যাও তোমারে ব্লক

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫

আজকাল ফেসবুক এত পপুলার , সেইদিন আর বেশি দূরে নাই যখন আমাদের দাদি নানিরাও ফেসবুক ইউস করা শুরু করবে। আসেন তার একটা নমুনা দেখি :
রফিকের দাদির স্ট্যাটাস :
ফ্রেন্ডস আজকে আমার মনটা খারাপ। একে একে সব দাঁত পড়ে গেলো। শুধু সামনের পাটির উপরের দিকের তিনটা আছে দাঁত আছে। তার মধ্যে একটা আবার ঝুলে
এই স্ট্যাটাসে ফ্রেন্ডস দের কমেন্ট :
আজাদের নানি : সময় সই সময়। আমাদের সময় কি আর আছে রে... এখন সময় হইছে ক্লাস ৮-৯ এর কচি ছেরিদের
রফিকের দাদিঃ হ্যাঁরে সই । মনে পড়ে সেই দিনের কথা যখন আমার ২ পাটি দাঁতের গ্লেয দেখিয়া রফিকের দাদা ফিট হয়ে গেছিল... দীর্ঘশ্বাস
হুসেইন মোহাম্মাদ এরশাদ: অ্যাড মি অ্যাড মি। আই এম ৮৪ বছর বয়সেও ফিট
রফিকের দাদিঃ চোপ শালা বুইরাতিনডা হাঙ্গা করসে অতছ এখন রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস সিঙ্গেল দেয়া
সকিনা বুড়িঃ সই ! তোর তো তাও ভালো তিনটা আছে... ওইদিন পাশের গ্রামের মকবুল বুড়া আমার দিকে তাকায়া মায়াবি একটা হাসি দিসিল। কতদিন পর এমন করে কেউ ইশারা মারল। কিন্তু যেই আমি ফিরিয়ে হাসি দেয়ার জন্য মুখ খুলসি... আলগা দাঁত জোড়া খুইলা ঠক কইরা মাটিতে...
মকবুল বুড়াঃ রফিকের দাদি, জোয়ান বয়সে ভালবেসে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তুমি গ্রহন করো নাই। ওঁই বুইড়া ভামটারে বিয়া করলা। এই দুঃখে আমি সারাজীবন বিয়া করলাম না। এখন তো আমার ঘরে আসো। আমি মাত্র তিনটা দাঁত নিয়াই তোমাকে গ্রহন করতে রাজি আছি... আমি তোমার মন কে ভালোবাসি, দাঁত কে না
রফিকের দাদিঃ যাহ শয়তান... আপনি না... চুল পাকসে কিন্তু চুলকানি কমে নাই
রফিকের দাদাঃ ওই পোড়ামুখী আমার ওষুধের ডিব্বাটা কই আর তুমি এইখানে মকবুইল্লার লগে টানকি মার । আর গতমাসে নাতির DSLR এ তোলা তোমার আমার আশিকি ২ ইশটাইলের পিক টা প্রো পিক থেকে সরাইস কেন... মনে করো বুঝিনা আমি ! যাও তোমারে ব্লক

০ টি +০/-০