ভালো বাশ খেয়ে আ আ আ চিৎকার করিয়া 'ভালোবাসা' প্রতিষ্ঠা করিবার চাইতে 'ভালো' 'বাসা' খুজিয়া বিবাহ করাই উত্তম।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০২

বালিকা আসিয়া তাহার বাবাকে বলিল--"সারপ্রাইজ! তোমার জামাই ইয়ো ইয়ো কিডস"
বালক হাত পা চ্যাগাইয়া বলে--"ইয়ো বাপস, ইয়ো ইয়ো"
বালিকা বলিলো--"বাবা ও দারুন না?"
বাবা জবাব দেওয়ার আগেই জবাবহীন হইয়া পড়ে। অতঃপর জ্ঞান ফিরিবার সাথে সাথেই বালক আসিয়া বলে--"হেইইই,ওয়েলকাম ব্যাক বাপস। চলো একটা সেলফি তুলি"
এই কথা শুনিবা মাত্র বাবা বাবা আবার কোমায় চলিয়া যান।
বাংলালিংক এর এই এড দেখিয়া বড়ই প্রীত হইয়াছি কিছুদিন আগে। আধুনিক যুগের ভালোবাসার হাওয়া যে পুরাই উরাধুরা গতিতে চলিতেছে তাহা বুঝাইয়া দেওয়া হইয়াছে সুন্দর করিয়া।
আগের দিন সমূহে বালক বালিকারা চিঠির চালাচালি করিয়া প্রণয় করিত। এখন তাহারা ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রণয় করিয়া অভ্যাস্ত।
তাহারা অতি সহজেই আবেগ প্রবণ হইয়া পড়ে। ফলে বিছানায় দেহ লুটাইয়া দিতে কিঞ্চিত ভাবে না। অতঃপর অন্তঃসত্বা হইয়া বালিকা ভাবে--"এইবার বুঝি বিবাহ টা সম্পাদন করিতেই হইবে।"
বালক কে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তখন বালক চোখে টিনের চশমা লাগাইয়া বলে--"হু আর ইউ? আই ডোন্ট নো ইউ"
বালিকা আত্মহত্যার ডিসিশন লয় এবং বালক এলাকা ছাড়িয়া অন্যত্র পালিয়া বেড়ায়।
এ তো গেলো প্রণয় ঘটিত আধুনিক ভালোবাসা সমুহ। এইবার আসি টাইম পাসিং ভালোবাসায়।
এই ভালোবাসায় বালক,বালিকাদের ২/৩ টা করিয়া প্রেম রানিং থাকে। এই প্রনয়ের শুরু হয় ম্যাসেজিং থেকেই। যেমন-
বালক- " "
বালিকা- " "
বালক- " "
বালিকা- " "
প্রণয়ের এক পর্যায়ে বালিকা ম্যাসেজ দেয়-- "জানো আমার না বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। কিছু একটা করো জানপাখী প্লীজ"
বালক উত্তর দেয়-- " "
বালিকা রিপ্লাই দেয়-- " "
প্রণয় পর্ব আপাতত ওইখানেই থামিয়া যায়।
নিজের চোখে দেখা অভিজ্ঞতা থেকেই বলিতেছি,
অধিকাংশ ক্ষেত্রে "বয়ফ্রেন্ড" নামক প্রজাতি ভোগ করিতে জানে,বিবাহ করিতে নয়। আর "গার্লফ্রেন্ড" নামক প্রজাতি কামসঙ্গী ই হয়,জীবনসঙ্গী নয়।
বালক/বালিকা গণ,
ভালো বাশ খেয়ে আ আ আ চিৎকার করিয়া 'ভালোবাসা' প্রতিষ্ঠা করিবার চাইতে 'ভালো' 'বাসা' খুজিয়া বিবাহ করাই উত্তম। বি কেয়ারফুল

০ টি +০/-০