নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্ম কথা আমি বাংলাদেশী। আওয়ামীলীগ আমার প্রাণের সংগঠন।

সাঈদ হাসান আকাশ

সাঈদ হাসান আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেরী টমেটোর চাষ পদ্ধতি/ সাঈদ হাসান

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১০



চেরী টমেটো ছোট জাতের টমেটো। একে এৎধঢ়ব বা আঙ্গুর টমেটো বলা হয়। দেখতে অনেকটা চেরী ফলের মত বলেই এর নামকরণ করা হয় চেরী টমেটো । লাল, হলুদ, সবুজ ও কালো জাতসহ বিভিন্ন রঙের এই টমেটোর বৈজ্ঞানিক নাম ঝড়ষধহঁস খুপড়ঢ়বৎংরপঁস । ইহা ঝড়ষধহধপবধব পরিবারের অনৱর্ভূক্ত। ১৮০০ সালে পেরম্ন ও চিলিতে ১৮১৫ সালে গ্রীসে, ১৯১৯ সালে আমেরিকাতে এবং পরবর্তীতে ইসরাইলসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বিশেষ করে এশিয়ার দেশ জাপান, কোরিয়া ও থাইল্যান্ডে এর চাষাবাদ শুরম্ন হয়। যা ধীরে ধীরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিভিন্ন দেশে এর রং, আকৃতি মিষ্টতা, গুণাগুণ, লতার বৃদ্ধি, মৌসুমী ফলন শংকরায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন করা হয়। এর মিষ্টতা ৯-১০% হলেও আমাদের দেশে তা অনেক বেশী। কৃষি মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত সমন্বিত মানসম্পন্ন উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এর উৎপাদন ও সম্প্রসারনের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত ৩/৪ বছর হতে এই প্রকল্পের অধীনে এর চাষাবাদ শুরম্ন করা হয়েছে। যা ইতিমধ্যে দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৪৩টি হর্টিকালচার সেন্টারের মাধ্যমে সারা দেশে এর সম্প্রসারনের কাজ চলছে। দর্শক, আপনারা দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি’র উদ্যোগে গড়ে তোলা চেরী টমেটোর চাষাবাদ ও তার ফলন। যা কৃষিবিদ ড. কামরম্নজ্জামানের প্রত্যৰ তত্ত্বাবধানে করা হয়েছে। আসুন আমরা জেনে নেই অভিভ'ত এই ফলনের কিছু কথা।

যেহেতু টমেটোটি অসময়ে আসে তাই আমাদের দেশে এ্যাগোরা, মিনাবাজারসহ বিভিন্ন বড় বড় শপিং সেন্টারে চেরী টমেটো প্রতি কেজি ৫০০-৭০০/- টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। সমন্বিত মানসম্পন্ন উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এর ব্যাপক চাষাবাদ করে সাধারন মানুষের ক্রয় ৰমতার মধ্যে আনার কর্মসূচী ইতিমধ্যে গ্রহন করা হয়েছে।

আসুন জেনে নেই চেরী টমেটোর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে ঃ

মাটি ও জলবায়ুঃ
সব ধরণের মাটিতে চেরী টমেটোর চাষ করা যায়। তবে দো-আশ ও বেলে দো-আঁশ মাটি বেশি উপযোগী। সাধারণত ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গাছে টেমেটো ভাল জন্মে। তাই বাংলাদেশে শীতকালে চেরী টমেটো চাষের জন্য উপযুক্ত সময়।
জমি তৈরি ও চারা রোপণঃ জমি ৪ থেকে ৫ বার চাষ এবং মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুওে করে জমি তৈরি করে নিতে হবে। বীজ বপণের ১৫-২৫ দিন পর চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। চারা রোপণের দূরত্ব সারি থেকে সারি ৬০ সেন্টিমিটার, চারা থেকে চারার দূরত্ব ৪০ সেন্টিমিটার। নভেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যনৱ চারা রোপন করা যায়।

সার প্রয়োগঃ
টমেটোর ভাল ফলনের জন্য সার প্রয়োগ করতে হবে। গোবর বা কম্পোস্ট সার হেক্টও প্রতি ৫ থেকে ৭ টন। টিএসপি, ইউরিয়ার পরিবর্তে ডিএপি ৪০০ থেকে ৫০০ কেজি। এমপি ২০০ থেকে ৩০০ কেজি। তবে পুরো সিজনে ৩-৪ বার এমওপি প্রয়োগ করা ভাল।

পরিচর্যাঃ
গাছের ১-১.৫ ফুট পর্যনৱ কোন ডাল রাখা যাবে না। পাশ্বকুশিসহ মরাপাতা ছাটাই করে দিতে হবে। যেহেতু এটি ক্লাইম্বিং টাইপ তাই মাচা করে দিতে হয়। প্রয়োজনে নিড়ানী দিতে হবে এবং মাটির উপরিভাগ আলগা করে দিতে হবে। ফলে আলো-বাতাস প্রবেশের সুবিধাসহ মাটি রস বেশিদিন ধরে রাখতে পারবে। ৪ থেকে ৬ বার সেচ প্রয়োজন অনুযায়ী দিতে হবে। তবে চারা লাগানোর ৩ থেকে ৪ দিন পর হালকা এবং পরবর্তীতে প্রতি কিসিৱ সার প্রয়োগের পর সেচ দিতে হবে।

পোকা দমনঃ
টমেটোর মূলত দুটি পোকা অধিকহাওে ৰতি করে থাকে। যথা- জাব পোকা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা। জাব পোকা টমেটোর গাছের পাতা, কচি ডগা ও কান্ড থেকে রস শুষে খেয়ে গাছের ৰতি করে এবং গাছে মোজাইক রোগ ছড়ায়। এ পোকা দমনে ১০০০ লিটার পানির সাথে রগোর এল-৪০/ সাইফানন ৫৭ ইসি বা ক্লাসিক-২০ ইসি মিশিয়ে প্রতি হেক্টও জমিতে স্প্রে করতে হবে। অন্যদিকে ফল ছিদ্রকারী পোকার কীড়া টমেটো ছিদ্র করে ভেতরে ঢোকে এবং কুড়ে কুড়ে খায়, ফলে আক্রানৱ ফল খাওয়ার অনুপযুক্ত করে ফেলে। এ পোকা দমনের জন্য প্রথমত আকানৱ পাতা ও ফল সংগ্রহ করে নষ্ট করে ফেলতে হবে। যদি বেশি পরিমাণে আক্রানৱ হয় তবে ফরাটাপ বা কেয়ার-৫০ এসপি দুই গ্রাম হারে প্রতি লিটার পানির সাথে মিশিয়ে গাছের সমসৱ অংশ স্প্রে করতে হবে। তাছাড়াও বাইকাও-১ প্রয়োগ করে পোকা দমন করা যেতে পারে।

রোগ দমনঃ
টমেটোর ঢলে পড়া রোগ লাল মাটিতে চাষ করলেণ বেশি পরিমাণে হতে পারে তাই চাষ করার আগে জমি নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে এবং পরিমিত সেচ দিতে হবে। টমেটোর আগাম ধ্বসা রোগের ফলে গাছের পাতা এক সময় সম্পূর্ন শুকিয়ে যায় ফলে ফসলের মারাত্বক ৰতি হয়। তাই রোগমুক্ত বীজ ও চারা রোপন করতে হবে এবং প্রয়োজনে কৃষিবিদদের সাহায্য নিতে হবে। টমেটোর নাবী ধ্বসা রোগের কারণ ছত্রাক। এ রোগ অনেকটা আগাম ধ্বসা রোগের মত তাই একই রকম রোগ দমনে একই রকম ব্যবস'া গ্রহণ করা যেতে পারে। ভাইরাসের কারণে টমেটোর মোজাইক রোগ এবং বুশি স্টান্ট রোগে আক্রানৱ গাছ দেখামাত্র তুলে ধ্বংস করতে হবে এবং প্রয়োজনে কৃষিবিদদের পরামর্শ নিতে হবে।

টমেটোর শেকড়ের গিট রোগে হেক্টরপ্রতি ৬০ জি ফুরাফুরান বা কেয়ার ৪ কেজি প্রয়োগ করতে হবে।

উসল সংগ্রহঃ
চারা লাগানোর ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে চেরী টমেটোর ফল সংগ্রহ করা যায় এবং এপ্রিল মাস পর্যনৱ ফল সংগ্রহ করা যায়।

ফলনঃ
হেক্টর প্রতি ফলন ৩০ থেকে ৪০ টন পর্যনৱ হয়।

চারা পাবেন দেশের হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে।


সাঈদ হাসান/০১৭১৬৬৭৮৪৪৮






মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:

" চেরী টমেটো ছোট জাতের টমেটো। "

ছোট জাতের? তা'হলে বাদ দেন

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

মানবী বলেছেন: "দর্শক, আপনারা দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি’র উদ্যোগে গড়ে তোলা চেরী টমেটোর চাষাবাদ ও তার ফলন। "

- প্রিয় দর্শক মানে বুঝলামনা! 'প্রিয় পাঠক' লিখতে গিয়ে 'প্রিয় দর্শক' না এটা কোন টিভি অনুষ্ঠানের স্ক্রীপ্ট বুঝতে পারছিনা!
যাই হোক, আমি নিয়মিত ভাবে গ্রীস্মে চেরী টমেটো রোপন করি। সাত বছর আগে প্রথম যখন লাগিয়েছিলাম, ছোট্ট এতোটুকু গাছে অসংখ্য চেরী টমেটো হয়েছিলো, পরবর্তীতে পোস্টে উল্লেখিত লতানো গাছই পেয়েছি।

টমেটোর ক্ষেত্রে সারের সাথে সাথে ক্যালসিয়াম জরুরী শুনেছি তাই অরগ্যানিক সার বা নিজের বাগানের কম্পোস্টের সাথে ডিমের খোসার চূর্ণ ব্যবহার করি।
আর পোকা দমনে ঘরে তৈরী অরগ্যানিক ইনসেক্টিসাইড কমার্শিয়াল ইনসেক্টিসাইডের চেয়ে ভালো মনে হয়। আপনি বিজ্ঞ কৃষিবিদ, নিঃসন্দেহে আপনি আমার চেয়ে অনেক ভালো জানবেন।

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সাঈদ হাসান আকাশ!

*পোস্টে চেরী টমেটোর ছবি দিলে যাঁরা "দর্শক, আপনারা দেখছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহবুব আরা গিনি’র উদ্যোগে গড়ে তোলা চেরী টমেটোর চাষাবাদ ও তার ফলন। "

- প্রিয় দর্শক মানে বুঝলামনা! 'প্রিয় পাঠক' লিখতে গিয়ে 'প্রিয় দর্শক' না এটা কোন টিভি অনুষ্ঠানের স্ক্রীপ্ট বুঝতে পারছিনা!
যাই হোক, আমি নিয়মিত ভাবে গ্রীস্মে চেরী টমেটো রোপন করি। সাত বছর আগে প্রথম যখন লাগিয়েছিলাম, ছোট্ট এতোটুকু গাছে অসংখ্য চেরী টমেটো হয়েছিলো, পরবর্তীতে পোস্টে উল্লেখিত লতানো গাছই পেয়েছি।

টমেটোর ক্ষেত্রে সারের সাথে সাথে ক্যালসিয়াম জরুরী শুনেছি তাই অরগ্যানিক সার বা নিজের বাগানের কম্পোস্টের সাথে ডিমের খোসার চূর্ণ ব্যবহার করি।
আর পোকা দমনে ঘরে তৈরী অরগ্যানিক ইনসেক্টিসাইড কমার্শিয়াল ইনসেক্টিসাইডের চেয়ে ভালো মনে হয়। আপনি বিজ্ঞ কৃষিবিদ, নিঃসন্দেহে আপনি আমার চেয়ে অনেক ভালো জানবেন।

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সাঈদ হাসান আকাশ!

*পোস্টে চেরী টমেটোর ছবি নেই দেখে এই ছবিটি নেট থেকে শেয়ার করছি* :-) দেখেননি তাঁদের জন্য সুবিধা হতো* :-)

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১২

সাঈদ হাসান আকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। হ্যা এটা টিভি অনুষ্ঠানের স্ক্রিপ্ট। শ্যামল বাংলার। পাঠকদের জন্য দেওয়া হয়েছে।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৪

সাঈদ হাসান আকাশ বলেছেন: লেখাটি পড়ে ফেসবুক পেইজ এ দেখে নিন। তাহলে দর্শক হয়ে যাবেন। শ্যামল বাংলা পেইজে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.