্নমুখে চেয়ে থাকি আকাশের পানে। মনের মসনদে কবে তুমি জাল বিছাবে?ঘোর চক্রান্তে ষড়যন্ত্রে আমায় হরণ করবে।
এই কোলাহলময় দিনগুলো আমার যে আর ভালো লাগেনা।
জলঢাকা চাঁদকে আমি ধরতে গেলে সেও তোমার ভালবাসার শহরে লুকিয়ে পড়ে। একাকীত্বেই বুঝি আমি ভালবাসার পূর্ণতা দারুন উপলব্ধি করছি। কবিতায় তোমাকে বহুবার রূপ দিয়েও আমি রূপকার হতে পারিনি।
তোমায় নিয়ে দু লাইন কবিতারা ভীড় করেছে মগজের রক্তনালীতে,
ভালবাসার অভাবে জল নেমেছে
দু চোখের কোণ জুড়ে,
আমিও কারো মুখের হাসি হবো,
এই কোটি রমণীদের ভীড়ে।
তোমার নয়নে সাক্ষী আমার ভালবাসার প্রহর,
অবরুদ্ধ স্মৃতির স্ফুলিঙ্গটা মাঝে মাঝে,
দাবানলের মত বেরিয়ে পড়ে পুরো শহরজুড়ে।
আজ এখানে থেমে গেলাম,জানি আমি কারো প্রিয় হতে পারিনি,একমাত্র মেঘ আমায় প্রিয় করে নিয়েছে। তবে কাউকে একসময় খুব প্রিয় বানাবো। এই একাকী জীবন থেকে অবকাশে বের হবো তোমার সাথে মেঘের দেশে। তুমি ভালো থেকো এ আমার প্রতিমুহূর্ত প্রার্থনা,সাধুবাদ জানিও ভালবাসার সমরে বিজয়ীদলের সমাজ্ঞী।
ইতি
এক যাযাবর বালক।
১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ। পাঠ করেছেন জেনে খুশি হলাম।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: চিরকুট ভালো লেগেছে
১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুুত হলাম। ধন্যবাদ
৩| ১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮
মুক্তা নীল বলেছেন:
নির্বাকরী এই চিঠি পড়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যাবে, আমি নিশ্চিত।
খুব ভালো হয়েছে।
১৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: “ ঘর খুলিয়া বাহির হইয়া
জোছনা ধরতে যাই;
হাত ভর্তি চান্দের আলো
ধরতে গেলে নাই। ”
হুমায়ূন আহমেদ।
ধন্যবাদ প্রিয় মুক্তা নীল।
৪| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
মোগল সম্রাট বলেছেন: এই সময়ে সবচাইতে বেশি মিস করি চিঠি লেখা আর চিঠি পড়া। সপ্তাহ শেষে ডাকপিয়ন এসে কড়া নাড়ত ছাত্রাবাসের দরজায়। প্রেমিকার হাতে লেখা তপ্ত আবেগে ঠাসা সেই চিঠি খুব মিস করি। আপনার লেখা পড়ে আবার নস্টালজিক হলাম।
দারুন লাগলো, ভালোবাসা নিরন্তর।
১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪২
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: শুকরিয়া জানিবেন জাঁহাপনা মোগল সম্রাট। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়িয়া আমার ভিতর খানি আলোয় আলোয় ভরে গেল সম্রাট। আপনার এমন মন্তব্য পেয়ে আমি যে ধন্য। লিখবো জনাব,অবশ্যই লিখবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো করেছেন আবেগ গুলো লিখে রেখে।