নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমার আর আমার দূরত্ব রাস্তার এপার ওপার।তুমি দাড়িয়ে আছো আমার আশায়আমি অপেক্ষায় আছি যাবো কখন!

মেঘ প্রিয় বালক

একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ। শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ।

মেঘ প্রিয় বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিকৃত মস্তিস্ক (০৩) পশ্চিমাদের সভ্যতার কিছু কথা।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২১


কিছু শেষ কথা বলে আজ অর্ধশত পোস্ট পূরন করবো ব্লগে।

পশ্চিমাদের সভ্যতার কিছু কথা।

ইউরোপ-আমেরিকার কাছে মুসলমানরা হচ্ছে অসভ্য। এ নিয়ে তারা নিজস্ব মিডিয়াতে বিভিন্ন বানোয়াট গল্প বানিয়ে উপস্হাপন করে দর্শকদের মাঝে। অপরদিকে এটাও প্রচার করে তারাই হচ্ছে আসল সভ্যতা ও মানবতার প্রতীক।

আমি মেনে নিলাম তাদের দাবি। কিন্তু নিচের কিছু তথ্য দেখে এবার আপনি বলুন তো আদৌ পশ্চিমারা সভ্য জাতি হয়েছে কি না ? আপনার সুস্হ মস্তিস্ক কি বলে?

১) প্রতি বছর ১০ই জানুয়ারী পশ্চিমা দেশগুলো নো-প্যান্ট ডে পালন করে। দিনে পশ্চিমা তরুণ-তরুণীরা পাতাল রেলে প্যান্ট খুলে ঘোরাফেরা করে। এটাই তাদের সভ্যতার লক্ষণ। আসন্ন বছরে আবার উদযাপন হবে এ দিবসটি । আগ্রহীরা নিন্ম তারিখে সুইডেনে পৌছে যাবেন।
যারা সার্পোট করেন পশ্চিমা সভ্যতাকে তাদেরকেও বলছি।
Friday, 1 May
No Pants Day 2020 in Sweden

লিংক দেখুন
https://en.m.wikipedia.org/wiki/No_Pants_Day


২) পশ্চিমাদেশগুলো পুরুষরা স্পার্ম বা বীর্য বিক্রি করে। এই তো কিছুদিন আগে এক ব্রিটিশ পুরুষ জানালো তার বীর্যে এ পর্যন্ত ৮০০ সন্তানের জন্ম হয়েছে। বিষয়টা অনেকটা খামারের পাঠা ছাগলের মত, সমস্ত ছাগীদেরকে একটি পাঠা দিয়ে নিষিক্ত করা হয়। বিষষয়টি ব্যাখা করার প্রয়োজন মনে করছিনা।
এটাকে অপসংস্কৃতি বলবেন নাকি সভ্য সংস্কৃতির নামে দাগ কাটবেন প্রিয় ব্লগারবাসী?
পশ্চিমা সভ্যতা সাপোর্ট কারীদের জন্য
ভিডিও লিংক
https://m.youtube.com/watch?v=B2azW3cxDJk
https://m.youtube.com/watch?v=B2azW3cxDJk

৩) ইউরোপ-আমেরিকায় সারগোরেট মাদার বা গর্ভ ভাড়া দেওয়ার কালচার প্রবল। বিষয়টি সেখানে এরকম যে, পুত্র ও পুত্রবধূর নিষিক্ত সন্তান মা তার তার গর্ভে স্থান দেয়, খবরে আসে- “নাতীকে জন্ম দিলো দাদী” কিংবা নাতীকে জন্ম দিলো নানী। তাদের দৃষ্টিতে পুত্রের সন্তান নিজ গর্ভে অবস্থান দেওয়া সভ্যতাই অংশ।
বিষয়টা ক্লিয়ার করে যাবেন পশ্চিমা সভ্যতা সার্পোটকারীরা,
যে নাতীকে জন্ম দেওয়া নানী, দাদী,মা না হয়ে নানী-দাদী হয় কি করে??
এ সভ্যতাকে কোন যুক্তি দিয়ে সমর্থন করেন ওহে পশ্চিমা সভ্যতার সমর্থনকারী?
লিংক পড়ে আসবেন।
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Surrogacy

৪) পৃথিবীর সবচেয়ে ধর্ষণ পীড়িত রাষ্ট্র কিংবা নারীর প্রতি যৌন হয়নারী মূলক রাষ্ট্রের শীর্ষ ১০ তালিকায় একটিও মুসলিম রাষ্ট্র নেই। অথচ সভ্যতার দাবিদার পশ্চিমাদের মধ্যে নারী নির্যাতনের মাত্রা পৃথিবীর সর্বাধিক। জরিপ বলছে- নারী ধর্ষণে সবচেয়ে এগিয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তৃতীয়তে সুইডেন, পঞ্চম ব্রিটেন, ষষ্ঠ জার্মানি, সপ্তম ফ্রান্স, অষ্টম কানাডা। আপনার দৃষ্টিতে কি মনে হয়, নারীদের নিপীড়ন করাই কি সভ্যতার নিদর্শন ? প্রিয় পশ্চিমা সভ্যতা সমর্থনকারী ব্লগার,সভ্যতা নামক দেশগুলোই কেন এ তালিকায় রয়েছে? পশ্চিমা সভ্যতা প্রেমিকরা উত্তর দিয়ে যাবেন!
নগ্নতা যে দেশে বেশি থাকবে,সে দেশে ধর্ষণ আর নারী নির্যাতনের হারও বেশী হবে।
নগ্নতা সার্পোট কারী বিকৃত মস্তিস্কের অধিকারী।
লিংক দেখুন
https://www.bd-pratidin.com/international-news/2016/10/26/179787


৫) ইউরোপ আমেরিকার অনেক এলাকায় এখন পরিবারের নিকট আত্মীয়দের মধ্যে সেক্স বা ইনসেস্টকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এতে কন্যা-বাবা, মা-ছেলে কিংবা ভাই-বোন নিজেদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, যা আইনত বৈধ। ইনসেস্ট আইনত বৈধ এমন দেশগুলো হলো ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন, বেনেলাক্স, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি। এবার আপনি বলুন ইনসেস্ট সেক্স করা কি সভ্যতার প্রতীক ?
একজন সুস্হ মস্তিস্কের ব্লগার হয়ে কিভাবে এমন সভ্যতাকে সমর্থন জানান আপনি?
উত্তর দিয়ে যাবেন।

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Human_sexual_activity


৬) পশুর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন। যেমন কুকুর, গাধা, ঘোড়া ইত্যাদির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে আইনত বৈধ, শুধু তাই নয় সেগুলো নিয়ে পর্নোগ্রাফী তৈরী করে সেগুলো বাজারজাতকরণও বৈধ। এ তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্র (নির্দ্দিষ্ট স্টেট), ফিনল্যান্ড, জার্মানি,মেক্সিকো, রুমানিয়া ও ডেনমার্ক।
পশ্চিমা সভ্যতার প্রেমিক,উত্তর দিয়ে যাবেন,আপনার ইউরোপ-আমেরিকার লোকেরা পশুপ্রেমী নাকি পশুকামী??
https://www.google.com/amp/s/metro.co.uk/2016/12/02/there-are-still-some-us-states-where-it-is-legal-to-have-sex-with-animals-6296973/amp/


৭) লাশের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন ! শুনতে গা শিরশির করলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানাসহ ৪টি স্টেটে লাশের সাথে সেক্স করা আইনত বৈধ।
সু সভ্যতা বলে যারা ব্লগে আমেরিকার সভ্যতাকে সমর্থন দিচ্ছেন,তারা কি এ কর্মের সাথে সু সভ্যতার মিল দেখাতে পারবে???
লিংক
https://www.google.com/amp/s/metro.co.uk/2015/09/14/having-sex-with-corpses-is-still-legal-in-several-american-states-5391008/amp/
পশ্চিমাদের উপরক্ত সংস্কৃতিগুলো দেখলে সহজেই অনুধাবন করা যায় আসলেই তারা চরম শ্রেণীর সভ্য জাতি। আর এ কারণেই তারা সব সময় অসভ্য মুসলমানদের বিরুদ্ধচারণ করে থাকে।

পরিশেষে একজন লেখক ভাইয়ের কিছু কথা তুলে ধরলাম।

ক্যামব্রীজ ইউনিভার্সিটির ডক্টর আইডিমিউম পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের এবং পুরাতন গোত্রসমূহের লোকদের জীবনী অধ্যায়ন করেছেন। এ অধ্যায়নের পর তিনি সভ্য সমাজের লোকদের জীবনী অধ্যায়ন করেছে। তারপর তিনি এবিষয়ক স্বীয় বই ‘‘সেক্স কালচার’’ এ খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ভূমিকায় তিনি লিখেন,আমি বিভিন্ন পদ্ধতিতে অনুসন্ধানের পর যে ফলাফল লাভ করেছি তার সংক্ষিপ্ত বিবরন এই ঃ- প্রতিটি জাতি দুটি জিনিসের উপর নির্ভর করে। একটি হল তাদের সম্মিলিত জীবন ব্যবস্থা,দ্বিতীয়ত এমন আইন শৃঙ্খলা যা তারা যৌন চাহিদার উপর আরোপ করে। তিনি আরোও লিখেন যে,যদি আপনি কোন জাতির ইতিহাস দেখেন যে, কোন সময় তাদের সভ্যতা উন্নত হয়েছে অথবা নীচে নেমে গিয়েছে তাহলে আপনি খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন যে, তারা যৌন বিষয়ক আইনে রদবদল করেছে। যার ফলাফল সভ্যতার উন্নতি অথবা অবনতির আকৃতিতে প্রকাশ পেয়েছে। তিনি ৮০ টি গোত্রের সভ্যতা সংস্কৃতি অধ্যায়ন করে যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন তা এই-১.যে সকল গোত্রে বিবাহের পূর্বে যৌন চাহিদা মিটানোর অবাধ স্বাধীনতা ছিল,তারা সভ্যতার সর্বনিন্ম স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল। ২. যে সকল গোত্রে বিবাহের পূর্বে যৌন চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে মোটামুটি আইনানুগ ব্যবস্থা ছিল,তারা সভ্যতার মধ্যস্তরে ছিল। ৩. সভ্যতার সর্বোচ্চ শিঔরে সে জাতিই আরোহন করেছে,যারা বিবাহের পূর্বে যৌনাচার থেকে পুতঃপবিত্র ছিল। যারা বিবাহের পূর্বে যৌনাচারকে অবৈধ ও অপরাধ মনে করত। উক্ত লিখক আরো মন্তব্য করেন যে,মনোবিজ্ঞানের অনুসন্ধানে জানা যায় যে, যৌনাচারের উপর আইন আরোপ করা হলে তার অবশ্যম্ভবী ফলাফল দাাঁড়াবে এই যে,জাতির কর্ম ও চিন্তা চেতনার শক্তি ও যোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু যে জাতি নারী পুরুষকে অবাধ যৌনতার সুযোগ দেয় তাদের কর্মক্ষমতা,চিন্তাশক্তি এবং যোগ্যতা ধ্বংস হয়ে যায়। রোমীয়দের অবস্থাও তাই হয়েছিল। রোমীয়রা আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে অবাধে পশুর ন্যায় যৌনতায় লিপ্ত হত। ফলে তারা শারীরিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল এবং কোন কাজ করার মত ক্ষমতা তাদের ছিল না। এভাবে পৃথিবীর ধ্বংসকৃত জাতির সবাই যৌন অপরাধের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। আজকে যৌনতার ভয়াবহ অবক্ষয়ের পড়ে মার্কিনীরা যে পতনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা আপনাদের দেখাবো।

তালাকের রাজধানী আমেরিকা

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রকে বর্তমানে তালাকের রাজধানী বলা হয়। বুক অফ ট্যাকসর ১৯৭৭ এর রির্পোট মোতাবেক ১৯৭৬ সালে প্রথম ছয় মাসে আমেরিকায় ৯৮৭০০০ টি বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়। তখন ৫৩৮০০০ টি তালাকের ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ প্রতি মিনিটে গড়ে ২ টি করে বিবাহ তালাকের মাধ্যমে ছিন্ন হয়। লসএঞ্জেলেসে প্রতি বছর প্রায় ৫০,০০০ তালাক সরকারী ভাবে নথীভূক্ত করা হয়। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পূর্বে ১৮ টি বিয়ের মধ্যে ১ টি তালাক কার্যকর করা হতো। ১৯৬০ সালে থেকে তা ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। পরবর্তী ২৫ বছর এ হার তিন গুন বৃদ্ধি পায়। এখন বার্ষিক তালাকের সংখ্যা ১১,৬০,০০০ টি। আর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, আমেরিকায় বার্ষিক ১৫ লাখ নারী তালাক প্রাপ্ত হয়।

অবৈধ সন্তান

আমেরিকার জৈনিক বিশেষজ্ঞ মুহানী বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো এক গবেষনা করেছেন। তাতে তিনি এক পর্যায়ে বলেন,শ্বেতাংঙ্গ লোকদের মধ্যে অবৈধ সন্তানের ব্যাপকতা অনেক। ১৯৬০ সালে এই নোংরামী কৃষ্ণাঙ্গদের এলাকায় আসে। তখন মুহানী বিপদ সংকেত বাজিয়ে বলেছিল, যদি এই নোংরামী বন্ধ করা না হয়, তবে কৃষ্ণাঙ্গদের পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। ১৯৯১ সালে ১২ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম হয়েছে। গত দিন জন্ম নেওয়া শিশুদের সংখ্যা ৩০%, কৃষ্ণাঙ্গ ৩২%, শ্বেতাংঙ্গ ২২%। টাইমস এর একটি পরিসংখ্যানে জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বার্ষিক ২০ লাখ অবৈধ সন্তান জন্ম নেয়। ১৯৬৩ সালে ২০ লাখ জারজ সন্তান জন্ম নেয় পরবর্তী বছরে সাড়ে তেইশ লাখ। বর্তমানে কয়েক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জারজ সন্তানে গিজ গিজ করছে।

অপরাধের দেশ

আমেরিকা তো পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ। সেখানে ১৯৬৫সালে ৫০ লাখ অপরাধ সংঘঠিত হয়েছে।অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় বিপদজনক অপরাধের বৃদ্ধির পরিমান ১৪গুণ বেশি। অপরাধ বৃদ্ধির শতকরা হার ১৭৮% তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির শতকরা হার ছিল ১৩% ছিল। প্রতি ১২ সেকেন্ডে একটি অপরাধ সংঘঠিত হয়। প্রতি ঘন্টা পর একজন লোক খুন হচ্ছে, প্রতি ২৫ মিনিটে একটা করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, প্রতি মিনিটে একটি চুরির ঘটনা ঘটছে, প্রতি ৫ মিনিটে ১টি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ১৯৫১ সালে ১ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩০ জনে ১টি খুন। ১৯৬০ সালে ৫জন, ১৯৬৭ সালে ৯জন। প্রতি মিনিটে একটি হত্যাকান্ড, আটটি চুরির ঘটনা, মাসে পচিশ হাজার কার চুরি হয়। আমেরিকায় প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু যৌন নিপীড়নসহ নানা ধরনের নির্যাতিত শিকার হচ্ছে। এ জাতীয় ঘটনায় কেবল ২০১০ সালে আমেরিকায় ১,৬০০ শিশু মারা গেছে।

বিপদজনক শহর ওয়াশিংটন

আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন। যেখানে যুবকদের জন্য ১৬ জুলাই থেকে রাতে কারফিউ জারীর জন্য আইন করে ওয়াশিংটনের মেয়র স্বাক্ষর করেছেন। ঐ আইনের অধীনে ১৭ বছর ও তার চেয়ে কম বয়সী যুবকদের ঘুরাফেরা বে-আইনি ঘোষনা করা হয়েছে। উদ্দ্যেশ্য-রাতে যুবকদের ঘরে থাকতে হেেব। এ আইন না মানলে অর্থদন্ড জরিমান গুনতে হবে অভিভাকদের। ওয়াশিংটন ডিসির অপরাধ প্রবনতা কমানোর এ উদ্যেগ। কেননা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদজনক শহন হল ওয়াশিংটন। ১৭ জুলাই প্রকাশিত দৈনিক ‘খবর’ পত্রিকায়ও ওয়াশিংটন সম্পর্কে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে,আমেরিকা রাজধানী যেমন মর্যাদাপূর্ণ ঠিক তদ্রুপ নিকৃষ্টতম শহর যা চারিত্রিক সামাজিক ও স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিক থেকে একদম অধঃপতনের শিকার হয়েছে।

ধর্ষণের দেশ

এফ.বি.আই এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯০ সালে ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৫৫ টি ধর্ষণের কেস রির্পোট করা হয়েছে। আরো বলেছে যে, এ রির্পোট মোট ধর্ষণের মাত্র ১৬ ভাগ কেস রির্পোট করা হয়েছে। তার মানে ১৯৯০ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার ৯৬৮ টি। অর্থ্যাৎ ১৯৯০ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৭শত ৫৬ টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ১৯৯২-৯৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৯শতেরও বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অর্থ্যাৎ প্রতি ১.৩ মিনিটে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে একটা। মোট ধর্ষনের কেস রির্পোট করা হয়েছে ১৬%। যতগুলো কেস রির্পোট করা হয়েছে তার ১০% অ্যারেস্ট হয়েছে। মানে ধর্ষকদের মাত্র ১.৬% এরেস্ট হয়েছে। যারা এরেস্ট হয়েছে তাদের ৫০% মুক্তি পেয়েছে বিচার আগেই বিনা বিচারে। অর্থ্যাৎ মাত্র .০৮ শতাংশ ধর্ষকের বিচার হয়েছে। ১২৫টি ধর্ষণ করলে শাস্তি পায় মাত্র একবার। আর যাদের বিচার হয়, তাদের ৫০% শাস্তি পায় ১ বছরের কম কারাদন্ড। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, আমেরিকায় যত ধর্ষণ সংঘঠিত হয় তার বেশির ভাগই মানে শতকরা ৯৫ ভাগের বেশি ধর্ষণ সংঘঠিত হয় মাতাল অবস্থায়। আর এসব ঘটনার প্রায় সব অজাচার ঘটে। মানে বাবা-মেয়ে,মা-ছেলে,ভাই-বোন ইত্যাদী এদের সাথে যৌনকর্ম। পরিংখ্যান অনুযায়ী দেখা যায়, ধর্ষণের দায়ে সাজা প্রাপ্ত অপরাধীরা জেল খাটার যখন মুক্তি পায়,তাদের শতকরা ৯৫ জনই আবার ধর্ষণ করে। (জাকের নায়েক লেকচার সমগ্র)

চারিত্রিক অধঃপতনে ধস নামছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

বর্তমানে প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, আমেরিকার স্কুল সমূহে সংঘঠিত অপরাধের মাত্রা ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে। নিউইয়ার্ক টাইমসে জর্জ ডাইনের এক রির্পোটের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকার বিগত ১৫-১৯ বছরের মধ্যে প্রতি হাজার মেয়ের মধ্যে ৯৬% অবৈধ গর্ভবতী হয়েছে। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আমেরিকায় ২,৭০,০০০ লোক এইডস এ আক্রান্ত। কঠোর আইনের বদলে “সর্তকতার সাথে প্রেম করো” ”সর্তকতার সাথে মহব্বত করো” বলে যুব সমাজকে উপদেশ দেয়া হয়।। হাই স্কুলের ৮৬% দশ বছর বয়সী ছাত্রী গর্ভবতী হয়। কলেজ ছাত্রদের উপর এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে যা ৬২০০ নারী ও পুরুষের মাঝে ৩২ টি ক্যাম্পাসে ৩ বছর পর্যন্ত চালানো হয়। খ্যাতনামা মনোস্তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ম্যারিকাস বলেছেন,ঐ ক্যাম্পাস সমূহে ২০% মেয়ের সাথে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনার সংখ্যা ৮৭৩৪০ টি। আমেরিকায় হাই স্কুলে প্রতি ২ জনে এক জন মদ্যপ, চার জনে ১ জন সিগারেট পান করে, দশ জনে ১ জন হাশীশ ব্যবহার করে। প্রতি সাত মিনিটে একটি শিশু নেশা করার দায়ে গ্রেফতার হয়। প্রতি ২৭ সেকেন্ডে একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে মা হয়। প্রতি ৪৭ সেকেন্ডে একটি শিশু ধর্ষিতা হয়। প্রতি ৩৬ মিনিটে আগ্নেয়াস্তে এক জন লোক নিহত বা আহত হয়। জর্জ লিন্ডসে লিখেন, হাই স্কুলের ৪৯৫ জন অল্প বয়সী তার কাছে স্বীকার তারা ছেলেদের সাথে দৈহিক মিলনের অভিজ্ঞা লাভ করেছে, এর মধ্যে ১২৫ জনের গর্ভ হয়। মানব সভ্যতার জন্য নতুন এক ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি খবর দিয়েছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেড সেভেন থেকে টুয়েলভ কাসের ছাত্রীদের অর্ধেকই যৌন হয়রানির শিকার। অন্তত গত শিাবছরের ওপর পরিচালিত গবেষণা রিপোর্ট তাই বলছে। যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের শতকরা ৮৭ ভাগের ওপর পড়েছে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব। গবেষণায় বলা হচ্ছে, ছেলেরা যেখানে শতকরা ৪০ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার সেখানে মেয়েদের সংখ্যা শতকরা ৫৬ ভাগ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০১০-১১ শিা বছরে গড়পড়তা শতকরা ৪৮ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী যৌন নির্যাতনের শিকার। শতকরা ৪৪ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী বলেছে, তারা মানুষের হাতে নির্যাতিত হয়েছে।মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোতে ছাত্রীরা সবচেয়ে বেশি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এ সংখ্যা শতকরা ৫২ ভাগ। এরা সবাই শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আর শতকরা ৩৬ ভাগ অনলাইনে। এর বিপরীতে মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্রদের শতকরা ৩৫ ভাগ শারীরিক যৌন হয়রানির শিকার এবং ২৪ ভাগ অনলাইনে।

বিলুপ্ত হচ্ছে পরিবার প্রথা

আমেরিকার এক ম্যাগাজিনে Better Homes and Eardins তার পাঠকদের প্রশ্ন করেছিল আপনারা কি মনে করেন, আমেরিকার পারিবারিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে? ৭৬% জবাব ছিল হ্যা, ৮৫% লোক বিবাহের ব্যাপারে তাদের আশা পূর্ণ হয়নি বলে মত দেয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যা প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একজন স্ত্রী বা মহিলা মারা যায় স্বামী বাব বন্ধুর হাতে। টাইমস (২৩ মার্চ ১৯৮৭) আমেরিকায় প্রায় ১৫% বিবাহিত ব্যক্তি শারীরিক দিক থেকে সন্তান প্রজননে অক্ষম (টাইমস জানু,১৯৮৭)। আামেরিকান নারী সমাজ মাতৃত্ব এবং ঘর সামনোর দায়িত্ব ১৫ বছর পূর্বে ছেড়ে দিয়েছে। বিংশ শতাব্দির শেষ প্রান্তে পৌছে আমেরিকান বৃদ্ধিজীবিরা বলতে বাধ্য হচ্ছেন,বিংশ শতাব্দির সূচনা লগ্নে আমেরিকা যে বিষয়কে উন্নতির সোপান মনে করেছিল, তা বর্তমানে তাদের জন্য ধ্বংসের সোপান প্রমাণ হচ্ছে। টাইমসের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি বছর আমেরিকায় ২৫ লাখ অবিবাহিত মেয়ে মা হয়

আমেরিকায় দৈনিক ৪ হাজার গর্ভপাত করা হয়, তন্মর্ধে ৬৫% ভাগ মহিলাই অবিবাহিত। ১৯৭৩ সালে আমেরিকার সুপ্্রীমকোটের গর্ভপাতকে বে-আইনী ঘোষনার পর বার্ষিক ১৫ লাখ গর্ভপাত ঘটানো হয়ে থাকে। বিগত ২০ বছরে ৩০ কোটি শিশুকে বংশচ্যুত করা হয়েছে। প্রতি বিশ সেকেন্ডে ১ টি গর্ভপাত ঘটানো হচ্ছে। আমেরিকার প্রতি ৫ জনে একজন পাগল। আমেরিকান সাড়ে চার কোটি মানুষ মস্তিস্কের ব্যাধিতে আক্রান্ত । লেজকাটা ঘৃণিত ইউরোপ ও আমেরিকায় পরিবার প্রথা ভেঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে হাজার বছর এগিয়ে গিয়েও ধ্বংসোন্মুক্ত সভাতায় পরিণত হতে চলেছে। বিকৃত সভ্যতা ভেঙ্গে দিয়েছে মা-সন্তানের শ্রদ্ধার দেয়াল, পিতাকে কাছে না পাওয়ায় সন্তানের শর্য্যাসঙ্গী হচ্ছে মা। অসৎ পিতার যৌন লালসা পূরণে আপন কন্যা হচ্ছে অঙ্গশায়িনী। এ অনৈতিকতার ছোবলে ক্ষত বিক্ষত পশ্চিমা জগৎ। সেখানকার অসভ্য মানুষগুলো শান্তির জন্য হন্যে ঘুরছে। ৫০ বছর পূর্বে আমেরিকায় পারিবারিক বন্ধন ছিল, এখন তা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়েছে।

অশান্তি থেকে বাচতে আত্মহত্যার ব্যাপকতা

সাপ্তাহিক টাইমস এর রির্পোটের শিরোনাম “সন্তানের আত্মহত্যা” এতে বলা হয়েছে,আমেরিকায় ১০-২০ বছর বয়সী যুবকদের আত্মহত্যার হার দ্রুত গতিতে বেড়ে চলেছে। ১৯৫০ সালের তুলনায় এ সংখ্যা এখন তিন গুন বেড়েছে। ১৯৮৫ সালে লাখে ৬০ যুবক (তত সংখ্যক বড়রা) আত্মহত্যা করেছে। প্রতি বছর ১৩-৩০ বয়সী ৫ হাজার যুবক আত্মহত্যা করে। বিগত ১০ বছরে ইচ্ছাকৃত আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা ৩৫% ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬২ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮.৬ ভাগ।

অপরাধের ভয়াবহতায় মার্কিন সামরিক বাহিনী

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে মহামারির আকারে যৌন অপরাধের সংখ্যা বাড়ছে। এ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে পেন্টাগণ নানা উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসেনি।

প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সামরিক বাহিনীর অন্তত ২৬,০০০ সক্রিয় সদস্য যৌন আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যদিও এ সময় যৌন আক্রমণের শিকার হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন এমন সদস্যের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়ে ৩,৩৭৪ জনে উন্নীত হয়েছে, তবে নাম প্রকাশ না করে যেসব সদস্য যৌন আক্রমণের শিকার হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তাতে মোট সংখ্যা ২৬,০০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ২০১১ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৯,০০০।

যৌন আক্রমণের শিকার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা ও উর্ধতন কর্তৃপরে নজরদারি বাড়ানো হলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১৪ লাখ সামরিক বাহিনীর ৬.১ শতাংশ সক্রিয় নারী সদস্য বা মোট ১২,১০০ নারী সদস্য জানিয়েছেন, ২০১২ সালে তারা অযাচিত যৌন সংস্পর্শে এসেছেন। ২০১১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৮,৬০০। পুরুষদের মধ্যে যৌন আক্রমণের শিকার লোকের সংখ্যা ১০,৭০০ থেকে বেড়ে গত বছর ১৩,৯০০ তে উন্নীত হয়েছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর ৩০ জনেরও বেশি মহিলা ক্যাডেট অভিযোগ করেছেন, তারা প্রশিণ নেয়ার সময় প্রশিকদের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। টেক্সাস বিমান প্রশিণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে বলে তারা জানান। ঘাঁটিতে এ ধরনের যৌন নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা বেড়েই চলেছে বলেও তারা অভিযোগ করেছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনীর নারী সদস্যরা অহরহ যৌন নির্যাতন ও অবৈধ যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে থাকেন এবং প্রতিবছর হাজার হাজার ঘটনা রেকর্ড করা হয়। পৃথক আরেক হিসাবে এর আগে বলা হয়েছে, মার্কিন বাহিনীতে কর্মরত প্রতি পাঁচ জন মহিলার মধ্যে একজন এবং প্রতি ২০ জন পুরুষের মধ্যে একজন যৌন হয়রানির শিকার হন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীতে চাকরিরত অবস্থায় একজন মহিলা সেনার ধর্ষিত হওয়ার আশংকা ২০ থেকে ৪০ শতাংশ। তবে, মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন হেনন্তর ৮০ শতাংশ ঘটনা চেপে যাওয়া হয় বলে এ বিষয়ে যথার্থ হিসাব পাওয়া যাবে না। স¤প্রতি মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র এক হিসাবে বলা হয়েছে- গত আট বছরে চাকরি হারানো মার্কিন কমান্ডারদের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগই যৌন কেলেঙ্কারির কারণে চাকর হারিয়েছেন। বিশ্বব্যাপী ১২০ টির বেশি দেশে মার্কিন স্পেশাল বাহিনী স্পেশাল বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সে সব দেশেও মার্কিন বাহিনীর ধর্ষণ ও যৌন কেলেংকারীর ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি করে চলেছে। বিশেষ করে আগ্রাসিত আফগানিস্তান ২০ কারাগারে ও ইরাকে ১৫ কারাগারে মার্কিনীদের যৌন নির্যাতন,খুন, গুম মানবতাকে ভূলুন্ঠিত করে চলেছে। আমেরিকার বিকৃত যৌনাচারের আধিক্য ও বিভংস্রতা দেখেআমেরিকার এককালের খ্যাতিমান টিভি বিশ্লেষক জিমি সোয়াগার্ট তার বিখ্যাত বই হোমোসেক্সয়ালিটিতে আর্তনাদ করে বলেছেন- যে অপরাধের জন্য সডোম ও গমোরা নগরী ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে সে অপরাধের জন্য যদি বর্তমান ইউরোপ ও আমেরিকাকে ধ্বংস না করেন তাহলে তাহলে সৃষ্টিকর্তকেই একদিন আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
ব্লগে এটাই আমার শেষ পোস্ট,তোমাদের এই সার্পোট করা নগ্ন শহরে আর লিখবোনা।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:২২

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: না না এটা ঠিক নয়; শেষ লিখা হবে কেন? লিখালিখির ধারা অব্যহত রাখুন।আপনি জানেন মানুষের জীবন অনেকটা সমুদ্রের মত?সমুদ্রে যেমন জোয়ার ভাটা আছে তেমনি মানুষের জীবনেও আছে।আর জীবনে প্রতিকূলতা আসবেই।সেই প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আপনাকে সংগ্রাম করতেই হবে।তবেই একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবেন আমার বিশ্বাস।

আপনার অসম্ভব সুন্দর ও যুক্তিপূর্ণ লেখায় আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে জনাব মেঘ প্রিয় বালক ভাই।মহান আল্লাহ বলেন ,

বল, এসেছে সত্য চলে গিয়েছে মিথ্যে, নিশ্চয়ই মিথ্যে চিরকাল মিথ্যে।
(সূরা বনী ইসরাইল)।

মিথ্যে কখনও সত্যের কাছে জয়ী হতে পারে না হোক সে সংখ্যায় অগনিত।সত্যের কাছে সে পরাজয় মানতে বাধ্য।পশ্চিমা সংস্কৃতির যে বাস্তব ভয়ংকর রুপরেখা আপনি তুলে ধরেছেন তাতেই প্রমানিত হয় পশ্চিমারা কখনও সভ্যতার মধ্যে পড়ে না তারা একটা অসভ্য বর্বর জাতি।আর এদের যারা সমর্থন জানায় তাদের পিতৃপরিচয় কিংবা মাতৃপরিচয় বলুন এ নিয়ে ঢের সন্দেহের উদ্রেক হয়।এরা অমানুষ ছিলো আজীবন অমানুষই থেকে যাবে।আর মানুষকে সদা হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করবে কারন এদের পারিবারিক শিক্ষা কখনও ছিলো না। এদের কাছে পশ্চিমাই বেষ্ট।কারন তা না হলে নিজের মা বোনকে উপভোগ করতে পারবে কি করে?কতটা নোংরা কতটা নীচু মানুষিকতার লোক হলে এই ধরনের অপসংস্কৃতিকে এরা সমর্থন প্রদান করে।এদের মুখে থুঃ

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই অর্থবহ তথ্যবহুল পোষ্টটি আমাদের জানিয়ে দেয়ার জন্য।

শুভকামনা নিরন্তর।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়িলাম,পোস্টে আমি যাহা সত্য তাহাই তুলিয়া ধরেছি,কোন প্রকার মিথ্যা -বানোয়াট কথা ব্লগে লিখি নাই। ব্লগে বিভিন্ন রুচির মানুষ থাকবে, খারাপ-ভালো মিলিয়েই ব্লগ। যাদেরকে আপনার ভালো লাগে তাদের পোস্ট পড়ুন,যাদের ভালো লাগেনা তাদেরকে এড়িয়ে চলুন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। তবে যারা নগ্নতা সার্পোট করে,পশ্চিমাদের খারাপ সভ্যতাকে সমর্থন জানায় তারা আসলেই বাতিক গ্রস্ত, পদভ্রষ্ট ,বিকৃত মস্তিস্কের অধিকারী। এদের সাথে তর্কে জড়ানো বোকামি।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৪৪

আমিই মুসাফির বলেছেন: চমৎকার একখান পোষ্ট পাইলাম,এহেন থিক্যা শিক্ষার বহুত কিছু আছে।কুত্তার গায়ের রঙ যেমন এক রঙ্গা না ব্লগারগো হক্কলের গায়ের রঙ এক রঙ্গা পাইবেন না।ইহা নিয়ম।ভালা মন্দ মিলায়া সব জাগাতেই আছে।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মুসাফির ভাই। এখানে সবগুলো কথার প্রমাণ রয়েছে,কোন বানোয়াট মিথ্যা কথার জায়গা নেই। যারা উপরোক্ত পশ্চিমা সভ্যতাকে সমর্থন জানায় তারা আসলেই সুস্হ মস্তিকের নয়। এদের কাছে নোংরামী মানেই সভ্যতা। কিছু কিছু ব্লগাররা তাদের এ সব সভ্যতাকে সমর্থন জানিয়ে আবার মসজিদ,মাদ্রাসা,ইসলাম ধর্ম,মুসলিমদের গালমন্দ করে। এরা মূলত গরুর মুত্র পানকারী। কুকুরের লেজ যেমন সোজা হয়না,এরাও কোনদিন ভ্রান্তপথ হতে ফিরবে কিনা সন্দেহ। এদেরকে আল্লাহ হেদায়াত দান করুক।আমিন।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জানার আছে অনেক কিছু।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম।

৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:১৯

বলেছেন: তবুও সবাই পশ্চিমাদেশে যাওয়ার জন্য পাগল।!
আজ আমেরিকা ডাকলে পুরো বাংলাদেশ খালু হওয়ার সম্ভাবনা আছে।।।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: উন্নত জীবন সবার কাম্য,নগ্নতা, নোংরামি,অসভ্যতা কোন সুস্হ মস্তিস্কের মানবের কাম্য নয়। আমেরিকাতেও মুসলিম রয়েছে,তারা কি এসব সভ্যতাকে সমর্থন জানায়? জানায় না। তারা তাদের ইসলাম ধর্মকেই ভালবাসবে।

৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

বলেছেন: খালি হওয়ার সম্ভাবনা ***টাইপো

৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ তো মানূষ'ই। তাদের ধর্ম দিয়ে ভাগ করা ঠিক না।
মুসলিম রাষ্ট্র, হিন্দু রাষ্ট্র ভাবা ঠিক না।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আমি এখানে পশ্চিমাদের সভ্যতা নিয়ে আলোচনা করছি। পুরো পোস্ট না পড়ে মন্তব্য না দেওয়াই শ্রেয়।

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাই আপনি পশ্চিমাদের ডালাও রোষারোপ করতে পারেন না। আমারেদ ধর্মে এমন করে দোষারোপ করা শিখায়নি তাহলে কোন যুক্তিতে করবেন? আর রেঘে কারো সাথে যুক্তি খন্ডন করতে গেলে হিতে বিপরীত হয়। যে বিষয়ে আলোচনা করবেন তার উপর যু্ক্তি-তর্ক করা যেতে পারে। কিছু যু্ক্তি হয়তো আপনার মতকে বিরোধীতা করবে এই জন্য সে আপনার শত্রু বনে যাবে না। আমি আপনাকে ততো জানি না। আপনি তৃমাত্রিক লিখা শুরুকরেছিলেন। লেখাতে আপনার অবস্থান পাকা করার আগেই যদি আপনি প্রতিবাদি একজন হয়ে আপিনি ছাড়া অন্য সবের গোষ্টি উদ্ধার করেন তাহলে আপনি সফল না। আম মুসলিম। সৌদি আরব থাকি দুই যুগেরও কাছাকাছি। এখানে এমন লোকের সাথে পরিচয় হয়েছে সে শয়তানকেও হার মানায়। আবার এমন লোক দেখেছি যেনো শয়ন ফেরেশা। এখন আমি যদি বলি সৌদি সব লোক ফেরেস্তার মতো তাও যেমন রাইট না আবার সবাই শয়তান তাও ঠিক না। স্থান কাল বেদে মানুষ ভিবিন্ন রকম। যাদের নিয়ে টুল হচ্ছে তাদের শুধরানো হল মহৎ কাজ। এ নিয়ে ঝগড়া করে অন্যর সাথে কটু আচড়ণ মোটেও শুভনীয় নয়।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০২

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: প্রিয় মাহমুদুর রহমান সুজন, আপনি পুরো পোস্টটি পড়েছেন কিনা জানিনা,আমি আমার পোস্টে কোন জায়গাতেই এ কথা বলিনি পশ্চিমারা সবাই খারাপ,হিন্দু-খৃষ্টানরা খারাপ। দেখাতে পারবেন না এমন কথা। আমি উক্ত পোস্টে শুধুমাত্র পশ্চিমা কিছু নোংরা সভ্যতা এবং তার ব্যবহারে ফলাফল কুফল সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। পুরো পোস্টে একটি লাইনও বানোয়াট বলতে পারবেন না। তথ্য সহকারে বলা হয়েছে। আর উক্ত তথ্যগুলো তাদের নিজ মুখেই স্বীকার করা। সুতরাং পুরো পোস্টটি ধৈর্য্য সহকারে আরেকবার পড়লেই আপনি বুজতে পারবেন। আর আমি ত্রিমাতৃক লিখছি,হা,,আমি যদি জানতাম ব্লগে বিকৃত মস্তিস্কের এমন সব লোকেদের বসবাস তাহলে ব্লগে আমি আর লিখতাময়ি না। ব্লগে এ সমস্ত পোস্টের জন্য তারা নিজেরাই দায়ী যারা নগ্নতাকে বলে অাধুনিকতা,নোংরামি করে প্রচার চালায় তারাই ভালো কাজ করছে। কাউকে আঘাত করে উস্কানি দিয়ে কথা বলা তাদের কাজ। আমি তাদের এসব কাজকে ঘূনা করি বলেই তাদের বিরুদ্ধে লিখি। একটি ভদ্র সমাজে অভদ্র লোকদের শাসন না করলে পুরো সমাজ অভদ্রে পরিণত হবে।

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভাই আপনি পশ্চিমাদের ডালাও রোষারোপ করতে পারেন না। আমারেদ ধর্মে এমন করে দোষারোপ করা শিখায়নি তাহলে কোন যুক্তিতে করবেন?
মিতা আপনি বললেন আমাদের ধর্ম এটা শেখায় নি।মূলত ইসলাম মানুষকে সৎকাজে আদেশ দেয় অসতকাজে নিষেধ করে
কারন মহান আল্লাহ বলেন ,
তোমরা সৎকাজে উৎসাহ দাও এবং অসৎকাজে বাধা দাও।

কাজেই আমি যদি দেখি আমার মুসলমান ইসলাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে তখন কি করবো? নিশ্চয়ই সেই অপকরমকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক করবো মানুষদের।এটা ইসলাম শিখায়।ইসলাম অসভ্যতার বিপরীতে।আশা করি বিষয় গুলো নিয়ে পড়াশোনা করবেন।

১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:০৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: ধন্যবাদ আমার হয়ে মন্তব্য,দেয়ার জন্য।

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২১

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মিতা, আমি বলেছি বাকদন্ধ আমাদের ইসলাম শেখায়নি। যা নিজের চোখে দেখিনি তা কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা ঠিক না। আমি যা বলতে চেয়েছে তা আপনি বুঝতে ভূল বুঝেছেন। প্রতিদিনি পড়ি। যখন দেখি বুঝেও বুঝতে চায় না কিছু মানুষ তাদের বুঝাতে চাওয়াও বুকামী মনে করি। আমার বয়স তেমন হয়নি এখনো এতো দূর যেতে পারিনি তাই এর বেশী আলোচনা করতে অক্ষমতার দূষে দোষ্ট বলে ক্ষমা প্রার্থি।

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনুবাদক: ইকবাল হোছাইন মাছুম



সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজে নিষেধ
المعروف এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে : المعلوم বা জ্ঞাত ও জানা বস্তু বা বিষয়। عرف يعرف معرفة وعرفانا এর অর্থ জানা। المنكر- المعروف (অজ্ঞাত ও অপরিচিত) এর বিপরীত। المعروف শব্দটি المعرفة (জানা) এবং الاستحسان (কল্যাণকরন) উভয়কে শামিল করে।

শরিয়তের পরিভাষায় মারুফ বলা হয়: যে সকল ফরজ ও নফল কাজের মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ পায় এবং নৈকট্য সাধিত হয় তাকে মারূফ বলে। আর মুনকার হচ্ছে মারূফের বিপরীত। এমন কথা ও কাজ যাকে শরিয়ত হারাম, অপছন্দ ও ঘৃণা করে হারাম সাব্যস্ত করেছে। উপরোক্ত সংজ্ঞা দ্বয়কে সামনে রাখলে আমরা দেখতে পাব যে শরিয়তের মৌলিক ও আনুষঙ্গিক সব বিষয় যেমন আক্বিদা-বিশ্বাস, ইবাদত, আখলাক-সুলুক ও মুআমালাত-ফরয হোক বা হারাম, মোস্তাহাব কিংবা মাকরূহ-সবই উভয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর মধ্যে যা ভাল ও কল্যাণকর তা মারূফের অন্তর্ভুক্ত আর যা খারাপ ও অকল্যাণকর মুনকারের অন্তর্ভুক্ত। আমার বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার ওয়াজিব। এ মর্মে অনেক আয়াত ও অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তা ছাড়া এ ব্যাপারে উম্মতের ইজমাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবে এটি ওয়াজিবে কেফায়া। উম্মতের যথেষ্ট পরিমাণ অংশ এ দায়িত্ব পালন করলে অন্যদের থেকে গুনাহ রহিত হয়ে যাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন:- আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত, যারা সৎকাজের প্রতি আহ্বান করবে, নির্দেশ করবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে। আর তারাই হল সফলকাম। (সূরা আলে ইমরান:১০৪)

আয়াতে (ولتكن) শব্দটি أمر তথা নির্দেশ সূচক বাক্য। যা আবশ্যকীয়তাকে প্রমাণ করে। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:- আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে। জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তাআলা দয়া করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা:৭১) আর মুনাফেক সম্পর্কে বলেছেন: মুনাফেক নর, মুনাফিক নারী একে অপরের অনুরূপ। অসৎকর্মের এবং সৎকর্ম নিষেধ করে। (সূরা তাওবা : ৬৭)

আল্লাহ তাআলা আমর বিল মারূফ এবং নেহি আনিল মুনকারকে (সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ) মোমিন ও মুনাফেকদের সাথে পার্থক্যকারী নিদর্শন হিসাবে সাব্যস্ত করেছেন। সাহাবি আবু সাইদ খুদরী রা, থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি তোমাদের কেউ অন্যায় অশ্লীল কর্ম দেখলে শক্তি দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সমর্থ না হও তাহলে কথার দ্বারা প্রতিবাদ করবে এতেও সমর্থ না হলে মন থেকে ঘৃণা করবে। আর এটিই হচ্ছে সবচে দুর্বল ঈমান। হাদিসে বর্ণিত فليغيره শব্দটি নির্দেশ সূচক বাক্য যা আবশ্যকীয়তার দাবিদার। ইজমা প্রসঙ্গে আল্লামা ইমাম নববী রহ. বলেন- আমার বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে, কোরআন, সুন্নাহ, এবং ইজমা অভিন্ন মত পোষণ করেছে। বাকি থাকল ওয়াজিবে কেফায়া হওয়া। এটিও জমহুরে উম্মতের মতামতের ভিত্তিতে বলা হয়েছে, আল্লামা ইবনুল আরাবী মালেকি রহ. আল্লাহর বাণী ولتكن منكم أمة প্রসঙ্গে বলেন। আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার যে ফরযে কেফায়া তার প্রমাণ এ আয়াতের মধ্যেই বিদ্যমান।

আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের তিনটি তাৎপর্য :
(এক) সৃষ্টির বিরুদ্ধে إقامة حجة الله على خلقه আল্লাহর হুজ্জত প্রতিষ্ঠিত করা। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন: সুসংবাদদাতা ও ভীতিপ্রদর্শনকারী রাসূল প্রেরণ করেছি যাতে রাসূল আসার পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন অভিযোগ আরোপ করার মত অবকাশ না থাকে। (সূরা নিসা:১৬৫)

(দুই) আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে বারণকারী আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের দায়িত্ব পালনের জামানত থেকে মুক্তি পাওয়া। যেমন শনিবারের ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়ের ভাল ও সৎ লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেছেন : তারা বলল, তোমাদের পালনকর্তার নিকট দায়িত্ব-মুক্তির জন্য এবং যাতে তারা সাবধান হয় এ জন্য। (সূরা আরাফ : ১৬৪)

(তিন) যাকে সৎ কাজের আদেশ দেয়া হয় বা অসৎ কাজ থেকে বারণ করা হয় তার উপকারের প্রত্যাশা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন:- আপনি উপদেশ দিতে থাকুন। কারণ উপদেশ মোমিনদের উপকারে আসবে। (যারিয়াত : ৫৫)
আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের ফজিলত : আমর বিল মারূফ এবং নেহি আনিল মুনকার ইসলামের একটি অত্যবশ্যকীয় দায়িত্ব। একটি মৌলিক স্তম্ভ এবং এ ধর্মের অনন্য বৈশিষ্ট্য। সংস্কার ও সংশোধনের বিশাল মাধ্যম। তার মাধ্যমে সত্যের জয় হয় এবং মিথ্যা ও বাতিল পরাভূত হয়। তার মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধির বিস্তার ঘটে। কল্যাণ ও ঈমান বিস্তৃতি লাভ করে। যিনি আন্তরিকতা ও সততার সাথে এ দায়িত্ব পালন করেন তার জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার ও মর্যাদাপূর্ণ পারিতোষিক। কোরআনে অসংখ্য আয়াত ও প্রিয় নবীর অগণিত হাদিস এর প্রমাণ বহন করে। এর অল্প কিছু নীচে প্রদত্ত হল।

(১) আল্লাহ তাআলা বলেন: অর্থাৎ আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক-সুহৃদ। তারা ভাল কাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। সালাত প্রতিষ্ঠিত করে, জাকাত দেয়, এবং আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ রহম ও দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী। প্রজ্ঞাময়। (সূরা তাওবা : ৭১) আয়াতে পরিষ্কার দেখা গেল যে আল্লাহ তাআলা আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের উপর রহমতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

(২) মহান রাব্বুল আলামীন আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের দায়িত্ব পালন কারীদের প্রশংসা এবং তাদের পরিণাম ও শেষ ফল কল্যাণময় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আর তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা উচিত যারা আহ্বান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে। আর তারাই সফল কাম। (আলে ইমরান : ১০৪)

(৩) আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার পার্থিব মুসিবত ও পারলৌকিক শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়। আল্লাহ বলেছেন: যে উপদেশ তাদের দেয়া হয়েছিল তারা যখন তা বিস্মৃত হয়ে গেল। তখন আমি সে সব লোকদের মুক্তি দান করালাম যারা মন্দ কাজ থেকে বারণ করত। আর পাকড়াও করলাম গুনাহ্‌গার জালিমদেরকে নিকৃষ্ট আজাবের মাধ্যমে তাদের নাফরমানির ফলস্বরূপ। (সূরা আরাফ : ১৬৫)

(৪) আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার পরিত্যাগ করা আল্লাহর লানত, গজব ও ঘৃণার কারণ এবং এ কারণেই দুনিয়া ও পরকালে কঠিন শাস্তি নেমে আসবে। আল্লাহ তাআলা বলেন: অর্থাৎ বনী ঈসরাইলের মধ্যে যারা কাফের তাদেরকে দাউদ ও মরিয়ম তনয় ঈসার মুখে অভিসম্পাত করা হয়েছে। এ কারণে যে তারা অবাধ্যতা করত এবং সীমালঙ্ঘন করত। তারা পরস্পরকে মন্দ কাজে নিষেধ করত না যা তারা করত। তারা যা করত অবশ্যই মন্দ ছিল। (সূরা মায়েদা : ৭৮-৭৯)

মন্দ কাজে বাধা প্রদান ওয়াজিব হওয়ার শর্তাবলি :
প্রথমত : আদেশদান ও বাধা প্রদানকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট শর্তাবলি:

(১) ঈমান। অমুসলিমদের উপর এ দায়িত্ব ওয়াজিব নয়।

(২) মুকাল্লাফ বা শরিয়ত কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়া। অর্থাৎ সৎকাজের আদেশ দান ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানকারীকে বুদ্ধিমান (عاقل) ও প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। নির্বোধ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপর আদেশ ও নিষেধ করা ওয়াজিব নয়।

(৩) সামর্থ্য। যিনি এ কাজে ক্ষমতা রাখেন তার উপরই ওয়াজিব। আর যার ক্ষমতা নেই, অক্ষম ও অসমর্থ তার উপর ওয়াজিব নয়। তবে তাকে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে ও অপছন্দ করতে হবে। করা আবশ্যক।

দ্বিতীয়ত: অসৎ কাজ (যা প্রতিহত করা হবে তার সাথে) সংশ্লিষ্ট শর্তাবলি।

(১) কাজটি মন্দ ও নিষিদ্ধ এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। ধারণা ও সম্ভাবনার উপর নির্ভর করে বাধা প্রদান বা প্রতিহত করণ জায়েজ হবে না।

(২) যে মন্দ কাজ প্রতিহত করার ইচ্ছা তাকে সম্পাদনকারী সহ প্রতিহত করার সময় কাজে লিপ্ত অবস্থায় পাওয়া যেতে হবে।

(৩) প্রতিরোধ উদ্দিষ্ট অসৎকর্মটি স্পষ্ট ও দৃশ্যমান হতে হবে। অনুমান নির্ভর হলে প্রতিহত করণ জায়েজ হবে না। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেছেন: – ولا تجسسوا তোমরা দোষ ও গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না। (সূরা হুজুরাত : ১৩) তাছাড়া ঘর ও এ জাতীয় (সংরক্ষিত) জিনিসের একটি স্বকীয় মর্যাদা আছে। শরয়ি কোন কার্যকারণ ব্যতীত সেটি বিনষ্ট কর বৈধ হবে না।

আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার সম্পাদন কারীর কিছু আদব:
ইখলাস ও আন্তরিকতা। কারণ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের বাধা প্রধান একটি অন্যতম শীর্ষ ইবাদত ; আর ইবাদত প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন:- অতএব আপনি নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর ইবাদত করুন।

(২) ইলম তথা প্রয়োজনীয় জ্ঞান। ইলম ব্যতীত অসৎ কাজে বাধা প্রদান করতে যাবে না। কারণ এতে শরয়ি নিষিদ্ধ কাজ সমূহে পতিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:- বলে দিন, এটাই আমার পথ আমি আল্লাহর দিকে বুঝে শুনে সজ্ঞানে আহ্বান করি-আমি এবং আমার অনুসারীরা (ইউসুফ : ১০৮)

(৩) আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের ক্ষেত্রে হক স্পষ্ট করার পাশাপাশি হিকমত ও সুকৌশল, সদুপদেশ এবং সূক্ষ্ম পন্থার সাহায্য নেয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন: অর্থাৎ আপনি মানুষদের আপনার প্রতিপালকের পথে হিকমত ও সদুপদেশের মাধ্যমে আহ্বান করুন। (সূরা নাহল : ১২৫) আল্লাহ তাআলা মূসা ও হারুন আ.-কে ফেরআউনকে দাওয়াত দেয়ার কৌশল শিক্ষা দিয়ে বলেছেন : অত:পর তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে এতে করে হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে। [ত্ব-হা:৪৪] আমাদের নবী মুহম্মদ সা.-কে লক্ষ্য করে বলেন: আপনি যদি রূঢ় ও কঠোর হৃদয় হতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে দূরে সরে যেত। (সূরা আল ইমরান : ১৫৯)

(৪) আমর বিল মারূফ ও নেহি আমিল মুনকার-এর ক্ষেত্রে সফল হওয়ার জন্য সর্বাপেক্ষা জরুরি বিষয় হচ্ছে : সবর ধৈর্য এবং সহনশীলতা। লোকমান আ. স্বীয় পুত্রকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন: হে বৎস ! সালাত কায়েম কর, সৎকাজের আদেশ দাও। মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর, এটিই তো দৃঢ় সংকল্পের কাজ। (সূরা লোকমান : ১৭)

(৫) কল্যাণ ও অকল্যাণের প্রতি লক্ষ্য রাখা। সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ তখনই করবে যখন অকল্যাণের চেয়ে কল্যাণের দিকটি প্রবল থাকে আর যদি অবস্থা বিপরীত হয় যে এটি করতে গেলে কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণের সম্ভাবনাই বেশি তাহলে আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকার জায়েজ হবে না। কারণ এতে অপেক্ষাকৃত ছোট মুনকার দূর করতে গিয়ে আরো বড় মুনকারে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

(৬) মুনকার ও অসৎকাজ দূর করার ক্ষেত্রে সবচে সহজ কাজের সাথে সংগতিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করা। সুতরাং, সংগতি পূর্ণ পন্থা ও মাধ্যম বাদ দিয়ে আরো বড় মাধ্যম গ্রহণ করা জায়েজ হবে না।

(৭) আবু সাইদ খুদরী রা. কর্তৃক বর্ণিত হাদিসের বিন্যাস অনুযায়ী ধারাবাহিকতা ও স্তর বিবেচনায় রেখে মন্দ ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানের পদক্ষেপ নেয়া। আবু সাইদ খুদরী রা. বলেন. আমি রাসূল সা.-কে বলতে শুনেছি। তোমাদের কেউ মন্দ কাজ হতে দেখলে (শক্তি প্রয়োগ করে) প্রতিহত করবে, সম্ভব না হলে (মুখের মাধ্যমে) প্রতিবাদ করবে। এও সম্ভব না হলে (মনে মনে) ঘৃণা করবে। আর এটি হচ্ছে ঈমানের সর্ব নিম্ন স্তর। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, সহজ পন্থা ও পদ্ধতিতে কাজ সম্ভব হলে কঠোর পদ্ধতি অবলম্বনের প্রয়োজন নেই। বরং এটি ঠিকও হবে না। যেমন, যে মন্দ কাজ প্রতিবাদের মাধ্যমে দূর করা সম্ভব সেখানে শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিহত করা শরিয়তের দৃষ্টিতে ঠিক নয়। এ নীতিমালা সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের উপকারিতা:
সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে বাধা প্রদানে অনেক ফায়দা ও উপকারিতা রয়েছে, তার কয়েকটি নিম্নে প্রদত্ত হল।

(১) মন্দ ও অন্যায় দেখে তা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার পদক্ষেপ না নেয়া শাস্তি যোগ্য অপরাধ। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে কঠোর হুশিয়ারী এসেছে। সুতরাং আমার বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের মাধ্যমে আল্লাহর সে শাস্তি হতে দূরে থাকা যায় ও পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

(২) আল্লাহ তাআলা কল্যাণ ও নেক কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করার উৎসাহ-বরং নির্দেশ দিয়েছেন। আমর বিল মারূফ ও নেহি আনিল মুনকারের মাধ্যমে উক্ত নির্দেশের বাস্তবায়ন হয় এবং কল্যাণ ও নেকের কাজে সহযোগিতা হয়।

(৩) সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। কারণ এর মাধ্যমে যাবতীয় অকল্যাণ ও অনিষ্ট বিদূরিত হয়। ফলে মানুষ স্বীয় দ্বীন-জান-সম্পদ ও সম্মানের ব্যাপারে নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা বোধ করে।

(৪) এর মাধ্যমে অন্যায় ও অনিষ্টের হার হ্রাস পায়। সমাজ থেকে মন্দ ও অশ্লীল কাজের প্রতিযোগিতা প্রদর্শনী বিলুপ্ত ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যেগুলো মূলত সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টি করত। ফলে সমাজ শান্তি শৃঙ্খলা, মিল-মহব্বত ও সুখ-সমৃদ্ধিতে ভরে উঠে।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন:
(১) মন্দ ও অন্যায় দেখে তা প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার পদক্ষেপ না নেয়া শাস্তি যোগ্য অপরাধ।

জী আর এই জন্যই এতো কথা। যেন নিজেরাও ঠিক থাকি অন্যদেরকেও শোধরাই।

তাছাড়া মিতা পশ্চিমারা কিন্তু ইসলামের সবচেয়ে বেশী সমালোচনা করে।তাদের কাছে ইসলাম একটি বর্বর ধর্ম। এখন যখন ইসলামের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে যাবো তাহলে সামগ্রিক ভাবেই জবাব দেয়া বাঞ্চনীয়।

ছোট্ট একটি বিষয় জেনে নিন,
In the United States in the 1990s, it was estimated that 100,000 to one million cases of incest occur annually, but only about 10 percent of them are reported ( Johnson 1983).

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর এক লক্ষ থেকে দশলক্ষটা পারিবারিক ব্যাভিচারের ঘটনা ঘটে থাকে।যেখানে মামলা দায়ের হয় মাত্র শতকরা দশ ভাগ।

কাজেই তারাই যখন নিজেদের সমালোচনা করছে আর আমি কিংবা মেঘ প্রিয় বালক উদ্ধৃতি দিচ্ছি তাহলে আমাদেরকে কেন দোষ দেয়া হবে বলুন......

১৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:১১

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: সুন্দর যুক্তি উপস্হাপন। ধন্যবাদ

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বিকৃত মস্তিস্ক -০৪ আসার সম্ভাবনা কেমন?

১৮ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আমি সামু ব্লগে আর লিখছিনা,চিরকুট,কবিতা,দৃশ্যপট,বিকৃত মস্তিস্ক ইত্যাদি কোন লিখাই সামুতে লিখবোনা। সুতরাং বিকৃত মস্তিস্ক -০৪ লিখা আসার সম্ভাবনা নেই আপাতত। সুতরাং টেনশেন করবেন না। আপনি যেখানে খুশি যেভাবে খুশী মন্তব্য করতে পারেন ব্লগের নিয়ম নীতি মেনে। যদি মনে করেন ভয় পেয়ে গেছি তবে তা ভুল ভাবনা। আমি শান্তি চাই ব্লগে। একজন পাঠক হিসেবে ব্লগে আসবো। তবে আমি যদিও কারো অনুরোধে আবার লিখা শুরু করি তাহলে তা হবে তাহার অনুরোধ রক্ষার্থে। আমার প্রিয় লেখিকা নিষেধ করেছেন সামুতে লিখা না দিতে। ওনি আমার জন্য সংবাদ পত্রের একটি কলামের ব্যবস্হা করেছেন। আশা করছি সেখানেই লিখবো। সুন্দর এবং সবুজ নগরে লিখা দিবো,যেখানে কেউ আমাকে আঘাত করে কথা বলবেনা। গোজামিল মন্তব্য করবেনা। শব্দনীড়ে বর্তমানে লিখছি। হ্যাপি ব্লগিং।

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভালো

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২১

স্বপ্নডানা১২৩ বলেছেন: আপনি এখানে লিখবেন না জেনে খুবি ভাল্লাগ্ল। B-)

১৮ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫৯

মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আপনার এর আগের মন্তব্যটা আমি মুছে দিয়েছি,চাইলেই ব্লগ মোডারেটর কে জানাতে পারতাম। আপনি যে কোন বাড়ীর কুকুর,সেটা আমার ভালো করেই জানা আছে। কুকুর স্বভাব পরিবর্তন করুন। মাল্টিনিক পরিহার করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.