![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকেকবি হবার সখ সেই ছোটবেলা থেকেই। তখন ভাবতাম আমার একটা ঝোলা থাকবে, তাতে এলোমেলো কিছু কাগজ আর হরেক রঙা কলম থাকবে, তা দিয়ে লিখবো রঙবেরঙের লেখা। ঘুরে বেড়াব মাঠ ঘাট পথে প্রান্তরে। আস্তে আস্তে বড় হবার সাথে সাথে দায়ীত্ববোধ আর সাংসারিক ঝামেলায় হারিয়ে ফেলেছি আমার জীবনের সবচেয় বড় স্বপ্নটি। ধুলো জমে জমে সেই কবে হারিয়ে গেছে আমার স্বপ্ন শহর বুঝতেই পারিনি। এখন আমার অনেক সময়, তাইতো খুন্তি কোদাল নিয়ে খুঁড়ে চলেছি আমার স্বপ্ন শহর টাকে, জানি খুঁড়তে খুঁড়তে ঠিক একদিন আমার স্বপ্ন শহর পেয়ে যাব আর মানুষ তখন জানবে আমার সভ্যতা, আমার সংস্কৃতি, জানি তখনি হয়ত তোমরা আমায় কবি বলে সম্বোধন করবে। দারিদ্রতার সাথে আমার বসবাস তাই ইচ্ছথাকা সত্ত্বেও সুখ পাইনি কখনো তাইতো লেখার ভেতর খুঁজে ফিরি সুখ নামক সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলোকে।
অথচ
একটা সময় আমি ছিলাম শান্ত নদীর মতন,
বুকজুড়ে ঠান্ডা কোমল স্রোত স্বাধীনভাবে
বিচরণ করতো বৌদিদের শিরদাঁড়ায়,
বিশ্বাস, ভক্তি, ভালবাসা, রাগ, জেদ, আগুন, অহংকার, ধ্বংস, সৃষ্টি, উল্লাস, এসবে কবিতা হত রোজ
বোসপাড়ার কালো মেয়েটার কথা মনে পড়ে,
একটা কবিতার জন্য আধ পোয়া কেরোসিন!
একটা চিরকুট চুলোয় দেবায় রেবুতি দির কান্নার শদটা আজো কানে বাজে,
অথচ আমি ছিলাম নদী।
নিপেনদা তাদের সাপ্তাহিকে না বলেই একটা কবিতা ছাপিয়ে দিয়ে কি সর্বনাশটাই করেছিল
কে বলবে তার মেয়েটাও সেবার
ভুল করে কবি ভেবে নদীর প্রেমে পড়ে গেছিল।
এমন হাজারো প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির কবিতার জন্ম দিয়েও আমি কখনো কবি হতে চাইনি,
যদিও একফোঁটা জল অবশিষ্ট নেই
তবু
আমি এখনো একটা নদী।
©somewhere in net ltd.