![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ২৫শে নভেম্বর। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আজ।
১৯৯১ সালের এই দিনে শুরু হয় দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের বহু আকাঙ্খিত এই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা। বয়রায় অবস্থিত খুলনা আর্ট কলেজের (বর্তমানে চারুকলা ইন্সটিউট, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়) অবকাঠামো নিয়ে যাত্রা করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টি। চারটি ডিসিপ্লিনে ২০ জন করে মোট ৮০ জন ছাত্র ছাত্রী ছিলো প্রথম ব্যাচে। ডিসিপ্লিন ৪ টি ছিলো স্থাপত্য, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ব্যবসা প্রশাসন ও নগর এবং গ্রামীন পরিকল্পনা। গল্লামারীর ময়ুর নদীর তীর সংলগ্ন এলাকায় ১০১ একর জায়গা নিয়ে শুরু হয়েছিলো অবকাঠামো নির্মানের কাজ। প্রথম ছাত্রাবাস ছিলো নিরালা এলাকা ও খালিশপুর এলাকার কিছু ভাড়া করা বাড়ি নিয়ে।
সময়ের সাথে সাথে বাড়তে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর। আজ এই প্রতিষ্ঠানে ২১ টি ডিসিপ্লিনের ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৬,০০০। বিদেশি ছাত্র ছাত্রী (প্রধানতঃ নেপালী) আছে ২৫ জন। শুধুমাত্র বিএসসি প্রোগ্রাম নিয়ে যাত্রা শুরু করে এখন প্রায় সব ডিসিপ্লিনেই মাস্টার্স প্রোগ্রাম অফার করা হয়। অনেক ডিসিপ্লিনে ডক্টরেট প্রোগ্রাম ও চালু করেছে। যদিও যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিলো তা থেকে অনেক খানি দূরে সরে এসেছে এটি। সন্ত্রাস ও ছাত্ররাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস, কিন্তু শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি তে বাধা নেই। যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগামীতার পথে একটি বড় বাধা।
আমাদের দক্ষিনাঞ্চলের মানুষেরা সবসময়ই অবহেলিত। স্বাধীনতার পর যেখানে প্রত্যেকটি বিভাগেই একটি করে পূর্ণাঙ্গ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিলো সেখানে আমাদের খুলনা বিভাগে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হয় ১৯৯১ সালে। অনেকে বলবেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮৫ সালে শুরু হয়েছিলো। কিন্তু আমার জানামতে সেটি শুরু হয়েছিলো গাজীপুরে (বর্তমান জাতীয় বিশ্বঃ ও উন্মুক্ত বিশ্বঃ এর ক্যাম্পাস)। ১৯৯২ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার বর্তমান লোকেশনে স্থানান্তরিত হয়। প্রথম মেডিকেল কলেজ ও স্থাপিত হয় ১৯৯১ সালে। এটা কি আমাদের নেতাদের ব্যর্থতা নয়?
সেজন্যই এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। তাই যখন দেখি আমাদের স্বপ্ন থেকে পিছিয়ে পড়েছে অনেক আরাধ্য এই প্রতিষ্ঠান টি, তখন খুব খারাপ লাগে। সেশনজ্যাম মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনাম অর্জন করেছিলো যারা, আর তাদের ক্লাস শুরু করতেই সময় লাগে ৮ মাস। ভর্তির ৮ মাস পরে ক্লাস শুরু হলে নতুন ছাত্র ছাত্রী রা যখন দেখে তাদের অন্যান্য ইউনির বন্ধুরা প্রায় ১ বছর শেষ করে ফেলেছে, তখন তাদের মোটিভেশন কী পর্যায়ে থাকে। ছাত্র রাজনীতি নেই, সেই সুযোগ টা নিয়ে অনেক শিক্ষক ক্ষমতার অপব্যবহার করে থাকেন। কখনো কখনো পুরো ব্যাচকে ফেল করিয়ে দেন, যেটা একেবারেই অন্যায্য।
সর্বশেষ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ভিতর ৫৬ টি ডিসিপ্লিন, ১৫ টি ইন্সটিউট, আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট, সকল ছাত্র ছাত্রীদের আবাসনের ব্যবস্থা করার কথা। এখন পর্যন্ত ২১ টি ডিসিপ্লিন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে যেসমস্ত ডিসিপ্লিনে খোলা হয়েছে তার ভিতরে বাংলা, ইংরেজী, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, পরিসংখ্যান অন্যতম। আমি বলছিনা যে এই সমস্ত ডিসিপ্লিনের দরকার নেই, কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয় শুরু হয়েছে স্থাপত্য, ব্যবসা প্রশাসন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ইত্যাদি ডিসিপ্লিন দিয়ে সেখানে এখন আর কেন কর্মমুখী বিষয়গুলোর উপর জোর দেয়া হয়না?
কেউ হয়তো বলবেন খুলনা বিশ্বঃ একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে টেকনিক্যাল সাবজেক্ট চালানো যাবেনা, ঐগুলার জন্য তো ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি আছেই। তাদের জন্য বলি, বিশ্বের বহু নামকরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনোলজি কথা টা নেই এমন কি কোন কোন গুলার নামের সাথে ইউনিভার্সিটি ও নেই। শুধু ইন্সটিটিউট বা কলেজ নাম দিয়েই তারা বিজ্ঞান শিক্ষায় বিশ্বখ্যাত। যাই হোক, প্রতিদিনই পড়াশোনার নতুন নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কার হচ্ছে, আমাদের কে এর সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নাহলে হারিয়ে যেতে হবে কালের অতল গর্ভে।
প্রকৌশল শিক্ষার সাথে সাথে লাইফ সাইন্স আর ভৌত বিজ্ঞানের নতুন নতুন ডিসিপ্লিন ও খোলা দরকার। সেই সাথে ফলিত অর্থনীতি, নৃবিজ্ঞান, পুরাতত্ত্ব ইত্যাদি সামাজিক বিজ্ঞানের আরো নতুন নতুন শাখা খোলা উচিত। ইনফরমেশন টেকনোলজির উপর পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা চালু আছে। এইরকম আরো কিছু ডিপ্লোমা চালু করা যেতে পারে। যেমন, কষ্টিং, ফিন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট, লজিস্টিকস, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, ব্যাঙ্ক ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম, জিওলজিক্যাল সাইন্স ইত্যাদি বিষয়ের উপর ৬ মাস/১ বছরের ডিপ্লোমা কোর্স চালু করা যেতে পারে।
দেশী বিদেশী বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির সাথে কোলাবরেশন বাড়াতে হবে। এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম একটা ভালো উদ্যোগ হতে পারে। আমার জানামতে, খুবির পরিবেশ বিজ্ঞান ডিসিপ্লিন এক্সপার্ট এশিয়া নামে একটা মাস্টার্স প্রোগ্রামের অংশীদার। অন্যান্য ডিসিপ্লিন গুলোকে এই ধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। বৈদেশিক যোগাযোগ যত ভালো হবে, গবেষনা ফলাফলের মান উন্নত হবে। যেটা খুবি কে র্যাঙ্কিং এর এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের সাথে নরওয়েজিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির একটা সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। একইভাবে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল ডিসিপ্লিনের সাথে কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ সাসকাচেওয়ান এরও একটা শিক্ষা বিনিময় চুক্তি আছে (আমার জানামতে, ভুল হলে জানাবেন প্লিজ)। অন্যান্য ডিসিপ্লিন গুলোকেও উদ্যোগ নিয়ে সামনে এগিয়ে আসতে হবে।
এখন অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথায় আসি। বর্তমান যুগে ইন্টারনেট আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গিয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইন্টারনেট সুবিধা খুব অপ্রতুল। ধীরগতির ইন্টারনেট অনেক সময় বিরক্তির কারন হয়ে দাঁড়ায়। আপডেটেড টেকনোলজি সম্পর্কে প্রতিনিয়তই অজ্ঞ থেকে যাচ্ছি, পিছিয়ে পড়ছি অন্যদের থেকে। প্রশাসনের উচিত এইদিকে নজর দেয়া। যেন পুরো ক্যাম্পাস টাকেই দ্রুতগতির ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়।
এবার আবাসন, এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেদের জন্য ২টি এবং মেয়েদের জন্য ১টি হল আছে। তৃতীয় ছাত্র হল ও ২য় ছাত্রী হলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বর্তমান ধারন ক্ষমতা অনুসারে ২০% ছাত্রছাত্রী হলে থাকে। অপ্রতুল আবাসন ব্যবস্থার কারনে দেশের দূরতম এলাকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা আসতে অনীহা বোধ করে। এছাড়া বাস যোগাযোগের অবস্থা ও ভালো না। শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় শহরে যাওয়ার মাধ্যম হিসেবে ইউনিভার্সিটির বাস ব্যবহার হয়। কিন্তু সংখ্যার অল্প হওয়ায় তা সবসময় ব্যবহার করা হয়ে ওঠেনা। আমি ২০০৪-২০০৯ পর্যন্ত খুবির ছাত্র ছিলাম, তখন ই প্রচন্ড ভীড় হতো বাসে। তখন ছিলো ১৬ টি ডিসিপ্লিন। এখন ছাত্র ছাত্রী বেড়েছে, ডিসিপ্লিন ও বেড়েছে। কিন্তু বাসের সংখ্যা বাড়েনি। আশা করবো প্রশাসন এই দিকে আলোকপাত করবে।
নিজের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে খুবি সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়ে গেল। তবুও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে রইলো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। খুলনা বিশ্ববিদ্যলয় এর সুনাম যেন বিশ্বের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে পড়ে, অনেক দূর যেতে পারে এই আকাঙ্খায় থাকলাম।
লেখাটি আমার নিজস্ব ব্লগেও প্রকাশিত হয়েছে।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩
বাঘা রাসেল বলেছেন: আধুনিক শিক্ষার সাথে ইসলামী শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে আলোকিত মানুষ তৈরীর মহান উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমানদের দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়টির যাত্রা শুরু হয়। প্রগতিশীলতার নামধারী কিছু কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পথ চলা বারবার রুদ্ধ হলেও শত বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যত আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে যত শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে বিশ্বে আর দ্বিতীয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এতো আন্দোলন সংগ্রাম এবং এতো শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়েছে বলে জানা নেই। ১৯০৬ সালে নবাব সলিমুল্লাহ কর্তৃক মুসলিম লীগ গঠনের পর ভারতীয় মুসলমানগণ রাজনৈতিক সচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রেও সচেতন হন। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ ১৯১১ সালে রদ হলে বাংলার মুসলমানগণ উচ্চ শিক্ষার জন্যে ১৯১২ সালে ইসলামিক স্টাডিজ অনুষদসহ ঢাকায় একটি আবাসিক ‘মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার দাবী করেন।
ব্রিটিশ সরকার মুসলমানদের দাবি মেনে নিয়ে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। ইসলামিক স্টাডিজ নিয়ে স্বতন্ত্র অনুষদ করার সুপারিশটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কমিটি কর্তৃক গৃহীত হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন তা আংশিক সংশোধন করে ফার্সি বিভাগ থেকে আরবীকে পৃথক করে ইসলামিক স্টাডিজ এর সাথে যুক্ত করে দেয়। আর ফার্সি বিভাগের সাথে উর্দুকে সংযুক্ত করে দেয়। ইসলামিক স্টাডিজ এর স্নাতক ডিগ্রীর বি.আই.এস. (Bachelor of Islamic Studies ) এর পরিবর্তে বি.এ. (Bachelor of Arts) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীর নাম এম.আই. (Master of Islamic Studies) এর পরিবর্তে এম. এ. এস. (Master of Arts) বিষয়ে সুপারিশ করে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের সেই সুপারিশ অনুযায়ীই প্রতিষ্ঠিত হয়।
ব্রিটিশ সরকারের মনোভাব বুঝতে পেরে ১৯১৩ সালের মার্চ মাসে বগুড়া জেলার বানিয়াপাড়ায় মওলানা আকরম খাঁ (১৮৬৮-১৯৬৮)কে সেক্রেটারি এবং মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী (১৮৭৫-১৯৫০)কে জয়েন্ট সেক্রেটারি করে যে, আঞ্জুমানে ওলামায়ে বাঙ্গালা গঠন করা হয় সেখানেই আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়। ১৯১৫ সালে মওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী সর্বপ্রথম মাসিক মোহাম্মদী ও আল এসলাম এবং অন্যান্য পত্রিকায় এই সম্বন্ধে লেখালেখি শুরু করেন। শুধু তাই নয় তিনি ১৯২০ সালে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার দিয়াং পাহাড়ের পাদদেশে ৬ শত বিঘা জমি নিয়ে ইসলামী বা মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ফান্ড গঠন করেন। ১৯৩৫ সালে মাওলানা শওকত আলী দেশে প্রথম বেসরকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৩৭ সালে শের-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হলে তিনি ১৯৩৮ সালে মাওলানা বক্সকে সভাপতি করে ‘মাদ্রাসা শিক্ষা কমিটি’ গঠন করেন। ১৯৪১ সালে এ কমিটি ‘ইউনিভার্সিটি অব ইসলামিক লার্নিং’ প্রতিষ্ঠার জোর সুপারিশ করে। ১৯৪৬-৪৭ সালে সৈয়দ মোয়াজ্জেম উদ্দীন হোসেন কমিটি’ পূর্ববাংলায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ পেশ করে। ১৯৪৯ সালে মাওলানা আকরম খাঁ কমিটি, ১৯৫৭ সালে আতাউর রহমান খান কমিশন, ১৯৫৮ সালে এস.এম.শরীফ কমিশন ‘ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠার সুপারিশকে জোর সমর্থন করে। ১৯৬৩ সালে ড.এস.এম. হোসাইনের ‘ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ ১৯৬৪ সালে সুপারিশ পেশ করে। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্ণর মোনায়েম খান প্রবল জন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বরিশালের কাসেমাবাদে, সুনামগঞ্জে এবং ১৯৬৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ১৯৭৪ সালে মওলানা ভাসানী সন্তোষে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বেসরকারিভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের দাবির যৌক্তিকতা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭৬ সালে সরকারীভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম.এ.বারীকে সভাপতিত্বে গঠিত ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি’ ১৯৭৭ সালের ২০ অক্টোবর সরকারের কাছে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া শহর হতে ২৪ কিলোমিটার ও ঝিনাইদহ শহর হতে ২২ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব দ্য ইসলামিক এডুকেশন এ- রিসার্চ এ্যাক্ট ১৯৮০ (৩১)-এর বলে ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্প পরিচালক ড. এ.এন.এম. মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করেন। লেঃ জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৮ অক্টোবর এক অর্ডিন্যান্স জারি করে ১৯৮০-এর (৩৭) নং এ্যাক্ট সংশোধন করেন এবং ‘আই.আই.ই.আর’- কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) অর্ডিনান্স ১৯৮২ (৪২)-এর ৪(বি) ধারা অনুসারে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে নির্মাণ কাজ স্থগিত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাইয়ের এক আদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করেন। ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়া স্থানান্তর করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৯১ সালের ১৮ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.মুহাম্মদ আব্দুল হামিদকে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজের উদ্বোধন করে।
বর্তমানে প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী ১২তম ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রচলিত ৩ বছরের পরিবর্তে ৪ বছরের অনার্স কোর্স এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী শিক্ষক নিয়োগ ও ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ছাত্রী ভর্তি করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, বিটিআইএস, বিবিএ, বিবিএস, এলএল-বি. বিএসএস, বিএসসি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি এবং এম.এ, এমটিআইএস, এমবিএস, এমবিএ, এমএসএস, এলএল-এম, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি এম.ফিল ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রিও প্রদান করে থাকে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ পর্যন্ত ৩টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৩ সালের ২৭ এপ্রিল, দ্বিতীয় সমাবর্তন ১৯৯৯ সালের ৫ নভেম্বর এবং তৃতীয় সমাবর্তন ২০০২ সালের ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৩০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রজত-জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়। বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২,৩০৩ জন (ছাত্র: ৮৩৬২, ছাত্রী:৩৯৪৩; জুন ২০১৬ পর্যন্ত) । বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক ৩৫৬ জন, কর্মকর্তা ৩৯৭ জন, সহায়ক কর্মচারী ২৪৪ এবং সাধারণ কর্মচারী ২১৭ জন। এম.ফিল কোর্সে ৫৫৪ জন এবং পি-এইচ.ডি প্রোগ্রামে ৪১৫ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে গবেষণাকর্মে নিযুক্ত রয়েছেন। ২০১৬’র সেপ্টম্বর পর্যন্ত ৫২১ জনকে এম.ফিল ডিগ্রি এবং ৩৪৭ জনকে পি-এইচ.ডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়েছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০৬ সালে দেশের ১২৭৭ টি ফাযিল ও কামিল মাদ্রাসাকে ডিগ্রী ও মাস্টার্স সমমর্যাদা প্রদান করে পরিচালনার জন্য ন্যস্ত করা হয়। এছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৩১ টি মাদ্রাসায় ৫ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স খোলার অনুমতি প্রদান করে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। ফাযিল ২০১৫-১৬ সেশন থেকে আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫টি অনুষদের অধীন ২৫টি বিভাগ রয়েছে। ১৭৫ একর আয়তনের এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আছে ১ টি তিনতলা প্রশাসনিক ভবন (আরও একটি পঞ্চমতলা প্রশাসনিক ভবন নির্মানাধীন), ৪ টি ছাত্র হল, আরো একটি (শেখ রাসেল হল) নির্মাণাধীন, ৩টি ছাত্রী হল, সমৃদ্ধ বাদশা ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী, অত্যাধুনিক (বীর শ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান কেন্দ্রীয়) মিলনায়তন, জিমনেসিয়াম, ভাইস-চান্সেলরের বাসভবন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক কোয়াটার, ক্যাম্পাস ভিত্তিক প্রথম স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক মুক্ত বাংলা, ক্যাম্পাস ভিত্তিক বৃহৎ শহীদ মিনার, ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত শহীদের স্মারক শহীদ স্মৃতিসৌধ, ক্যাম্পাস ভিত্তিক বৃহৎ মসজিদ, ল্যাবলেটরি স্কুল এন্ড কলেজ, নান্দনিক ফুটবল মাঠ ও ক্রিকেট মাঠ। এছাড়াও ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে একটি ডাকঘর ও ইবি থানা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই মহাবিদ্যাপীঠটি এখন শিক্ষার উন্নয়নে প্রধান অবদান রেখে চলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রবীণ শিক্ষক, প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কালাম পাটোয়ারী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যায় প্রতিষ্ঠার আসল উদ্দেশ্য এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সাধারণ বিভাগসমূহ খুললেও ইসলামী বিভাগগুলো খোলা হচ্ছে না। মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কোটা উঠিয়ে দিয়ে তাদের সুযোগ বঞ্চিত করা হচ্ছে। ফলে কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য উদ্দেশ্য।
প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোর অন্যতম আবাসিকতা। বর্তমান প্রশাসন সেদিকে সুদৃষ্টি দিয়েছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসকে পূর্ণাঙ্গ আবাসিকতা করতে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টি নগরায়নের জন্য প্রশাসন ও লোকালদের সমন্বয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, অবস্থানগত কারণে অনেক সময় নানা অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে বটে; তার পরেও ৩৭ বছরে যে অর্জন সেটা কোন অংশে কম নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কলেবর বৃদ্ধি হচ্ছে। এখানে জ্ঞান বিজ্ঞান ও গবেষণা চর্চা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে সুপ্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষক ও গবেষকরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের মর্যাদা পাচ্ছে। সব মিলে নানামুখি প্রতিকূলতা পাড়ি দিলেও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন নেহাত কম নয়।
আবাসন সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর সমস্যা আবাসন সংকট। ফলে প্রশাসনকে পরিবহন নির্ভর হতে হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট দূরীকরণে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বর্তমান প্রশাসন মনে করে, প্রথম করণীয় হচ্ছে শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আবাসন বৃদ্ধি করা। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে মেগা প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে যাচ্ছে। অতি দ্রুত সে প্রজেক্ট সাবমিট করা হবে। এছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয় নগরায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাস বিউটিফিকেশনের কার্যক্রম চলছে। সর্বোপরি ক্যাম্পাসে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
বাঘা রাসেল বলেছেন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীন বাংলাদেশের এবং খুলনা বিভাগের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭৭ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.এম.এ.বারীকে সভাপতিত্বে গঠিত ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পরিকল্পনা কমিটি’ ১৯৭৭ সালের ২০ অক্টোবর সরকারের কাছে রিপোর্ট উপস্থাপন করেন। ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া শহর হতে ২৪ কিলোমিটার ও ঝিনাইদহ শহর হতে ২২ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুর নামক স্থানে ১৭৫ একর জমিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
জাতীয় সংসদে সর্বপ্রথম ‘দ্য ইনস্টিটিউট অব দ্য ইসলামিক এডুকেশন এ- রিসার্চ এ্যাক্ট ১৯৮০ (৩১)-এর বলে ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্প পরিচালক ড. এ.এন.এম. মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করেন। লেঃ জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮২ সালের ২৮ অক্টোবর এক অর্ডিন্যান্স জারি করে ১৯৮০-এর (৩৭) নং এ্যাক্ট সংশোধন করেন এবং ‘আই.আই.ই.আর’- কে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) অর্ডিনান্স ১৯৮২ (৪২)-এর ৪(বি) ধারা অনুসারে শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে নির্মাণ কাজ স্থগিত করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাইয়ের এক আদেশে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে স্থানান্তর করেন। ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়া স্থানান্তর করা হয়। ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলামকে ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৯১ সালের ১৮ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড.মুহাম্মদ আব্দুল হামিদকে ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগ করা হয়। তিনি ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজের উদ্বোধন করে।
বর্তমানে প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী ১২তম ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রচলিত ৩ বছরের পরিবর্তে ৪ বছরের অনার্স কোর্স এবং ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা হয়। ১৯৯০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারী শিক্ষক নিয়োগ ও ১৯৯০-১৯৯১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম ছাত্রী ভর্তি করা হয়। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, বিটিআইএস, বিবিএ, বিবিএস, এলএল-বি. বিএসএস, বিএসসি, বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি এবং এম.এ, এমটিআইএস, এমবিএস, এমবিএ, এমএসএস, এলএল-এম, এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি এম.ফিল ও পি-এইচ.ডি ডিগ্রিও প্রদান করে থাকে।
দেখুনঃ http://www.iu.ac.bd