![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকেকবি হবার সখ সেই ছোটবেলা থেকেই। তখন ভাবতাম আমার একটা ঝোলা থাকবে, তাতে এলোমেলো কিছু কাগজ আর হরেক রঙা কলম থাকবে, তা দিয়ে লিখবো রঙবেরঙের লেখা। ঘুরে বেড়াব মাঠ ঘাট পথে প্রান্তরে। আস্তে আস্তে বড় হবার সাথে সাথে দায়ীত্ববোধ আর সাংসারিক ঝামেলায় হারিয়ে ফেলেছি আমার জীবনের সবচেয় বড় স্বপ্নটি। ধুলো জমে জমে সেই কবে হারিয়ে গেছে আমার স্বপ্ন শহর বুঝতেই পারিনি। এখন আমার অনেক সময়, তাইতো খুন্তি কোদাল নিয়ে খুঁড়ে চলেছি আমার স্বপ্ন শহর টাকে, জানি খুঁড়তে খুঁড়তে ঠিক একদিন আমার স্বপ্ন শহর পেয়ে যাব আর মানুষ তখন জানবে আমার সভ্যতা, আমার সংস্কৃতি, জানি তখনি হয়ত তোমরা আমায় কবি বলে সম্বোধন করবে। দারিদ্রতার সাথে আমার বসবাস তাই ইচ্ছথাকা সত্ত্বেও সুখ পাইনি কখনো তাইতো লেখার ভেতর খুঁজে ফিরি সুখ নামক সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলোকে।
ঊষালগ্নের বছরগুলোতে যে শিশু মায়ের কোল হতে
নেমে এসেছিলো মাটিতে,
আজ সে যৌবনের মধ্যমায়
জন্ম দিতে প্রস্তুত নিজের প্রতিবিম্ব।
দুরত্ব তেমন নয়
হবে হয়ত কুড়ি কিংবা বাইশ,
সম্পর্কের লতাপাতার বেড়াজালে
একটি নিটোল যুবতীকে
মহাকাল সাজিয়ে নিচ্ছে
নতুন বোতলে পুরোনো...
কখনো
জলের তরলতা আমায় মনে করিয়ে দেয়
মধ্যরাতের বুকে আমার অবস্থান।
কখনো
কাগজের বুক চিরে সলতে সুতোয় গাথা কবিতার
কালি মুছে হয় প্রেম।
কখনো
নৈঃশব্দের নক্ষত্র দ্বীপেরা হাতছানি দিয়ে ডাকে
চিহ্নহীন আলোকবর্তিকার বেশে।
কখনো
রাত বিরেতের দমকা বাতাস
ফিরিয়ে নিয়ে চলে...
এ আমার কাঁচের হৃদয়
সচ্ছতা যাকে নগ্নতায় ডোবায়
চাইলেই তুমি দেখতে পারো
এপাশ কিংবা ওপাশ
অথবা
আমাকে ভেদ করে আমার আমিকে।
সচ্ছতা আমার ভাললাগা নয়
কাম্যও ছিল না কোনকালেই-
আমি চাই সচ্ছতা পরিণত হোক ভারী প্রলেপে
অনেকাংশে আয়নার মতন,
যেখানে...
সবুজের পথে, ধূপছায়া রথে-
একপা দুপা এগোই।
মাটির বুকে পরম সুখে-
দাঁড়িয়ে আছে সেগই।
একটু দূরে মধুর সুরে-
বাজে পোড়া বাশি?
সিঁদুর সাঁঝে, গোধূলী মাঝে-
লাজুক রাঙ্গা হাসি।
ঐত সেথায়, প্রদীপ যেথায়-
জোছনাতে হার মানে।
একফালি চাঁদ, আলোকিত রাত-
মনের বাসনা...
বাইরে থেকে দেখো আমায়-
আনন্দিত হবে,
অথবা জমা হবে সীমাহীন ক্রোধ।
ভেতরবাড়ি দেখো-
পথ হারাবে,
এখানেই তুমি সম্পুর্ন আগন্তুক।
যে আকাশে সাঁঝবেলাতে তোমার আমার দীর্ঘশ্বাস একত্রিত হয় বারংবার,
যে আকাশের বুক আন্দোলিত হয় শেষ বিকেলের পাখিদের নিড়ে ফেরার কলতানে ,
যে আকাশ প্রতিসাঁঝে নদীর বুকে আঁকে নিজের প্রতিচ্ছবি,
যে আকাশের এককোনে তোমার...
একটি নারীর চোখের কথা বলছি,
সরোবর হতে ভেসে আসা তার পদ্মনীল চোখজোড়া
চোখ পড়তেই
আমি চিত্রকর হয়েছিলাম।
যতটুকু মনে আছে-
নীলাভ সে চোখ
কাঁপছিল বাসনাময় বাতাসে,
নীলাভ সে চোখের
পাশঘেষা নগ্নতাখানি ঢাকা ছিল কাজলের প্রলেপে,
নীলাভ সে চোখ ঘিরে...
আমি চাই
যান্ত্রিকতার অবাধ্য শেকল ছিড়ে
নিরব কিংবা সরব
একটাই সপ্ন হবে তোমার এবং আমার।
আমি চাই
সচ্ছ জলের পেয়ালা হাতে
আমি যখন তোমার হাতে হাত ছোঁয়াব
সাতরঙে রাঙা হবে তোমার মন।
আমি চাই
রোজ নাহোক অন্তত এক বিকেলে
তোমার...
বিস্তীর্ণ মরুভূমিতে
চোখের সামনে ভেসে ওঠে একের পর এক
চলমান জলপ্রপাত।
বেড়ে চলে সপ্নের পরিমান
একটি-
দুটি
কখনো অগনিত হারে।
সংগৃহীত বীজ ফেলে যাই যাযাবরের যাত্রাপথে,
মরিচিকা পুঁজি করে বুক বাধি আশায়।
এপথ ধরে হেটে যাওয়া
কোন পথিকের ফেলা
একফোঁটা জলের...
জলগুলো সব
করে কলরব
ঝিলের দুপাশ বেয়ে-
স্রোতের পিছু
একপাশে কিছু
কচুরি আসছে ধেয়ে।
রোদেরা চলে
লুকোছাপা তলে
ঘাসফড়িং এর পরে-
বালকের দল
করে সোরগোল
দু একটা মাছ ধরে।
দাড়খানি টানি
মাঝি গলাখানি
কাঁপায়ে তুলিছে সুর,
নাইয়োরি চলে
ছাপ্পর তলে
যোজন যোজন দুর।
সন্ধে হলে
আধার ঢলে
ঝিঝি জ্বলজ্বল করে-
সব...
নীলকমল শহরের দেয়াল ঘেঁষে
ঝিঙার বাগানের চারপাশটাতেই আমার সোনালী অতীত জ্বলজ্বল করে।
ওখানেই আমার সুখ পাখিটার জন্ম ছিল,
সুখতারকা তারই সাথে বেনীর গাটেই জোট বেধেই আমার আঙিনাতে পা রাখেন।
সে তারার আলোতেই
পথ ফিরে পেয়েছে...
রোজ রাতে
বুলফাইটের রিংমাস্টারদের
হাতের লাল,
হেটে হেটে
উঠে আসে আমার ছাইরঙা ঠোটযুগলে।
তোমাদের মতন ভদ্রলোকের দেয়া
কচকচে কিংবা নেতানো কিছু কাগজের যাদু-
মুহুর্তেই আমায় বনলতা সেন হতে
বদলে দেয় সানি লেওনে।
স্তব্ধ রাতের যে সময়ে তোমার শেকড়েরা
রাত্রি সাজায়...
তুমি চলে যাবার দিন
সাথে করে নিয়ে গেছো
রনজনকার্যের সবগুলো উপকরণ।
আমি তখনো নিশ্চিত নই আমি কি হারিয়েছি,
বিস্ময়সুচক অব্যয় তখনো ভাজরত
মনের সিন্ধুকে।
প্রঞ্চনাময়ী রুপে
রঙ নিঃসরণের যে খেলা তুমি খেলেছ,
আমি মুগ্ধচোখে দেখেছি
প্রহেলিকা ভেবে।
হৃদয় হতে নিংড়ে...
(এক)
ঘুমে বা শুদ্ব জাগরণে
আমায় পড়বেই তোর মনে
পিপাসা কমবেনা,
পারলে সখি মুক্ত থাকিস-
আমার নামের গল্প ঢাকিস
বাড়বেনা তোর দেনা।
(দুই)
তোর প্রতিটি রাতের ঘুমেই
চক্ষু হতে ললাট চুমেই
কেটে যায় নিশি মোর,
শেষ রাতেরা লুকিয়ে গেলে
বারান্দাতে আলো এলে
সুবাস...
আমি সে পথ চিনি,
দারিদ্র্যতার চুর্ণ যেখানে অনুশীলন করে
পক্ষপাতিত্বের।
আমি নির্দ্বিধায় ধারণ করতে পারি ধুমলবর্ণ-
আগ্নেয়গিরির চড়চড় শব্দকে ভাবতে পারি
সদ্য ভোরের কাকের ডাকসম।
মুহুর্তেই বের হয়ে আসতে পারি
জটপাকানো কেন্দ্রীভূত চুড়ান্ত বৃত্তপথ হতে,
ভৎসনাপ্রাপ্ত বাক্সবন্দী আলজিভ...
©somewhere in net ltd.