নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুস্থ রাজনীতির বিকাশ চাই...

No east, no west, no আওয়ামীলীগ, no বিএনপি, ISLAM IS THE BEST.

যুলফিকার তরবারি

যুলফিকার তরবারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৫ই আগষ্ট এর আরেক ঘটনা! সচেতন মুসলমান হিসেবে আপনাকে জানতেই হবে।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮

আজ ১৫

আগস্ট।২০০২

সালের ঠিক

এদিনেই মসজিদ

রক্ষার

আন্দোলনে ঝরে পড়ে চার

চারটি তাজা প্রাণ।

৯০ পার্সেন্ট

মুসলমানের

দেশে মসজিদের

শহর মাদ্রাসার

শহর ঢাকার

বুকে রচিত হয় এক

কলংকজনক

অধ্যায়।

সে অনেক

কথা।সংক্ষেপে-

ঢাকার

মালিবাগে মসজিদ

ভেঙ্গে মার্কেট

করার সিদ্ধান্ত

নেয় টিএনটির

ইঞ্জিনিয়ার

প্রবল

প্রতাপশালী তৌফিক

ও রমনা ছাত্রদল

নেতা সুমন।যেই

ভাবা সেই কাজ।

নিজস্ব ক্ষমতা ও

সরকারী ছত্রছায়া কাজে লাগিয়ে দেয়াল

তুলে দেয়

মসজিদের পথে।

সঙ্গত কারণেই

নামাজ ও বন্ধ

হয়ে যায় ওখানে।

চাপা ক্ষোভ বিরাজ

করে স্হানীয়

ধর্মপ্রাণ

মুসলমানদের মাঝে।

এরই জের

ধরে সেবার ১৫ ই

আগস্টে প্রতিবাদ

সভার আহবান

করা হয় একই

মসজিদের সম্মুখে।

মসজিদ কমিটির

সদস্য ও

ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশ,রমনা থানা সভাপতি আলহাজ্ব

মোঃ আব্দুস

সাত্তার সাহেবের

ডাকে সেদিন

সতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ

করে মালিবাগ,চৌধুরীপ

াড়া,রামপুরাসহ

আশপাশের

ছাত্রজনতা ও

ঈমানদীপ্ত

মুসল্লীরা।একদিকে

আওয়ামীরা ব্যস্ত

শেখ মুজিবের শোক

দিবস

পালনে,অন্যদিকে বিএনপিরা মগ্ন

বেগম জিয়ার

জন্মোন্লাস

পালনে।ঠিক একই

সময়ে,একই

শহরে ঈমানের

দাবিতে আরো কিছু

মানুষ ব্যস্ত ছিল

আল্লাহর ঘর

রক্ষার সংগ্রামে।

কিন্তু

কে জানতো,তাগুতেরা এতটা হিংস্রতা নিয়ে ওঁত্

পেতে আছে ওখানেই।

আল্লাহু আকবার

তাকবীর

দিয়ে মুসল্লীরা যেই

না অগ্রসর

হলো স্বার্থপর

সন্ত্রাসী বাহিনীর

অযাচিত দেয়াল

ভেঙ্গে মসজিদের

পথ উম্মুক্ত

করতে-অমনি শুরু

হয়ে গেল

গুলিবৃষ্টি।আশপাশের

বিল্ডিংগুলোতে পূর্ব

থেকেই

অবস্হানরত

সরকারের আনসার

বাহিনীর

এলোপাতাড়ি গুলিতে সেদিন

একে একে ঢলে পড়ে চার

চারটি তরতাজা প্রাণ।

নির্মমভাবে শহীদ

হন মালিবাগ

মাদ্রাসায়

পড়ুয়া ইসলামী শাসনতন্ত্র

ছাত্র আন্দোলনের

কর্মী হাফেজ

আবুল বাশার,একই

সংগঠনের সদস্য

চৌধুরীপাড়া মাদ্রাসায়

পড়ুয়া হাফেজ

রেজাউল করীম

ঢালী,হাফেজ

ইয়াহইয়া ও একজন

নিরীহ অথচ

ঈমানদীপ্ত

মুসল্লী মোঃ জয়নাল

আবেদীন।আহত ও

গুলিবিদ্ধ হন প্রায়

অর্ধশত মুসল্লী।

অথচ কী আশ্চর্য!

ক্ষতিপূরণ ও

তদন্তকরণ

দূরে থাক-

সামান্যতম

দুঃখপ্রকাশের ও

ধার

না ধরে জামায়াতের আমীর ও তত্কালীন

প্রভাবশালী

মন্ত্রী(মাওঃ মতিউর

রহমান

নিজামী)একেবারে নির্বিকার

নিঃসংকোচে বলে উঠেন-

মালিবাগের

একটা তুচ্ছ ঘটনায়

এত হৈ চৈ এর

কী আছে!!

বিশ্বের অন্যতম

বৃহত্তম মুসলিম

দেশে মসজিদের

নগরীতে মসজিদের

জন্য চার চারজন

ছাত্রের শাহাদাত

যদি হয় তুচ্ছ

ঘটনা-তবে আর

আমরা কেমন

মুসলমান?

আইনুদ্দিন আল আজাদ রহঃ বলেছিলেন-

"আল্লাহর ঘর

রক্ষা করতে জীবন

দিতে হলো..

তাহলে দেশে ইসলাম

আছে কী করে তোমরা বলো..?"

আল্লাহর কসম

হে শহীদ

ভাইয়েরা,তোমাদের

রক্ত বৃথা যাবে না!

বৃথা যেতে পারে না!!

মানবরচিত সকল

মতবাদ মতাদর্শের

অবসান

ঘটিয়ে আল্লাহর

জমীনে আল্লাহর

দ্বীন

বাস্তবায়নের এই

সুমহান

সংগ্রাম..চলবেই

চলবে অবিরাম!

ইনশাআল্লাহ!!

সেদিনের সেই

রক্তঢালা আন্দোলনের

ফলে আজ ও

স্বগর্বে মাথা উচু

করে দাঁড়িয়ে আছে বাইতুল

আজিম

শহীদী মসজিদ।

ওপথে গেলে মনের

অজান্তেই চোখ

দুটো ভিজে ওঠে।

বলে উঠি আলহামদুলিল্লাহ!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.