![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুমায়ুন আহমেদের বই সর্বপ্রথম পড়ি ক্লাস সেভেনে থাকতে। সহজ সরল প্রাঞ্জল ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করা। এক নিমেষেই বইটা শেষ করে ফেলতাম। এখনো উনার প্রায় সব বই আমার সংগ্রহে আছে। আগে হার্ড কপি আর এখন পিডিএফ। পড়া হয়না আগের মত। কিন্তু এখনো যদি নিয়ে বসি, শেষ না করে উঠতে পারিনা। অনেকে সমালোচনা করবেন, উনার লেখায় গভীরতা নেই। আপনাদের সাথে একমত। কিন্তু বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে আজ এই অবস্থায় নিয়ে আসার কৃতিত্ব কিন্তু উনারই।
প্রায় সব বইতেই দেখতাম নায়ক না হয় নায়িকা মারা যায়, অথবা তাদের মিলন হয়না। মনটা খুব খারাপ লাগতো। কেন সবসময় এরকমই হবে? সামান্য কয়েকটা বই আছে সেগুলো তে মিলনাত্নক পরিসমাপ্তি টেনেছেন লেখক। সেই বইগুলো আমার খুব ই প্রিয়। বহুব্রীহি, অপেক্ষা এখনো বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্র সিরিজের সবগুলো বই ই অসাধারন।
মন ছুয়ে গিয়েছিলো যে বইগুলো তার মধ্যে এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়, শ্রাবন মেঘের দিন, রুমালী, পেন্সিলে আকা পরি, রুপার পালঙ্ক অন্যতম। সবথেকে হৃদয়স্পর্শী আমার কাছে মনে হয় মেঘ বলেছে যাবো যাবো বইটা। আমার মনে আছে বইটা প্রথমবার পড়ার পর অনেকক্ষন আমার মনটা খারাপ ছিলো। শেষের দিকের বইগুলো অবশ্য ততটা ভালো লাগেনি।
ব্যক্তি হুমায়ুন আহমেদ নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। গুলতেকিন আহমেক কে তালাক বা শাওন কে বিয়ে করা সবই তার নিজস্ব ব্যাপার। অনেকের মত আমিও তার দ্বিতীয় বিবাহ কে সাপোর্ট করতে পারিনি। এখনো মনে হয় হুমায়ুন শাওন কে বিয়ে করে মস্ত বড় ভুল করেছিলেন। যে গুলতেকিন তাকে তার দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, তারকাখ্যাতি পাওয়ার পর তাকে ছেড়ে দেয়াটা অন্যায় বলে আমি মনে করি।
যাই হোক, প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমার প্রিয় লেখক কে শ্রদ্ধা জানাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: যেখানেই থাকুন না কেন , ভালো থাকুন । আমিন ।