![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোটা যদি সত্যিই মুক্তিযোদ্ধা আর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কাজে লাগতো তাহলে তো কোন কথাই ছিলোনা। সার্টিফিকেটধারী ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা কথা বলেন, ৩০ লাখ শহীদদের জন্য কিছু করার কথা বলেন না। ১৯৭১ সালে দেশের আপামর জনসাধারন (কিছু কুলাঙ্গার ছাড়া) মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছে, তারা কি মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী নয়? তারা কেন বঞ্চিত হবে? আর প্রতিনিয়ত এইসমস্ত কোটার নামে তাদের কে অন্যান্য সাধারন জনগনের কাছে বিশেষ সুবিধাভোগী শ্রেনী হিসেবে পরিচিত হচ্ছে। এটা মুক্তিযোদ্ধাদের পাওনা না, তারা আমাদের সবার কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকেন সেটাই কাম্য।
বিশ্বের অনেক দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কোটার ব্যবস্থা আছে, অস্বীকার করার উপায় নেই। কিন্তু কোথাও দেখিনি তাদের সন্তানের জন্য, নাতি পুতি ১৪ গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা বরাদ্দ রাখতে। বছর খানেকে প্রথম আলোতে বীরশ্রষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কে নিয়ে একটা প্রতিবেদন দেখেছিলাম। তার জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেনে। নিজের বাবার কবর টা দেখার মত আর্থিক সামর্থ তার হয়নি। এদের জন্য কী করি আমরা? কিছুই না। কোটার নামে কিছু সুবিধাভোগীর স্বার্থউদ্ধার আর কত?
যারা মনে করেন কোটা বাতিল মানে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, এইভাবে কোটা চালিয়ে যাওয়াটাই সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানজনক। তারা যখন যুদ্ধ করেছেন, চিন্তা করেন নি যে কী স্বার্থ উদ্ধার করবেন সেটা দিয়ে।
নিচের এই অংশটুকূ ব্লগার সীমানা পেরিয়ে'র স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া,
খবরঃ ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামের একটি সংগঠন বিবৃতি প্রদান করেছে ... "এই কোটা কারো দয়ার দানে প্রাপ্ত নয়। এটি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সাংবিধানিক অধিকার"।
মন্তব্যঃ সংবিধানে এমন কোন কথা নেই। বরং সংবিধানে সকল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নাগরিকের সমান অধিকারের কথা লিখিত আছে। বুঝাই যাচ্ছে অবৈধ কোটায় চাকুরী নিশ্চিত জেনে তারা জ্ঞান অর্জনের ধার ধারেন না। কোটার কল্যাণে এমন মূর্খেই আজকাল প্রশাসন ভারী হয়ে উঠেছে।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪২
সাইফ সানি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
১৯৮৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো ১ লাখ ২ হাজার এর মত।
২০০০ সালে এসে সেটা হলো ২ লাখ ৪ হাজার।
সমস্যা এখানেই, যে এই সুযোগ টা ব্যবহার করে সুবিধাবাদী রা হাতিয়ে নিচ্ছে। সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা রা ভিক্ষা করে, রিক্সা চালায়, চায়ের দোকানে কাজ করে। আর এই সব সুবিধাভোগীরা মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তখন ই মনে হয়, কোটার আর দরকার নেই। যাদের পাবার কথা তারাই তো পাচ্ছেনা। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু নাতি নাতনীদের ব্যাপার টা আমার কাছে ঠিক সমর্থনযোগ্য মনে হচ্ছে না।
২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
সুখী বাঙ্গালী বলেছেন: এই কোটা সংবিধানের ২৯নম্বর ধারার সম্পুর্ণ পরিপন্থী।কাজেই এটা অবৈধ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪২
সাইফ সানি বলেছেন: আসুন আওয়াজ তুলি কোটা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার চাই।
৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৬
েশয়ারফান বলেছেন: সম্পূর্ণ সহমত। কোটার নামে এসব অবৈধ সুবিধা প্রদান বন্ধ করার উচিত, নচেৎ মেধাবীদের সাথে অন্যায় করা হবে।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
সাইফ সানি বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা, নারী, উপজাতি, ডিসএবল সব মিলিয়ে কোটা হতে পারে সর্বোচ্চ ১০%। এর বেশী হয়।
৪| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেকের ভাষ্য ,
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও
কোটা সিস্টেম আছে,আমাদের
এখানে থাকলে দোষ কি?
ভারতের এই কোটা সিস্টেম আমি সমর্থন করি , বাংলাদেশের কোটা সিস্টেম নয় । কিন্তু কেন ?
আসুন একটু দেখি ------
** ভারতে কোনও পরিবার মাত্র একবারই কোটা ব্যবহার করতে পারবে অর্থাৎ কোনওপরিবারে একাধিক ভাই বোন থাকলে তাদের একজন কোটায় কোনও সরকারী চাকরি পেলে ওই
পরিবারের বাকি সদস্য কোনদিনই আর কোটা পাবে না।
** কোনও পরিবারে ডাক্তার, প্রকৌশলী,সরকারি চাকরি জীবী থাকলে ওই পরিবার কোটা পাবে না।
**যিনি কোঁটার জন্য আবেদন
করতে চান তাকে শুধু ওই কোঁটার জন্যই বিবেচনা করা হবে ,
কোটায় চাকরি না পেলে ওই ব্যক্তি ওই নিয়োগ পরীক্ষায় আর
সাধারন কোঁটার জন্য বিবেচিত হবেন না।
** একবার কেউ কোটায় চাকরি পেলে আর কোনও সরকারি পরীক্ষায় তিনি ওই কোটায় আবেদন করতে পারবেননা অর্থাৎ এরপর তাকে সবসময় শুধুমাত্র সাধারন মেধা কোটায় আবেদন করতে হবে।
** প্রতি দুই বছর পর পর স্থায়ী কমিশনের মাধ্যমে বাস্তব অবস্থার
প্রেক্ষিতে(পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কতটা এগিয়েছে
বা নতুন কোনও জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধার আওতায়
আসবে কিনা বা বর্তমান কোনও জনগোষ্ঠীকে বাদ দিতে হবে কিনা) কোটা পুনরবিন্যাস করা হয়।
আর আমাদের দেশে ????????????
আমাদের দেশে কোটা সুবিধা নিয়ে '' গাছের টা তলার টা '' সহ সব চেটে পুটে খেলেও তবু কোটার আওতা ফুরায় না । সেলুকাস !!!
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:০৯
সাইফ সানি বলেছেন: আপনার কথাগুলো হাম্বাদের বোঝাবে কে? তাদের তো ব্যবসা একটাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৯
হ্যারিয়ার টু বলেছেন:
ভারতের সাথে আমাদের তুলনা করা ঠিক হবেনা।
কারন ভারতে তো আমাদের দেশের মত দুধ কলা দিয়ে রাজাকার-কালসাপ পোষা হয় নি,
এই কালসাপ ও তাদের পোষা ভৃত্যরা স্বাধীনতার মাত্র ৩ বছরের মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধের নায়কদের হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে। মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের সব নাম নিশানা, ৩০ লাখ নিহতের রেকর্ড করার কোন সুযোগ পায়নি মুক্তিযোদ্ধারা। প্রশ্ন পত্র ফাস করে সকল সেক্টরে দলে দলে ঢুকানো হয় জামাত-শিবির। উঁই পোকার মত দখল করে ফেলে রাষ্ট্রের অর্থনীতির বিশাল অংশ।
২১ বছর পর যখন আসলো ততক্ষনে সবকিছুই মুছে ফেলেছে। তখন তারা বলে ৩০ লাখ না, ৩ লাখেরও কম। ৩ হাজার হতে পারে! দির্ঘ ২২ বছর পর এদের যখন সামান্ন সুবিধা দেয়া হয়, এরা চিলের মত খা খা করে উঠে।
বিভিন্ন অযুহাত দেখাবে-
একবার বলে তালিকা ঠিক নাই।
পরে বলবে মেধাবীদের বঞ্চিত করে কোটায় সুবিধা দেয়া হচ্ছে, অতচ এরা প্রতিযোগিতা মুলক পরিক্ষায় পাস করেই কোটা এপ্লিকেবল হচ্ছে, অর্থাৎ সমমেধা। কিন্তু ওরা পরিক্ষায় ফেল করেও দাবি করলো 'আমারা মেধাবি' আমাদের বঞ্চিত করা হল।
এরা কখনোই মুক্তিযোদ্ধারা কিছু সুবিধা পাক কখনোই চাইবেনা।
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:১৩
সাইফ সানি বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনীদের কোটার ব্যাপারে আপনার মতামত কি? ১% শতাংশের ও কম উপজাতিদের জন্য ৫% কোটার ব্যাপারে কি বলেন?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ব্যবসা আর কতকাল?
৬| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন-
-- আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন...
-- আব্রাহাম লিংকন: কেন ?
-- ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই।
... -- আব্রাহাম লিংকন: কিসেরযোগ্যতা আছে আপনার ছেলের?
-- ভদ্রলোক: আমার বাবা (ছেলের দাদা) আমেরিকার জন্যস্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন;
আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর-তাই দেশ সেবার সেরা
চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ.....!
-- আব্রাহাম লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দিন।
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:১৩
সাইফ সানি বলেছেন: যাদের বোঝার কথা তারা বুঝলেই ভালো।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
হাসিবুল ইসলাম বাপ্পী বলেছেন: সরকার কি শুধু মাত্র এই কোঠা এর মাদ্ধমেই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবে???
আর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কি তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না????
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলের জীবন কাটে চায়ের দোকানের পানি টেন
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আরও নানা ভাবে করা যায়, তাদের সন্তানদেরও আরও নানা ভাবে সিক্ষার জন্য সাহায্য করা যাবে।
প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কে একটি করে ফ্লাট বাসা দেওয়া হোক, তাদের প্রতিমাসে ১০০০০ টাকা করে দেওয়া হোক, তাদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য আলাদা খরচ দেওয়া হোক, তাদের টিউশন ফীস মউকুফ করা হোক...
আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে বিসিএস এর মতো জায়গায় কেন এতো বিশাল পরিমানে তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা???
এই কোটা প্রথা বাতিলের দাবী এর মানে কিন্তু এই না যে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করতে হবে না। এর মানে হচ্ছে তাদের এই অন্যায় সুবিধা প্রথা বন্ধ করতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এমনিতেই কিন্তু সরকার কম সুযোগ সুবিধা দেয় নাই।
ভালো ভালো স্কুল কলেজে কিন্তু তাদের জন্য আলাদা ভাবে কোটা এর ব্যাবস্থায় তাদের ভর্তি করা হয়, সেখানে তারা আলাদা সুবিধা পেল, মানলাম এটা।
এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তির সময় এলো, তখনও তাদের জন্য কোটা এর বাবস্থা।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান শুধু এই কোঠা দিয়েই হয় না। আশা করি বুঝতে পারেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানের এই কোঠা এমন আকার ধারন করেছে যে কিছু দিন পর হয় জাতীয় বিভিন্ন খেলা-ধুলা প্রতিযোগিতায় এমন হবে যে প্রথম স্থান রাখা হবে তাদের জন্য, আর বাকি ১ম আর ২য় স্থানের আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। :p :p
আমেরিকার কোঠা নিয়ে আব্রাহাম লিংকনের একটি ঘটনা বলি...
একবার আব্রাহাম লিংকনের কাছে এক ভদ্রলোক এসে বীরদর্পে বললেন-
-- আমার ছেলেকে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদস্থ চাকুরি দিন...
-- আব্রাহাম লিংকন: কেন ?
-- ভদ্রলোক: আমার ছেলে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তাই।
... -- আব্রাহাম লিংকন: কিসেরযোগ্যতা আছে আপনার ছেলের?
-- ভদ্রলোক: আমার বাবা (ছেলের দাদা) আমেরিকার জন্যস্বাধীনতা যুদ্ধ করেছেন;
আমরা আমেরিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বংশধর-তাই দেশ সেবার সেরা
চাকরি আমাদের দেয়া উচিৎ.....!
-- আব্রাহাম লিংকন: ওকে থাঙ্কস; আপনাদের পরিবার দেশের জন্য অনেক করেছে; এবার সাধারণ মানুষকে দেশের জন্য কাজ করতে দিন।
___________________________________________________
এই লিঙ্ক থেকে বিস্তারিত পড়ে আসতে পারেন।
____________________________________________________
অথবা এই লিঙ্ক এ বিস্তারিত...
___________________________________________________
১৩ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৬:১৭
সাইফ সানি বলেছেন: সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা কুলির কাজ করবে, চায়ের দোকানে কাজ করবে, রিক্সা চালাবে আর সোনাগাছির চেতনা যোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিয়ে কোটায় চাকরি করবেন।
কোটা দিয়ে প্রাইমারী স্কুল চালানো যায়। কিন্তু দেশ চালানোর জন্য যে টা দরকার তা হইলো মাথার মইধ্যে অফ হোয়াইট কালারের কিছু বস্তু (ঐটারে সবাই ব্রেন বা মগজ বইলা চিনে)।
এই কথাগুলা সবাই তাড়াতাড়ি বুঝলেই ভালো।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার পোস্টের সাথে সম্পূর্ণ সহমত। কোটার নামে এসব অবৈধ সুবিধা প্রদান বন্ধ করার উচিত, নচেৎ মেধাবীদের সাথে অন্যায় করা হবে। আর এখন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েও অনেকে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নিয়ে নিচ্ছে।