নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবে আসবে তুমি ভালোবাসা...আমারও পেতে ইচ্ছে করে তোমার স্পর্শ..ইচ্ছে হয় ভোরের শিশির হয়ে হারিয়ে যাই...মনের জমে থাকা কষ্টগুলো তোমায় বলতে ইচ্ছে হয়...ইচ্ছে হয় তোমার হাতটি ধরে অজানা কে পাড়ি দিতে,বলনা কবে আসবে??

খালেদ সাইফুল্লা

খালেদ সাইফুল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদ্ভুত মানুষদের শহর

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

ভিড় ঢেলে অনেক কষ্টে মার্কেট থেকে বের হয় জাহিদ। অন্য সময় কনুই দিয়ে গুতো মেরে খুব সহজেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যেতো। ভিড়ের চাপে ভর্তা হয়ে মেজাজ হয়ে যেতো তিরিক্ষি আর খিস্তিখেওড় করতে করতে হয়তো বাসায় ফিরতো। কিন্তু আজ সাথে তার ছেলে আছে। ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে ঘ্যানঘ্যান প্যানপ্যান করছিলো। তার নাকি চেনওয়ালা জ্যাকেট লাগবে, যেগুলোর হাত খোলা যায়। হঠাত জ্যাকেট কেন বাবা? তোর আগের জ্যাকেট খানা কোথায় গেলো? এ জিজ্ঞাসার সাথে সাথেই মিলি ছেলের আগের জ্যাকেটখানা তার সামনে মেলে ধরে। বউয়ের হাতে ধরা জ্যাকেটখানার দিকে তাকিয়ে বেশ লজ্জ্বাই পেয়ে যায় জাহিদ। অঙ্কন এবারে ক্লাস সিক্সে উঠবে। তার গায়ে মনেহয় একটু ছোটই হবে জ্যাকেটখানা। তার উপরে দুটো বোতাম নেই। যেগুলো আছে সেগুলোও কোনমতে ঢিলেঢালাভাবে আটকে আছে। বোতামের ঘরগুলোর অবস্থাও বেশ খানিকটা জরাজীর্ন। সরকারী ব্যাংকের ছাপোষা চাকুরীখানা নিয়ে জাহিদের টানাটানির মধ্যবিত্ত সংসার হলেও, ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, পরের শুক্রবারে হবে মিশন চেনওয়ালা জ্যাকেট। তো আজ মিশন সাকসেসফুল। ছেলের হাতে চেনওয়ালা নতুন জ্যাকেট। চোখেমুখে রাজ্যের আনন্দ। জাহিদের পকেট থেকে পুরো সাতশো টাকা বেরিয়ে গিয়েছে এর জন্যে। একটা জ্যাকেটের দাম এতো হয় কিভাবে ভেবে পায়না জাহিদ। তাও আবার বাচ্চার মাপের। বড়দের হলেও কথা ছিলো। ছেলেকে নিয়ে অনেক ঘোরাঘুরি আর দামাদামির পরে অবশেষে হাতে পাওয়া গেলো চেনওয়ালা জ্যাকেট। হয়তো এ মাসের শেষের দিকে এই খরচের জন্যে একটু টানাটানিও হতে পারে। কিন্তু এতো চিন্তার মাঝেও ছেলের আনন্দিত চেহারার দিকে তাকিয়ে সব ভুলে যায় জাহিদ।

ভিড়ের মধ্য দিয়ে সাবধানতার সাথে অঙ্কনকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোতে থাকে জাহিদ। আশেপাশে হাজারো রকমের তামাশা। মার্কেট বা বাসস্ট্যান্ডগুলোর পাশে সবসময়ই এরকম তামাশার পসরা সাজিয়ে বসে মানুষজন। কেউবা বিড়ি-সিগারেট বিক্রি করছে, কেউবা শসা-খিরাই, কেউবা চকোলেট-লজেন্স আর কেউবা হয়তো শুধুমাত্র ভিক্ষাবৃত্তি। এগুলোর কোনদিকেই মনযোগ নেই জাহিদের। সমস্ত মনযোগ যেন সামনের দিকে যাতে কোনরকম ধাক্কাগুতা না খেয়ে ছেলেকে নিয়ে সহিসালামত বাসায় ফেরার বাসে উঠে পড়া যায়। এমন সময় উল্টোদিক থেকে আসা একজনের ধাক্কা খায় জাহিদ। মনেহয় যেন ইচ্ছে করেই লোকটা ধাক্কা দিয়েছে ওকে। পুরানো কোট পরিহিত লম্বামতন দাড়িওয়ালা লোকটার কাঁধে ঝুলানো ব্যাগটা থেকে অনেকগুলো বাঁশি বের হয়ে রয়েছে। ঝট করে ঘুরে দাঁড়িয়ে লোকটাকে কিছু একটা বলতে যাবে জাহিদ, ঠিক তখনই একদিকে একটা দৃশ্যে চোখ আটকে গেলো ওর। ডিসেম্বরের এই শীতের বিকেলে লুঙ্গি আর পাতলা ফিনফিনে একটা গেঞ্জি পরিহিত ছেলে চকলেট বিক্রি করছে। এতো লোকজন চলাচল করছে কিন্তু কেউ তারদিকে ভ্রুক্ষেপও করছেনা, চকলেট বিক্রি হওয়াতো আরও দুরের ব্যাপার। জাহিদ লক্ষ্য করলো, শীর্নকায় ছোট ছেলেটি মাঝে মাঝে এক হাত দিয়ে অন্য হাত ঘষে নিজেকে উষ্ণতা দেয়ার চেষ্টাও করছে। বাশিওয়ালা লোকটা এগিয়ে এসে জাহিদকে সরি জাতীয় কিছু একটা বলে, কিন্তু জাহিদ সেদিকে খেয়াল করেনা। অঙ্কনের হাত ধরে এগিয়ে যায় চকোলেট বিক্রেতা ছেলেটার দিকে। কতই বা বয়স হবে ছেলেটার? অঙ্কনের মতনই হবে হয়তো। ছেলেটার অবস্থান থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে অঙ্কনের সামনে নিচু হয়ে ঝুঁকে পড়ে জাহিদ। মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দেয় ছেলেকে, আর বলে,
- বাবা, ঐ ছেলেটাকে দেখেছিস।
- হু। দেখেছিতো।
- দেখেছিস, ছেলেটা শীতে কেমন কষ্ট পাচ্ছে?
- শীতের কাপড় না পরলে তো শীত লাগবেই।
- ওর শীতের কাপড় নেই। থাকলেতো পরতোই। তাই না?
- হু।
- তারপরেও দেখ, দাঁড়িয়ে আছে। কারণ চকোলেট বিক্রি না হলে হয়তো আজকে খাওয়া জুটবে না।
জাহিদ অঙ্কনের মুখের দিকে তাকায়। অঙ্কনের মুখে ছেলেটার জন্যে মায়া টের পাওয়া যায়। এটা দেখে এবারে জাহিদ আবার বলে ওঠে,
- আমরা এক কাজ করতে পারি অবশ্য।
- কি?
- তুই তোর জ্যাকেটটা ওকে দিতে পারিস। তাহলে অন্তত চকোলেট বিক্রির সময় ঠান্ডায় ওর কষ্ট হবেনা।
এ কথাটা বলা মাত্রই রাজ্যের অন্ধকার ভর করে অঙ্কনের মুখে। নিজের অজান্তেই হাতে থাকা সাধের চেনওয়ালা জ্যাকেটখানা আরও শক্ত করে আকড়ে ধরে। জাহিদ এবার আস্তে আস্তে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়।
- বাবা, তুই হয়তো আবার কিনতে পারবি এই জ্যাকেট। কিন্তু ও কখনোই পারবেনা। আর তুই যদি ওকে এটা দিস, তাহলে দেয়ার পরে দেখবি তোর একদম মন খারাপ লাগবেনা। অনেক ভালো লাগবে। প্রমিস।
অঙ্কন ওর বাবার মুখের দিকে তাকায়। এক অদ্ভুত রকমের আকুতি বাবার চোখ জোড়ায়। অঙ্কন আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় ছেলেটার দিকে। ছেলেটার সামনে যেতেই ছেলেটা অঙ্কনকে বলে ওঠে,
- চকলেট লইবেন ভাইয়া?
অঙ্কন আস্তে আস্তে দুদিকে মাথা নাড়ে। তারপরে আর কিছু না বলে ছেলেটার হাতে নিজের নতুন জ্যাকেটের প্যাকেটখানা উঠিয়ে দেয়। শীর্নকায় ছেলেটা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে অঙ্কনের দিকে। অঙ্কন ধীর পায়ে ফিরে আসতে থাকে তার বাবার কাছে। এ সময় পিছন থেকে ছেলেটা হাঁক ছাড়ে।
- ভাইজান! একটু খাড়ান।
অঙ্কন ঘুরে দাঁড়ায়। ছেলেটা ছুটে আসে অঙ্কনের দিকে। ছেলেটার মুখ জুড়ে ঝকঝকে হাসি। ঘাড়ের মধ্যে ঝুলছে নতুন জ্যাকেটটা। এগিয়ে এসে অঙ্কনের হাতে এক মুঠো চকোলেট তুলে দেয় ছেলেটা। অপ্রস্তুত অঙ্কন আমতা আমতা করে বলে,
- আমার কাছে টাকা নেই তো। বাবার কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।
ছেলেটা জোরে জোরে মাথা নাড়িয়ে বলে,
- ট্যাকা লাগতো না। আপনে যেমন খুশি হইয়া আমারে দিলেন। আমিও অনেক খুশি হইয়া দিলাম ভাইজান। আপনে খাইবেন। আপনের আব্বা-আম্মারে খাওয়াইবেন।
অঙ্কন তার বাবার দিকে তাকায়। জাহিদ ইশারায় সম্মতি জানায় পুত্রকে। অঙ্কন ছেলেটাকে থ্যাঙ্ক ইউ বলে বাবার দিকে হাঁটা দেয়।

মিলিকে বেশ চিন্তিত দেখায়। কতক্ষণ হলো বের হয়েছে বাপব্যাটা। এখনও কোন খবর নাই ফেরার। চিন্তা করতে করতেই কলিং বেলের আওয়াজ হয়। দরজা খুলেতো মিলি অবাক। পিতাপুত্র অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে ঘরে ফিরেছে ঠিকই, কিন্তু যে জিনিসটি সাথে নিয়ে ফেরার কথা তা তাদের সাথে নেই! কারণ হিসেবে যখন অঙ্কনের কাছে তার মা পুরো কাহিনী শুনলো তখন তার মেজাজ চরম রকমের খারাপ। এদিকে ঝড়ের হাত থেকে বাঁচার জন্যে জাহিদ ততক্ষণে চা বানানোর উছিলায় রান্নাঘরে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। মিলি তার দানবীর জামাইয়ের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করার জন্যে যখন রান্নাঘরের দিকে পা বাড়াবে, ঠিক তখনই অঙ্কন তার মার হাত চেপে ধরে।
- বিশ্বাস করো মা। প্রথমে যে কি খারাপ লেগেছিলো। কিন্তু যখন ছেলেটা জ্যাকেট পেয়ে খুশিতে হাসিহাসি মুখে আমাকে চকোলেট দিলো, এক মুহূর্তে মন ভালো হয়ে গেলো! কি অদ্ভুত তাই না মা? তার চেয়েও অদ্ভুত হচ্ছে বাবা। বাবা আমাকে আগেই বলেছিলো যে, দেয়ার পরে নাকি মন ভালো হয়ে যাবে!
চট করে মিলির রাগটা নেমে যায়। সেখানে নিজের ছেলে আর স্বামীর জন্যে গর্ববোধ হয়। তারপরেও কপট রাগ দেখিয়ে জাহিদকে শুনিয়ে শুনিয়ে অঙ্কনকে বলে,
- কোথায় গেলো তোর হাতেম-তাই বাবা। তাকে এখনই রান্নাঘর থেকে বেরোতে বল।
এ কথা বলার প্রায় সাথে সাথেই হাসিমুখে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আসে জাহিদ। হাতে দুকাপ চা।
- আপনার সেবায় বান্দা হাজির আমার মহারাণী।
চোখমুখ উল্টায় মিলি জবাব দেয়,
- অঙ্কন, তোর বাবাকে বলে দে যে, এসব চা-ফা এনে লাভ হবেনা। সেই সাথে সুইসুতাও নিয়ে আসতে বল। তোর জ্যাকেটটা মেরামত করে দেই।

রফিকের মনটা আজ বেজায় ভালো। ঠান্ডায় খুব কষ্ট করে চকোলেট বিক্রির কাজ করছিলো সকাল থেকে। সন্ধ্যার আগে কোথা থেকে একটা ছেলে এলো আর হাতে একেবারে নতুন জ্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে আবার উধাও হয়ে গেলো। যেন সাক্ষাৎ ফেরেশতা! এখন সেই নতুন জ্যাকেটখানা গায়ে দিয়ে বের আরাম করে বসে আছে সে তার সুয়ারেজ লাইনের ব্যবহৃত পরিত্যক্ত পাইপের ছোট্ট ঘরে। মা আসলে কি অবাকই না হবে, চিন্তা করলো রফিক।
আছিয়া কাজ শেষে তার ঘরে ফিরলো। মানুষের বাড়িতে বুয়ার কাজ করে সে। ঘরে ফিরেই দেখে ছেলে গায়ে একটা পুরো নতুন জ্যাকেট দিয়ে বসে আছে! দেখেই মেজাজটা খিঁচরে যায় আছিয়ার। তাদের কিছু নেই। ধনসম্পদ নেই। ভালো থাকার জায়গা নেই। ভালো খাবার নেই। ভালো পোষাক নেই। আছে শুধু দুটো জিনিস। দারিদ্র্য আর সততা। ছেলেকেও তাই শিখিয়েছে, যত কষ্টই হোক না কেন, কাজ করে খাবি। চুরি করে নয়। আর সেই ছেলেই কিনা নতুন জ্যাকেট পরে বসে আছে! নিশ্চয়ই চুরির মাল। রফিককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ঠাসঠাস করে ওর গালে কয়েকটা চড় কষায় আছিয়া। হতভম্ব রফিক মায়ের এহেন আচরনের জন্যে একেবারেই প্রস্তুত ছিলো না। চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি ঝরে রফিকের। আছিয়া খেঁকিয়ে ওঠে,
- হারামজাদা, শেষমেস চুরি করা শুরু করসোস? কুত্তারবাচ্চা! ইয়া আল্লা, এতো কষ্ট কইরা কাম করি পোলারে মানুষ করার লাইগা! আর তুমি এইডারে চোর বানাইলা খোদা!
এবারে রফিক কাঁদতে কাঁদতে জবাব দেয়,
- আমি চুরি করি নাই মা।
- চুরি করোস নাই তো এমন নয়া দামি কাপড় ক্যামনে পাইছস? ক শুনি। ক্যামনে? আসমান থেইকা পড়সে?
- আইজ সইন্ধ্যার আগ দিয়া যখন ইস্ট্যান্ডে খাড়ায়া বেচতেছিলাম, তখন এক ছোট পোলায় আর তার বাপ আইসা আমারে দিছে।
- এই হারামজাদা, তোরে দিছে আর তুই লইছোস?
এবারে কাঁদতে কাদতেই থেমে থেমে জবাব দেয় রফিক।
- মা, খুব শীত লাগতাছিলো। হ্যার লাইগা না করি নাই।
পুত্রের জবাব শুনে আছিয়ার বুকের ভিতরটা হু হু করে ওঠে। শীত নিবারনের জন্যে শীতের কাপড় পর্যন্ত দিতে পারে না ছেলেকে। তার ওপর কথা না শুনেই ছেলেকে আঘাত করেছে। সাথে গালিগালাজ। আছিয়া আস্তে আস্তে বলে ওঠে,
- হ্যাগো ধইন্যবাদ দিছোস?
- না মা। তয় পোলাটার হাতে এক মুঠা চকোলেট দিছি।
- হ্যারা নিছে?
- হ। নিছে।
- ভালা করছোস। অহন এইদিক আয় দেহি।
রফিক এগিয়ে যায় মায়ের দিকে। পরম মমতায় পুত্রকে জড়িয়ে ধরে আছিয়া। রফিক এবারে জ্যাকেটটা দিয়ে মাকে ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করে। আছিয়া হেসে ওঠে।
- হেই পাগল! কি করস?
- খুব ওম না মা? তোমারেও দেই।
- ধুর পাগলা। যা। গিয়া চাটাইটা নামায় দে। ঠান্ডা বাতাস আহে।
পাইপের মুখে ঢেকে দেয়ার জন্যে চাটাই নামাতে বাইরে বের হয় রফিক। ওদের পাইপের ঠিক উল্টো দিকে একজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সে। লম্বামতন। মুখে দাড়িগোফের জঙ্গল। গায়ে পুরানো লম্বা কোট। কাঁধ থেকে ঝুলানো ব্যাগে অনেকগুলো বাঁশি। একটা বাঁশি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। আর মুখে স্বর্গীয় স্মিত হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে রফিকদের পাইপের দিকে। রফিক তাকিয়ে থাকতে থাকতেই লোকটা ঘুরে দাঁড়ায়। বাঁশিতে একটা অদ্ভুত মায়াকাড়া সুর বাজিয়ে ধীর পদক্ষেপে হেঁটে যায়। কিন্তু একটা জিনিস কেউ দেখতে পায়না। লোকটার মুখে লেগে থাকা নিজের সৃষ্টির সাফল্যের আনন্দে স্মিত বিজয়ীর হাসি। রাত গভীর হয়। শীত জাঁকিয়ে বসে। বাঁশির সুর শীতের চাঁদর কেটে উষ্ণতার সকালের প্রত্যয় নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: গল্পটা আগে একবার পোস্ট করেছিলেন, না? পড়েছিলাম খেয়াল আছে

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

খালেদ সাইফুল্লা বলেছেন: X(( X(( X(( 8-|
আবার ও পরার জন্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.