নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বাধীন বাংলা মা এর ছেলে। মা আমার বাংলায় কথা বলে। কিন্তু মা আমার আদৌ বর্ণমালা জানে না। তাই তো আমরা বাংলা ভাল ভাবে বলতে, লেখতে পারি না।
পড়ালেখা নেই কাজ নেই। থমকে গিয়েছে জীবন। বয়:সন্ধি শুধু রমণী কল্পনা করছি, ভাবছি...। খেলাধুলা বন্ধ, ভালো লাগতো না কিছুই খালি ভাবতাম। এলাকার একবড় ভাইয়ের দোকানে আড্ডা দিতাম, চা-টা খেতাম, এখানে সেখানে ঘুরেফিরে সময় কাটতো খুব কষ্টে। চেহারা ছুরুত নষ্ট হতে লাগলো। বিদেশ যাওয়ার নেশা উঠল। তাই মা, ভাইকে জ্বালাতাম। এমব্রয়ডারি কাজ শেখতে শুরু করলাম। বিদেশ আর যাওয়া হয় না। এলোমেলো ভাবে সময় যেতে লাগলো। আমাদের একটি লন্ড্রি দোকান ছিল সেখানে যাওয়া শুরু করলাম। হঠাৎ এলাকায় একটি এমব্রয়ডারি দোকান হলো। আমি যেহেতু এই কাজ শিখেছি তাই তাদের সাথে সময় দেওয়া শুরু করলাম। বাড়ি থেকে পালানো ভাব কাজ করত অনেক আগে থেকে কারণ বসে বসে খাওয়া খুব বিরক্ত লাগতো। বিষণ্ণতায় ভুকতাম। একদিন এমব্রয়ডারি লোকজন বা অস্তাদরা আলোচনা করছে তারা ইন্ডিয়া চলে যাবে। আমি শুনে তাদের অনুরোধ করলাম আমায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। তারা রাজি হলো, ঈদের দিন যাব সিদ্ধান্ত নিলো।
ঈদ এলো, আমি অস্থির কখন যাবো! ছটফট আর পায়চারি করছি। ঈদের আগের দিন দোকান থেকে টাকা জোগাড় করে রেখেছি। সকাল হলো মাকে বললাম গ্রামের বাড়ি যাবো। মাও কিছু বললো না। রাজি হলো যাওয়ার অনুমতি দিল। আমিও কাপড় গুছিয়ে প্রস্তুত হলাম যাওয়ার জন্য। যার সাথে ই্ন্ডিয়া যাবো মানে ওস্তাদ যাকে ডাকতাম। তাকে বললাম সেও প্রস্তত হলো। সে টাকা চাইল তার স্ত্রীর জন্য ৫০০ টাকা দিলাম। তারপর রওয়ানা দিলাম ইন্ডিয়ার উদ্দেশ্যে। প্রথম গাবতলি গেলাম সেখান থেকে বাসে করে বেনাপোল গেলাম। বেনাপোল স্টেশন থেকে কিছু দূরে এক কুড়ে করে নিয়ে গেলো। তারপর আমার কাছ থেকে সব টাকা নিলো। এরপর এক লোক আসলো। সকল হলো সে আমাকে সাইকেলে করে সীমান্তে কাছাকাছি নিয়ে গেলো। ঈদের দিন থেকে না খাওয়া ক্ষুধায় আর আতঙ্কে চুপ করে আছি। কি হতে যাচ্ছে বুঝে উঠতে পারছিলাম না।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: এর পর কি?
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: অকালপক্ক।
এই শ্রেনীর মানুষের কপালে দুঃখ থাকে।