| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডিতেই আছি তখনো, চোখে মুখে রঙিন স্বপ্ন, স্কুল নামের যন্ত্রণা ছাড়া সবই পাগলের মত ভালো লাগে- কার্টুন, ফুটবল, গাছের সবুজ, পাখির উড়াল, পদ্মার চর, শহরের বিদঘুটে চিড়িয়াখানা আর নতুন নেশা- বই, মানে গল্পের বই! ঠাকুরমার ঝুলি, সোনার পাখি, ডালিম কুমারের ঘোড়া দিয়ে সেই যাত্রা শুরু হয়েছিল, এখনো পঙ্খিরাজ ঘোড়া হয়ে সে দেশ কাল সীমানা ছাড়িয়ে নিত্য নতুন রাজ্য দেখার নেশায় পাগলপারা। বাড়ীতে রাখা হত দৈনিক ইত্তেফাক, সেখানের ৩য় পাতায় উপরের বাম কোণাতে অল্প কয়েক ইঞ্চি জুড়ে ছাপা হত অসাধারণ এক কার্টুন- টারজান! পাশে লেখা থাকত এডগার রাইস বারোজ। তখন কি আর জানতাম ইনিই টারজানের স্রষ্টা।
কে যেন একদিন ক্লাসে কানে জীবনের শ্রেষ্ঠ ফুঁসমন্তরটি দিয়ে বসল- আরে ব্যাটা টারজানের কি সব দুই-তিনটা ছবির কমিক্স পড়ে গল্প ঝাড়িস, পড়তে হলে বই পড়, আসল বই ! আরেব্বাস, টারজানের বই! কোথায় পাব?
সেই ইঁচড়ে পাকা বন্ধুটিই নিয়ে গেল টিফিনের সময় স্কুলের কাছেও কাজলার মোড়ে এক দোকানে, অন্য আর সব দোকানের চেয়ে আলাদা, সেখান কয়েক তাকে জুড়ে শুধু রাখা বই আর বই, তাও নিউজপ্রিন্টে ছাপা, একটু ছোট আকারের। জানলাম তাদের আবার গালভরা একটা নাম আছে, পেপারব্যাক! সব বইয়ের পেছনের নাকি লাল-হলুদের একটা প্রজাপতি আছে, যার পায়ের কাছে কায়দা করে লেখা সব, নাকি সেবা! ঢাকার এক প্রকাশনা সংস্থা! তারাই টারজানের বইগুলো প্রকাশ করে। আর এই দোকানে সেগুলো দিনে ১ টাকার বিনিময়ে ভাড়া পাওয়া যাবে! ১ টাকায় দিন, মানে পরের দিনই ফেরৎ দিতে হবে! না দিলেও মুশকিল হবে না, কেবল ভাড়ার অঙ্ক বাড়তেই থাকবে।
নিয়ে এলাম, মন্ত্র মুগ্ধের মত পড়ে গেলাম সেই রহস্যময় দোকানে থাকা সব গুলোর টারজানের বই। তখন থেকেই মনে হয় পড়ার বই দিয়ে ঢেকে গল্পের বই পড়ার সুঅভ্যাসটি গড়ে উঠেছে। কিন্তু বইগুলো নিজের করতে খুব ইচ্ছে করত, মানে কিনে ফেলতে পারলে খুব ভাল হত ।
এই হিসেব করেই মায়ের সাথে একদিন সাহেব বাজারের বুকস প্যাভিলিয়ন নামের এই বইয়ের দোকানে হাজির হলাম বই কেনার আশায়, কিন্তু টারজান নেই তাদের, এগুলো নাকি বহু আগের বই, এখন আর ছাপা হয় না। তার বদলে লোকটা সেবার অন্য বেশ মোটাসোটা একটা বই ধরিয়ে দিয়ে বলল, এটিও খুব ভাল লাগবে, তোমাদের জন্যই লেখা!
এত মোটা বই! উপরে লেখা তিন গোয়েন্দা- ভলিউম ৩ , লেখক রকিব হাসান। বইটির প্রচ্ছদে ছোট ছোট অনেকগুলো ছবির সমন্বয়ে যেন অনেকগুলো গল্পের ইঙ্গিত আছে, মনে পড়ে স্বর্ণকেশী এক কিশোরীর হাসি ঝলমলে চোখ, নীল সাগর সৈকতের নারকেল গাছ, সোনার মোহর, একটা হলদে কুকুর, জংলী, কিছু চিত্রকর্ম- সব মিলিয়ে একটা টান তৈরি হয়ে গেল, কিন্তু এত মোটা বই! দোকানী আবার হেসে বলল- ছয়টা বই আছে, ছয়টা আলাদা আলাদা ঘটনা। তাই নাকি, মজা তো , একটা কিনলেই ছয়টা বই, উত্তেজনায় দম বন্ধ হয়ে আসে! টানা কয়েকটা নির্ঘুম রাতের আভাস।
আবার নেড়ে চেড়ে দেখি আলগোছে, প্রথম কাহিনীর নাম- হারানো তিমি, প্রথম লাইনে ছিল মনে- হুই যে , দেখা যাচ্ছে ফোয়ারা!
কিসের ফোয়ারা, তিমির! ব্যস, দারুণ মনে হল ব্যাপারটা অন্য প্রাণী জড়িত থাকায়, সেই শুরু হল আমার তিন গোয়েন্দার অতল হ্রদে অবগাহন- শেষ হল একে একে হারানো তিমি, মুক্তো শিকারি, মৃত্যু খনি, কাকাতুয়া রহস্য, ছুটি, ভুতের হাসি।
দারুণ সব কাহিনী, একটা আরেকটার চেয়ে আলাদা, রহস্য আর অ্যাডভেঞ্চারের মিশেল। কত অজানা তথ্যের ভাণ্ডার, উপস্থিত বুদ্ধির ঝলক! তখন আমার সেরা বন্ধু হয়ে গেল কিশোর পাশা, মুসা আমান, রবিন মিলফোর্ড, মাঝে মাঝে সেই তালিকায় জিনা পার্কার আর রাফিয়ানও ঢুঁকে পড়ে।
হন্নে হয়ে গেলাম তিন গোয়েন্দার বাকী সব বই জোগাড় করার জন্য, কিছু মিলে , কিছু মেলে না। মনের ভিতরে প্রচণ্ড কৌতূহল এই সিরিজের প্রথম বইটি নিয়ে, তারনামই তিন গোয়েন্দা! হ্যারি প্রাইস, মিস্টার ফিসফিস, পরিচালক ডেভিড ক্রিস্টোফার গেথে গেল মাথার কোষে কোষে । প্রচ্ছদটাও ছিল মনকাড়া, এক পাশে নিগ্রো ব্যায়ামবীর মুসা আমান, অন্য পাশে সোনালি চুল আধা আইরিশ রবিন মিলফোর্ড। তাদের পিছনেই কিশোর পাশার একজোড়া স্বপ্নময় চোখ। মুখমণ্ডল দেখা না গেলেও বাঙালি বলে কল্পনা করতে তো সমস্যা নেই।
পরের বই কঙ্কাল দ্বীপ, তিন গোয়েন্দার কিছু বন্ধু যে তাদের মতই মনোযোগ ও ভালবাসা প্রাপ্তির দাবী রাখে তার প্রমাণ পেলাম পাপালো হারকুসের সাথে পরিচিত হয়, গ্রীক কিশোর মৎস্যজীবী সে, সোনার মোহর খুঁজে বেড়ায় সাগরে ডুব দিয়ে! এথেন্সের বন্দরে যতজন ঝাঁকড়া চুলো স্থানীয় কিশোরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল, সবার সাথেই মিলাবার চেষ্টা করেছিলাম পুরনো বন্ধু পাপালোর আদল। ঠিক তেমনি ভাবেই প্রথমবার জার্মানির বাভারিয়া ভ্রমণের সময় কান পেতে শুনছিলাম, সেখানকার স্থানীয়রা কি আসলেই বরিস আর রোভারের মত ওকে না বলে হোকে বলে কিনা!
এমন ভাবেই স্কুল জীবনের তিন গোয়েন্দা আজো ঘিরে থাকে দৈনন্দিন জীবনে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে। ক্যারিবীয় সাগরতলে ডুবুরীর অভিজ্ঞতা অর্জনের সময় সব কিছু ছাপিয়ে মনের পর্দায় কেবল ভাসতে থাকে অথৈ সাগরে মুসা আমানের অভিজ্ঞতার কথা, ব্রাজিলে বন্ধুর বাড়ীতে হ্যামক দেখে- এই চিরচেনা বস্তুটির কথাই তো জেনেছিলাম ভীষণ অরণ্যে, যেমন একই বই থেকে জেনেছিলাম হাওলার বানরের ভয়াবহ চিৎকারের কথা। মেক্সিকোর ইয়ূকাটানের গহীন বনে পথ হারিয়ে সেই উদ্বাহু ভয়াবহ চিৎকারে যখন আমার বন্ধু হুয়ান ভিদাল পালাবার জন্য এক পায়ে খাঁড়া, তিন গোয়েন্দা হাতড়ে আমি বললাম, ওরা অতি নিরীহ বানর, কেবল তাদের উৎপন্ন শব্দই ভয়াবহ!
দেশে ফিরলেই পরম মমতায় তিন গোয়েন্দা সিরিজের প্রথম ৮৮টি বই আবার ধুলো ঝেড়ে, নিম পাতা ছড়িয়ে সাজিয়ে রাখি, মাঝে মাঝে গভীর আবেগে আঙ্গুল বুলিয়ে যায় দক্ষিণের দ্বীপ, মমি, ঘড়ির গোলমাল, ছিনতাই- আরও কত বইতে, যেখানে আমার স্বপ্নালু কৈশোর আঁটকে আছে আজো।
তখনো পাখি দেখার নেশা পেয়ে বসে নি, কিন্তু ভূতের হাসি বইতে জানলাম কাকাবুরা নামের সেই পাখি আর তার বিটকেল হাসির কথা ( বইটার মন্দলোকটার নাম ছিল ডাংম্যান= গোবরমানব, আজো হাসি আসে) , পরে কাকাবুরা নামের ক্রিকেট ব্যাট দেখেছিলাম কিন্তু সেই বিশাল মাছরাঙা দেখতে অস্ট্রেলিয়া যেতে হবে বলে তা আঁটকে আছে।
আইসল্যান্ডের সদ্য পরিচিত বন্ধুদের যখন তাদের লম্বা পারিবারিক উপাধির পিছনের ইতিহাস বলি তারা অবাক হয়ে শুধোয়, জানলে কোথায় এতসব! তখন কৃতজ্ঞতা বোধ করি ধূসর মেরু নামের বইটির প্রতি। মেক্সিকোর চলুলা শহরে করটেজের কুৎসিত গির্জা দেখে মনে হয়েছিল ভাঙা ঘোড়ার করটেজের তলোয়ারের কথা।
আফ্রিকার বুনো প্রান্তরে বারংবার মনে পড়েছে পোচার, তেপান্তর আর সিংহের গর্জনের কথা, সোনালি ঘাসের বনে রক্তাক্ত মুখে হুমহাম শিকার খেতে থাকা সিংহযুগলকে দেখে মনে হয়েছে অবিকল প্রচ্ছদের সিংহটির মত। এই বইটি থেকে আমার বিশাল পাওয়া ছিল ডঃ লুই লিকি সম্পর্কে জানতে পারা।
তবে খেলার নেশার পর থেকে আর তিন গোয়েন্দা পড়া হয় নি, কেন জানি আকর্ষণ কমে যাচ্ছিল প্রতি পর্বেই, তাই পুরনো ভালাবাসা রক্ষার তাগিদেই আগেরগুলোই বারবার পড়া শুরু করি। নিজেকে মনে হত বইয়ের পোকা রবিন, আবার কোন কোন সময় জন্তু প্রেমী মুসা, মাঝে মাঝে কিশোর পাশা, সবকিছুর পরও বাংলাদেশের বলে তো একটা দাবী থেকেই যায়! চোখ-কান খোলা রাখতাম টুলবেঞ্চির দিনগুলোতে- যদি কোন রহস্যের সন্ধান পেয়ে যায়, পুরনো বইয়ের ফাঁকে গুপ্তধনের নকশা, অমীমাংসিত অপরাধ!
এই বোধ গুলো আরও জাগ্রত রাখে তিন গোয়েন্দার নানা অভিযান, ভুতুড়ে সুড়ঙ্গ আর দীঘির দানোর পর থেকে সারা বিশ্বের রহস্যময় জলদানবগুলো নিয়ে যত খবর পাওয়া, সবই সংগ্রহ করে ফেলি। মহাকাশের আগন্তক থেকে মনে হতে থাকে কোন দিন যদি আমাদের পাড়ার মাঠটাতে নামত এক ফ্লাইং সসার। ভয়াল গিরির রহস্যময় প্রাণীটার মত একটা প্রাণী আবিষ্কারের আশা বুকের খাঁচার ডানা ঝাপটে চলে অবিরাম। কিউবার প্লায়া হিরণ নামের এক সৈকতবর্তী শহরে পদার্পণ করেই জানতে পারলাম এক ভয়াবহ জলদস্যু হিরণে নামে এই শহরের নাম, মনে হয়েছিল সেই জলদস্যুর দ্বীপে এলাম, দেখা হবে লুই ডেকেইনির সাথে , নিদেন পক্ষে মরুর বুনো ঘোড়া ওমর শরীফের সাথে।
খোঁড়া গোয়েন্দায় নতুন স্বাদ নিয়ে এলেন ভিক্টর সাইমন সাথে তার ভিয়েতনামী বাবুর্চি। মনে পড়ে বোম্বেটে বইয়ের টকার নামে ডেঁপো ছোকরার কথা, বোম্বেটে শব্দটির সাথে পরিচয়ও সেই প্রথম, যেহেতু টিনটিন পড়েছি অনেক অনেক পরে। শুঁটকি টেরিয়ার ডয়েলের উপস্থিতিও কাম্য করতাম মনে প্রাণে কাহিনী জমানোর জন্য।
কিছু কিছু বইয়ের প্রচ্ছদও খুব মন কাড়ত, বার বার উলটে উলতে দেখতাম পড়ার ফাঁকে, বিশেষ করে যেগুলোতে তিন গোয়েন্দার ছবি থাকত, যেমন ছুটি। সেই সাথে কাহিনীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবি যেমন মহাবিপদ, ইন্দ্রজাল, মহাকাশের আগন্তক, রক্তচক্ষু- আরো কত নাম।
সেই সাথে রাশেদ চাচা, মেরী চাচী, শোফার হ্যানসন, দস্যু শপা, মিস্টার পার্কার, কুমালো, রক্তচক্ষুর সেই পুরোহিত – কত আপন করা চরিত্র। হঠাৎ একদিন বুকের রক্ত ছলকে উঠল সদ্য প্রকাশিত তিন গোয়েন্দার বইটির নাম দেখে- ঢাকায় তিন গোয়েন্দা! কি যে ভাল লাগল রকিব দা তাদের বঙ্গভূমিতে নিয়ে আসায়।
সেই সাথে তিন গোয়েন্দার সাথে সাথে আমারও উকি দেয়া হয়ে যেত অদ্ভুত সব জগতে, যেমন পশু শিকারিদের চোরাকারবারে ( পোচার), বাস্কেটবলের মাঠে ( খেলার নেশা), পুরনো কমিক্সের রাজ্যে ( অবাক কাণ্ড), গলফের পরিত্যক্ত বলের ব্যবসায় ( বানরের মুখোশ), পুরনো মূর্তির সংগ্রহে ( মূর্তির হুংকার), প্রজাপতির খামারে প্রজাপতির রঙ ঝিলমিল জগতে। যা কিছুই জানতাম, সবছিল নতুন, আনকোরা।
আফসোস বাড়ে যখন মনে হয় ৭ম শ্রেণীতে বন্ধুকে ধার দেওয়া নকল কিশোর আজো ফেরত আসে নি ( এখানে কিশোরের মত দেখতে আরেকজন ছিল) , কিন্তু ভাল লাগে অনেক ঝামেলার পর উদ্ধার করতে পারা ওয়ার্নিং বেলের কথা মনে হওয়ায় ( এইখানে এক ছেলে ছিল যার কণ্ঠ হুবহু কিশোরের মত )
এখনো শেখার চেষ্টা করি প্রিয় বইগুলো থেকে, এখনো মনে হয় জীবনের সেরা প্রাপ্তি হবে যদি কোন দিন দক্ষিণের পলিনেশিয়ার প্রবাল দ্বীপে যেতে পারি, নীল ল্যাগুনে পা ডুবিয়ে দেখি সেই অপরূপ সূর্যাস্ত। এমন স্বপ্ন দেখানোর জন্য, জীবনে চলার উৎসাহ দেবার জন্য তিন গোয়েন্দার প্রতি আমার ঋণ প্রতিনিয়তই বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে, যা কোনদিনই শেষ হবার নয়।
( হাতের কাছে কোন তিন গোয়েন্দা নেই, শেষটিও পড়েছি বছর কয়েক আগেই, তাই কেবল স্মৃতি থেকে লিখে গেলাম, কিছু ভুলচুক হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি তিন গোয়েন্দা ভক্তদের।
বাংলাদেশ গড়ার পিছনে যে গুটিকয়েক মানুষের অবদান অনস্বীকার্য মনে হয় আমার কাছে তার মধ্যে অন্যতম কাজি আনোয়ার হোসেন, এই লেখাটি আপনার জন্য কাজিদা। শতায়ু হন আপনি, আমাদের সুযোগ দিন নিত্যনতুন ভাবে আপনার লেখনীর কাছে ঋণগ্রস্ত হবার সুযোগ)
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
খালেদ সাইফুল্লা বলেছেন: আপছোস হচ্ছে ! বুজলাম
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
সুলতানা রহমান বলেছেন: আপনার তো অনেক বইয়ের নাম আর ঘটনা মনে আছে। ২০০৩ এর দিকে আমি একটা দোকান থেকে বই নিতাম পাঁচ টাকা করে। কি যে ভাল লাগতো!
শেষের বেশ কয়েকটা গল্পে ওদের বড় দেখানো হয়েছিল, রকিব হাসান ও লেখা বন্ধ করে দিয়েছিল। অনেকদিন পড়িনি। আমার কাছে ও বেশ কিছু বই আছে।
কিন্তু আপনার মত এত বিস্তৃত মনে নেই।