নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবে আসবে তুমি ভালোবাসা...আমারও পেতে ইচ্ছে করে তোমার স্পর্শ..ইচ্ছে হয় ভোরের শিশির হয়ে হারিয়ে যাই...মনের জমে থাকা কষ্টগুলো তোমায় বলতে ইচ্ছে হয়...ইচ্ছে হয় তোমার হাতটি ধরে অজানা কে পাড়ি দিতে,বলনা কবে আসবে??

খালেদ সাইফুল্লা

খালেদ সাইফুল্লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্ট মেয়ের গল্প

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

গোলাপী গাউন পরা মেয়েটি সবুজ বোতল থেকে খানিকটা পানীয় গ্লাসে ঢেলে এগিয়ে দিলো মধ্যবয়সী লোকটার দিকে। লোকটি এখন মেয়েটির ক্রেতা-বসৃ-মালিক সবকিছু।

মেয়েটি চাচ্ছে লোকটা দ্রুত মাতাল হয়ে যাক অন্ততঃ দোকান পাট বন্ধ হবার আগেই। তাহলে বাড়ি ফেরার পথে প্রয়োজনীয় টুকিটাকি কিনে ফেলতে পারবে বিশেষ করে একমাত্র মেয়ে আয়নার বইগুলো।বই কিনে না দেয়ায় মেয়েটা স্কুলে যাচ্ছেনা।

মধ্যবয়সী লোকটা সবটুকু পানীয় শেষ করে মেয়েটির হাত ধরলো—ফ্যামি ও ফ্যামি, ইউ আর দ্যা মোস্ট বিউটিফুল ওমেন ইন দিস ওর্য়াল্ড। ফ্যামি নামেই সবাই চিনে মেয়েটিকে, নামটা এসেছে ফিরোজা থেকে। স্বামী নিখোঁজের পর নানা চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে ফিরোজা এখানে, এই অন্ধকার, জগতে এসে ফ্যামি হয়েছে।

লোকটার হাতে বন্দী হয়ে মিষ্টি করে হাসে ফিরোজা, আড়চোখে তাকায় পাশের টেবিলে। আয়নার বয়সী এক মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ওখানে এক দম্পতি বসেছে। প্রজাপতির মতো সুন্দর মেয়েটি প্রজাপতির মতোই উড়ছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই ব্যস্ত মেয়েটির আবদার পুরণে। স্ত্রীটি ফিরোজার বয়সী তবে ফিরোজার মতো সুন্দরী নয়। সে তার মেয়েটিকে নিয়ে ব্যস্ত হলেও পাশের টেবিলে ফ্যামি আর তার সঙ্গীর প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করতে ভুলে যাচ্ছেনা। মনে মনে হাসে ফিরোজা । এই স্বামীটিই কয়েকদিন আগে ফ্যামির হাতের মুঠোয় ছিলো, তার ক্রেতা ছিলো, স্ত্রীটি তার কিছুই জানেনা। ওরা সুখী দম্পতি(!) বা সুখী দম্পতি হওয়ার অভিনয় করছে। ফ্যামির আজকের সঙ্গীটিও কারও না কারও স্বামী। এরা ফাঁকি দিয়ে আনন্দ কিনতে আসে। ফিরোজা যে মূল্য পায় তা কিসের মূল্য? ফাঁকির না আনন্দের?

ফিরোজার সঙ্গীটি মাতলামো করতে করতে দোতলার রুমের দিকে যায়। সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় আরেকবার স্ত্রীটিকে দেখে নেয় ফিরোজা। রাজ্যের ঘৃণা আর অসহায়ত্ব নিয়ে তাকিয়ে আছে ফিরোজার দিকে।

ঘন্টাখানেক পরে হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় শিশুজোন-এ প্রজাপতির মতো মেয়েটিকে দেখতে পায় ফিরোজা, চমৎকার একটা গাড়ি নিয়ে খেলছে। আহা কি সুন্দর খেলনা গাড়িটা। ওরকম একটা খেলনা গাড়ির আবদার করতে করতে আয়না ক্লান্ত হয়ে এখন চুপ হয়ে গেছে।

এগিয়ে যায় ফিরোজা – বাহ্ খুব সুন্দর গাড়ি তো। গাড়িটার দাম কতো বাবু?
-আই আ্যাম নট বাবু, আই আ্যাম প্রিয়াংকা। এন্ড দিস কার ইজ ওয়ান থাউ।
ওয়ান থাউ!! চমকে উঠে ফিরোজা। ওর নিজের দাম্ও তো ওয়ান থাউ মানে একহাজার টাকা।

ভেজা চোখ অনুভব করে ফিরোজা। ফাঁকি বা আনন্দের নয়, সে মূল্য পায় শুধু একটি খেলনা হিসাবে। খেলনার দামও একহাজার টাকা, ফিরোজার দামও একহাজার টাকা। সমান সমান।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ গল্প| খুব সুন্দর সরল বর্ণনরীতি আপনার| বাস্তবতার চরম রুপায়ন|
দ্যা লেডি কসট ওয়ান থাউ!

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আপনি লেখা কি প্রথম পাতায় যাচ্ছে না? আমার তাই মনে হল পঠন সংখ্যা দেখে

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

খালেদ সাইফুল্লা বলেছেন: আমি নতুন তো তাই এতটা সারা পাই না ভাই

৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

খালেদ সাইফুল্লা বলেছেন: :) :D X(( =p~ :D B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.