![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব জীবনের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বালিশ একটি অতি প্রয়োজনীয় অথচ স্বল্প আলোচিত উপাদান, যা সাধারণত ঘুমানোর সময় মাথায় সাপোর্ট দিতে ব্যবহৃত হয়। অবশ্য অলঙ্করণময় বালিশ কমফোর্ট বা সাপোর্টের জন্য নয়, ঘরের ভেতরের শোভা বাড়ানোই এটার উদ্দেশ্য। কিন্তু স্বস্তিদায়ক ঘুম পেতে হলে যে বালিশ চাই।
ধারণা করা হয়, সভ্যতার ঊষালগ্নেই বালিশের প্রয়োজনীয়তা মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছিল। প্রাচীন বালিশ সাধারণত খড় বা পাথর দিয়ে তৈরি হতো। এটা অস্বস্তিকর হলেও মানুষ দীর্ঘকাল তা-ই ব্যবহার করেছে। বর্তমানে খড় বা পাথরের বালিশ আর নেই। তুলার তৈরি বালিশের প্রাধান্য এখন বেশি। অবশ্য আর্থিক সঙ্গতিপন্নরা পাখির গরম পালক বা রোম দিয়ে তৈরি বালিশ ব্যবহার করেন। কৃত্রিম আশের তৈরি বালিশের প্রচলনও বেড়ে গেছে।
বালিশ ধোয়া যায় না। কিন্তু বালিশের কভার ধোয়া যায়। তবে শুধু কভার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে বালিশকে নিরাপদ বা স্বাস্থ্যসম্মত রাখা যায় না। গবেষকরা বলেন, বালিশের দুটি সাধারণ সমস্যা রয়েছে। প্রথমত, বালিশে প্রচুর ধূলিকণা জমে। দ্বিতীয়ত, বালিশে বাস করে কোটি কোটি অণুজীব। তাই প্রতি দুই বছর পরপর বালিশ পাল্টে ফেলা উচিত। বিশেষত যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তাদের বেশি পুরনো বালিশ ব্যবহার ঠিক নয়।
এক সময় বালিশ শুধু ধনীরাই ব্যবহার করতেন। প্রাচীন মিসরের একাধিক সমাধিতেও বালিশ পাওয়া গেছে। তবে এসব বালিশ পাথরের তৈরি।
চীনাদের অদ্ভুত বিশ্বাস ছিল এ রকম : নরম বালিশ দেহের জীবনীশক্তি কেড়ে নেয়। আর এ বিশ্বাস থেকে তারা প্রাচীনকালে কাঠ, চামড়া, ধাতু ও সিরামিক দিয়ে বালিশ বানাতো। কিছু বালিশের ভেতর তারা ভেষজ লতাপাতাও রেখে দিতো। তাদের বিশ্বাস ছিল, এসব ভেষজ উপাদান নানা রোগ থেকে তাদের মুক্তি দেবে, সাদা চুল কালো বানাবে, পড়ে যাওয়া দাঁত গজাবে, এমনকি মধুর স্বপ্ন দেখতেও সহায়তা দেবে। আর জার্মানরা এক সময় বালিশ মাথার নিচে নয়, পায়ের নিচে ব্যবহার করতো। তাদের যুক্তি ছিল, সারাদিন পা সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করে।
ইতিহাসে রয়েছে, প্রাচীনকালে যখন পশ্চিমি বিশ্বের কোনো বিবাহিত ব্যক্তি কাজ উপলক্ষে বাইরে যেতেন, তখন তার স্ত্রী তাকে বাঁশের তৈরি একটি কোল বালিশ সরবরাহ করতেন, যাতে ওই ব্যক্তি রাতের বেলা একাকিত্ব অনুভব না করে। এ কারণে ইংরেজিতে কোল বালিশের একটি সমার্থক শব্দ হচ্ছে ব্যাম্বু ওয়াইফ।
তবে সারা দিনের কান্তি ছেড়ে ফেলতে আমরা যে বালিশে মাথা রেখে ঘুমের জগতে ঠাই নেই, সে বালিশটি কি পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত? বিজ্ঞানীরা বলেছেন, মোটেও নয়। তাদের দাবি, বালিশ হচ্ছে হাজার কোটি অণুজীবের একটি ক্ষুদে চিড়িয়াখানা। এখানে এমন কিছু ফাংগাল স্পোর বা ছত্রাকের বীজগুটি রয়েছে যা শুধু রোগই নয়, মৃত্যুও ডেকে আনতে পারে।
ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এ তথ্য দিয়েছেন।
তারা প্রমাণ পেয়েছেন বালিশের প্রতি গ্রামে কিলবিল করছে লাখো ছত্রাক। প্রতিটি বালিশে তারা ১০ লাখেরও বেশি ছত্রাক শনাক্ত করেছেন।
জাপান সম্প্রতি 'গার্ল ফ্রেন্ড ল্যাপ' নামে এক হট বালিশ বাজারে ছেড়েছে। ব্লগের ছবিটি দেখুন।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
সাইমুম বলেছেন: ওকে!!!
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
প্লাস_মাইনাস বলেছেন: ভয় পাইলমা কিছুটা। আমার বালিশটার বয়স যে কত....
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সাইমুম বলেছেন: ভয়ের কিছু নেই। আমরা বাঙ্গলিরা ছত্রাক-প্রুফ
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৮
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: বালিশ পাল্টানো ঝামেলা।পুরোনো বন্ধুর অভাব বোধ হইয়া ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে।অনেক ধন্যবাদ।শুভকামনা।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪
সাইমুম বলেছেন: 'ঝামেলা।পুরোনো বন্ধুর অভাব বোধ হইয়া ঘুমে ব্যাঘাত ঘটব'
দারুণ কমেন্ট। !!!
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৪
আফসানা আফসার বলেছেন: ভাইল।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৬
সাইমুম বলেছেন: ভাইল মানে কি? ভালো নাকি?
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আফসানা আফসার বলেছেন: বলতে চাইছি ভালই।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
পাহাড়ের কান্না বলেছেন: বালিশটা জটিলস।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাইমুম বলেছেন: মন্তব্যটা দারুণস!!!
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪০
ৃৃৃশান্ত বলেছেন: আমি দরকার হইলে বউ ছাড়া ঘুমাইতে পারুম। কিন্তু বালিশ ছাড়া পারমু না। আপনের টপিকটা আমার ব্যফুক পছন্দ হইছে।
বিঃ দ্রঃ আমি বিবাহ করি নাই।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৮
সাইমুম বলেছেন: লেজ কাটানোর সময় দাওয়াত দিয়েন। বালিশ গিফট দিমুনে!!
৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫৬
রবিনহুড বলেছেন: বর্তমানের ফাইবারের বাশিল গুলো কিন্তু পানিতে ধোয়া যায়। এবং পরে রোদে শুকিয়ে নিলে আগের মতো ঝর ঝরে হয়ে পরে।
কিছু কিছু তথ্য বেশ মজার।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৯
সাইমুম বলেছেন: যাক, রবিনহুড একটা সমাধান বাতলে দিলো। অনেকের চিন্তা দূর হলো। আচ্ছা ফাইবার বালিশের দাম কতো?
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫০
ঐশীকা বলেছেন: মানুষের মাথায় যে কত রকম বুদ্ধি...
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৩
সাইমুম বলেছেন: নারী-বন্দনা কেমনে লেখুম, বুদ্ধি দেন না, প্লিজ!!!!
১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫২
বাতাসের রূপকথা বলেছেন: দয়াময়কে রোজ বলিগো তাদের পানে চাও
যাদের বালিশ নাইগো প্রভূ তাদের বালিশ দাও।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৫
সাইমুম বলেছেন: দারুণ কবিতা গো।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বালিশ নিয়ে ইংরেজি কবিতা লিখেছেন। এখন মনে নাই। কাল জোগাড় করে ব্লগে দবো।
১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:০২
মুভি পাগল বলেছেন: অকে অকে!@! মাইনে নীনূ
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২১
সাইমুম বলেছেন: ঠিকাসে!
১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৩
কাউসার রুশো বলেছেন: 'গার্ল ফ্রেন্ড ল্যাপ' বালিশ আমার চাই
১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৪
আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২১
সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৫
নিশাচর নাইম বলেছেন: বালিশ টা জোশ...
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২২
সাইমুম বলেছেন: বাংরাদেশে এলে কেনার সুযোগ পাবেন
১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: চীনা সম্রাটারা কিন্তু আবার কানের জন্যও ছোট্ট বালিশ ব্যাভার করতো জানেন? চীনের 'ফরবিডেন সিটির' মিউজিয়ামে অন্যান্যর সাথে এমন কান বালিশও আছে
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৩
সাইমুম বলেছেন: ধন্যবাদ। চীন যাবার সম্ভাবনা আছে। দেখে আসার চেষ্টা থাকবে।
১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আচ্ছা, বনফুলের একটা ছোট গল্প আছে না বালিসের আত্মকথা নিয়ে। নামটা ভুলে গেছি। বালিস তার মনিব তরুনীর প্রেমে পড়ে যায়, কিন্তু তার উপরে মাথা রেখেই এই তরুনী আরেক যুবকের জন্য চোখের জল ফেলে বালিসের বুক ভিজিয়ে দেয়, আর এটা নিয়েই তার আক্ষেপ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৫
সাইমুম বলেছেন: সরি,গল্পটা পড়েছি। নাম মনে পড়ছে না।
১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৫০
সাইমুম বলেছেন: বালিশ নিয়ে নোয়াখালীর দুটি প্রচলিত ধাঁধা হচ্ছে:
১. আত (হাত) নাই মাতা (মাথা) নাই
আছে শুধু পেট
জাত নাই ধর্ম নাই
সবাই মাতা করে হেট।
২. কান নাই মাতা নাই
হেড (পেট) বরি (ভর্তি করে) খায়
কাম নাই কাইজ নাই
মাতা লৈ (নিয়ে) ঘুমায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ছবিটা চরম হয়েছে।
"ব্যাম্বু ওয়াইফ" আর "সারাদিন পা সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করে" এই দুটি ইনফোতে ব্যাপক মজা পেলাম, হা হা হা ......